সংসদে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা না করে যদি গ্রেফতার দাবি করা হয়, তাহলে অবাক হবেন না
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৫:১৪:০৫ বিকাল
৫ জানুয়ারির বিতর্কিত এবং ১৫৪ জন ফাও এমপি দ্বারা ভরপুর আওয়ামীলীগের জাতীয় সংসদে অবসরের পর বিচারপতিদের রায় লেখা নিয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্যে অনির্ধারিত বিতর্ক হয়েছে।
বিনাভোটের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে মাগরিবের নামাজের বিরতির পর পয়েন্ট অব অর্ডারে অনির্ধারিত বিতর্কের সূত্রপাত করেন স্বতন্ত্র এমপি ডা. রুস্তম আলী ফরাজী। বিতর্কে অংশ নেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু।
প্রধান বিচারপতির বক্তব্য নিয়ে বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে - আইনমন্ত্রী
প্রধান বিচারপতি যখন যা ইচ্ছা তা বলতে পারেন না: আবদুল মতিন খসরু
সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু বলেন, আমরা কিছু অনভিপ্রেত ইস্যুতে কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি। রায় ঘোষণা করতে হয় পাবলিকলি ওপেন কোর্টে। মূল রায়ের সংক্ষিপ্ত দেয়া হয়, পরে বিচারপতিরা যার যার পূর্ণাঙ্গ রায় লেখেন। এর ব্যত্যয় ঘটানোর কোনো সুযোগ নেই। প্রধান বিচারপতি ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি আস্থার প্রতীক। তাই তিনি (প্রধান বিচারপতি) যখন যা ইচ্ছা তা বলতে পারেন না। তার এ ধরনের মন্তব্যে না করাই শ্রেয় ছিল।
বিচারকের ব্যক্তিগত কাদা-ছোড়াছুড়ি নিয়ে এই পবিত্র স্থানকে বিতর্কিত করা যাবে না: সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
প্রধান বিচারপতি বলে বসলেন, জুডিসিয়ারির ক্ষমতাকে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এটা বলা যায় না। এ বক্তব্য শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। আবার তিনি বলে বসলেন, অবসরের পর রায় লেখা হলে তা হবে অসাংবিধানিক। এটা অসাংবিধানিক হলে রাষ্ট্রের সব ভিত্তিই তো অসাংবিধানিক হয়ে যায়, প্রধান বিচারপতি নিজেও অসাংবিধানিক হয়ে যান। তিনি বলেন, এ ধরনের বক্তব্য জুডিশিয়ারির হেড থেকে আসা মানেই হচ্ছে দেশটা অস্থিতিশীল হোক। সাবেক বিরোধী দল সঙ্গে সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য লুফে নিয়ে বলে বসলো, সরকারের নাকি ভূকম্পন শুরু হয়ে গেছে। কোথায় ভূমি আর কোথায় কম্পন আমি তো খুঁজে পাই না। তিনি বলেন, এই সংবিধান অনুযায়ী আমরা চলছি। প্রধান বিচারপতি একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি বলা শুরু করলো এই সরকার অবৈধ!
অতীতকে টানলে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে, সংকটও তৈরি করবে: ফরায়জী
বিতর্কের সূত্রপাত করে রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, আদালতের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। করেও না। প্রধান বিচারপতি কিছু বক্তব্য রেখেছেন। রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, অবসরের পর রায় লেখা নিয়ে যদি তিনি অতীতকে টানেন তবে বিব্রতর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে, সংকটও তৈরি করবে।
বিষয়: বিবিধ
৯০৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন