১৯৭১ এর বাজনা আরো কত বাজাবেন। ১৯৭১ এর পূর্বে ও পরের কি কোনো ইতিহাস নাই ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০১ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৫:০৯:৪৩ বিকাল
ভারতের থিংক ট্যান্ক জে এন দিক্ষিত লিখেছেন, " মূলত আমরা পাকিস্তান ভাঙ্গনের ফাইল খুলেছিলাম সেই ১৯৪৭ সালেই এবং পাকিস্তান ভাংগল এবং আমরা সে ফাইল ক্লোজড করলাম ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর "
আওয়ামিলীগ এবং তাদের সহযোগীরা কেন ১৯৪৭ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত ইতিহাস বলে না।
আওয়ামিলীগ এবং তাদের সহযোগীরা কেন ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত তাদের অপকর্মের কথা বলে না ?
১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের মানুষ বুজতে পারে , আওয়ামীলীগের সেই কুটকৌশল। ভারতের মুখোশ খুলে যায়।
আওয়ামিলীগ এবং তাদের সহযোগীরা কেন ভারতের কথা মত সাজানো ১৯৭০ এর সাজানো নির্বাচন করেছিল ?
কেন ভুয়া ভোটার দিয়ে আওয়ামী ন্যাপ , বাম এবং আওয়ামী মুসলিম লিগ সাজিয়ে সব আওয়ামীলীগের ভোটার দার করিয়ে নিজেদের ভোট ইচ্ছে মত বাক্সে ভরে ভারতের নীলনকশার পথ খুলে দিয়েছিল ?
আওয়ামিলীগ এবং তাদের সহযোগীরা কেন ভারতের আগর তলায় যেয়ে ভারতীয় কুখ্যাত রয়ের সাজানো মিটিং করে পূর্ব পাকিস্থানে অস্তিতিশীল করে তান্ডব চালানোর পথ খুলে দিয়েছিল ?
আগর তলার সেই কাহিনী এরই মধ্যে আওয়ামীলীগের ডেপুটি স্পিকার স্বীকার করেছেন। ১৭-০১-২০১২পত্রিকার পাতা খুজলেই বের হবে। ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত সংসদের ডিপুটি স্পিকার এক আলোচনায় স্বীকার করেছেন যে, ঐ মামলা সত্য ছিল।
বাম লেখক এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক ফয়েজ আহমদের লেখা 'আগরতলা মামলা, শেখ মুজিব ও বাংলার বিদ্রোহ' শীর্ষক গ্রন্থের ২১ পৃষ্ঠায় ১৯৬৩ সালে শেখ মুজিবের আগরতলা গমন, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং শচীন্দ্রলাল সিংহের মাধ্যমে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের তথ্যটি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগের একটি দালিলিক প্রমাণ।"
তাহলে এর অর্থ কি দাড়ালো ? আওয়ামিলিগ এবং ভারত ইচ্ছে করে আগে থেকে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছিল।
ইতিহাস থেকে লাহোর প্রস্থাব ? শেরে বাংলা , সরোয়ার্দি গায়েব কেন ?
আচ্ছা একবার বলেন তো আপনারা যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েছেন - আপনাদের প্রাথমিক বিদ্যালয় কোন আমলে তৈরী ? হাই স্কুল কোন আমলে তৈরী ?
নিশ্চই পাকিস্থান আমলে , নতুবা এর পূর্বে। তাহলে কি করে বাংলাদেশের মানুষকে অশিক্ষিত রেখে পশ্চিম পাকিস্থান শিক্ষিত হচ্ছে --- এই ভুয়া দোহাই তুলেছিল আওয়ামিলীগ এবং তাদের সহযোগীরা।
ভারতীয় দালাল ও তাদের অনুচররা বাংলাদেশকে ভারতের গোলাম বানানোর চেষ্টা শুরু থেকেই ছিল। কথিত নিউক্লিয়াস ভারতের গোয়েন্দাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিল। এবং তারাই শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ , বক্তব্ব্যের বিষয় নির্ধারণ করে দিত। এবং এরাই ১৯৭১ সালে মুক্তি বাহিনীর অগোচরে মুজিব বাহিনী নাম ধারণ করে উবানের নেতৃত্বে ট্রেনিং নিয়েছিল। মুজিব বাহিনীর হাতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাস খুজেই পাবেন।
মুজিব বাহিনীর লুটপাট , অপতত্পরতা নিয়ে সেক্টর কমান্ডার , এমনকি কোম্পানি কমান্ডার বৃন্দ মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনয়াযক ওসমানীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মুজিববাহিনী তত্কালীন অস্তায়ী সরাকরের তাজ উদ্দিন আহমেদকে ও হত্যা করতে চেয়েছিল। এই বিষয়ে তাজউদ্দিন আহমেদের মেয়ের বই , সেক্টর কমান্ডার দের বই খুজলেই সত্যতা খুঁজে পাবেন।
১৯৭১ পর ইন্ডিয়া ইন্দিরা গান্ধী সংসদে বলেন ,
এক হাজার সাল কা বদলা লে লিয়া । ৪০ বছর পর বাংলাদেশের মানুষ এখন বুঝতে পারছে বাংলাদেশকে গোলাম বানিয়ে রাখাই ভারতের সহযোগিতার একমাত্র উদ্দেশ্য।
আসল কথা গোপন থাকে না - কেন ভারত আওয়ামীলীগের নেতাদের দিয়েই বাংলাদেশের মানুষকে উস্কানিমূলক ভুয়া তথ্য হাজির করে ভিবক্ত করেছিল -
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় পরিকল্পনা
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্বীকার করলেন তারা। পত্রিকায় প্রকাশ ও হয়েছিল। বাংলাদেশ টেলিভিশন আয়োজিত এক আলোচনাতে এ তথ্য জানান সে সময়ের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ২৬ নম্বর অভিযুক্ত কর্নেল (অব.) শওকত আলী। এ বিটিভির এ আলোচনায় ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামসহ আগরতলায়ন্ত্র মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত আসামি উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামীলীগের স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্বীকার করলেন পাকিস্থান ভাঙ্গার ভারতের দাবা খেলার কথা।
শুনানির আগে সবাই বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাদের বিরদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করা। যাতে বিচারকার্য দীর্ঘ সময় ধরে চলে। এ সিদ্ধান্ত গ্রহণে শেখ মুজিবের ভূমিকা ছিল বেশি। শওকত আলী বলেন, অভিযোগ অস্বীকার পেছনে শেখ মুজিবের উদ্দেশ্য ছিল এটাই, দোষ স্বীকার করলে তাড়াতাড়ি রায় হয়ে যাবে। স্বীকার না করলে মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে চলবে। এর ফলে জনগণ সংগঠিত হবে। পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে। জনমত তৈরি হবে। আর একটি নির্বাচনের পথ তৈরি হবে।এর ফলে ১৯৭০ সালে পাকিস্তান সরকার নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরুঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্টতা অর্জন করে।
এভাবেই ভারতীয় দাবা খেলার মুখোশ উন্মোচিত হয়।
আওয়ামীলীগের স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্বীকার করলেন পাকিস্থান ভাঙ্গার ভারতের দাবা খেলার কথা।
আগেই বলা হয়েছে আগর তলায় যেয়ে আওয়ামী নেতারা ভারতের সাথে অতাত করেন। জনগণ ছিল সম্পূর্ণ অবচেতন। ভুয়া উস্কানি দিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করে আওয়ামিলিগ ও তাদের সহযোগীরা।
শওকত আলী তার আলোচনায় বলেন, ’রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’ (যা পরিবর্তিতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিতি পেয়েছিল) মামলার শুনানি চলছিল। মামলাটি শুরু হয় ১৯৬৮ সালের ১৯ শে জুন। এ বিচার সম্পন্ন করার জন্য গঠিত হয়েছিল বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। শুনানির সময়ে শেখ মুজিবর রহমান কর্নেল শওকত আলীকে একদিন সামনে পেয়ে বলেন, ‘কি শওকত এবার ধরা পড়ে গেলে। এরপর কি করবা?’ কর্নেল (অব.) শওকত আলী কিছু বলার আগেই বঙ্গবন্ধু তাকে বলেন, ’এবার একটি নির্বাচন করবো। নির্বাচনে জনগণ আমাদের রায় দেবে। এ রায় পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী মেনে নেবে না। তারপরই হবে জনযুদ্ধ।
এভাবেই ভারতীয় দাবা খেলার মুখোশ উন্মোচিত হয়।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের পূর্বে কেন ভারতের সাথে যোগাযোগ করে নিলনকশা তৈরী করেছিল আওয়ামী বাম নিয়ন্ত্রিত নিউক্লিয়াস নামক বাংলাদেশী রুশ , ভারতের দাদালেরা ?
১৯৭০ এর নির্বাচনের সময় পূর্ব পাকিস্তানে (১) আওয়ামী মুলসিম লিগ ( পরে যা আওয়ামিলীগ নাম ধারণ করে ) (২) মুসলিম লিগ (৩) নেজামে ইসলাম অন্যসব রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি ছিল একেবারে কম।
১৯৭০ এর নির্বাচনের সময় পূর্ব পাকিস্তানে স্থানীয় পর্যায়ে
আওয়ামিলীগ চেয়ারম্যান ছিল ৮৩.০৯ %
মুসলিম লিগ ৭.০১ %
নেজামে ইসলাম ২ % (প্রায়)
উপজাতি সহ অন্যান্য - প্রায় ৮ % এর চেয়ে কিছু কম
১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামিলীগ এবং তাদের সহযোগীরা জনগনকে জানিয়ে দিয়েছিল , আপনারা কষ্ট করে কি করবেন , সবাই তো শেখ সাহেব ( শেখ মুজিবুর রহমান ) কে ভোট দিবেন। তাই যাতে সব ভোট ঠিক মত কাস্টিং হয় -- সেই জন্য আমাদের লোক ভিতরে আছে। তারাই দেবে।
----------------------- এই বিষয়ে অনেক তথ্য আছে।
বিষয়: বিবিধ
৩০৫৬ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কোনো দল বা ব্যাক্তিতে থেমে থাকা যাবেনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন