পৌর নির্বাচনে নির্বাচনেও ভোট ডাকাতির মহোৎসব

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:৩০:৩০ দুপুর



ন্যাড়াকে আর কত বার বেলতলা গিয়ে প্রমান করতে হবে যে ৫ই জানুয়ারি বেততলা না যাওয়াই সঠিক ছিল ?

পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলের এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র-কাউন্সিল প্রার্থী, নেতা ও ক্যাডারদের নেতৃত্বে পুলিশের সামনেই গুলি ও বোমা ছুড়ে আগের রাত থেকেই ভোটকেন্দ্র দখল করে ইচ্ছেমতো নৌকায় সিল মারার মাধ্যমে নির্বাচন শেষ করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র দখলের পাশাপাশি অনেক কেন্দ্রে অবৈধভাবে আগ থেকে আনা ব্যালট পেপারে সিল মারা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, হামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও দিনভর সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সারাদেশে শেষ হয়েছে দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সংঘর্ষে একজন নিহত ও সহস্রাধিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা পুলিশের সামনে প্রকাশ্যেই ভোটকেন্দ্র দখল করে সিল মারলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পাহারা দেয়। নির্বাচনে অনেক মেয়রপ্রার্থী তাদের নিজের ভোটও দিতে পারেননি।অনেক কেন্দ্রে রাতেই নৌকা মার্কায় সিল মারা হয়। আগের রাতেই বেশকিছু কেন্দ্র দখল করে নৌকায় সিল মারা হয়েছে। ইচ্ছেমতো সিল মারায় অনেক কেন্দ্রে মোট ভোটারের শতভাগেরও বেশি ভোট কাস্টিং দেখানো হয়েছে।

রকিব কমিশনের রেকর্ড

http://mzamin.com/details.php?mzamin=MTA4NTcy&s=Mg%3D%3D

ভোটের দিনে নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ত ভূমিকার দিকেই সমালোচকরা বেশি দৃষ্টিপাত করছেন। ভোটের আগেই ব্যালট পেপারে সিল মারার ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্র দখল আর জাল ভোটের উৎসবের খবর মিডিয়ায় দিনভর প্রকাশিত হয়েছে।



পৌর নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি অনিয়ম ও ভোট ডাকাতি






ভোট কেন্দ্রগুলো আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এবং বহিরাগত লোকজন দখল করে জালভোট দেয়।




প্রশ্নবিদ্ধ ভোট : ইসির ভরাডুবি



‘কেন্দ্রে গিয়ে দেখি ভোট দেয়া হয়ে গেছে’







সকাল ৯টার আগেই ভোট শেষ : ফিরে গেলেন ভোটাররা




সকাল ৯টার মধ্যে সদর পৌরসভার ৪২ কেন্দ্রের ৩৯টিই দখল করে নেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক ক্যাডাররা। সদরের বিএনপি ও জাপা সমর্থিত মেয়রপ্রার্থীও ভোট দিতে পারেননি।



MUNICIPAL ELECTIONS 2015

Irregularities aplenty



বাবার নাম কাগজে আছে

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভি’র

ক্যামেরায় উঠে এসেছে ভোটের বিব্রতকর এক চিত্র। যমুনা টিভির প্রতিবেদককে বলতে শোনা যায়, (সমপ্রচার শুরুর) পাঁচ মিনিট আগেও পুরো লাইন শূন্য ছিল। কেউই ছিল না (ভোট দেয়ার লাইনে)। পাঁচ মিনিটের মাথায় পুরো তিনটি লাইন ভরে গেছে!

যমুনা টিভির সাংবাদিককে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। পুরো কথোপকথন তুলে ধরা হলো।

সাংবাদিক: আপনার বয়স কতো?

ভোটার-১: ১৮।

সাংবাদিক: ১৮ বছর। আপনার আইডি কার্ড আছে?

ভোটার-১: জ্বি না।

সাংবাদিক: আইডি কার্ড কোথায়?

ভোটার-১: আইডি কার্ড হয় নাই!

সাংবাদিক: আইডি কার্ড হয় নাই? মানে কী? আপনি কিভাবে ভোট দিতে আসছেন? আপনার নাম কী?

ভোটার-১: মানিক মিয়া।

সাংবাদিক: মানিক মিয়া আপনার নাম? আপনার বাবার নাম কী?

ভোটার-১: আমার বাবার নাম...ইয়ে...

সাংবাদিক: বাবার নাম মনে নাই?

ভোটার-১: ইয়ে...

সাংবাদিক: আচ্ছা ঠিক আছে। দর্শক আপনি দেখতে পাচ্ছেন, এ ভোটার তার বাবার নামই বলতে পারছে না! যাই হোক, আপনার বয়স কতো?

ভোটার-২: ২০।

সাংবাদিক: আচ্ছা। আপনাদের তখন কে দিয়েছিল স্লিপ? স্লিপ কারা দিয়েছে?

ভোটার-২: না, আমার তো আইডি কার্ড আছে।

সাংবাদিক: আপনার আইডি কার্ড কোথায়?

ভোটার-২: বাসায়।

সাংবাদিক: সবার আইডি কার্ড বাসায়?

এ সময় আরও দুইজন উপস্থিত ভোটারকে একই আইডি কার্ড আছে কিনা প্রশ্ন করেন সাংবাদিক। তাদের প্রত্যেকের উত্তর, আইডি কার্ড বাসায়।

এর মধ্যে চতুর্থ ভোটারের সঙ্গে কথোপকথন কিছুটা দীর্ঘ হয়েছে।

সাংবাদিক: আপনার নাম কী, দেখি?

ভোটার-৪: রবিউল ইসলাম।

সাংবাদিক: রবিউল ইসলাম? আপনার বাবার নাম কী?

ভোটার-৪: বাবার নাম এতে আছে।

সাংবাদিক: বাবার নাম কাগজে আছে?

ভোটার-৪: জ্বি।

সাংবাদিক: মানে, আপনার নাম রবিউল ইসলাম। কিন্তু আপনার বাবার নাম কাগজে আছে? কেন, আপনি নিজে আপনার বাবার নাম জানেন না?

ভোটার-৪: জানি।

সাংবাদিক: বাবার নাম বলতে পারছেন না?

ভোটার-৪: (নিরুত্তর)

http://mzamin.com/details.php?mzamin=MTA4NTY4&s=Mg%3D%3D

‘ভেতরে ঢুকিয়েন না খারাপ অবস্থা চলছে’



চট্টগ্রামের রাউজানে নৌকার প্রার্থী দেবাশীষ পালিতের পক্ষে ‘একচেটিয়া’ জাল ভোট দিচ্ছে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও বহিরাগতরা। পৌরসভার অন্তত ১০টির বেশি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।

https://shar.es/16HVKO

ভোট দিচ্ছে স্কুল ছাত্ররাও!

এমন এক সংবাদ প্রকাশ করেছে দৈনিক মানবজমিন। শুধু তাই নয়, স্কুল ছাত্ররাও যোগ দেয় এই জাল ভোটের মহোৎসবে। -

গেজেট প্রকাশ করলেই চলবে'

শুধু গেজেট প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ী দেখিয়ে গেজেট প্রকাশ করলেই চলবে। ‘পৌরসভা নির্বাচনে জাতি আবারো প্রত্যক্ষ করলো এক আজব নির্বাচনের।’

বিষয়: বিবিধ

১২৩৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

355805
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৭
ইয়াফি লিখেছেন : আম্লীগ জিতিয়া প্রমাণ করিল বাকশাল এখনো মরে নাই!
355811
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৯
আবু জারীর লিখেছেন : যে কয়টা পদ বাকিরা পেয়েছে সে জন্যও হয়ত বাকশালীদের অন্ত্র জ্বলে যাচ্ছে।
355842
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪৭
শেখের পোলা লিখেছেন : "আকেবাতে গর্কেজদাহ গর্কে শুদ গর্চে ব আদমী বুজুর্গ শুদ"৷কুত্তার বাচ্চা কুত্তাই হবে যদিও তা মানুষের সংশ্পর্শে থাকে৷ শেখ শাদী৷
355906
০১ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৪:০৩
কাঁচের বালি লিখেছেন : আওয়ামীলীগের অধীনে কখনও সুস্থ নির্বাচন সম্ভব নয়, এটাই তার প্রমাণ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File