মিরপুরে গ্রেনেড ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় মামলা। অন্ধকারে আসামীদের নাম। পুলিশের গামছায় গ্রেনেড।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৩:৫৫:৩৫ দুপুর
তাহলে বিষয়টি আগেই তৈরী নয় কি ?
বাড়িটির মালিক স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
মালিক আবুল হোসেন ভূঁইয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
রাজধানীর মিরপুরে-১ নম্বর সেকশনে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ছয়তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা অভিযান চালিয়েছেন। বুধবার গভীর রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। টানা ১৪ ঘণ্টার অভিযানে ওই ফ্ল্যাট থেকে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে পুলিশের দাবি। অন্যরা সন্দেহভাজন। সেখানে প্রচুর গ্রেনেড পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ সময় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটির অন্তত তিনজন ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সদস্যসহ মোট সাতজনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গণমাধ্যম) জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগের রাতে এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাহ আলী থানার ৯ নম্বর রোডের ‘এ’ ব্লকের ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের সঙ্গে র্যাব ও সোয়াট ইউনিটের সদস্যরা এ অভিযানে অংশ নেন। ওই বাড়ির ছয় তলার একটি ফ্ল্যাটে এক ডজনের বেশি ‘হাতে তৈরি গ্রেনেড’ পাওয়ার পর পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা পাশের একটি খালি জায়গায় সেগুলো নিষ্ক্রিয় করেন।
কোথায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের নিষ্ক্রিয়করণ উপাদান
পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা যা করলেন -
ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন এই সব বোমা যে কেমন, তাদের টায়ার পদ্ধতি বলে দিচ্ছে জবাব।
গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ভবনের ভেতর থেকে গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে জানালার কাচ ভেঙে যায়। জবাবে পুলিশও গুলী করতে বাধ্য হয়।” ভবনের অন্য বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার পরই সেখানে অভিযান চালানো হয় বলে জানান তিনি। আটকদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে জানিয়ে মনিরুল বলেন, “এদের মধ্যে অন্তত তিনজন জেমএবির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের পরিচয় জানা যাবে।” “হোসেনী দালান, কামরাঙ্গীর চরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এর আগে যে ধরনের হাতে তৈরি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েই ভবনের বিস্ফোরকগুলোও সেরকম।”
ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন - খালি হাতে বোমা বিস্ফোরণের প্রটেকশন ছাড়া কি করে নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা পাশের একটি খালি জায়গায় সেগুলো নিষ্ক্রিয় করেন।
তাহলে বিষয়টি আগেই তৈরী নয় কি ?
ছয়তলা ভবনের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রাত একটার দিকে ডিবির সদস্যরা এ বাড়িতে আসে। অভিযানের সময় তারা রাত থেকে কয়েক দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায়। রাতেই পুলিশ তিন যুবককে ধরে নিয়ে যায়। আর সকাল ১০টার দিক চারজনকে নিয়ে যায়।
উদ্ধার করা বোমা গুলো কি গামছায় লুকিয়ে নিয়েছিল পুলিশ ?
পুলিশের শেষ বক্তব্য দিয়েই নিজেরাই ধরা পড়ে। ‘১৪ ঘণ্টা চালানো অভিযান কার্যক্রম।
পুলিশের দাবি -
এসময় ১৬টি গ্রেনেড, ট্রাংকভর্তি বিস্ফোরক ও প্রচুর জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
বিকেল ৪ টায় অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘১৪ ঘণ্টা চালানো অভিযান কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এখন আলামতগুলোর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো সিআইডি ক্রাইম টিমকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।’ ভবনটি সিলগালা করা হবে।’ তিনি জানান, যে পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। তা দিয়ে আরও ২০০টি গ্রেনেড তৈরি করা যেত।
উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকের মধ্যে রয়েছে ১৬টি হাতে তৈরি গ্রেনেড, দুটি হাতবোমা, কয়েকটি সুইসাইডাল ভেস্ট (আত্মঘাতী হামলায় বোমা বহনে ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের বেল্ট), ১৬ রাউন্ড গুলি, দুটি পাইপ বোমা ও দুই শতাধিক গ্রেনেড তৈরির উপকরণ। এ অভিযানে ডিবির সঙ্গে অংশ নেয় র্যাব ও সোয়াত টিমের সদস্যরা। উদ্ধারকৃত গ্রেনেড ও বোমা পাশের একটি মাঠে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। জঙ্গি আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত এ বাড়িটির জমির মালিক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন ভূঁইয়া।
শ্বাসরুদ্ধকর এ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, এটি ছিল একটি হাইপ্রোফাইল অভিযান।
http://www.jugantor.com/first-page/2015/12/25/29490#sthash.RCt6HXFd.dpuf
পুলিশ বাদী হয়ে শাহ আলী থানায় মামলা।পরিচয় জানাতে অস্বীকার
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহ আলী থানায় মামলাটি করেন।পরিচয় জানাতে অস্বীকার
শাহ আলী থানার ওসি শাহীনুজ্জামান বলেন, জেএমবি সদস্য আটক ও গ্রেনেড- বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
ওই মামলায় আটক তিন জেএমবি সদস্যকে আসামি দেখানো হয়েছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন তিনি। http://www.sheershanewsbd.com/2015/12/25/109419#sthash.SVdbjjRT.dpuf
তাহলে বায়বীয় গ্রেনেড গুলো কি চকলেট ? যেমন খুশি তেমনি গামছায় করে নেয়া যায় ?
মিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের ঘটনায় মামলা |
The Daily Ittefaq https://shar.es/1GDPN0
খেলনার বস্তু দেখাই যাচ্ছে। তাহলে ফিঙ্গার প্রিন্ট ক্যামনে হবে ?
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী -“আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ভবনের ভেতর থেকে গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে জানালার কাচ ভেঙে যায়। জবাবে পুলিশও গুলী করতে বাধ্য হয়।”
প্রশ্ন ?
পুলিশ জানিয়েছে এবং টিভিতে দেখানো হলো উদ্ধারকৃত গ্রেনেড ও বোমা পাশের একটি মাঠে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
টায়ার পদ্ধতিতে যে বোমা নিষ্ক্রিয় করা যায় মাত্র ১০/১৫ ফুট দূর থেকে সেটা কি করে একটা গ্রেনেড হলো ? এটাই বিস্ফোরণ ক্ষমতা কত সেটা দেখে একটা শিশু ও হাসবে। তাহলে কিসের বোমা এই সব ?
খালি হাতে বোমা বিস্ফোরণের প্রটেকশন ছাড়া কি করে নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা পাশের একটি খালি জায়গায় সেগুলো নিষ্ক্রিয় করেন কিভাবে ?
তাহলে কি পুলিশ মিডিয়া র সামনে এবার বলবে The RGD-5 hand grenade ?
গ্রেনেড গুলোর Fuze কেমন ?
গ্রেনেড গুলোর Starter Mixture কেমন ?
গ্রেনেড গুলোর Filler কেমন ?
গ্রেনেড গুলোর Detonator কেমন ?
গ্রেনেড গুলোর বডি কিসের ? আয়রন নাকি অন্য কিছু ?
গ্রেনেড গুলোর আউটার কাস্টিং কেমন ?
গ্রেনেড গুলোর Explosive Charge কি ধরনের ?
আরো অনেক প্রশ্ন আছে। জানি পুলিশ এসবের জবাব দিতে পারবে না। কারণ টায়ার পদ্ধতি বলেই দিয়েছে , নাটকের রহস্স্য।
কি করে পুলিশ নিশ্চিত হলো বোমা গুলো কেমন শক্তিশালী ? বিনাশ ক্ষমতা কেমন ? বিস্ফোরণ পরীক্ষা কি করে জন সম্মুখে হলো ? ৩ থেকে ৫ ইঞ্চি দেয়ালে জন সম্মুখে , সাথে টায়ার দিয়ে বিস্ফরণের নাটকই বলে দিচ্ছে এসব বোমা কিসের তৈরী , আর কেন এত মিডিয়া তান্ডব।
পুলিশ জানিয়েছে -
সেখানে অভিযানে গেলে এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে মারা হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। অভিযানের সময় বাড়িটি উড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয় জঙ্গিরা। তবে শেষ পর্যন্ত বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদে বের করে এনে আটক করা হয় সাত জঙ্গিকে।
প্রশ্ন- পুলিশ কে করে প্রমান করলো এরা জঙ্গি ? আর এরা কিভাবে উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল ? বায়বীয় কোনো কানেকশন আছে ?
পুলিশ নিজেই বলে দিচ্ছে নাটকের আগাম বার্তা। নিজের মুখেই ধরা পড়ে পুলিশ।
লক্ষ্য করুন কি বলেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম আরও জানান, এর আগে ঢাকার হোসনি দালানে হামলার পর ও কামরাঙ্গীরচরে জঙ্গিদের একটি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা এবং বিস্ফোরকের সঙ্গে এসব বিস্ফোরকের মিল রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, একই দলের লোকজন এগুলো তৈরি করেছে। সম্ভবত হোসনি দালানে হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরকগুলো মিরপুরের এই বাড়িতেই বানানো হয়েছিল।
প্রশ্ন - ঢাকার হোসনি দালানে হামলার পর ও কামরাঙ্গীরচরে উদ্ধার হওয়া বোমা এবং বিস্ফোরকের সঙ্গে এসব বিস্ফোরকের মিল রয়েছে। তাহলে এগিয়ে দিয়েছেন যা বলা হবে পরের পর্বে তাই নয় কি ?
কিন্তু একটা গ্রেনেড বিস্ফোরণ হলো , কেউ আহত হলো না ? আর মিডিয়াকে দেখানো হলো না কেন ?
হয়ত এরই মধ্যে কিছু তরুনকে দাড়ি দিয়ে বেধে নারকীয় নির্যাতন শেষে একটা মিডিয়া ট্রায়েল হবে। ফাসানো হবে নিরীহ তরুনদের।
বিষয়: বিবিধ
১২৬২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ ওদের এমন শাস্তি দিবেন যেমন হাসিনার পুরাগুষ্টি নিপাত হয়েছিল দাফন পেয়েছিল এবার কিন্তু দাফন পাবেনা
ভষ্ম করা হবে এবং বঙ্গপসাগরে নিক্ষেপ হবে ভষ্মগুলি
কি সুন্দর নাটক !
মন্তব্য করতে লগইন করুন