বিষদাঁত ভেঙে দিচ্ছি, ভেঙে দেব !! কিন্তু একতরফা কেন ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:৩৯:২১ দুপুর
১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান ও এ দেশে তাদের এজেন্টদের বিষদাঁত একে একে ভাঙা হচ্ছে, আগামীতেও ভেঙে দেওয়া হবে।
বিষদাঁত ভেঙে দিচ্ছি, ভেঙে দেব !! কিন্তু একতরফা কেন ?
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান ও এ দেশে তাদের এজেন্টদের বিষদাঁত একে একে ভাঙা হচ্ছে, আগামীতেও ভেঙে দেওয়া হবে।
কারা ভারতীয় এজেন্ট , তাদের দোসর দেখতে হলে সহজেই খুঁজে পাবেন।
খুব ভালো কথা। কিন্তু ভারতীয় এজেন্ট , তাদের দোসরদের বিষদাঁত একে একে ভাঙা হচ্ছে কবে জাতি চায় ?
ভারতীয় এজেন্ট , তাদের দোসরদের বিষদাঁত একে একে ভাঙা হচ্ছে কবে জাতি চায় ?
কারা ভারতীয় এজেন্ট , তাদের দোসর দেখতে হলে সহজেই খুঁজে পাবেন।
শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কীভাবে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যান। এটা দেশের মানুষের সঙ্গে তামাশা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
যদি শেখ হাসিনা কে জাতি প্রশ্ন করে - মখা আলমগীর , সাজেদা সহ অনেকে কোন সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা ?
আওয়ামীলীগের অনেক মন্ত্রী রাজাকার , এরই মধ্যে জাতি জেনে গেছে। কি বলবেন শেখ হাসিনা ?
১৯৭১ সালের সারা বছর প্রতিমাসে ১৫০০ পানিস্তানি রুপি রেশন নিয়ে যারা মহা আনন্দে ছিল , সেই পরিবারের সকল রাজাকারদের বিচার কবে হবে ?
যারা আওয়ামীলীগের চেতনায় বুদ্ধিজীবী তারা কি ছিলেন অল্প উদাহরণ।
১৪ই ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী দিবস ? নাকি পাকিস্তান সমর্থক বাহিনী নিহত দিবস ?
১৪ই ডিসেম্বর ঢাকার নিয়ন্ত্রণ কোনভাবেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে ছিল না।
সেদিন নিহত হলেন তারা সবাই পাকিস্তান সমর্থক ছিলেন। অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী নেতৃত্বে ৫৫ জন একটি বিবৃতিতে পাকিস্তানের ঐক্যের পক্ষে তাদের দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন।
তারা প্রতিদিন নিজ নিজ কর্মস্থলে গিয়ে পাকিস্তান সরকারের সেবা করতেন। এরা কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেনি।
মুক্তিযুদ্ধ চলা কালে এরা কেউই বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি সরকারের চাকুরী থেকে চলে আসেনি। কারণ তারা সবাই পাকিস্তানপন্থী ছিলেন।
তথ্যসুত্রঃ
১. দুঃসময়ের কথাচিত্র সরাসরি, ড. মাহবুবুল্লাহ ও আফতাব আহমেদ
২. চরমপত্র- এম আর আখতার মুকুল।
উদাহরণ সরূপ মাত্র কয়েক জনের কথা উল্লেখ করা হলো। অন্যদের কথা লিখতে গেলে অনেক লম্বা লেখা হয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, একেকটি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে আর বাংলাদেশ একেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। তারপরও পাকিস্তানি ও তাদের এজেন্টদের ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ষড়যন্ত্র সামনে নিয়েই বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে।
শেখ হাসিনা কে যদি জাতি প্রশ্ন করে - কয়টা কারখানা চালু করেছেন ? কত হাজার মানুষের কর্ম সংস্থান হয়েছে এই বিচারের পর ? শেয়ার বাজারের টাকা কোথায় ?
হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে কেন ?
একেকটি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে আর বাংলাদেশ একেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে কত হাজার মেধাবী তরুনের চাকুরী হয়েছে ?
এত গল্প , এত কল্প কাহিনী শুনে জাতি চেতনায় পঙ্গু
জাতি করেছিল মুক্তি যুদ্ধ।
চোর , বাটপার গুলো হয়ে গেল বুদ্ধিজীবী .......
আর যারা মাঠে ময়দানে লড়াই করেছে তারা হয়ে গেল অজানা জনগণ।
পলাতক কাপুরুষ গুলো হয়ে গেল কন্ঠ , কলম মুক্তিযুদ্ধা........
কিন্তু যারা দেশের ভিতরে থেকে যুদ্ধ , যুদ্ধাদের সহযোগিতা করেছে , তারা কেউ কি পেয়েছে খেতাব ?
ক্ষমতায় থাকার জন্য একটাই হাতিয়ার ভন্ডামি চেতনার বানিজ্য ছাড়া আর কিছুই নাই।
ইউরোপ থেকে আমেরিকা
এশিয়া থেকে আফ্রিকা
সারা দুনিয়াতে বহু বছর যুদ্ধ করে যারা দেশকে স্বাধীন করেছে
তারা বাংলাদেশের মত এত ভন্ডামি চেতনা বিক্রি করে জাতিকে জিম্মি করে রাখেন নাই ।
বিষয়: বিবিধ
১৯৮৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন