বাংলাদেশেমসজিদ নিয়ে ভয়ানক ষড়যন্ত্র,জঙ্গি নাটকের উদেশ্য ? মন্দির ,গির্জা,পার্বত্য অঞ্চলের গির্জাতে চলে দেশ বিরোধী কাজ , সেই বিষয়ে নিশ্চুপ
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:৫৪:৪০ দুপুর
মসজিদ নিয়ন্ত্রণ করতে পরিকল্পনা
বাংলাদেশের মসজিদ নিয়ে ভয়ানক ষড়যন্ত্র , পিছনে কি তাহলে পশ্চিমাদের মত , বর্বর ইসরাইলিদের মত , ইহুধি ক্রিস্টান প্রধান দেশের মত জঙ্গি নাটকের উদেশ্য ?
মন্দির , গির্জা , পার্বত্য অঞ্চলের গির্জাতে চলে দেশ বিরোধী কাজ , সেই বিষয়ে নিশ্চুপ।
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় রাজধানীসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি মসজিদে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) একজন করে সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ
http://www.banglanews24.com/fullnews/bn/446491.html
জুমার নামাজে মসজিদে থাকবে এসবি
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় রাজধানীসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি মসজিদে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) একজন করে সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
তিনি বলেন, ইমামরা তাদের বক্তব্য ও খুতবায় জঙ্গিদের নিয়ে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে জুমার নামাজের সময় শহরগুলোর প্রতিটি মসজিদে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) একজন করে সদস্য মোতায়েন করা হবে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক শহীদুল হকের সঙ্গে ২০ জেলার ৩৫ জন ওলামা-মাশায়েখ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
২০ জেলার ৩৫ জন ওলামা-মাশায়েখ নাম ধারী এরা কারা কি তাদের পরিচয় ? এরা কি ওলামা লীগের নেতা কর্মী ? কিছু দিন পূর্বে তো ওলামা লিগ রাজধানীর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছে তাদর ইমেইল থেকে আনসার উল্লাহ জঙ্গি গ্রুপের ইমেইল করা হয়।
এরা যে দাবি করেছে সেটা দেখলেই একজন বিবেক বান মানুষ বুজতে পারবে এরা কারা ?
এরা কোন ধরনের ইসলামিক চিন্তাবিদ ?
এরাই কি তাহলে মুখোশে সেই বাহিনী , যারা বাংলাদেশের একটি বিশেষ গুষ্টির ফায়দা হাছিল করে , যারা এখন ক্ষমতায় তাদের কে বহাল রাখতে মরিয়া ?
কথিত এই সব ইসলামিক চিন্তাবিদরা যুদ্ধাপরাধী বিচার নিয়েও দাবি করলেন। শুধু দাবি নয় , এরা ফাসি কার্যকরের দাবি জানালেন ? তাহলে কি এরাই কোনো মঞ্চের নেতাদের পোষা কাহিনী নিয়েই এগুচ্ছে ?
মতবিনিময় সভায় একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছে ভুইফুড়ে লেবাসের আড়ালে কথিত ওলামা মাশায়েখরা। তারা ওলামা মাশায়েখদের নিরাপত্তা জোরদার, পিস টিভি নিষিদ্ধ, কওমী ও আলিয়া মাদ্রাসায় জঙ্গি ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা, পাড়া-মহল্লায় ওয়াজ মাহফিল করার আগে থানার অনুমতি গ্রহণ, মাদ্রাসা বোর্ডকে জামায়াতমুক্ত করা, সরকারবিরোধী কাজে লিপ্তদের তৎপরতা বন্ধে উদ্যোগ ও সারাদেশে ইমামদের তালিকা করার দাবি জানান তারা।
আচ্ছা -পিস টিভি নিষিদ্ধ করার কথা এরা বললেন। তাহলে কি ভারতীয় অশ্লীল চ্যনেল নিয়ে তাদের কোনো দাবি নাই ?
পিস টিভি কখন কিভাবে জঙ্গীবাদ প্রচার করছে তার কোনো প্রমান নাই। পিস টিভি র অনুষ্ঠান তো সরাসরি জঙ্গী বিরোধী। সমস্যা হচ্ছে পীস টিভির কারনে ইসলামের নামে মাজার পুজারীদের , হুক , হক মার্কা ভন্ডদের পেটে আঘাত এসেছে। যারা 'মুরীদ' বা অনুসারীদের স্বর্গে নেবার (টাকা বা সুবিধার বিনিময়ে) মুলা ঝুলাত তাদের ব্যাবসা বন্ধ হয়েছে। ভন্ডামিতে আঘাতের জন্য ওলামা নামধারী ভন্ডরা এখন পীস টিভিতে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করে, এই সব বর্বররেরা যুক্তি খন্ডন করার ন্যুনতম যোগ্যতা রাখে না। তাই পীস টিভি বন্ধ করার আবদার ।
পিস টিভি কতটা ঐশী জন্ম দিয়েছে ?
পিস টিভি কি কোনদিন গানের প্রতিযোগিতার নাম টিভির পরিচালকদের বাসায় অসামাজিক কাজ করেছে ?
কথিত ভন্ড দের বলছি - অশ্লীলতা, মডিলিং এর নামে অবাধ মেলামেশা, ঢাকায় নাইট ক্লাব আর মদের দোকান - এসব্ দেখেন না ??
ভারতের টিভি চ্যানেলগুলো যে আমার বাঙালী মুসলীম মুল্যবোধ ধ্বংস করে দিচ্ছে দিন দিন- এসব আপনাদের চোখে পড়ে না ??
ভারতের শিল্পীরা যে অনুষ্ঠানের নামে অর্ধ নগ্ন নেচে গেয়ে আমাদের দেশ থেকে টাকাগুলো নিয়ে যায় এইটা চোখে দেখলেন না ?
ওলামা লীগের যারা এই মিটিং এ এই মতামত দান করলেন, সেইসব লীগের কোন ধরনের আলেম ওলামা পরিচয় জানা দরকার ছিল। তার পিস টিভির peace শব্দটিও মুখস্ত বানান করতে পারবেনা, অথচ উনারা এসেছেন এর বন্ধের দাবি নিয়ে।
এইসব ওলামা লীগের কারণেই তো ইসলামের এই যাচ্ছতাই অবস্থা। আরে পিস টিভি তো তাও ইসলামী জ্ঞান শিক্ষা দেয়।
হিন্দি সিরিয়াল চললে কিন্তু ধর্মের কোন ক্ষতি নাই ?
পরকিয়া করার জন্য যেমন মতির আলো দরকার , তেমনি কথিত ওই সব ভন্ড দের ভারতীয় অশ্লীল শরীর দেখানো টিভিত দরকার তাই নয় কি ?
জি টি ভি , জি বাংলা , জলসা টিভি পুরাপুরি ইসলামি চ্যানেল। এইগুলা দেখবেন ?
ভারতীয় সিরিয়ালের চ্যানেল দেখে মানুষ আত্মহত্যা করেছে আবার কিছু ক্রাইম প্রোগ্রাম দেখে খুন করছে কিন্তু পিচ টিভি দেখে কি কেউ কাউকে মেরেছে এমন প্রমান আছে?
কওমী ও আলিয়া মাদ্রাসায় জঙ্গি ঢুকতে না পারে এই কথা পুলিশকে জানালেন ?
কিন্তু ছাত্রলীগের হাতে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন খুন হয়েছে সেটা কি গায়েব ?
ছাত্রলীগের নারকীয় তান্ডব জাতি দেখেই যাবে কিন্তু ?
জুমার খুতবায় নজরদারি করবে গোয়েন্দা সংস্থা: আইজিপি
০৫ ডিসেম্বর,২০১৫
http://www.rtnn.net/bangla//newsdetail/detail/1/3/127490#.VmPs8bgrJix
মসজিদে কেউ যাতে জঙ্গিবাদ নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো ও যারা এমন বক্তব্য দেবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই পদক্ষেপ।
আইজিপি বলেন, ‘তরুণ-যুবকদের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। পিস টিভি যদি জঙ্গিবাদ নিয়ে কোনো ধরনের প্রচারণা চালায় তাহলে সেটা আপনারা তথ্য মন্ত্রণালয়ে জানান। সেখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়াও আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে। তারা মনিটরিং করবে।’
এই ধরনের খবর প্রায় প্রতিদিন বাংলাদেশে হচ্ছে -
আওয়ামী লীগ দলীয় হুইপের নেতৃত্বে থানায় হামলা: এএসপি-ওসি লাঞ্ছিত, শহরে ভাঙচুর গুলিবর্ষণ বোমা বিস্ফোরণ। শহর জুড়ে তান্ডব। পুলিশ প্রধানের হুঙ্কার আর গুলির হুমকি শুধু জনসাধারণের জন্য , কিন্তু আওয়ামীলীগের জন্য নয়।
একাধিক মামলার আসামিদের ছাড়িয়ে নিতে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসি লাঞ্ছিত হয়েছেন। হামলা ঠেকাতে পুলিশ পাল্টা ব্যবস্থায় গেলে হামলাকারীরা পুলিশের পিকআপ ভ্যানসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বোমা বিস্ফোরণ, স্থাপনায় হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এসময় হামলাকারীরা শহরে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর এঘটনা ঘটে।
মসজিদে জঙ্গিকে না খুঁজে আওয়ামিলিগ এবং সর্বহারা জাসদের মধ্যেই খুজতে থাকুন। হাজার হাজার প্রমানের মধ্যে মাত্র কয়েকটা উদাহরণ
আওয়ামীলীগের নেতারা যখন প্রকাশ্যে গুলি করে , অস্ত্রের মহড়া দেয় , সেটা জঙ্গি নয় ? উস্কানি নয় ?
গুলি গণহারে হত্যা কি জঙ্গি কাজ নয় ?
আওয়ামীলীগের নেতারা যখন বলে ঘরে ঘরে যেয়ে হামলা করার কথা। সেটা উস্কানি নয় ?
রাজপথে আদালতের বিরোধে আওবাম্লিগের লাটি মিছিল , সেটা উস্কানি নয় ?
বাংলাদেশের মুসলমানরা বেশ কয়েক বছর ধরেই পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ!
ইসলামপন্থীরা মামলা, হামলা, গ্রেফতার আর নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
এবার,
আমাদের মসজিদগুলোও আর স্বাধীন রইল না, ইমাম আর খতিবরা সরকারের শৃঙ্খলে বন্ধী হচ্ছেন। কিন্তু গির্জা ? মন্দির ? হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান পরিষদের উস্কানি কি তাহলে আইন নত বৈধ ?
নামাজ পরতেও সরকারের এবং পুলিশের অনুমতি নিতে হবে?
মসজিদ গুলো কি তাহলে বিদেশীদের কাছে জঙ্গি অক্ষরে প্রমানের চেষ্টা ?
বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম প্রধান দেশে জুমার খুতবায় নজরদারি করবে গোয়েন্দা সংস্থা ?
দেশের সব দিকে লাশের মিছিল , খুন , গুম। এই সব নিয়ে তাদের কতটা নজরদারি ?
সারা দেশে ছাত্রলিগ , যুব লীগের তান্ডব কি তাহলে জঙ্গি কাজ নয় ?
মসজিদে কেন জঙ্গি খুজতে হবে ? যেখানে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংঘঠন আছে , সেখানে অন্য কোনো জঙ্গি লাগে না। তারাই পারে সব কিছু।
মায়ের গর্ভের সন্তানকে গুলি করা জঙ্গি কাজ নয় ?
হিন্দু রমনীর গর্ভের শিশুকে লাত্তি মেরে মৃত ভুমিষ্ট করা জঙ্গি নয় ?
লগি বৈঠার মিছিলের ঘোষণা জঙ্গি , উস্কানি নয় ?
তাহলে কি আমরা আগেই থেকেই অবাক না হয়ে মানসিক তৈরী থাকতে হবে --
সকল জঙ্গি জুজুর নাটকের শেষ দৃশ্যে মসজিদ বন্ধের ঘোষণা আসলে আমরা আগেই থেকেই অবাক না হয়ে মানসিক তৈরী থাকতে হবে ?
বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান স্বাধীন দেশে বর্বর ইসরাইলিদের মত , ইহুধি ক্রিস্টান প্রধান দেশের মত মসজিদের প্রতি আগ্রাসন , আতঙ্ক তৈরী করে কাদের খুশি করার পায়তারা ? তাহলে কি বাংলাদেশে ও মসজিদ গুলোকে জঙ্গি আস্তানায় প্রমানের শেষ প্রান্তে ?
বিষয়: বিবিধ
১৮৫৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন