জঙ্গি জুজুর খেলা এখন আওয়ামীলীগের গলার ফাস । এই প্রচারণাই এখন আওয়ামী লীগের জন্য বুমেরাং হতে বসেছে।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৯ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:৫৮:৩৪ বিকাল
জনগণের ওপর কোনও আস্থা না থাকায় জনআতঙ্কে ভুগছে আওয়ামীলীগের সরকার ।
জঙ্গি জুজুর খেলা , সেই সাথে বিশ্ববাসীকে দেখাতে এবং বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, বর্তমান আওয়ামীলীগের সরকার ।
ভারতের উপর সর্বদা নির্ভরশীল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মন্ত্রীদের দেয়া বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।
http://www.anandabazar.com/international/no-is-in-bangladesh-usa-creating-hoax-bangladesh-fumes-out-dgtl-1.251147#.VlrPS6JsQX4.
শনিবার রাজধানী ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের দেয়া বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একদিকে জঙ্গি হামলা নিয়ে বিব্রত গোটা দেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশে আইএস ঢুকে পড়েছে বলে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশে শুরু হইচই।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, হাসিনা ক্যাবিনেটের দুই মন্ত্রী জোর গলায় জানালেন, বাংলাদেশে আইএস নেই। আইএস দমনের নামে বাংলাদেশে থাবা বসানোর চেষ্টা করছে আমেরিকা, দাবি দুই মন্ত্রীর। শনিবার তীব্র ভাষায় আমেরিকাকে আক্রমণ করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। ঢাকার কামরাঙ্গির চরে এক আলোচনায় সভায় এ দিন যোগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা ক্যাবিনেটের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। সেখানেই আসাদুজ্জামান বলেন, কোনও একটা ঘটনা ঘটলেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমেরিকায় একটি বার্তা চলে যায়। তখন আমেরিকার সাইট নামক প্রতিষ্ঠান বলে এটা আইএস করেছে। আইএস নামে কোনও সংগঠন বাংলাদেশে নেই।’’ কামরুল ইসলামের সুর ছিল আরও চড়া। তিনি বলেন, উপলব্ধিও করতে পারবেন না যে বাংলাদেশ নিয়ে কী ষড়যন্ত্র হচ্ছে! যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, যারা বিভিন্ন দেশে জঙ্গিদের জন্ম দেয়, আইএস-এর জন্মদাতা সেই আমেরিকা, জঙ্গিদের মূল জন্মদাতা সেই আমেরিকা বলছে, জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের সঙ্গে আছি। এটা নতুন ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানিয়ে কোনওভাবে সেখানে প্রবেশের চেষ্টা চলছে।
আওয়ামীলীগের নেতাদের বিশেষ করে যারা প্রতিদিন জাতিকে চেতনা চিবিয়ে খাওয়াচ্ছেন তারা এমন একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছে যে, বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই জঙ্গিবাদ, দমন করা সম্ভব। তারা অত্যন্ত সাফল্যের সাথে আইএস ধরছেন। পুলিশ দিয়ে মিডিয়া ট্রায়েল করে সংবাদ সম্মেলন করে দাড়ি , টুপি পরা জঙ্গি গণ হারে আটক করছেন। অতএব জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই শুধু চেতনার দোহাই দিয়েই জোর করে ক্ষমতায় থাকলেও পশ্চিমা দেশগুলো যেন তাদের বিরক্ত না করে সমর্থন দিয়ে যায়। আর বিএনপি-জামায়াত সহ তাদের সহযোগী রাজনৈতিক দল হলো জঙ্গিবাদের জন্মদাতা। তারা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় বিষোদগার করেছেন লিগ সরকারের মন্ত্রীরা। গতকাল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, লিগ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও লিগ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে ষড়যন্ত্র করছে। লিগ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গি রাষ্ট্র বানিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র অন্যায় করেছে। এর আগে শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ড সফর শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর অস্তিত্ব আছে, এমন বিষয় স্বীকার করে নিতে তার ওপর প্রচন্ড চাপ আছে ।
সাম্প্রতিক জঙ্গি জুজুর বিষয় এখানে উল্লেখ করা যায়।
বাংলাদেশে আইএস আছে কি নেই।
সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তো মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তার বাসার কাজের মেয়ে মর্জিনার সাথে তুলনা করে যা খুশি তাই বলেছিলেন।
এবার আসুন একটু পিছনে দেখি কারা এরা ?
বাংলাদেশে আইএস আছে, এটা প্রমাণ করা গেলে পশ্চিমা বিশ্ব পুরাতন কোনো নিয়ম-কানুনের ধার ধারবে না।বিনা কারণেই , বিনা উস্কানিতে , বিনা ঘোষণা দিয়েই শুরু করবে কথিত হামলা। তার পর কি হতে পারে সহজেই অনুমেয়।
জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে যেগুলোর নাম বার বার উঠে আসে, সেগুলো হল জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং আনসারুল্লা বাংলা টিম।
(১) জমাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) - সবাই জানেন এর প্রধান আব্দুর রহমান ছিলেন আওয়ামীলীগের নেতা মির্জা আজমের আপন বোনের স্বামী।
(২) আনসারুল্লা বাংলা টিম - আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন ওলামা লীগের রাজধানীর জাতীয় প্রেস সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি নিজেরাই বলেছে আনসারুল্লা বাংলা টিম হচ্ছে ওলামা লীগের একটি অংশ।
(৩) আমেরিকার সাইট নামক প্রতিষ্ঠান বলে এটা আইএস করেছে - এই সুত্র ধরেই শেখ হাসিনা পুত্র জাতিকে বললেন আমরা জেনেছি আইএস বাংলাদেশে আছে। এরাই জঙ্গি কাজ করছে।
আওয়ামীলীগের বিনা ভোটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বারবার বলছেন, বাংলাদেশে কোনো আইএসের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু ওই দিনই খবর বেরিয়েছে যে, বাংলাদেশে আইএসের সমন্বয়কারী সাখাওয়াতুল কবিরসহ চার সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আইএস যদি নেই, তাহলে আইএস বলে যে শতাধিক লোককে আটক রাখা হয়েছে কেন ? প্রশ্নের জবাব দেবে না আওয়ামিলীগ। কারণ জুজুর ভয় এখন তাদের মরণ ফাদ।
সরকারের বিভিন্ন বাহিনী জঙ্গিদের গ্রেফতার করেছে এবং এ সম্পর্কে নানা বিষয় প্রায়ই সামনে আসছে। ফলে এখন নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলা হচ্ছে কেন?
এবার আসি এরা কি বলে , আর ধরা পড়লেই কথা উল্টে ফেলে।
ভারতের দি হিন্দু পত্রিকার সাথে সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কুনিও হত্যার সাথে জড়িত দুই আইএস জঙ্গি ভারতে পালিয়ে গেছে। এই খবর ভারতের পত্রিকা সহ বাংলাদেশের প্রায় সব পত্রিকায় এসেছে। বিদেশী কিছু পত্রিকা ও এই খবর প্রকাশ করেছে।
ভারতীয় পত্রিকায় বাংলাদেশের আইএস প্রচার
কেন ?
বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার পিছনে ভারতীয় "র" কারন বাংলাদেশকে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানিয়ে ফায়দা লুটে নেয়া।
আনন্দ বাজার, আজকাল, এই সময়, বর্তমান, উত্তরবঙ্গ সংবাদ, গণশক্তি, অসমীয়া, প্রতিদিনসহ সব পত্রিকা একই একই রকম শিরোনামে প্রকাশ করেছে। ভারতের ইংরেজি মিডিয়াতেও ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে বগুড়ায় হামলার এ ঘটনা আইএস জঙ্গিদের হামলা বলে।
এইসব গণমাধ্যমের মধ্য রয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, দ্যা হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস, ইকোমিক টাইমস, দ্যা ষ্টেটসম্যান । একইসুরে কথা বলছে পশ্চিমা গণমাধ্যম গুলোও।
এই সময়
বাংলাদেশের মসজিদে জঙ্গি হানা, দায় স্বীকার আইসিসের
আইসিস হামলা এবার বাংলাদেশেও? প্যারিসের পর আইসিস-এর আক্রমণে এবার রক্তাক্ত হল প্রতিবেশি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তাদের পরবর্তী লক্ষ্য বলে প্যারিস হামলার পরই জানিয়েছিল আইসিস জঙ্গিরা। বাংলাদেশের বগুড়া জেলার হরিপুর গ্রামের একটি মসজিদে হামলার দায় স্বীকার করে নিল আইসিস।
আজকাল
বাংলাদেশে আই এস হামলা
ঢাকার একটি শিয়া মসজিদে গত মাসে গ্রেনেড হামলার পর বগুড়ায় একটি শিয়া মসজিদে গতকাল জঙ্গিদের গুলিতে ওই মসজিদের নামাজের ঘোষক বৃদ্ধ ‘মোয়াজ্জেম’ খুন হওয়ায় বাংলাদেশে সংখ্যায় স্বল্প শিয়াদের ভেতর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সরকার আই এস জঙ্গিদের বাংলাদেশে উপস্থিতি অস্বীকার করলেও আজ বিশ্বের ত্রাস সৃষ্টিকারী এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি বগুড়ার এই শিয়া মসজিদে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
আনন্দবাজার
হামলায় আইএস, মানছে না ঢাকা
একটি মার্কিন সংগঠনের দাবি জঙ্গি সংগঠন আইএস বাংলাদেশের বগুড়ার শিয়া মসজিদে কালকের হামলার দায় স্বীকার করেছে। ‘সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপ’ নামে এই সংগঠনটি জঙ্গিদের ওয়েবসাইটগুলির নজরদার বলে নিজেদের দাবি করে। তবে মার্কিন সংগঠনটির এই দাবি মানছে না বাংলাদেশ পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, দায় স্বীকারের কোনও স্পষ্ট প্রমাণ নেই। এর আগে আইএসের নাম করে কয়েকটি দুষ্কর্মের দায় স্বীকার করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে সবগুলিই ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে। যারা এই হুমকি দিয়েছিল তাদের আটকও করা হয়েছে।
এবেলা
বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার আইএসআইএস-এর
গোটা পৃথিবী জুড়ে আইএসআইএস সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। এবার বাংলাদেশের বুকে তারা আক্রমণ চালালো। সেই হামলার দায়ও স্বীকার করে নিল তারা। ফ্রান্স, টিউনিশিয়ার পর এবার আইএসআইএস-এর থাবায় বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্মস্থানে আক্রমণ চালায় তারা। জঙ্গি হামলায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হন তিন জন। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের ধর্মস্থানে চালানো হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে আইএসআইএস। কী কারণে তারা বেছে নিল বাংলাদেশের ধর্মস্থান? বুধবার পুলিশের গুলিতে মারা যায় এক জঙ্গি। তারই প্রতিশোধ নিতে আইএসআইএস হামলা চালায় বলে অনুমান।
আওয়ামীলীগের নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগে বলেছিলেন, কুনিও হত্যার সাথে আইএস জড়িত নেই। এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এখন বলছেন এই হত্যাকাণ্ডের সাথে আইএস জড়িত ছিল। সেই আইএসের দুই সদস্য ভারতে পালিয়ে গেছে।
বাংলাদেশে জঙ্গি থাকার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের আগেই তুলেছে এদেশের আওয়ামীলীগের সরকার এবং তাদের এজেন্ট বাহিনী । বাম গুষ্ঠি এবং তাদের তাবেদার আওয়ামীলীগের সরকার বারবার জঙ্গি তত্ত্বের কথা সামনে এনেছে।
যতই দিন যাচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে যে, ঐগুলি ছিল নেহায়েত আইওয়াশ বা ধোঁকাবাজি। একটি বিশেষ দেশের কথা মত দাবা খেলে এখন আওয়ামিলিগ এবং বাংলাদেশ ভয়াবহ হুমকির মুখে।
বিষয়: বিবিধ
২২০৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন