বললেন ‘ধরেই নিয়েছিলাম তারা ক্ষমা চাইবেন না’ তাহলে প্রাণভিক্ষার আবেদন সিক্রেট জিনিস, দেখানো যাবে না কেন ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:২৭:৪৮ বিকাল
পরাজিত মিথ্যে কথা এখন সিক্রেট জিনিস
এবার চিন্তা করেন বিচার নিয়ে আর কত কি হয়েছিল ?
মন্ত্রী বললেন ‘ধরেই নিয়েছিলাম তারা ক্ষমা চাইবেন না’ তাহলে প্রাণভিক্ষার আবেদন সিক্রেট জিনিস, দেখানো যাবে না কেন ?
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের কথিত প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে গতকালের নাটকীয়তার পর সে প্রশ্নটি আবারও উঠেছে। সরকারি ভাষ্য, সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদ দোষ স্বীকার করে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন এবং প্রেসিডেন্ট তা নাকচ করেছেন। অন্যদিকে, ফাঁসির আগে সর্বশেষ সাক্ষাতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মুজাহিদ তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে বলেছেন, তারা কোন প্রাণ ভিক্ষা চাননি। সরকার তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে। বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকেও বিবৃতি দিয়ে একই কথা বলা হয়েছে।
প্রাণভিক্ষার আবেদন সিক্রেট জিনিস, দেখানো যাবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন বলে আবারও দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে সাংবাদিকরা প্রাণভিক্ষার আবেদন দেখতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, "এগুলো সিক্রেট জিনিস, এগুলো দেখানো যাবে না।"
আজ সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তবে রাষ্ট্রপতি তা নাকচ করে দিয়েছেন।’
সাংবাদিকরা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার কাগজপত্র দেখানো যাবে কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো সিক্রেট জিনিস। এগুলো দেখানো যাবে না।’
https://shar.es/1cfJuM
এখন দেখুন এই একই ব্যাক্তি কি বললেন
‘ধরেই নিয়েছিলাম তারা ক্ষমা চাইবেন না’
প্রাণভিক্ষার আবেদন দেখানো যাবে না : আইনমন্ত্রী
https://shar.es/1cfwkE
প্রাণভিক্ষা বিষয়ে সালাহউদ্দিন কাদের- ‘এই বাজে কথা তোমাদের কে বলেছে’
http://www.mzamin.com/details.php?mzamin=MTAyNjA4&s=MQ==
প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়টি বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাকচ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। কারাগারের শেষ সাক্ষাৎ করে বের হয়ে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। প্রাণ ভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার বাবার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, আমরা এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি পাল্টা আমাদের প্রশ্ন করেছেন, এই বাজে কথা তোমাদের কে বলেছে?। তিনি কোন আবেদন করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে সাকার ছোট ভাই জামালউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, প্রাণভিক্ষার বিষয়ে তিনি (সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী) বলেছেন- ‘আমি যদি মার্সি (ক্ষমা) চাই, তবে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে চাইবো, কোন বান্দার কাছে নয়।’
https://shar.es/1cfZTk
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের সঙ্গে তাঁদের পরিবার সদস্যরা দেখা করেন। দেখা করার পর সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী দাবি করেন, তাঁর বাবা প্রাণভিক্ষা চাননি। তিনি বলেন, ‘বাবা বলেছেন, তিনি কোনো কাগজে স্বাক্ষর করেননি।
মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর জানান, ‘তাঁর বাবা কোনো ধরনের প্রাণভিক্ষার আবেদন করেননি। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
https://shar.es/1cfwWN
বিষয়: বিবিধ
১৮৮৫ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আজ (রোববার) রাত সাড়ে ১২টার দিকে পিতার সাথে শেষ সাক্ষাতের পর এ কথা বলেন মাবরুর।
বাবা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বলেও জানান মাবরুর।
মাবরুর আরো বলেন, বাবা কোনো মার্সি পিটিশন করেননি। দেশবাসীর কাছে তার দল এবং তাকে হেয় ও কলঙ্কিত করার জন্য এই মিথ্যা নাটক করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাবা রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি লিখে উনার বিচারের নানা ক্রটিপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে বিচারের যাবতীয় অসংগতি তুলে ধরে বলেছেন কিভাবে উনাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সেখানে প্রাণভিক্ষার কোন কথাই ছিল না।
২। দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
সরকার উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার দল বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন করতেই প্রাণভিক্ষার নাটক সাজিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন হুম্মাম কাদের।
তিনি বলেন, প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন- এমন তথ্য শুনে তার বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী অবাক হয়েছেন এবং তিনি বলেছেন, এটা সরকারের একটি ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
এদিকে, বিদায়ী সাক্ষাতের সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কি বলেছেন জানতে চাইলে হুম্মাম কাদের বলেন, তার বাবা জানিয়েছেন তিনি কখনই প্রাণভিক্ষার আবেদন করেননি। এটা একেবারেই মিথ্যা।
হুম্মাম বলেন, ‘বাবা বলেছেন তিনি কোনো কাগজে স্বাক্ষর করেননি। তিনি বলেছেন, যে কাগজ বের হয়েছে, এ ধরনের কাগজ আরো কত দেখবে সামনে। তিনি আরো বলেছেন, নির্বাচনে হারাতে পারেনি তাই একটু পর তার জান নিয়ে নেওয়া হবে।’
হুম্মাম আরো বলেন, ‘বাবা বলেছেন, ছয় বছর আগে থেকেই মিথ্যা বলছে সরকার।’ সালাউদ্দিন দল-মত-নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষের দোয়া চেয়েছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
এদিকে, বিদায়ী সাক্ষাতকারের সময় সেখানে উপস্থিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাই গিয়াস কাদের চৌধুরীও দাবি করেছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে কোন প্রাণভিক্ষার আবেদন করেননি বলে জানিয়েছেন তার ভাই।
খুনি ধান্দাবাজ থাকতে ভুয়া কাগজ , ভুয়া দলিল তৈরী করতে এতিদিন লাগে কেন ?
জাতি আরেকটি রানা প্লাজার রেশমা নাটকের দৃশ্য দেখতে অপেক্ষা করছে। মুজাহিদ ও সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্বাক্ষর-টিপসই পেলে তা সংযোজন করে মিডিয়ার সামনে কথিত প্রাণভিক্ষার কপিটি প্রকাশ করা হবে এবং তা ফলাও করে মিডিয়ায় প্রচারও করা হবে।
তাড়াতাড়ি নাটক মঞ্চস্থ করা হোক।
জাতি আরেকটি রানা প্লাজার রেশমা নাটকের দৃশ্য দেখতে অপেক্ষা করছে ...
মুজাহিদ ও সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্বাক্ষর-টিপসই পেলে তা সংযোজন করে মিডিয়ার সামনে কথিত প্রাণভিক্ষার কপিটি প্রকাশ করা হবে এবং তা ফলাও করে মিডিয়ায় প্রচারও করা হবে।
তাড়াতাড়ি নাটক মঞ্চস্থ করা হোক।
মূল এজেন্ডাই হচ্ছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ইন্ডিয়ার কাছে অর্পন করা।
জুডিশিয়াল কিলিং মিশনে --------------- বিচারিক হত্যা কান্ডের সিন্ডিকেট।
স্কাইপি বিচারপতি মো.নিজামুল হক নাসিম , বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা , বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর, বিচারক হলেন আনোয়ারুল হক, বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক , বিচারপতি শাহিনুল ইসলাম , বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর , বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান , বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া , সামসুদ্দিন মানিক এবং তাদের সহ যোগী
অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু (কমিউনিস্ট ),তুরিন (আওয়ামিলিগ ) ,
অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী ( কমিউনিস্ট ), জেয়াদ আল মালুম ( সর্বহারা কমিউনিস্ট ) , মোহাম্মদ আলী ( ঘাদানি ) ও মোকলেছুর রহমান বাদল ( আওয়ামিলিগ ) ,
সৈয়দ রেজাউর রহমান ( আওয়ামিলিগ ) , গোলাম হাসনাইন (আওয়ামিলিগ ) ,
রানা দাশগুপ্ত (ঘাদানি হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান পরিষদের সেক্রেটারি ), জহিরুল হক (জাসদ ছাত্রলীগ ) ,
নুরুল ইসলাম (সর্বহারা বাম ), সৈয়দ হায়দার আলী ( সিপিবি ), খন্দকার আবদুল মান্নান (আওয়ামিলিগ ), মোশারফ হোসেন (জাসদ ) , জিয়াদ-আল-মালুম(কমিউনিস্ট ), , সানজিদা খানম (কমিউনিস্ট ), ও সুলতান মাহমুদ(কমিউনিস্ট ),
জমির চাচা ( সিপিবি ) , মুরগি কবির( (ঘাদানি, কমিউনিস্ট ) , মুনতাসির (ঘাদানি,কমিউনিস্ট ) , মালুম (নাস্তিক + কমিউনিস্ট ) , জিয়া উদ্দিন ( জাসদ ), এত খুনি ধান্দাবাজ থাকতে ভুয়া কাগজ , ভুয়া দলিল তৈরী করতে এতিদিন লাগে কেন ?
জাতি আরেকটি রানা প্লাজার রেশমা নাটকের দৃশ্য দেখতে অপেক্ষা করছে
তাড়াতাড়ি নাটক মঞ্চস্থ করা হোক।
একটা মিথ্যা ঢাঁকতে এখন হাজারটা মিথ্যা শোনা যাবে৷৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন