সন্তান ধারণের ক্ষমতাও হারালেন তুলসীরানী । যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের ঘটনা ?

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০২ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:২০:৪৯ দুপুর



রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের এ দুই গ্রুপ সিআরবিতে যুবলীগ ছাত্রলীগ গোলাগুলি

http://www.jugantor.com/first-page/2015/11/02/752



আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর এলাকায় (সিআরবি) ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে ফের বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।

পুলিশের সামনে অস্ত্র উঁচিয়ে উভয় গ্রুপের ক্যাডাররা সংঘর্ষে লিপ্ত হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গত ১ মাসে চার দফা ওই এলাকায় সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি বাবর ও লিমন গ্রুপের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রকাশ্য রক্তক্ষয়ী সংঘাতে দুইজন নিহত হন ।

পুলিশের সামনে অস্ত্র উঁচিয়ে উভয় গ্রুপের ক্যাডাররা সংঘর্ষে লিপ্ত হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

কিন্তু পুলিশ বায়বীয় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে একমাত্র আওয়ামিলিগ ছাড়া অন্য মতের সবাইকে মুহুর্তের মধ্যে গ্রেফতার করে জঙ্গি বানিয়ে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরতে পারদর্শী।

একই দিন আরেক জঙ্গি তান্ডবের খবর

ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে চবি রণক্ষেত্র

চবি প্রতিনিধি | প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০১৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে হাটহাজারী থানার ওসি ও ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতিসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

আহত ওসি ইসমাঈল যুগান্তরকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।তিনি জানান, ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বাহ কি চমত্কার কথা বললেন আহত ওসি। এত কিছুর পর ও কাউকে আটক করা হয়নি।

সন্তান ধারণের ক্ষমতাও হারালেন তুলসী, আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর, ২০১৫ |

http://m.banglatribune.com/tribune/single/114234

‘রবীন্দ্রকে ওরা মারছিল। তার পোয়াতি বউটা এসে তাকে বাঁচাতে চাইলে তার পেটেও লাত্থি মারলো। আমাদের মেয়েটা আর কোনওদিন মা হতে পারবে না। আমরা কী এমন দোষ করেছি বাপু, এদেশটা কি তাহলে শুধুই ওদের, আমাদের না?’ স্থানীয় ভাষায় এ কথাগুলোই আর্ত কণ্ঠে বলেন ফেনীর মাথিয়ারা জেলেপাড়ার নির্মম নির্যাতনের প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার বাদী জহর লাল দাস।

গত বুধবার লক্ষ্মীপূজার রাতে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর অভিযোগে মাথিয়ারা জেলেপাড়ায় সরকারদলীয় ক্যাডারদের হামলায় এভাবেই আরও অনেকের সঙ্গে নির্মম মারধরের শিকার হন রবীন্দ্র ও তার স্ত্রী তুলসী রানী। এসময় ক্যাডারদের লাথিতে সাত মাসের গর্ভবতী তুলসী রানীর পেটের সন্তানটি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায়। আর পরবর্তীতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি আর কোনওদিন মা হতে পারবেন না।

এসব কষ্টের কথা বলতে বলতে কাঁদতে থাকেন জহর লাল দাস। আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘ওরা সরকারি দল করে, তাই ওদের অনেক ক্ষমতা। সেই ক্ষমতার দাপটে ওরা এসে জেলেপাড়াটা তছনছ করে দিল। সম্রাট আর ইকবালের সঙ্গে ২০/২৫ জন ছিল। তারা অস্ত্র আর লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে জেলে পাড়ার সব পুরুষকে মারধর করলো, ঘরবাড়ি-দোকানপাট ভাঙচুর করলো, লুট করে নিয়ে গেলো।’

এলাকাবাসী জানান, বুধবার ( ২৮ অক্টোবর) রাতে ছিল তাদের লক্ষ্মীপূজা। সে উৎসবে পটকা ফোটানোর অপরাধে তাদের ওপর নেমে আসে সরকারদলীয় ক্যাডারদের ভয়াবহ নির্যাতন। এদের নেতা ছিল ইকবাল ও সম্রাট। তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরেও জেলেদের ওপর নেমে আসে বর্বর নির্যাতন। প্রথম দফায় চলে গেলেও পরে এসে জেলেপাড়ায় নির্মম নির্যাতন চালায় তারা। সেই হামলা ও নির্যাতনে রাতের অন্ধকারে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন জেলেপাড়ার পুরুষরা। অনেকে সপরিবারে নৌকায় চেপে রাত কাটান নদীতে।

এখনও আতঙ্কে মাথিয়ারা জেলেপাড়াবাসী।

ফেনী সদর হাসপাতালে লেবার ওয়ার্ডের ৩ নম্বর সিটে চিকিৎসাধীন নির্যাতিত গৃহবধূ তুলসী রানী দাসের শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক । কর্তব্যরত ডাক্তারেরা জানান, তুলসি রানী তলপেটে আঘাতজনিত কারণে মাতৃত্বের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন ।

আওয়ামিলিগ কি এখন বলবে সেটাও - যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য ?

এর পূর্বে আওয়ামীলীগের ক্যাডারদের হামলায় মায়ের গর্ভেই গুলি বিদ্ধ হয়েছিল নবাগত শিশু।

সেটাও - যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য ?

ফেনীতে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতা কর্মীরা দিন দুপুরে ফেনীর আওয়ামীলীগের মেয়র কে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল যারা -- তারা কি তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য ?

বিগত ১০ বছরে আওয়ামীলীগের ৮২ জন নেতা কর্মীকে হত্যা করেছে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা। দলীয় কোন্দল এবং চাদা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে। আওয়ামীলীগের নেতা মিল্কি থেকে শুরু করে

শাহজালাল বিশ্ব বিদ্যালয়ের খুন গুলো দলীয় খুন।

এই সব কি তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য ?

২৮অক্টোবরের লগি বৈটা দিয়ে হত্যার বিচার কি হয়েছে?

সাগর-রুনিসহ অনেক খুনের বিচার কি হয়েছে?

গত ১০ বছরে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর বিচার কি হয়েছে?

নিজ কার্যালয়ে ফয়সল আরেফীন দীপন নিহত হওয়ার পর তার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লেখক আবুল কাশেম ফজলুল হক ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি কোনো বিচার চাই না।’

দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক নিজের বক্তব্য - আমি দুর্বল মানুষ, একলা মানুষ। আমার কোনো দল নেই। আমার একটা মত আছে, তা প্রকাশ করার সুযোগ পাই না। মিডিয়া নাই, পত্র-পত্রিকা নেই। আমার তেমন টাকাও নাই। বিচার চাইতে কেমনে যাব?

তিনি আরও বলেন, হানিফ সাহেব যদি একথা বলে থাকেন, তাহলে উনি ‍খুবই অন্যায় কথা বলেছেন। এটা অন্যায়।

রাজনৈতিকভাবে শুভবুদ্ধির উদয় না হলে বিচার চেয়ে কোন লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নিহত দীপনের পিতা প্রফেসর আবুল কাশেম ফজলুল হক। তিনি বলেছেন, আগে রাজনৈতিক শুভবুদ্ধির উদয় হতে হবে। তারপর সুবিচার আসবে।

দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক নিজের বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব-উল আলম হানিফের বক্তব্য - ক্ষমতাসীন দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রবিবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, হত্যাকারীদের আদর্শে বিশ্বাসী বলেই পুত্র দীপন হত্যার বিচার চাননি বাবা আবুল কাসেম ফজলুল হক।

প্রফেসর ফজলুল হক বলেন, আমি বিচার চাইবো না। বিচার চেয়ে লাভ নেই এদেশে। কারণ, গত ১০ বছরে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর বিচার কি হয়েছে? সাগর-রুনিসহ অনেক খুনের বিচার এখনও হয়নি। মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি মামলা করতে চাই না। মামলার ওপর আমার কোন ভরসা নেই। তবে যেহেতু আমি দেশের আইন মেনে চলি। প্রক্টরও আমাকে অনুরোধ করেছেন। তাই আমি একটি দরখাস্ত দেবো।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আমরা কোনো শঙ্কা প্রকাশ করছি না। আজকে যারা ব্লগার বা মুক্তচিন্তার মানুষ হত্যা করছে এগুলোর সবকিছু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।



আজিজ মার্কেটের সিসিটিভি’র ফুটেজ নিয়ে বিতর্ক


শাহবাগের আজিজ কো-অপারেটিভ সুপার মার্কেটের নিচতলার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন বলে মার্কেটের ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল আহসান নাজু জানিয়েছেন। শনিবার সারাদিন রেকর্ড হওয়া সব ফুটেজ রাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে শীর্ষ নিউজকে বলেন, ঘটনার পর রাতে র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা সিসিটিভি’র ফুটেজ নিয়ে গেছে। অপর দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) মুন্তাসিরুল ইসলাম শীর্ষ নিউজকে বলেন, সিসিটিভি’র বিষয়টি নিয়ে জয়েন্ট কমিশনার স্যারের সামনে আলোচনা করা হলে, তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছে। আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেটের মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল আহসান নাজু আরো বলেন, আজিজ সুপার মার্কেটের নিচতলায় আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা রয়েছে। ফলে সেখানে কে কখন, কোনো দরজা দিয়ে মার্কেটে প্রবেশ করছেন, সে তথ্য পাওয়া সম্ভব। ওইসব ফুটেজই শনিবার দিবাগত রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মার্কেটের কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। রোববার দুপুরে শাহবাগ থানার পরিদর্শক শাহীন ফকির সাংবাদিকদের বলেছেন, যেহেতু দীপনের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো এফআইআর করেনি। তাই ঘটনাস্থল থেকে কোনো আলামত তাঁরা জব্দ করেননি।







২৩ জুলাই বৃহস্প্রতিবার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাগুরায় যুবলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশুটি
গুলিতে তার থেঁতলে গেছে পিঠ, বুক, হাত ও গলাসহ একটি চোখ। শিশুটিকে সুস্থ করে তুলতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেলে ৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় ।

এর পর



গত বুধবার লক্ষ্মীপূজার রাতে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর অভিযোগে মাথিয়ারা জেলেপাড়ায় আওয়ামীলীগের ক্যাডারদের হামলায় এভাবেই আরও অনেকের সঙ্গে নির্মম মারধরের শিকার হন রবীন্দ্র ও তার স্ত্রী তুলসী রানী। এসময় ক্যাডারদের লাথিতে সাত মাসের গর্ভবতী তুলসী রানীর পেটের সন্তানটি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায়। আর পরবর্তীতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি আর কোনওদিন মা হতে পারবেন না।



যারা মাতৃ গর্ভের সন্তানকে গুলি করে , যাদের লাথিতে সাত মাসের গর্ভবতী তুলসী রানীর পেটের সন্তানটি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় - তারা গ্রেফতার হয় না।

কিন্তু বায়বীয় গোপন সূত্রেই আটক করা হয় নিরীহ জগনকে।

বিষয়: বিবিধ

১৭৪৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

348249
০২ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:১৫
শেখের পোলা লিখেছেন : বায়বীয় গ্রেফতার কাজ চালু রাখতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়৷ধন্যবাদ৷
348289
০৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০২:১৬
কাঁচের বালি লিখেছেন : যারা মাতৃ গর্ভের সন্তানকে গুলি করে , যাদের লাথিতে সাত মাসের গর্ভবতী তুলসী রানীর পেটের সন্তানটি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় - তারা গ্রেফতার হয় না।

কিন্তু বায়বীয় গোপন সূত্রেই আটক করা হয় নিরীহ জনগনকে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File