সেই ঐতিহাসিক বিশ্বাসঘাতকতা ব্রিটিশ আমল থেকেই চলছে।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৮ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:১৫:০৩ দুপুর
সেই ঐতিহাসিক বিশ্বাসঘাতকতা ব্রিটিশ আমল থেকেই চলছে।
নবাব সিরাজউদ্দৌলার সেই পলাশী ট্রাজেডীর বিশ্বাসঘাতকদের কথা নিয়ে মুসলিমদের উপর কিছু ঐতিহাসিক চাপ। যাতে বিশ্বাসঘাতকদের গালিটা যেন মুসলিম নামেই হয়।
কেউ যদি বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে আমরা তাকে মীর জাফর বলে গালি দেই। কিন্তু জগৎশেঠ, মহারাজা স্বরূপচাঁদ ,মহারাজা নন্দকুমার, উমিচাঁদ , রাজা রাজবল্লভ , দের কথা বলি না। মূলত মীর জাফর রের চেয়েও এরা ছিল বড় বিশ্বাসঘাতক।
আমি অন্যত্র বলেছি, মুসলমান শব্দটাকে বাংলাদেশের এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী সাম্প্রদায়িক শব্দ বলে প্রচার করে। তারা নিজেদের মুসলমান বাংগালী বলতেও লজ্জিত বোধ করে। এটা তাদের বিবেক প্রসূত নির্বুদ্ধিতা নয়। তারা জেনে শুনে অন্যের হয়ে কাজটি করে।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (১৮৬৯-১৯৪৯)র কথা বলতে গেলে অনেক কিছু এসে যায়। ব্রিটিশ-ভারতে পরাধীনতার অপমান সহ্য করতে না পেরে বহু বিপ্লবী মারা যান। কিন্তু মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ব্রিটিশদের দেখানো পথেই চলেন।চারদিকে যখন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন চরমে , তখন ব্রিটিশ শাসক গুষ্টি ইটা অনুমান করেই এমন একজনকে তৈরী করে , যাকে দিয়ে অনন্তকাল ব্রিটিশ শাসনের আসল কাজটি চলমান থাকে। ব্রিটিশ তাবেদার একজনকে তৈরী করে , এই তিনি হলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। কিন্তু সুভাষ চন্দ্র ভাসুর কথা যেন প্রায় গায়েব। কথা গুলো বানিয়ে বলার নয়। ভারতের হাতে গোনা কিছু ভদ্র মানুষ এখন এই সব খুঁজে বের করছে। এরই মধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক একজন বিচার পতি এর সপক্ষে প্রমান উপস্থাপন করেছেন। যার কোনো জবাব গান্ধী পরিবার দিতে পারেনি।
পৃথিবীর আদি থেকে অন্ত সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্ব অনিবার্য। সত্যের আগমনে মিথ্যার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী।
তেমনি দেখুন আরেকটি বিষয়। ক্ষুদিরামের কাহিনী। সূর্য সেন, প্রীতিলতাদের কথা। সবাই রাত দিন জাতির সামনে তুলে ধরে আহারে ক্ষুদিরাম যেন মহামাতম। সেই সাথে সূর্য সেন, প্রীতিলতাদের কথা বাচ্চাদের থেকে বৃদ্ধদের শেখানো হচ্ছে। কিন্তু একটি বার ও কি বলা হয় শের আলী খান পাঠান নামক ব্রিটিশ বিরোধী মহাবিপ্লবীর কথা ?
ব্রিটিশ আমলে ১৮৭২ সালে গভর্নর জেনারেল লর্ড মেয়ো যখন আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ার পরিদর্শন করতে যান, তখন শের আলী নামে এক পাঠান দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি তাঁকে হত্যা করেন।
ব্রিটিশ শাসক শ্রেণী শেরআলী পাঠানকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। কিন্তু ক্ষুদিরাম কিছু করার আগেই তো ধরা পরে , এর পর হয়ে গেল মহা নেতা ? কিন্তু এর পিছনে ওই সব কথিত ইতিহাস লেখকেরা। তারা ক্ষুদিরাম কে হিরো করে দিচ্ছেন।
যেন একটি নিলনকশা করেই দেখানো হচ্ছে - যা করেছে সব হিন্দুরা। আর মুসলিমরা কিছুই করেনি। মূলত পাক ভারত উপমদেশে সভ্যতার নিদর্শন যা , সব করেছে মুসলিম শাসক শ্রেণী। যদি নাই করত, তাহলে শত হাজার বছরের মুসলিম শাসনে হিন্দুদের চিহ্ন থাকত না।
সুত্র - ""অপ্রকাশিত সত্য"" নামে একটা বইয়ের কিছু অংশ।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন