পার্বত্য চট্টগ্রামে চলছে গোপন চুক্তিতে খ্রিস্টান অঞ্চল প্রতিষ্ঠা
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৬ অক্টোবর, ২০১৫, ০১:৪১:১৮ দুপুর
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা-বাঙ্গালী প্রত্যাহার করে ও খ্রিস্টান অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হবে ?
পাহাড়ের খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি ও বান্দরবান থেকে পাহাড়ী যুবকদের বাছাই করে স্বশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আর এজন্য তারা গহীণ অরণ্যকে বেছে নিয়েছে।
১৫, আগস্ট ২০১৫
শান্তিচুক্তি পরবর্তীকালে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর সাথে সবচেয়ে বড় বন্দুকযুদ্ধ ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে । রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বরাদম এলাকায় সেনাবাহিনীর সাথে সংঘটিত এ বন্দুকযুদ্ধে ৫ জন নিহত হয়েছে। এতে মেশিনগান, সাব মেশিনগান, চাইনিজ রাইফেল, এসএলআরসহ মোট ৮ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৩৯ রাউণ্ড বিভিন্ন অস্ত্রের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ গুলি ও সামরিক পোশাক ও সামরিক সরঞ্জাম আটক করেছে। আটক গুলির মধ্যে রয়েছে ২৬ রাউণ্ড মেশিনগানের গুলি, ১২০ রাউণ্ড রাইফেলের গুলি, ৮৪ রাউণ্ড এসএমজি’র গুলি ১৪৫ রাউণ্ড এসএলআরের গুলি, ৯৪ রাউণ্ড পয়েন্ট টু টু বোর রাইফেলের গুলি, ৭ রাউণ্ড পিস্তলের গুলি। এছাড়াও এসময় বিপুল পরিমাণ সামরিক পোশাক ও সামরিক সরঞ্জামাদি আটক করা হয়েছে।
নিহত সন্ত্রাসীরা নাম হচ্ছে, কর্পোরাল সন্তু মনি ত্রিপুরা, কর্পোরাল ফলিন চাকমা, ল্যান্স কর্পোরাল শান্তি মারমা, প্রিয় চাকমা ও সুনীল ত্রিপুরা। এগুলো তাদের সামরিক নাম ও পদবী। এদের আসল নাম হচ্ছে, রুপায়ন চাকমা (২৫), জেকশন চাকমা (২৪), তাতুমনি ত্রিপুরা (৩০), কান্তি মারমা (২৫) এবং বাবুল চাকমা (২০)।
পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের সংগঠন
পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দু’টি সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএস
(১) সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিও (জেএসএস)
(২) প্রশীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমক্রটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নামে সশস্ত্র সংগঠন
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমেই দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাধে চলাফেরার সরকারি লাইসেন্স পায়। তারা সুকৌশলে বাঙ্গালী ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উচ্ছেদ করার মাধ্যমে তাদের এ দেশীয় দোসরদের নিয়ে খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চল বানানোর মিশনি রূপরেখা অনুযায়ী এরাই চুক্তির দীর্ঘ ১ দশকের মধ্যে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে কারা থাকবে, কারা থাকতে পারবে না।
অস্ত্র বিরতির আড়ালে নতুন করে অস্ত্র সংগ্রহ করে পাহাড়ী এ সংগঠনগুলো আরো বলীয়ান ।
পার্বত্য এলাকায় জুম্মল্যান্ড গঠন, রাজ্যে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা ও বিস্তৃর্ণ পার্বত্য সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে এ বিশাল অঞ্চলকে খ্রিস্টান অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র অনেক আগের। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পার্বত্য অঞ্চলে বেশকিছু এনজিও খ্রিষ্টান মিশনারী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে ।পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে বিদেশীরা নানা মিশন নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত জনপদে অবাধে চলাফেরার লাইসেন্স পেয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিদেশী ইউ.এন লগো লাগানো গাড়ীতে চড়ে এন্টেনা ও শক্তিশালী ওয়ার্লেস সেট লাগিয়ে এরা নিজেদের মিশন বাস্তবায়নে পার্বত্যাঞ্চলের প্রত্যন্ত দূর্গম জনপদ চষে বেড়াচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতা বন্ধ এবং স্বায়ত্বশাসনের নামে গেরিলা তৎপরতা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, হত্যা, রাহাজানি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে তড়িঘড়ি করে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের সেই সাবেক গেরিলা নেতা সন্তু লারমারা দাবি করে আসছে এই অঞ্চল থেকে সেনা শাসন ও বাঙ্গালীদেরকে বহিস্কার করতে সরকারের সাথে তাদের অলিখিত চুক্তি হয়েছে।
একে-৪৭সহ আটক খ্রিষ্ট্রান ধর্ম প্রচারক থোয়াই চিং চাক (৪৪)
(ছবিতে লাল দাগ )থোয়াই চিং চাক (৪৪)
থোয়াইচিং চাক মাধ্যমিক শিক্ষার গন্ডি পেরুতে না পেরে এনজিও সংস্থা কারিতাসের সহায়তায় ইলেক্সট্রনিক কাজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৫-৯৬ সনের দিকে ভাই অংছাইন চাকের সহযোগিতায় জড়িয়ে পড়েন কোরিয়া ভিত্তিক একটি খ্রিষ্ট্রান মিশনারিজের সাথে। তৎসময় নাইক্ষ্যংছড়ি অজপাড়ার অন্তত ১৫/২০ জন শিুশু-যুবককে প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রামে নিয়ে যান থোয়াই চিং চাক। পরে ধর্মান্তরিত করণের বিষয় তারা বুঝতে পেরে পালিয়ে যান নিজ গ্রামে। সে সময় জোর পূর্বক ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে নাইক্ষ্যংছড়ি ধুংরী হেডম্যানপাড়ায় মার্মা সম্প্রদায়ের নিকট গণধোলাইয়ের শিকার হন থোয়াই চিং।
বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকার সীমান্তবর্তী ভারতের মিজোরাম রাজ্যের দুটি গ্রাম থেকে ১২টি ম্যাগাজিনসহ পাঁচটি একে-৪৭ ও তিনটি একে-৫৬ রাইফেল উদ্ধার করেছে সেই দেশের সীমান্তরক্ষী আধাসামরিক বাহিনী আসাম রাইফেলস ।
পুলিশ কর্মকর্তা লালরিংডিকা বলেন, “অস্ত্রগুলো প্রতিবেশী বাংলাদেশে নেওয়া হচ্ছিল।”
মিজোরাম হয়ে এসব অস্ত্রের চালান বাংলাদেশে পার্বত্য এলাকায় পাহাড়িদের মধ্যে ইউপিডিএফ ও পাবর্ত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্যদের কাছে যায় ।
২ মার্চ ভারতের মিজোরাম রাজ্যের মামিত জেলার “কান্টালাং” নামক জায়গায় মিজোরাম পুলিশের হাতে আটক ১৫ উপজাতীয় সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। এই ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জন বাংলাদেশী। বাকী ২ জন ভারতীয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গ্রেফতার হওয়ার কয়েক ঘন্টার পর আটককৃতদের রাজ্য পুলিশ ছেড়ে দেয় এবং তারা অন্যান্য দলের সাথে মিলিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আটককৃতরা পুলিশের কাছে নিজেদের বাংলাদেশ বিদ্রোহী জেএসএস ( সন্তু ) দলের সদস্য বলে দাবী করেছে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৯৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উপজাতিরা বাংলাদেশের কোন উপকারে আসে না । এরা পারতপক্ষে ক্ষতি করে ছাড়ে । অথচ এদের জন্য সরকারী চাকরিতে কোটা রাখা আছে !
ওরা যদি স্বাধীন হতে চায় তাহলে আমাদেরও অধিকার আছে দেশের অখন্ডতা বজায় রাখার ।
প্রভারকরনের নেতৃত্বে এলটিটিইরা শ্রী লংকায় ব্যাপক অস্থিরতা বাঁধিয়ে রাখতো । কোন শাসকই পারতো না এদেরকে দমাতে । রাজাপক্ষে এসে এদেরকে কঠিন সাইজ করলেন । এখন এলটিটিইরা আর তেমন কাব যাব করে না ।
দেশের অখন্ডতা বজায় রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এ ব্যাপারটি শক্ত হাতে ডিল করতে হবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন