খুনিকে রক্ষা করতেই শিশু লাশটির জীবনের মূল্য মাত্র ১৫ হাজার।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৯ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৫১:৫৪ দুপুর



পত্রিকা থেকে -[/b

দুর্ঘটনা ঘটানো গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ ১১৮৯৭৬। ছবির গাড়ির নম্বর ও পুলিশের জব্দ করা গাড়ির নম্বর এক বলে নিশ্চিত করেছে গুলশান থানা।

শিশুটিকে চাপা দেওয়া গাড়ি চালকের সিটে ছিলেন ফারিজ রহমান নামে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর। ছবিতে যে Toyota Fortuner SUVটি দেখা যাচ্ছে সেটি চালাচ্ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার পর গাড়িটি আটকাতে পুলিশ সক্ষম হলেও অন্য গাড়িটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ফারিজের ফেসবুক পেজ ডিএকটিভ পাওয়া যাচ্ছে।



[b]গাড়িটির মালিক কে ?


বিআরটিএ’র কাগজে শুধু চেসিস নম্বর আছে (এমআরওওয়াইএক্স ৫৯৯০০০১১৮৯৭), মালিকের নাম নেই। তবে পুলিশেরই এক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফারিজ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রভাবশালী ও বহুল আলোচিত সংসদ সদস্যের ভাগ্নে হওয়ায় কেউই তেমন আগ্রহ নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করছে না।

http://www.banglatribune.com/news/show/112428

সে মদ্যপ অবস্থায় তার বাবার গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিল। বন্ধুর সাথে কার রেসিং করতে গিয়ে গাড়িটা উঠিয়ে দিয়েছে এক রিকশার উপর। সেই রিকশার আরোহী ছিলেন একজন মা। তার কোলের শিশুটি এই ঘটনায় মারা গেছে।

যে দেশে পুলিশ গণ হারে নিরপরাধ তরুণদের জঙ্গি , বায়বীয় নাসকতাকারী সাজিয়ে জেলে ভরছে, তারা কেন গুলশানের এই ঘটনায় কাউকে এখনও গ্রেফতার করেনি?

কোন সাহসে গ্রেফতার করবে তাই না ?



আসুন কে সেই মদ্যপ কিশোর।

পত্রিকার সুত্র থেকেই দেখুন খনিকে রক্ষার কাহিনী।

গুলশানে কার রেসিং-এ শিশু মৃত্যুর ঘটনায় গাড়িচালক আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি এইচবিএম ইকবালের ভাতিজা ফারিজ আহমেদকে (১৬) বাঁচাতে এক হয়েছে বিআরটিএ ও পুলিশ। ঘটনার দুইদিন পরও মামলা তো হয়ইনি বরং এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতেও রাজি না।

মঙ্গলবার গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত হয়েছে এবং আমরা গাড়িটিকে আটক করেছি। মালিককে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। গাড়িটি এমপি ইকবালের ভাতিজা চালাচ্ছিলো বলেও তিনি উল্লেখ করেন। যদিও বুধবার থানায় গিয়ে দেখা যায় ঘটনা উল্টে গেছে। সবাই এমন আচরণ করছেন যেন এই ঘটনা জানেন না, এমনকি আটক করা গাড়িটি থানার বাইরে সযত্নে ঢেকে রাখা হয়েছে। কিন্তু ওই দিনের কাছাকাছি সময়ে এক মিনিবাসের ধাক্কায় এক শিশু নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে (মামলা নম্বর ১০), যার ঘটনার বিবরণীতে রয়েছে নানা অসঙ্গতি।

৭৪ নম্বর সড়কে দুর্ঘটনার দিনই আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনায় একটি দেড় বছরের শিশু নিহত হয়েছে। মামলার কাগজে (মামলা নং-১০) ঘটনার বিবরণীতে বলা আছে- বিকেল পৌনে ৬টার সময় শাহজাহানপুরে একটি মিনিবাস (ঢাকা মেট্রো ঝ ১১-০৬৪৭) এর ধাক্কায় নিহত হয়েছে এক শিশু। তবে সাত্তার নামের যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তার ফোন নম্বরের জায়গায় দশ ডিজিটের একটি নম্বর লেখা আছে (০১৯৪৮৩৩৬১৬), ফলে তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।





মামলার কাহিনী এবং খুনির পক্ষে সাফাই


http://www.banglatribune.com/news/show/112525

সরেজমিনে দেখা গেছে, থানার গেট সংলগ্ন রাস্তায় ইকবালের ভাতিজাচালিত গাড়িটি যত্নে ঢেকে রাখা আছে। এমনিতে দেখলে বুঝা যাবে না এটি কোনও দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি। পরে গাড়িটির কাভার তুলে দেখা গেছে দুর্ঘটনার পর তোলা ছবির গাড়ি আর এই গাড়ি একই। কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা শুধু জানেন- দুর্ঘটনা হয়েছে তবে কোথায় কি হয়েছে সে বিষয়ে বলতে পারবেন না বলে জানান।



এইচবিএম ইকবালের ভাতিজাকে বাঁচাতে মরিয়া বিআরটিএ ও পুলিশ!


বিআরটিএ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ইতোমধ্যে গাড়ির মালিকের নাম মুছে ফেলা হয়েছে। কম্পিউটারে গাড়ির নম্বর (ঢাকা মেট্রো ঘ ১১৮৯৭৬) সার্চ দিলে মালিকের নাম আসে না, আসে শুধু চেসিস নম্বর।

হচ্ছে যা , হবে ও তা। যেমন প্রকাশ্যে গুলি করেও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি এইচবিএম ইকবালের কিছুই হয়নি। তার ভাতিজা ফারিজ আহমেদকে (১৬) কিছুই করতে পারবে না আইন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই সোমবার বিকালে রাজধানীর অভিজাত এলাকার ব্যস্ত সড়কে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন ওই কিশোর। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী লাইসেন্স পেতে ১৮ বছর বয়স হতে হয়। গুলশান থানার একজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই ছেলে মদ্যপ অবস্থায় ছিল। গুলশানের ৭৪ নম্বর সড়ক দিয়ে বেপরোয়া চালানোর সময় দুটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। রিকশা দুইটা একেবারে উল্টে ভেঙে গেছে। তবে নিহতের বিষয়ে কিছু জানি না। যদিও গতরাতে (মঙ্গলবার) ফারিজ তার স্ন্যাপচ্যাটে লিখেছেন, ‘গোইং টু দ্যা পুলিশ স্টেশন উইথ ড্যাড।’ তারপরও থানার কেউ এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

পুলিশ সূত্রেও জানা গেছে, গাড়িটির মালিক এইচবিএম জাহিদুর রহমান। চালকের সিটে থাকা ফারিজ এইচবিএম জাহিদুর রহমানের ছেলে। জাহিদুর রহমানের ভাই এইচবিএম ইকবাল ১৯৯৬ সালে ঢাকার রমনা-তেজগাঁও আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রভাবশালী এই নেতার ভাজিতা হওয়ায় ফারিজের বিরুদ্ধে এখনও কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।

Teenage boy drives SUV, hits rickshaws

4 injured



http://www.thedailystar.net/country/4-hurt-suv-driven-teen-hits-rickshaws-156265



শিশু লাশটির জীবনের মূল্য মাত্র ১৫ হাজার।


Victim gets Tk 15,000

Rickshaw-puller receives it from underage driver, signing stamp paper



http://www.thedailystar.net/frontpage/victim-gets-tk-15000-158332

বিষয়: বিবিধ

১৪৬১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

346336
১৯ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:১৮
হতভাগা লিখেছেন : কোন মেইনস্ট্রীম মিডিয়াই এই খবর প্রকাশ করে নি ।

শুনেছি আহতদের চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নিয়েছে ফারিজরা ।
346337
১৯ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:২৩
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : Daily Star একটা ইংলিশ , একটা বাংলা পত্রিকার লিংক পোস্টে দেয়া আছে।

http://www.thedailystar.net/country/4-hurt-suv-driven-teen-hits-rickshaws-156265
346398
১৯ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৩২
শেখের পোলা লিখেছেন : গিন্নীর পাদে দোষ নাই৷
347632
২৯ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০১:২০
কাঁচের বালি লিখেছেন : ক্ষমতা বলে কথা !

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File