আমরা বলছি না। বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্ট , ভারত এবং আওয়ামিলীগ বলছে।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:২২:৪৭ দুপুর
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গঠিত আদালতের সরকারী প্রসিকিউটর রানাদাশ গুপ্ত বিদেশী এজেন্ট কথাটি স্বীকার করলেন শেখ হাসিনার বেয়াই স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গঠিত আদালতের রায়ের আপিল আপিল বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। প্রধান বিচারপতির পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জাকির হোসেনের সই করা ২ সেপ্টেম্বরের চিঠিটিতে স্বীকার করা হয়েছে।
আপিল বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। প্রধান বিচারপতির পক্ষে চিঠি দেওয়া হয়েছে , সেখানেই উল্লেখ রয়েছে ।
রানাদাশ গুপ্ত বিদেশী এজেন্ট চোখ উপড়ে ফেলতে চান শেখ হাসিনার বেয়াই স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানাদাশ গুপ্ত। তার আরেক পরিচয় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তকে বিদেশী এজেন্ট হিসেবে আখ্যা ও চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি দিয়ে ফরিদপুরে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শেখ হাসিনার বেয়াই এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন,এখন কি অবস্থার সৃষ্টি উনি করলেন। কি অবস্থার সৃষ্টি এই রানাদাশ গুপ্ত আমাদের এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জায়গায়। কি উদ্দেশ্য উনার? উনি আমার মত লোককে জমি দখল করার অভিযোগে অভিযুক্ত করলেন।
বক্তৃতায় শেখ হাসিনার বেয়াই এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, আপনি (রানা দাশগুপ্ত) যদি অন্য কোনো দেশের এজেন্ট হয়ে থাকেন, অন্য কোনো এজেন্ডা নিয়ে থাকেন তবে চট্টগ্রাম নিয়েই থাকেন, ফরিদপুরের দিকে নজর দেবেন না। চোখ উপড়ে ফেলবো ।
বক্তৃতায় শেখ হাসিনার বেয়াই এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন
https://www.youtube.com/watch?v=dgTrga7oaak&feature=youtu.be
ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামছুদ্দিন চৌধুরী।
একজন বিচারপতি অবসরে যাওয়ার সময় আদালত স্বীকার করলো। রায় গুলি কি তাহলে বৈধ ?
একজন বিদেশী বিচারক বাংলাদেশের আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন এবং তারা যা রায় দিয়েছেন বেআইনি’ ঘোষণা করতে হবে।
আমরা যখন বার বার বলেছি একজন বিদেশী বিচারক বাংলাদেশের আপিল বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে দিয়ে রায় গুলো হবে বাংলাদেশের সংবিধানের , আদালতের অবমাননা।
আমাদের কথা শুনে চেতনার ফেরিয়ালারা সেটা মানতেই চান নাই। প্রমান সহ সব কিছু দেবার পর , এমন কি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরদ্ধে বৃটেনের আদালতে বাড়ি সংক্রান্ত জটিলতার রায় ও আছে
বিচারপতি চৌধুরী ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী, তাই সংশয় প্রধান বিচারপতির
https://shar.es/1vBC5r
প্রধান বিচারপতির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এর আগের একটি চিঠিতে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে জানান, তার পেনশন সংক্রান্ত বিষয়গুলো প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে অবসরের আগেই তাকে সব রায়ে সই করে যেতে হবে। প্রধান বিচারপতির এমন নির্দেশের কারণ ব্যাখ্যা করে চিঠিতে বলা হয়েছে: মহোদয় আগামী ০১/১০/২০১৫ খ্রি: তারিখে অবসর গ্রহণ করবেন। যেহেতু মহোদয় ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী, সেহেতু অবসর গ্রহণের পর পেন্ডিং রায়গুলো না লিখে যদি বিদেশ গমন করেন, তাহলে পেন্ডিং মামলাসমূহের রায় লেখার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হবে।
শাহবাগের মঞ্চের কাহিনী তো ফাস করে দিয়েছিল ভারতের সংবাদপত্র।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গঠিত আদালতের মূল উদ্দেশ্য অনুমান করতে আর কি প্রমান লাগবে ?
বিষয়: বিবিধ
১৯৪২ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন