শেখ হাসিনা বললেন - ধর্মীয় অনুভুতি নিয়ে রাজনীতি করতে দেবো না।তাহলে শেখ হাসিনাকে সূত্র , প্রমানিত ছবি সহ উত্তর দিতে হয়।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১০ আগস্ট, ২০১৫, ১২:৩৬:২২ দুপুর
আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা কি তাহলে ভুলে গেলেন সেই ছবি , এবং চুক্তি ?
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করা যাবে না। ‘ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না’ এমনটা আর কী। সমালোচনা করলে কথায় কথায় রাজাকার-জামায়াত বানিয়ে দেয়াটা এখন তাদের একটা নয়া চেতনার ট্রেন্ড। এইগুলো করছে আওয়ামীলীগের এবং বাম উৎসাহী নেতারা। এ থেকে রেহাই পাচ্ছে না খোদ বাম রাজনীতির অনুসারী মুক্তি যুদ্ধা ডাক্তার জাফর উল্লাহ চৌধুরী সহ অনেক কে এখন গণ হারে রাজাকার বলা হচ্ছে। মূলত আওয়ামী লীগের সমালোচনা করা যাবে না। করলেই ১৫ বছরের কিশোর থেকে বৃদ্ধ সবাই রাজাকার উপাধি পাচ্ছে।
তারিখ - ০৮ আগস্ট ২০১৫ শেখ হাসিনা বললেন - ধর্মীয় অনুভুতি নিয়ে রাজনীতি করতে দেবো না।
তাহলে শেখ হাসিনা সহ আওবামিলিগকে সূত্র , প্রমানিত ছবি সহ উত্তর দিতে হয়।
খেলাফত মজলিসের সাথে আওয়ামীলীগের চুক্তি।
অতীতে আওয়ামীলীগের ইসলাম ধর্ম নিয়ে বানিজ্য ও চুক্তি।
আওয়ামিলীগ এবং খেলাফত মজলিশের সাথে সমযোতার চুক্তির দলিল।
আওয়ামীলীগের পক্ষে স্বাক্ষর করেন আওয়ামীলীগের তত্কালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল এবং খেলাফত মজলিশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন খেলাফত মজলিশের তত্কালীন মহাসচিব আব্দুর রব ইউসুফী।
২০০৬ সালে খেলাফত মজলিসের সাথে আওয়ামী লীগের সাথে বহুল আলোচিত পাঁচ দফা চুক্তি স্বাক্ষর।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাথে নির্বাচনী স্নারক স্বাক্ষরিত হয়। নির্বাচনী সমঝোতা স্নারকে উল্লেখ করা হয় ,
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এই মর্মে অঙ্গীকারাবদ্ধ হচ্ছে যে, নিম্নেবণিত ৫ টি বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে আসন্ন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমঝোতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণ করবে এবং মহান আল্লাহতায়ালা বিজয় দান করলে এই বিষয় গুলো বাস্তবায়ন করবো ।
১। পবিত্র কুরআন -সুন্নাহ ও শরীয়ত বিরোধী কোন আইন প্রণয়ন করা হবে না।
২। কাওমি মাদ্রাসা সনদের সরকারি স্বীকৃতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
৩। নিম্নেবর্ণিত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হব : (ক) হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ নবী। (খ) সনদপ্রাপ্ত হক্কানি আলেমগণ ফতোয়ার অধিকার সংরক্ষণ করবেন। সনদবিহীন কোনো ব্যক্তি ফতোয়া প্রদান করতে পারবে না। (গ) নবী-রাসূল ও সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা ও কুৎসা রটনা করা দন্ডনীয় অপরাধ।
তসবি , হেজাব পরে নির্বাচনী সমাবেশ , পোস্টার কি তাহলে ভুলে গেলেন ?
সময় মত ধর্মকে পুজি করে , আবার কাজ শেষ হলেই হুমকি ধামকি দিচ্ছেন - ধর্মের রাজনীতি নিয়ে।
বিষয়: বিবিধ
২০৪৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ..
"চোরের মার বড় গলা
নিত্য খায় দুধ কলা" অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন