চেতনার বিরোধ তৈরী করে দেশ লুটে নিচ্ছে এরা । জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের ইকনোমিক মিনিস্টার বরুন মিত্র ও তার স্ত্রীর ২ মিলিয়ন ডলার নগদ টাকার উত্স কোথায় ?

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৬ জুলাই, ২০১৫, ০২:৫৪:১৪ দুপুর

জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের ইকনোমিক মিনিস্টার বরুন দেব মিত্র ও তার স্ত্রীর ২ মিলিয়ন ডলার নগদ টাকার উত্স কোথায় ?

জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের ইকনোমিক মিনিস্টার বরুন দেব মিত্রের (বিডি মিত্র) স্ত্রী রাখী মিত্র চৌধুরী। বিডি মিত্রের স্ত্রীসহ সন্তানরা আগে থেকেই নিউইয়র্কে বসবাস করছেন। অতিরিক্ত সচিবের পদমর্যাদায় ঢাকায় চাকরি করতেন। নিউইয়র্কে পরিবারের সাথে চাকরির শেষ দিনগুলো কাটানোর অভিপ্রায়ে নিম্ন পদমর্যাদা (ইকনোমিক মিনিস্টার) হওয়া সত্বেও জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে আসেন চার বছর আগে। এসেই যা করলেন তার কিছু খতিয়ান -

২ মিলিয়ন ডলার নগদ পরিশোধে গত চার বছরে নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকা ও ফরেষ্ট হিলস এলাকায় তিনটি বাড়ির মালিক হয়েছেন। বাংলাদেশ ও আমেরিকার অর্থনীতির দিক থেকে হিসাব করলে দেখা যায় - স্বামী-স্ত্রী উভয়ে যে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন, তা দ্বারা কোনভাবেই নগদ দুই মিলিয়ন ডলার সঞ্চয় করা সম্ভব নয়।

নিউইয়কে চার বছরে ৩টি বাড়ির মালিক জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের ইকনোমিক মিনিস্টার বরুন দেব মিত্রের (বিডি মিত্র) স্ত্রী রাখী মিত্র চৌধুরী।

৩টি বাড়িই নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকায়।

(১) ৮৭-৩০ ১৬৯ স্ট্রীটের বাড়িটি বাংলাদেশী আমেরিকান নাগরিক নাসির আলী খান পলের নিকট থেকে ক্রয় করা হয় ২০১২ সালের ২ ফেব্রয়ারি। এর পুরো মূল্য নগদ ৭,৬০,০০০ ডলারে পরিশোধ করা হয়েছে।



(২) ৮৫-২৭, ১৬৮ প্লেস, জ্যামাইকার বাড়িটি একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর সুডলারী ভনপ্রেসকোর নিকট থেকে নগদ ৭,৮৫,০০০ ডলারে ক্রয় করা হয়।



(৩) ১১৬, ৮১ এভিনিউ, কিউ গার্ডেন ঠিকানার বাড়িটি গত সালের ১২ জুন এক মিলিয়ন ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারে ক্রয় করা হয়েছে। শুধুমাত্র এই বাড়িতে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ডলারের মর্টগেজ ঋণ নেওয়া হয়। অবশিষ্ট অর্থ নগদে পরিশোধ করা হয়েছে বিক্রেতা ইয়েলেনা সেডিনাকে।



মাত্র ৩ বছরের ব্যবধানে বিডি মিত্র এবং বিডি মিত্রের স্ত্রী রাখী মিত্র চৌধুরী প্রায় তিন মিলিয়ন ডলারের রিয়েল এষ্টেট সম্পদের মালিক হলেন। এরমধ্যে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার নগদ পরিশোধ করেছেন।



জনগনের টাকা ডাকাতি করে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে, ভয়াবহ লুট পাটের শেষ কোথায় ?

সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকে আরও ৩১৩৬ কোটি টাকার জালিয়াতি -

প্রকাশ : ০৫ জুলাই, ২০১৫

https://shar.es/1q8Hki

সরকারি খাতের সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকে আরও ৩ হাজার ১৩৬ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে জালিয়াতির ঘটনা আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে হলমার্কের ঋণ জালিয়াতির পরিমাণ আরও ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকায়। আগে এর পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। হলমার্কের জালিয়াতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। অগ্রণী ব্যাংকের ঢাকা অঞ্চলের নয়টি প্রতিষ্ঠান জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়েছে ৫১৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। একই ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫টি শাখায় আরও ১ হাজার ২২৩ কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করার ক্ষেত্রে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। সোনালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের নিজস্ব তদন্তে এসব অনিয়মের চিত্র বেরিয়ে এসেছে।

যারা লুটপাট করেছে তাদের লোকজন দিয়ে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে কমিটি ????



বৈঠকে সরকারি খাতের সোনালী, অগ্রণী এবং বেসিক ব্যাংকে সংঘটিত নানা অনিয়ম খতিয়ে দেখতে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি সংসদীয় উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনকে আহ্বায়ক করে গঠিত উপকমিটির বাকি তিন সদস্য হলেন- আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন, এবি তাজুল ইসলাম এবং ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তদন্ত কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর সভাপতিত্বে এ সভায় কমিটির সদস্য, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের টাকা বাড়ছে

ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) রিপোর্ট অনুসারে ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এক যুগে বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ১৩ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা, যা দিয়ে ৬টা পদ্মা সেতু বানানো সম্ভব। আলোচ্য সময়ে দেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ৯০৩ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ যে পরিমাণ এফডিআই দেশে এসেছে তার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি অর্থ দেশ থেকে পাচার হয়েছে। জিএফআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ১৭৮ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৪ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। ২০১১ সালে পাচার হয়েছিল ২৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। ২০১০ সালে পাচার হয়েছিল ২১৯ কোটি ১০ লাখ ডলার বা ১৭ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা। ওই এক বছরে দেশ থেকে টাকা পাচার বেড়েছে ২৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে গড়ে প্রতি বছর গড়ে ১৬৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার বা ১৩ হাজার ৪২২ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়েছে।

http://www.jugantor.com/first-page/2015/06/19/281001#sthash.De7iOXpT.dpuf

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন - বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা।

http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/2601/muhon/59102#.VZpC7PlVhHw

শেখ হাসিনার বক্তৃতা

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সুইস ব্যাংকে কারা টাকা রেখেছে, সেই তালিকা পেয়েছি। ওই টাকা ব্যাংক থেকে যথাসম্ভব ফিরিয়ে এনে দেশের মানুষের উন্নয়নে ব্যবহার করব। উড়ে এসে যারা জুড়ে বসে, তারাই লুটপাট ও দুর্নীতি করে।

২৮ জুন, ২০১৪ শনিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তৃতায় শেখ হাসিনা এই কথা বলেন।

http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/2601/muhon/48293#.VZpD6_lVhHw

বিষয়: বিবিধ

১২৮৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

328921
০৭ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:২২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চেতনা টাই যে ব্যবসা তাদের!!!
330734
২০ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:২৪
কাঁচের বালি লিখেছেন : ই সব চেতনা ব্যাবসায়িদের ক্ষমতায় বসার উদ্দেশ্য এখন পরিস্কার , ধন্যবাদ তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File