নিজের জন্য একদিন জাতিসংঘের আহ্বানের দোহাই দিয়ে আওয়ামিলীগ রক্ষা পাবে না , নিজেরাই পথ বন্ধ করে দিচ্ছে।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৯ এপ্রিল, ২০১৫, ০১:৪৬:২৮ দুপুর
সারা বিশ্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যদি ফাসি কার্যকর করা হয় , তাহলে একদিন সেই আহ্বানকে পুজি করে আওয়ামীলীগের প্রকৃত যুদ্ধ অপরাধীরা রেহাই পাবে না।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পর এবং জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত রাখতে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
http://shar.es/1gyHpu
কামারুজ্জামান প্রসঙ্গে জাতিসংঘ
বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ, ফাঁসি স্থগিতের আবেদন
৮ এপ্রিল জেনেভা থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা অবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
‘এই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে এবং এতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা হয়নি,’ যোগ করা হয় বিবৃতিতে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন ইতোপূর্বেও বাংলাদেশ সরকারকে এই ধরনের বিচারে মৃত্যুদণ্ডের মত চূড়ান্ত শাস্তি বাস্তবায়ন না করার আহ্বান জানিয়েছিল।
ট্রাইব্যুনালের বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত ১৬টি রায় দিয়েছে। তার মধ্যে ১৪টিতেই বাংলাদেশের বিরোধী দল তথা বিএনপি ও জামায়াতের ১৪ জন নেতাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বিরোধী এইসব নেতাকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং অন্যন্য অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কামারুজ্জামানকে ২০১৩ সালের মে মাসে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয় এবং আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের নভেম্বরে এসে সেই মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে। তিনি সেই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৫ মার্চ একটি রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন কিন্তু আপিল বিভাগ সেই রিভিউ আবেদনের মেরিট বিবেচনায় না নিয়ে তা সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে খারিজ করে দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কভন্যান্ট অন পলিটিক্যাল অ্যান্ড সিভিল রাইটসে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। সেটাকে বিবেচনায় নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন মনে করে মৃত্যুদণ্ডের মত রায় বাস্তবায়ন করার জন্য স্বচ্ছ ও মানসম্মত বিচার হলো মূল শর্ত। যদি কোনো বিচার নিয়ে প্রশ্ন থাকার পরও অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের মত শাস্তি দেয়া হয় তাহলে তা হবে মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন।
কামারুজ্জামানের ফাঁসি মুলতবি করার আহ্বান ইউরোপীয় ইউনিয়নের
http://www.eeas.europa.eu/statements-eeas/2015/150409_01_en.htm
আজ যারা প্রহসনের রায়ের পক্ষে তাদের কাছে প্রশ্ন ?
১৯৭২ সাল থেকে ২০০৯ সময়কালে কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি কেন?
১৯৭৩ সালে দালাল আইনে অভিযুক্ত ও গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তার নাম ছিল না কেন ?
১৯৬৭ সালে সেখান থেকে এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৩ ( যা ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ) সালে ঢাকা আইডিয়াল কলেজ থেকে ডিস্ট্রিংশনসহ বিএ এবং ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন কিভাবে ?
এছাড়া ১৯৮৫-৮৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন কিভাবে ?
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৩ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এত এত সব যুক্তিতর্ক করে ফলাফল কি আসলো ?
জুলুম নির্যাতন না আসলে সেটা কখনোই ইসলামী আন্দোলন হতে পারেনা। হকের বিরুদ্ধে বাতিল সবসময় ছিলো আছে থাকবে। আল্লাহ তার প্রিয়দেরকেই সবসময় পরীক্ষা করেন। তাই প্রমান ছাড়া পাপের ফল বলা কি ঠিক?
দুনিয়াতে জুলুমকারী শাস্তি নাও পেতে পারে , তবে আখেরাতে সে পার পাবে না ।দুনিয়াতে মজলুম কষ্ট করলেও আখেরাতে মজলুম তার ধৈর্য্যের জন্য আল্লাহর পুরষ্কার পেতে পারে ।
উনারা ৭১ এ নিরপরাধ মুসলমান ভাইদের মেরেছ বা মারতে সাহায্য করেছে । বিনা কারণে কাউকে হত্যা করা মানে সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করা ।
ভুলে যাওয়া উচিত হবে না যে , যারা কামারুজ্জামানদের দ্বারা ভিকটিমাইজড হয়েছিল তারা কি উনাদের ক্ষমা করেছে ?
১৯৭৩ সালে দালাল আইনে অভিযুক্ত ও গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তার নাম ছিল না কেন ?
১৯৬৭ সালে সেখান থেকে এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৩ ( যা ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ) সালে ঢাকা আইডিয়াল কলেজ থেকে ডিস্ট্রিংশনসহ বিএ এবং ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন কিভাবে ?
এছাড়া ১৯৮৫-৮৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন কিভাবে ?
সুবিচার পাবার জন্য তিনি আছেন, প্রতিটি মুমিন মাত্রই তা বিশ্বাস করে।
এই টা যদি বিশ্বাসযোগ্য হয় তবে এর বিপরিত টাও বিশ্বাস করতে হবে তখন!
সব পথ বন্ধ করে দিচ্ছে
মন্তব্য করতে লগইন করুন