এমন বাজে আম্পায়ারিং জীবনে দেখিনি’

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২০ মার্চ, ২০১৫, ১১:৩০:২৫ সকাল



এমন বাজে আম্পায়ারিং জীবনে দেখিনি

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে লজ্জাতম ১৯-৩-২০১৫।

ভারতের রোহিত, রায়না আউট ছিল:এটা একটা অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত৷’ --- ব্রায়ান লার

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নাম বদল রাখেন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ।

নিউজিল্যান্ডে সাবেক অধিনায়ক মার্টিন ক্রো, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাইকেল হোল্ডিং। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষেপেছেন পাকিস্তানের সাবেক ফাস্টবোলার শোয়েব আকতারও।

আম্পায়ার ইয়ান গৌল্ডের দেওয়া ‘নো’ বলটা যে স্পষ্ট ভুল ছিল, তা প্রমাণ হয়েছে এরই মধ্যে। প্রশ্ন আছে মাহমুদউল্লাহর আউটটি নিয়েও। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন আম্পায়ারিংয়ে ক্ষুব্ধ, স্তব্ধ বাংলাদেশের দর্শক-সমর্থকেরা। একই প্রতিক্রিয়া জানালেন বাংলাদেশ দলের সাবেক তারকা ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খানও।

ক্রিকেট এখন আর কোন খেলা নয় ।

নির্লজ্জ ব্যবহার প্রমাণ করে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছে আইসিসি তথা ভারত। আজকের খেলায় বাংলাদেশ হারেনি। হেরেছে ভারত, হেরেছে আইসিসি, হেরেছে ক্রিকেট ।

ভারতীয় ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা যখন বল উড়িয়ে মেরে ক্যাচ-আউট হলেন। তখন রুবেলের সেই বলটি ‘নো’ ঘোষণা করলেন আম্পায়ার ইংল্যান্ডের ইয়ান গুল্ড । কিন্তু টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গেল সেটি কোনভাবেই ‘নো’ হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেট বোদ্ধারা জানিয়ে দিলেন এটি আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্ত। ঠিক তার উল্টো ঘটনা ঘটলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যখন মো. শামির বল উড়িয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাচ্ছিলেন। সেটি ধরে ফেললেন ভারতের ফিল্ডার শিখর ধাওয়ান। কিন্তু বলটি ধরার সময় তার পা ছিল বাউন্ডারি লাইনের দড়ি ছুঁয়ে। নিশ্চিত ছয় হলেও আম্পায়ার ঘোষণা দিলেন আউট।

আইসিসির এই অন্যায় কন্সপারেসি মেনে নেয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। রাস্তায় নেমে ধিক্কার জানান। বিক্ষোভ করুন আইসিসির কার্যালয়ের সামনে এবং ভারতীয় হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সামনে।

আসলে ক্রিকেটগ্রেটরা যে বলছেন, ভারতের হাতেই এখন আইসিসির নিয়ন্ত্রণ। বিশেষ করে ২০০৭ সালে বিশ্বকাপ থেকে যখন ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে হেরে বাদ হয়ে যায়, তখন আইসিসি অনেক বড় আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়। আমাদের মনে হয় এ কারণেই আইসিসির চাপেই এমনটা করতে পারেন আম্পায়াররা। কারণ ভারত যদি এবারও বাদ পড়ে, তাহলে আইসিসি ও অস্ট্রেলিয়া বড় আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হবে। দেখেন এমন সিদ্ধান্তের পর কিন্তু রামিজ রাজাও বলেছেন আইসিসি মানে ‘ইন্ডিয়া ক্রিকেট কাউন্সিল’। এক কথায় বলতে পারি, কোন না কোন স্বার্থের বলি হয়েছে বাংলাদেশ।

রমিজ রাজার এই টুইট



ভারত জিতার জন্য এমন কোন কন্সপেরিসি নাই যে করে না। ভারত এ বিশ্বকাপে সবচে ভয় পেয়েছে বাংলাদেশকে। তারা জানে নিরপেক্ষ খেলা হলে তারা হেরে যাবে

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে ১০৯ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। মূলত বাজে আম্পায়ারিংয়ের কারণেই বাংলাদেশ এতটা বাজেভাবে হেরেছে। আম্পায়ারদের তিনটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে না গেলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত।

স্পষ্টভাবে দেখা গেল, রোহিত শর্মার ক্যাচটি ধরার পর আম্পায়ার ইংল্যান্ডের ইয়ান নো বল ডাকলেন। যেটা কোনভাবেই নো বল নয়। একেতো নো বল নয় তার উপর ক্যাচ ধরার আগে না ডেকে পরে ডাকলেন। বিশ্বের কোন খেলোয়াড় এ সিদ্ধান্ত মানতে পারেনি। আর যে কারণে ভারত যেখানে ২৫০/৬০ রানে আটকে যেতো সেখানে ৩০০ রান পার করেছে। শুধু তাই নয় বর্তমানে বাংলাদেশের মূল ভিত্তি পরপর সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৬ রানকে আউট দেখিয়ে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেয়া হলো।

রোহিত শর্মার আউটটি দেননি কন ?

ইংল্যান্ডের ইয়ান গুল্ডের দেয়া ‘বিতর্কিত’ সিদ্ধান্তগুলো ভারতের ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে ।

১৯৭১ সালের মতো পরিকল্পিতভাবে ভারত কিভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংশ করে মুক্তিযুদ্ধের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে ছিল ? এ রকম আরো বহু উদাহরণ রয়েছে।

স্পষ্টভাবে দেখা গেছে, শেখর ধাওয়ানের পা সীমানার দড়িতে লেগেছে এবং তখন তার হাতে বলটি ছিল।

বাংলাদেশকে পরিকল্পিতভবে হারানোর বিরুদ্ধে সমালোচনা এখন বিশ্বজুড়ে। অধিকাংশ দেশের সাবেক ক্রিকেটাররাও বাংলাদেশের পক্ষ নিয়েছেন। সে তালিকায় রয়েছে শোয়েব আখতার, লক্ষণ, শেন ওয়ারর্ন ও এবি ডি ভিলিয়ার্সসহ অনেকে।



ইংল্যান্ডের ইয়ান গুল্ড। আম্পায়ার হিসেবে এখতিয়ার বহির্ভূত সিদ্ধান্ত দিয়ে ভারতকে সহায়তা করলেন বড় স্কোর দাঁড় করাতে।

ভারতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার রোহিত শর্মা ব্যক্তিগত ৯০ রানে রুবেল হোসেনের বলে ডিপ মিড উইকেটে ইমরুল কায়েসের বলে তালুবন্দী হন। ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু ইংলিশ আম্পায়ার ইয়ান গুল্ডের বদান্যতায় বেঁচে গেলেন রোহিত।

এমন বিতর্কিত জায়গায় সাধারণত মূল আম্পায়ার নো বল ডাকার জন্য থার্ড আম্পায়ারের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। কেননা থার্ড আম্পায়ারই স্পষ্ট বুঝতে পারেন বলটির আসল উচ্চতা। কিন্তু ইয়ান গুল্ড থার্ড আম্পায়ার হিসাবে দাঁড়িয়ে থাকা আলিম দারের সঙ্গে কোন আলোচনা না করেই সরাসরি নো বল ডেকে দিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী স্পিনার শেন ওয়ার্ন তো সরাসরিই এই সিদ্ধান্তকে ভুল বলে ঘোষণা দিলেন। এটি যে একটি ভুল সিদ্ধান্ত তা স্বীকার করেছেন আরও অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিড়াতারকা। খোদ ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট ভিভিএস লক্ষ্মণ তার ভেরিফাইড টুইটার অ্যাকাউন্টেও লিখেছেন যে সিদ্ধান্তটি কোন ভাবেই ঠিক ছিল না। তিনি ভারতকে সুবিধা দিতেই এমনটি করলেন ।



ইয়ান গুল্ডের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল: ভিভিএস লক্ষ্মণ


বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে রোহিত শর্মাকে আউট না দিয়ে 'নো বল'-এর সিদ্ধান্ত দেয়াটা ভুল ছিল বলে মন্তব্য করলেন ভারতের অন্যতম ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণ। তিনি তার ভেরিফাইড টুইটার অ্যাকাউন্টে জানান, "গুল্ডের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।"



বিষয়: বিবিধ

১৬০৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

310031
২০ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:০৬
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন :

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে লজ্জাতম....! তবে ভারতের লজ্জা বলতে কিছুই নেই। I ছিঃছিঃ থু থু
310073
২০ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
শেখের পোলা লিখেছেন : বাংলাদেশকে ভারতের পায়ে ফুল দিতে হবে তাতো মওকায় দেখানো হয়েছিল৷ সেটাই তারা বাস্তবে করল৷ পরের টিকিটে প্রথম শ্রেনীর ট্রেনে চড়েছি ৭১ সালে, জীবন ভোর তার খেসারত দিতে হবে৷
310087
২০ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:৫৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া সম্ভবত জানানো হয় নি!

বিশ্বকাপের আগে মোদি আর হাসিনার মধ্যে আসলে কি আলোচনা হয়েছিল খুব জানতে ইচ্ছে করে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File