ধর্ষণের ঘটনা সাজানো । পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে আসামের বাঙালি মুসলিম যুবক সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন খানকে হত্যা করা হয়েছে
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৮ মার্চ, ২০১৫, ১২:৩১:৫১ রাত
উল্লেখ্য, ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর সেন্ট্রাল জেল ভেঙ্গে বাইরে এনে বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার স্থানীয় নাগা আদিবাসিরা কথিত ধর্ষণ ও বাংলাদেশী নাগরিকের অভিযোগ সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন খান (২৭) নামের এক বাঙালি মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে।
আসামের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর প্রচুর বাঙালি ব্যবসায়ী রয়েছে। এসব বাঙালি ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের জন্য স্থানীয় নাগারা দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এ ঘটনা তাদেরই একটি অংশ। ধর্ষণের ঘটনা ও বাংলাদেশী নাগরিকের অভিযোগ ছিল সম্পূর্ণ সাজানো।
আসামের আরেক বাংলা পত্রিকা সাময়িক প্রসঙ্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে মেয়েটিকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিমাপুরে মধ্যযুগীয় ঘটনা ঘটেছে তা যে পুরোপুরি ষড়যন্ত্রমূলক তা ফাঁস হয়ে গেছে। মেডিক্যাল রিপোর্টে মেয়েটি আদৌ ধর্ষিতা হয়নি বলে জানানো হয়েছে। ডিমাপুরের হাসপাতালের ডাক্তারি পরীক্ষার পর অভিযোগের যথার্থতা প্রমাণিত হয়নি।
আসাম রাজ্য সভার বিধায়ক জামাল উদ্দিন বলেছেন, ‘‘ফরিদ উদ্দিন একজন ভারতীয় হয়েও তাকে ‘বাংলাদেশী নাগরিকের অভিযোগ ও ধর্ষণের মামলা সাজিয়ে মধ্যযোগীয় কায়দায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এটি সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না’’।
উত্তর-পূর্ব ভারতের মিডিয়াগুলোতে শনিবার এ খবর দিয়েছে।
ফরিদকে আটকের পর যুবতিটি তার বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীর কাছেও টাকা দাবি করে এবং বলে টাকা পেলেই সে মামলা প্রত্যাহার করে নেবে।কিন্তু ফরিদদের স্ত্রীও টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটি নাগা ছাত্রদের দিয়ে ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
বাঙালি যুবক সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন খানের (২৭) বাড়ি আসামের বদরপুরে। ফরিদের বাবা সিরাজউদ্দিন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে দুজন ভারতীয় সেনা বাহিনীতে চাকরি করেন। বাকিরা ব্যবসা করেন। ঘটনার সময় ফরিদের ছোট ভাই সুবের উদ্দিন ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রাণের ভয়ে আসামের বাড়িতে ফেরেন।
বিষয়: বিবিধ
১৭০৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন