সেই ওসি প্রদীপকে গোল্ড মেডেল দেয়া হবে তাই না ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৫ মার্চ, ২০১৩, ০৮:০৫:২০ সকাল
হরতালে চলাকালে রাজপথে প্রকাশ্যে গায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে শিবিরকর্মীদের গুলি করে দেশজুড়ে সমালোচিত চট্টগ্রামের সেই ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে জখম ও হত্যা, হাত-পা ভেঙে দেয়া, উলঙ্গ করে পেটানো অভিযোগ পুরোনো ।
নতুনমাত্রা যোগ করেছেন।ওসি প্রদীপ কুমার । এবার নতুন নাটকের অভিযোগ উঠেছে।
তিনি চট্টগ্রামের ১০ আলেমকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে ৮ মাদরাসা ছাত্রকে গ্রেফতার করেন। তবে থানায় সাংবাদিকদের সামনেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ৮ ছাত্র বলেছেন ঘটনার পুরোটাই ওসি প্রদীপ কুমারের সাজানো নাটক।
পাঁচলাইশ থানা পুলিশ জানায়, গ্রেফতার ওই ৮ মাদরাসা ছাত্র হলেন আবদুর রহমান, মাহমুদুল হাসান, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ ইউনুস, জমির উদ্দিন, ওসমান গণি, আরিফুর রহমান ও আশরাফুল্লাহ।
ওসি প্রদীপ কুমার সাংবাদিকদের জানান, তাদের গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর কালামিয়ার বাজার এলাকার আবদুর রহমানের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা জামে আহম্মেদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসার ১০ জন আলেমকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। এসব আলেম সাঈদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে কথাবার্তা বলেছিলেন। তাই এখনই এদের হত্যা করে সরকারকে বেকাদায় ফেলার চেষ্টা ছিল তাদের। পরিকল্পনা অনুযায়ী মাহমুদুল হাসান গতকাল সুন্নিয়া মাদরাসায় গিয়ে আলেমদের নাম ঠিকানা ও বাসার অবস্থান সংগ্রহ করে। ১০ জনের লিস্টও তারা তৈরি করে। পরে লিস্ট নিয়ে গ্রুপ লিডার আবদুর রহমানের বাসায় গোপন বৈঠকে বসেছিল। সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
তবে থানায় সাংবাদিকদের সামনে ওসির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা। আটক মাহমুদুল হাসান ওসির উপস্থিতিতেই বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। পুলিশ আমাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে আলেমদের হত্যার কথা স্বীকার করানোর চেষ্টা করেছে।
মাহমুদুর হাসান বলেন, আবদুর রহমানের বাসা থেকে নয় তাকে আটক করা হয়েছে তার মাদরাসা থেকে। ওসির দাবি অনুযায়ী কথিত গ্রুপ লিডার আবদুর রহমানও সাংবাদিকদের জানান, আলেম হত্যার অভিযোগ মিথ্যা। তিনি বলেন, আমি কিছুই জানি না। পুলিশ ধরে এনে নির্যাতন চালিয়েছে। গ্রেফতারকৃত অন্যরাও জানান তারা নগরীর বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র। তাদের পুলিশ বিনা কারণে জোর করে ধরে এনেছে।
পাঁচলাইশ থানার এই ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে বিরোধীদল দমনে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বিগত কয়েকটি হরতালে শিবির কর্মীদের কাছ থেকে গুলি করে খবরের কাগজের সচিত্র শিরোনাম হয়েছিলেন ওসি প্রদীপ কুমার। ।
এক আইনজীবী সরকারি দলের একজনের রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করায় আইনজীবীকে তুলে এনে রাতভর থানায় নির্যাতনের অভিযোগ আদালতে মামলা হয় এই বিতর্কিত ওসি প্রদীপ।
সম্প্রতি মুরাদপুর এলাকায় হরতাল চলাকালে ৮ শিবির কর্মীকে গ্রেফতারের পর কাছ থেকে গায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করাসহ মির্জাপুল এলাকার একটি মসজিদে ঢুকে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিষয়: বিবিধ
১১৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন