সংবিধানের কথা বলছেন ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২২ জানুয়ারি, ২০১৫, ০২:৩৫:১৬ দুপুর
গত বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সহিংস অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা-ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার জন্যই নাকি করা হয়েছিল?
মইন ফকরুদ্দিনের সেনাবাহিনী সমর্থিত সরকারের সময়ে শেখ হাসিনা জামিন না নিয়েই বিদেশে পাড়ি জমান এবং ফেরারি আসামি হিসেবেই বিদেশে থেকে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা দেশের পত্রপত্রিকায় প্রকাশও হয়েছিল। এমনকি একটা মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকাকালীন অবস্থায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের মইন ফকরুদ্দিনের সেনাবাহিনী সমর্থিত সরকারের নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনা শপথও নিয়েছিলেন।
২০ ডিসেম্বর ২০১৩-এর সমকালের রিপোর্ট দেখেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, দশম সংসদের পরে সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন দেবেন। দশম সংসদ ভেঙে নির্বাচন দেওয়ার কথা তো শেখ হাসিনা বলেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা যদি সমঝোতায় আসতে পারি তাহলে প্রয়োজনে দশম সংসদ ভেঙে নির্বাচন দেওয়া হবে।’
তো সমঝোতা কীভাবে হবে? আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই তো সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। ফলে সাংবিধানিকভাবে ৫ তারিখের নির্বাচন হলেও এখন নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা ও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবিধানিক কোনো প্রতিবন্ধকতা তো নেই। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা নিজেই নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। গত নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকারি দল বলেছিল, এই নির্বাচন আমরা অবস্থার চাপে করে নিচ্ছি, পরে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন দেওয়া হবে।
গত ছয় বছরে বাংলাদেশের রাজনীতিকদের মধ্যে কী দেখি?
বাংলাদেশের রাজনীতি বিগত ছয় বছরে কত অমানবিক হয়ে গেছে, ভাবলেও আতঙ্কিত হতে হয়।
কয়েক শ’ রাজনৈতিক নেতাকর্মী গুম হয়েছেন, খুন হয়েছেন। তথাকথিত ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন কয়েক শ’ আওয়ামী সরকারবিরোধী।
অবৈধ সরকারে যারা রয়েছেন তারা বলেছিলেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। আজ যিনি প্রধান মন্ত্রী , স্পিকার , রাষ্ট্র পতি , তারা নিজেরা ভোট দেন নাই , জনগণ ও তাদের ভোট দেয়নি। হাস্যকর ও প্রহসনমূলক এমন নির্বাচন যেখানে ভোট হয়নি, একটা লোকও ভোট দেয়নি, ভোটের দিনও কেন্দ্র আসেনি। শূন্য ভোটে এর পরেও ১৫৪ জন জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে গেলেন। ভোটের আগেই সরকার গঠনের মত প্রয়োজনীয় সংসদ সদস্যকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হল। নির্বাচনের পূর্বেই নির্বাচন শেষ।৫ জানুয়ারিতে এমন একটা নির্বাচন হয়েছিল যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দিনেই ৫ জানুয়ারী ২০১৫ তারিখে দেখা গেছে পুলিশ, র্যাব আর বিজিবি দিয়ে আন্দোলন থামানো যায়নি। ছাত্রলীগ আর আওয়ামী লীগের ক্যাডারদেরও মাঠে নামাতে হয়েছে সহায়তার জন্য। অবরুদ্ধ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দলের মহিলা সদস্যদের চোখে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনেই কোন প্রকার উসকানি ছাড়া মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারা হোল।
গণতন্ত্র হত্যা দিবস ৫ জানুয়ারিতেই আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা চারজনকে হত্যা করেছে, শত শত মানুষ আহত হয়েছে এবং গ্রেফতার করেছে প্রায় ৩ হাজার। ৫ জানুয়ারী ২০১৫ তারিখে ওই এক দিনে প্রায় ৮ হাজার লোকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করার তাগিদ তারা সরকারকে দিয়ে এসেছে। সে তাগিদ এখন রীতিমতো কূটনৈতিক চাপে পরিণত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বন্ধু দেশ ও সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে গায়ের ঝাল ঝাড়তে গিয়ে সরকার তাদের আরো বিষিয়ে দিচ্ছে।
দেশের মানুষ জানে ‘পাগলা কুকুরে কামড়ালে পানি দেখে আতঙ্ক হয়, মস্তিষ্কের অশান্তি ঘটে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন ‘দুই আনার মন্ত্রী’, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন বাসার চাকর। এক মন্ত্রী সেদিন বলেছেন মানবাধিকার সংস্থাগুলো (লন্ডনভিত্তিক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং নিউ ইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ) বিএনপির দালাল। সারা বিশ্বকেই এই অবৈধ সরকার শত্রুর কাতারে ঠেলে দিয়েছে। ভারতের এজেন্ট দের পরিকল্পনায় বাংলাদেশ এখন একঘরে বিচ্ছিন্ন একটি দেশ। ফায়দা লুটে নিচ্ছে বাংলাদেশে ঘাপটি মেরে থাকা বিদেশী দালালেরা। অর্থাৎ দেশে-বিদেশে কেউ আর এই বিনা ভোটের সরকারের পক্ষে নেই।
আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভারতের দুই অংশের মধ্যে বাণিজ্যের জন্য আমাদের সড়ক, রেল ও নদীপথগুলো খুলে দেয়া হয়েছে, আমাদের নদী ও খালে বাঁধ দিয়ে অস্বাভাবিক ভারী ও প্রশস্ত যন্ত্রপাতি বহনের সুব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে ভারতকে, পরিবেশ ও কৃষির ক্ষতির জন্য আমাদের কৃষক ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না। ভারতকে বহির্বাণিজ্য ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের জন্যও আমাদের সমুদ্রবন্দরগুলো অবাধে ব্যবহার করতে খুলে দেয়া হয়েছে।
পদত্যাগ করে বিচারপতি প্রমাণ করলেন, সবার আগে তাদের বিচার প্রয়োজন ছিলো। উল্টো অন্যদের করে কি দৃষ্টান্ত রাখলো রাষ্ট্র?
বিচারাধীন বিষয়ে আগাম রায় লেখা নিয়ে বিচারপতি নাসিম এবং জিয়াউদ্দিনের অগ্রিম আলোচনায় যাদের নাম
স্কাইপের জঘন্য কথোপকথন কখনোই মিডিয়া থেকে মুছে ফেলা যাবে না। বরং আন্তর্জাতিক মহল মোটেও সুনজরে দেখছে না। ১৪ অক্টোবর ২০১২ এবং ৮ নভেম্বর ২০১২-এর মধ্যে তফাৎ ৩ সপ্তাহের। কথোপকথনে রয়েছে, ‘নির্দোষ প্রমাণের আগেই দোষী সাব্যস্ত করে অবকাঠামো তৈরির প্রক্রিয়া।’ তাড়া তাড়ি রায় দিয়ে কারাগারে হত্যা করা।
যেকোনো কণ্ঠ বিশ্লেষক বলবে, কথোপকথন বিচারপতি নাসিম এবং আহমেদ জিয়াউদ্দিনের। ৭৭৫১ কিলোমিটার দূরত্বে ‘ইথারে’ বিচারাধীন মামলার রায় লেখার জন্য অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে, রায়ের কাঠামো নিয়ে অগ্রিম আলোচনায় রাষ্ট্রপরে বিশিষ্টজনদের নাম। স্বমুখে বিচারক নাসিম বলছেন, স্টেট মিনিস্টার কামরুলের আবদারের কথা। রায় কার্যকর করা নিয়ে কামরুলদের উৎসাহ দুনিয়া জানে। “কইলো, ডিসেম্বরের মধ্যে ৩টা রায় দেন। আমি কইলাম, কেমনে দিমু, সময় পাইলে ১ মাসে রায় তৈরি করতাম। উনি কইলো, চেষ্টা করেন।’
জিয়াউদ্দিন, ‘যে মামলার গুরুত্ব সবচে’ বেশি তারটা যেন আগে হয়।’ বিচারক, “একটা কথা এগ্রি করছে, গোলাম আযম, সাঈদী আর সাকার মামলা এতো ভিন্ন কেন। গোলাম আযমেরটা করলে তারপরে নিজামী, মোল্লা, সাঈদী, মুজাহিদ, কামরুজ্জামান... এইগুলারে ফলো করিয়া। ...অরে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান যা কইবে তুমি খালি ইয়েস কবা। যা বলবে রুমে বলবে। চেয়ারম্যানের সামনে খালি ওকে বলবে। চীফ প্রসিকিউটর কিন্তু হায়দার আলীরে দারুণ সন্দেহ করে। তার বাড়ির যে বিশাল রিনোভেশন, দামি গাড়ি! ...ড্রামা তো চলেই সব সময়। জজরা তো ড্রামা করে আমরা অভিনেতা।” সাীরা কি বলবেন, কতটুকু, কোন বিষয়ে, এই প্রসঙ্গে জিয়া এবং নাসিমের আলোচনা। জিয়া, “আসামিপ থেকে আবদেন করলে বাতিলের প্রমাণ স্বকণ্ঠে।” বিচারপতি, “২টা ফরেনার সাি দিবো না, আর কি? পিটিশন পড়ি নাই, বলছি আর কি।” জিয়া, “ বলবেন, আমাদের স্পেশালিটি নলেজ কার আছে, কার নাই জানা নাই। আমি পড়ার পর জানাবো।” বিচারপতি প্রসিকিউটরকে বলছেন, “আমি দাঁড়াইয়া যাবো, আপনি বসাইয়া দিবেন, লোক দেখুক আমাদের সাথে কোন খাতির নাই, হা হা হা.
ট্রাইব্যুনালের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে - প্রমোশনের সঙ্গে রায়ের যে সম্পর্কের কথা বলছেন বিচারপতি নাসিম।
জিয়াউদ্দিন, “একটা রাফ কেস তৈরি করা হয়েছে। আমি আপনাকে অবকাঠামো আগামীকাল পাঠাবো দেখার জন্য। যেভাবে অবকাঠামো তৈরি করা দরকার, আমাদের বেশি কষ্ট হবে না। কিন্তু এমনভাবে তৈরি করা দরকার যেন, আমাদের দেশের কিছুটুকু থাকে, যেন মানুষ এর স্ট্যান্ডার্ডটা অনুভব করে। আমাদের মেইন টার্গেট যদিও ডিসেম্বর, এই ক্ষেত্রে মেইন টার্গেট বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু এর ক্রিটিক্যাল এঙ্গেল বাংলাদেশের মানুষ ওইভাবে দেখবে না, জাজমেন্টটা কিভাবে অ্যাওয়ার্ড হইছে, কিভাবে স্ট্রাকচারড হইছে, দেখবে কনকুলেশন কী হইছে। কিন্তু পরবর্তীতে যারা এই জাজমেন্ট ক্রিটিক্যালি পরীা করবে, আন্ডারমাইন করার চেষ্টা করবে, সেটা না করার জন্য এটাকে স্ট্যান্ডার্ডে আনতে হবে। যদি স্ট্রাকচার ঠিকমত পাই, বাকি সব পাওয়া যাবে। ...ওইটা তো ওরা আগে দেখে (ইটালিয়ান একটি অর্গানাইজেশন) যে পেজটা তৈরি হয়েছে এটা হোয়েদার ইট লুকস্ রাইট, ওইখানেই লুক দিতে হবে। ...ইনকেইস কেসটা যদি সাঈদীর বা অন্য কারো হয়...।” ৩টা রায়ের বিনিময়ে নাসিমকে প্রমোশনের প্রলোভন স্কাইপে। বিচারপতি সিনহা যার কাছে আসামিপকে যেতে হবে আপিল নিয়ে, তিনি এই প্রলোভন দিচ্ছেন। বিচারক, “আরে কি যে বলে! একটা জাজমেন্ট দেও তোমারে নিয়া আসি।” জিয়া, “একটা না আগে বড় সাহেবেরটা দিয়ে দেন। আপনে আবার পাটা-পুতার মাঝখানে পইড়া যাইয়েন না।” বিচারক, উনি কয়েকটা দেন, সিনহা বাবু কয় ডিসেম্বরের মধ্যে ৩টা। এইটা গোলাম আযম আর সাকা। ৩টা দিয়ে ফেলান তারপরে আপনারে নিয়া আসি। আমি কই, যা কন আমার প্রমোশন দিয়া দেন...।”
স্কাইপের চিন্তাভাবনা এবং জাজমেন্টের সঙ্গে মিল। ফাঁস হওয়ার পরও স্কাইপ কেলেঙ্কারি দিয়েই রায়। বিচারপতি নাসিম এবং প্রবাসী জিয়াউদ্দিন জঘন্য দুই আদালত অবমাননাকারী। সেই সাথে যাদের নাম এসেছে তারাই বিচারিক হত্যার পিছনের নেটের গুরু।
স্কাইপে জিয়াউদ্দিন, বললেন - “সাঈদীর কেস লিগ্যালি লেস কমপিলিকেটেড তাই লিগ্যাল আলোচনা কম হবে। ...আমি কয়েকটা লিডিং জাজমেন্ট দেখব। মাঝখানে কি দিছে, শেষে কি দিছে, এইগুলা আমাদের সিচুয়েশনটাতে কিভাবে করতে পারি, সেই হিসাব করে প্রবাবলি কালকের ভেতরে একটা রাফ কেস পাঠাইয়া দিবো আপনার জাজমেন্টের জন্য। ...প্রত্যেকটা অর্ডারের পেছনে ট্রাইবুন্যাল কী চিন্তা করছিলো, কি রেশনাল, বা কী যুক্তি ট্রাইবুন্যাল ব্যবহার করছিল, সেটা কতটুকু লজিক্যাল, জাজমেন্টে এটাও বলে দিতে হবে। ফার্স্ট কেস হিসেবে ট্রিমেন্ডাস সিগনিফেকেন্স আছে। আমাদের মেজর কনসার্ন যে, ওনারা যে চাপ দিতেছে, সত্যিই বুঝতে হবে যে, এইভাবে হাত-পা টাইট করে দেয়া ঠিক না। আপনিই তো ফিল করতেছেন যে, ৫০০ পাতার জিনিস ৭ দিনের মধ্যে নামাইয়া দেবেন কেমনে কইর্যা?” বিচারক, “প্রশ্নই ওঠে না।”
স্কাইপের দুই খলনায়ক এবং আউটসোর্স করা বিচারের সঙ্গে যুক্ত সবক’টা অপরাধীর বিচার না করলে বিতর্ক চলবেই।
স্কাইপে জিয়াউদ্দিন, বললেন - “এটা কোন কথা? কোন অবস্থাতেই ওনাদের টাইমফ্রেমে হবে না। তার মানে এই না, দেরি করা হবে। ওনাদের চাপ আমাদের সহ্য করতেই হবে, কিভাবে করব, উই ডোন্ট নো। এইডা তাদেরকে বুঝতেই হইবো, চাইলেন আর মেশিন দিয়া বাইর হইয়া গেলো? ...যতো এভিনিউ আছে একনম্বর পর্যন্ত (সম্ভবত পিএম) পৌঁছানোর এভিনিউ, সব এভিনিউ ব্যবহার করতে হবে। এই যে কাজগুলা করবে, আমাদের হ্যান্ড নাই, কিছু নাই, কি করে কি হইবো, বইল্যা দিবেন, প্রত্যেকটার জাজমেন্ট হবে ৫০০ থেকে ৭০০ পৃষ্ঠার লম্বা।” বিচারক, “মিনিমান ৫০০ পৃষ্ঠা।” জিয়াউদ্দিন, “কি করে আশা করেন যে, ওভারনাইট করে ফেলা হবে?”
সুখরঞ্জন বালি গুম কিংবা বিচারপতি নাসিমকে স্কাইপে স্টেট মিনিস্টার ‘কামরুলের’ অনুরোধ, পারলে ডিসেম্বরের আগেই রায় দেন... গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদীর রায় দিলেই বাকিগুলা সেই অনুসারে হবে ইত্যাদি। বিচারপতি নাসিমের নিজ মুখে স্বীকারোক্তি, ‘স্টেট মিনিস্টার’ তার সাথে দেখা করে এই অনুরোধ জানিয়ে গেছেন।
পিলখানায় বিডিআরের হত্যা , শেয়ার বাজারের লুটপাটের , আওয়ামীলীগের নেতারা সকল ব্যাংক লুটপাট , ডাকাতি , শাপলা চত্বরে এতিম , কোরানের হাফিজদের হত্যা , যৌথ অভিযানের নামে বিভিন্ন জনপদে বিরোধীদল সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ-লুঠতরাজ এবং পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত করার ঘৃণ্য ঘটনা সবার জানা।
অতীতের কিছু স্মৃতি থেকে -
১৯৯১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ৪৫ মিনিটের টেলিভাষণের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। সে ভাষণে তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার সম্বন্ধে মিথ্যা ও কুৎসিত গালিগালাজই করেছেন শুধু। জাতীয় ও অন্তর্জাতিকভাবে সে ভাষণ প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিল। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে পাগল উপাধি দিয়েছিল। আদালত রং হেডেদ মহিলা রায় দিয়েছিল। ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯-২০১৫ সময়ের শাসনকালে হত্যার রাজনীতি দেখে মানুষ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামী করে আইনের আওতায় আনা যুক্তিযুক্ত
শেখ হাসিনা ‘বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে’ রেললাইন উপড়ে ফেলা, সড়ক অবরোধ ও হত্যার অভিযোগ করছেন। কিন্তু ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করেছিল আওয়ামী লীগ। সে আন্দোলনে দেশের বহু স্থানে রেললাইনের স্লিপার খুলে ফেলা, সড়ক ও অর্থনীতি অবরোধ করা হয়েছিল, প্রায় শতাধিক মানুষ খুন করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে সেই তত্ত্বাবধায়কপদ্ধতির অধীনে নির্বাচন না করার জন্য লগি-লাঠি-বৈঠার আন্দোলন করেছিল আওয়ামী লীগ। রাজপথে তান্ডব চালিয়ে হত্যার নেশা মিটিয়েছিল আওয়ামিলিগ।
লাগাতার সেই আন্দোলনে প্রায় ৭০ জন মানুষ খুন করা হয়েছিল, বহু স্থানে রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়েছে, অফিস গামী মানুষের কাপড় খুলে নিয়েছিল আওয়ামীলীগের কর্মীরা। বন্দর অবরোধ করা হয়েছে; এমনকি বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন ও পানিসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে স্বয়ং তত্কালীন রাষ্ট্রপতিকে অসহায় অবস্থায় অবরোধ করে রাখা হয়েছিল।
বিষয়: বিবিধ
৩০১১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"ওরে মুর্খ ওরে জড়ো,শাস্ত্র চেয়ে সত্য বড়"।
মন্তব্য করতে লগইন করুন