ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন - বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:২৭:৩৮ রাত
সুইস ব্যাঙ্কের হিসাবের পর অন্য আরেকটি ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের টাকা বিদেশে পাচারের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই ‘ইলিসিট ফাইন্যান্সিয়াল ফ্লোজ ফ্রম ডেভেলপিং কান্ট্রিজ: প্রতিবেদনটি গত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বিশ্বব্যাপী প্রকাশ করেছে।
সুত্র - Illicit Financial Flows from Developing Countries: 2003-2012
http://shar.es/13iuTB
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার এক বছরে প্রায় তিন গুণ বেড়ে গেছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) নতুন হিসাব অনুসারে
১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে ২০০৬ সালে, যার পরিমাণ ২৬৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে ২০ হাজার ৫৭৬ কোটি।
২০০৭ সালে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ২৪৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার (১৮ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা)।
২০০৮ সালে পাচার হয়েছে ১৪০ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
২০০৯ সালে পাচার হয়েছে ১০৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
২০১০ সালে পাচার হয়েছে ৬৭ কোটি ২০ লাখ ডলার
২০১১ সালে পাচার হয়েছে অন্তত ৪৬৩০ কোটি টাকা।
২০১২ সালেই বেরিয়ে গেছে ৯৯ হাজার ১২০ কোটি ডলার।
রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অর্থসম্পদ গড়েন, তাঁরা টাকা পাচার করেন। এর পাশাপাশি সম্প্রতি দেশের বড় বড় শিল্পোদ্যোক্তা , আমলা , বিভিন্ন বাহিনীতে কর্মরত ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী নিজেদের পরিবার এবং সন্তানদের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার জন্য বিভিন্নভাবে অর্থ বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
এখানে উল্লেখ করা দরকার - বাংলাদেশের নিজস্ব অভিবাসীদের মধ্যে টাকা এবং ডলার অবৈধ বিনিময়ের হিসাব ধরা হয়নি।
জিএফআইয়ের যোগাযোগ পরিচালক ক্লার্ক গাসকোয়ান মিডিয়াকে জানিয়েছেন , ‘জিএফআই অর্থ পাচারের হিসাব নির্ণয় করে থাকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে। আইএমএফ নিয়মিতই এসব পরিসংখ্যান সংশোধন ও হালনাগাদ করে।পাচার করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ আরও বেশি হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৮৯৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন