ভারতের বর্ধমানের ঘটনায় ভয়াবহ গরমিল। এর সূত্র ধরে কি বাংলাদেশে জঙ্গি কাহিনী রচিত হচ্ছে ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০২ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১১:৩৬:২০ সকাল
ঘটনা স্থলে যে মারা গেছে তার খতনা করা ছিল না। কিন্তু যাকে জঙ্গি বলে মুসলিম বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে তার খতনা করা ছিল। তাহলে কে সেই মৃত জঙ্গি ?
ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট।
ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী 'র ' এর কাজ কি তাহলে বাংলাদেশের জামাত-উল মুজাহিদিন নাম দিয়ে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে ? এর সূত্র ধরে কি বাংলাদেশে জঙ্গি কাহিনী রচিত হচ্ছে ?
জঙ্গি
গত ২ অক্টোবরে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে ঘটে যাওয়া এক বোমা বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হন আহত হন একজন। তবে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় হল, এই বিস্ফোরণের উঠে আসে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল মুজাহিদিন (JMB) এর নাম। তদন্তের ভার নেয় NIA। তদন্ত করতে চলে আসে বাংলাদেশে। কিন্তু তদন্তের শেষটা কি হয়েছিল? কোন পথে গিয়েছে তদন্ত?
জামশেদ লাশ শনাক্তকরণের কথা অস্বীকার করে। এবং তিনি যা বলেন তা হল- NIA সেলফোনে ছেলের ছবি দেখায় এবং জোর করে যে এটি সামনে পরে থাকা লাশের ছবি।
১। কেন NIA কাগজে ছাপাকৃত লাশের ছবি দেখায় নি?
২। লিখেছে জামশেদ শেখ লাশ শনাক্ত করেছে।
৩। কেন ডি এন এ টেস্ট করায় নি?
কার লাশ ছিল ?
কে সেই জঙ্গি ?
কেন বর্ধমান থেকে বাংলাদেশ তদন্ত ঠিম এলো ?
মমতা বলেন বিস্ফোরণটি র’- কতৃক পরিকল্পিত।
জাতীয় তদন্ত সংস্থা NIA সেখানে পৌছলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ (WB) দলটিকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। কি সেই রহস্য ?
কে ছিল এই করিম শেখ? বিস্ফোরণ স্থলে পাওয়া মরদেহটি কার ছিল? NIA এর তদন্তের মধ্যে কি কোন ফাক রয়ে গেছে?
গত ২ রা অক্টোবরে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে ঘটে যাওয়া এক বোমা বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হন আহত হন একজন। তবে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় হল, এই বিস্ফোরণের উঠে আসে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল মুজাহিদিন (JMB) এর নাম। তদন্তের ভার নেয় NIA। তদন্ত করতে চলে আসে বাংলাদেশে। কিন্তু তদন্তের শেষটা কি হয়েছিল? কোন পথে গিয়েছে তদন্ত? বর্ধমান বিস্ফোরণের সকল খুঁটিনাটি বিষয়, এনআইএর তদন্তের বিশ্লেষণ এবং ফাঁকফোকর নিয়ে বিবিসির সাংবাদিক অজিত সাহি এর একটি সরেজমিন প্রতিবেদন “বর্ধমানের সেই বাড়ীটি”। প্রতিবেদনটি আউটলুকইন্ডিয়া ডট কমে প্রকাশিত হয়।
বর্ধমান থেকে বাংলাদেশ
অক্টোবর -(০২) বর্ধমানের খাগড়াগড়ে ঘটে যাওয়া এক বিস্ফোরণে দুই জন নিহত, একজন আহত হয়। বাড়িতে অবস্থান রত দুইজন মহিলাকে আটক করা হয়েছে।
অক্টোবর- (০৩) জাতীয় তদন্ত সংস্থা NIA সেখানে পৌছলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ (WB) দলটিকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় নি।
অক্টোবর- (০৬) বিজেপি এর সমাবেশে NIA এর কাছে তদন্তের ভার হস্তান্তরের দাবি জানানো হয়।
অক্টোবর-(০৯) কেন্দ্রীয় ভাবে NIA এর উপরে তদন্তের ভার দেওয়া হয়।
অক্টোবর-(১০) কেন্দ্র অযথা হস্তক্ষেপ করছে বলে মমতা অভিযোগ করেন।
অক্টোবর-(১৬) NIA একটি বাড়িতে ৩০ টি বোমা খুজে পায়। সেই একই বাড়িতে আট দিন আগে তল্লাশি চালিয়ে স্থানীয় পুলিশ কিছুই উদ্ধার করতে পারে নি।
অক্টোবর-(২৩) NIA দাবি করে সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রন করা হয় বাংলাদেশের জামাত-উল মুজাহিদিন (JMB) থেকে।
অক্টোবর- (২৬) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এ কে দোভাল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান আসিফ ইব্রাহিম এবং NIA এর ডিজি সারদ কুমার, বর্ধমান পরিদর্শন করেন।
অক্টোবর- (২৮) NIA জানায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা ও অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।
নভেম্বর-(০৮) জেএমবি এর অভিযুক্ত পয়েন্টসম্যান সাজিদকে গ্রেফতার করে।
নভেম্বর (১২) বাংলাদেশে গ্রেফতার হয় সাজিদের ভাই
নভেম্বর-(১৭) পরিদর্শনকারী NIA দলের কাছে বাংলাদেশ অপরাধীদের তালিকা নাম ও ফোন নাম্বার হস্তান্তর করে।
নভেম্বর- (২২) মমতা বলেন বিস্ফোরণটি র’- কতৃক পরিকল্পিত।
নভেম্বর- (২৬) বাংলাদেশের শেখ হাসিনা বিস্ফোরণটি নিয়ে NIA তদন্তের প্রশংসা করেন।
লাশ কথা বলে না কিন্তু একটি হত্যাকাণ্ড যা ফেলে যায় তা অনেক কিছু বলতে পারে এবং বলে।
করিম শেখের ঘটনাটির ক্ষেত্রে, করিম শেখের পরিবারের যে গল্পটি বলতে হয়েছে তা হোল- অক্টোবরের দুই তারিখে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরের একটি বাড়িতে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের উৎস নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার দাবীকে বিস্ফোরণের মুখে ঠেলে দেয়। পারিবারিক সাক্ষ্য NIA এর তদন্তের সাধুতাকে একটি বড় প্রশ্নের মুখোমুখি দাড় করায়।
আউট লুক কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে, পরিবারটির দাবি, NIA এর প্রস্তাবকৃত বাংলাদেশ ভিত্তিক ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী পশ্চিম বাংলাকে ধ্বংসের অপেক্ষা করছে। ধর্মীয় বিবৃতিটিকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়।
NIA এর মতে, গান্ধীর জন্ম জয়ন্তীর দিনে, দুপুরের কিছু আগে কলকাতা থেকে ১১০ কিলোমিটার উত্তরে বর্ধমান শহরের একটি স্বল্প আয়ের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা ।
খাগড়াগড়ে একটি বোমা বিস্ফরিত হয়। এবং যে এপার্টমেন্টে বোমা বিস্ফোরিত হয় সেখানে অবস্থানকারী পাচ জনের মধ্যে একজন ছিল করিম শেখ। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যখন বিস্ফোরণ ঘটে যাওয়া কক্ষটিতে যান তখন তারা একটি মানুষের টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া দেহ, সঙ্কটাপন্ন এক আহত যুবক, এবং আর একজন মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত লোক দেখতে পান। হাসপাতালে পৌঁছানোর তিন ঘণ্টার মধ্যে যুবকটি মারা যায়। এক মাস দশ দিন পরে NIA জানায় যুবকটির নাম ছিল করিম শেখ।
বর্ধমানের১২ নভেম্বর গৌতম হালদার বর্ধমানের একজন পুলিশ কর্মকর্তা সরকারী হাসপাতালকে জানান, অক্টোবরের ৩ তারিখে ময়না তদন্তের পর থেকে যুবকের লাশ মর্গেই রয়েছে। মৃত ব্যক্তিকে জামশেদ শেখ এর পুত্র করিম শেখ হিসেবে চিহ্নিত করা গেছে। এবং জামশেদ শেখ নিজেই তা চিহ্নিত করেছেন। এবং জামশেদ শেখের অনুগ্রহপূর্বক করিমের লাশ হস্তান্তর করতে হবে। তারপরে সেদিন বর্ধমানের ৬০ কিলোমিটার উত্তরে কর্নহার নামের একটি শহরের রাস্তার পাশে সবজি বিক্রেতা দুঃখ ভারাক্রান্ত জামশেদ তার পুত্রের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে এবং দাফন করে।
কিন্তু বিবাদটি এখানেই, জামশেদ শেখ বলে- সে তার পুত্রের লাশ সনাক্ত করেনি। “লাশটি পচে গিয়েছিল” জামশেদ আউট লুক কে বলেন- “গ্রামের কেউই লাশ সনাক্ত করতে পারে নি” অবিশ্বাস্য ভাবে জামশেদ বলে যে সে NIA কর্মীদের বলেছিল সে লাশ সনাক্ত করতে পারে নি তাই কেন সে এটি গ্রহন করবে?
জামশেদ বলে NIA কর্মীরা তাকে এটি গ্রহনে বাধ্য করে। তার ছেলে করিম শেখ দুই মাস আগে বাড়ি ছেরে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ খুজতে কেরালায় যায়। তারপর থেকে সে বাড়িতে কোন ফোন করে যোগাযোগ করেনি। যখন সে বলে সে সেলফোনের ছবি দেখে লাশ সনাক্ত করতে পারছে না, তখন তারা তাদের আদেশ পালনে জামশেদকে জোর জবরদস্তী করে। তারা বলে সেলফোনের অত্যান্ত সূক্ষ্ম ছবিটিতে একটি যুবকের দেহের উপরের অংশ এবং মাথা দেখা যাচ্ছিল। বুকের বোটার একটু নিচ থেকে উপরের বাকি অংশ। যুবকের দেহে কু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। কিন্তু জামশেদ এবং তার ভাতিজা আমিরুল বলেন, মর্গ থেকে দে লাশ হস্তান্তর করা হয় সেটার বুকে এবং চেহারায় বিস্ফোরণের আঘাতে আংশিক ঝলসানো ছিল। এই অসামঞ্জস্যের সাথে আরও যে বিষয়টি তাদের উদ্বিগ্ন করেছিল তা হচ্ছে তারা কোন ভাবেই লাশটিকে সনাক্ত করতে পারছিল না।
প্রকৃতপক্ষে পোস্টমর্টেম রিপোর্টেও বলা হয়েছে লাশের গায়ে অসংখ্য থেতলানোর চিহ্ন ছিল। এগুলোর আকার ও ছিল বিভিন্ন রকমের।
“(১) মুখের ডানদিকে একাধিক ক্ষত যারআকার ০.২”X ০.২” থেকে শুরু করে ১.৪” X১” পর্যন্ত;
(২) মাথার সামনে ডানদিকে হাড় বেরিয়ে যাওয়া (যা পরে সেলাই করা হয়েছে) ৩”X ১” মাপের গভীর ক্ষতচিহ্ন;
(৩) ডানদিকের কণ্ঠার হাড়ের ১.৫” ওপরে এবং মিডলাইন থেকে ০.৮” ডানদিকে গলায় ৩” X১.৫ মাপের গভীর ক্ষত;
(৪) বুকের বাঁ দিকের ওপরের অংশে ০.২” x ০.২” ০.৫” x ০.৫” মাপের একাধিক গভীর ক্ষত;
(৫) চিবুকে ১” x ০.৩” x হাড় বেরনো ক্ষত এবং চোয়াল ও মেরুদণ্ডের অস্থি ভেঙ্গে গিয়েছিল।
যাই হোক ছবির সাথে এর ছবির কোন মিল পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারা বাড়িতে লাশটি নিয়ে যায় এবং দাফন করে।
কিছু প্রশ্নের উদয় হয়-
জামশেদ লাশ সনাক্ত না করা সত্বেও NIA কেন লিখল যে জমাশেদ লাশ সনাক্ত করেছে?
কেন NIA পুলিশ ফটোগ্রাফারের তোলা ছাপানো ছবি না দেখিয়ে সেলফোনে ছবি দেখাল?
কেও জামশেদক কে একটি ছবি দেখানো হল?
এবং যদি জামশেদ লাশ সনাক্ত নাই করে থাকে NIA কেন ডিএনএ টেস্ট করায়নি?
অবশ্যই লাশটি করিমেরও হতে পারে কিন্তু সেটিকে চুরান্তভাবে প্রমান করার প্রয়োজনীয়তা, বিষয়টিতে মারাত্মক পর্যায়ের রাজনীতি ঢুকিয়ে দিয়েছে। যা বিস্ফোরণের দিন থেকে বেড়েই চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার পশ্চিম বাংলার প্রধানমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে দোষারোপ করেন যে, মমতা ইসলামিক চরমপন্থিদের শেকর ছড়াতে দিচ্ছেন। মূর্ছাপ্রবন সংবাদ মাধ্যম বিশেষ করে এই প্রদেশে গ্রফতারকৃতদের মৃত্যুদণ্ডের আজগুবি খবর প্রচার করে আসছিল। বাংলাদেশের পুলিশ ও সেখানে গ্রেফতার করা শুরু করে।
একজন যুদ্ধ বাজ মমতা পিছু হটছেন, তার প্রিয় পাত্র ডেরেক অ’বেরিন কে নিয়ে। ও’ বেরিন তার তৃনমূল কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত একজন রাজ্যসভার এমপি। মমতা তার প্রতিপক্ষকে নির্দেশ করেছে। মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টির মতাদর্শগত জনক RSS কে বিস্ফোরণের জন্য মমতা দায়ী করেছেন। TMC বলেছে RSS পশ্চিম বাংলার হিন্দু এবং এক চতুর্থাংশ মুসলমানকে কোণঠাসা করে রাখতে চায়। ও’ বেরিন খুব জোরালো ভাবে অভিযুক্ত করেছেন একজন মোদী, একজন লেফটেন্যান্ট অজিত দোভালকে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA)এবং NIA তদন্তকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছে।
এর পূর্ব প্রসঙ্গ হচ্ছে যে যুবকের পরিচয়ের মাধ্যমে পশ্চিম বাংলার রাজনীতিকে বিদ্ধ করার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি অবশ্যই শত্রুতা এবং সংকীর্নচিত্ত দুর্ঘটনার মধ্যে পার্থক্য হিসেবে দাঁড়াবে। বিস্ফোরণের প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়, যুবক নিজেকে স্বপন মণ্ডল নামে পরিচয় দিয়েছে যার মানে দাড়ায় সে একজন হিন্দু। কিন্তু পুলিশ পরবর্তিতে বলে যে তরুন নিজেকে সুভান এবং সুভান মণ্ডল নামে পরিচয় দিয়েছে। যা থেকে বোঝা যায় সে একজন মুসলিম ও হতে পারে। অবশ্যই করিম শেখ একজন ধরমপ্রান মুসলিম। পরিষ্কারভাবে এই দ্ব্যার্থতার জন্য NIA এর উচিত ছিল কোন সন্দেহের সুযোগ না রেখে পরিচয়টিকে প্রতিষ্ঠিত করা।
কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই যখন পুলিশ এবং NIA এপার্টমেন্টের মালিক মোহাম্মাদ হাসান চৌধুরীকে বিস্ফোরণের ১৩ দিন পরে প্রশ্ন করেন তারা তাকে পরিচয় সনাক্ত করতে বলতে ব্যর্থ হন। মালিকের সাক্ষ্য সমস্যাপুর্ন ছিল।
চার মাস আগে সে শাকিল কে বাসা ভাড়া দেয় এবং যেহেতু সে এই দালানের সামনেই থাকে তাই সে প্রায়ই সে শাকিলের কাছে যেত। গ্রাউন্ড ফ্লোরে বোমাটি বিস্ফোরিত হয় যেখানে একটি গ্যারেজ ছিল এবং একটি দোকান ছিল। দোকানটি গাড়ির সিট এবং কভার বেল্ট ডিলারের কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছিল। সামনে একটি ক্লিনিক ছিল যা পরিচালনা করত চৌধুরীর হোমিওপ্যাথিক ছেলে। এ ধরনের রিপোর্ট থেকে বোঝা যায়, এ বাসায় একটি TMC অফিস ছিল (চৌধুরীকে একজন পার্ট টাইম TMC ম্যান মনে হয়)- পার্টি কঠোরভাবে এটা অস্বীকার করেছে। পুলিশ দোকান বন্ধ করে দিয়েছে এবং উপরে যাওয়ার সিঁড়িও বন্ধ করে দিয়েছে। ক্লিনিকটি সচল আছে।
বর্ধমান২০১০ সালে এক তলা দালান বানানোর পরে চৌধুরী এটিকে কিছু ছাত্রের কাছে এবং পরে একটি সিকিউরিটি গার্ডের কাছে ভাড়া দেয়। ডিসেম্বরে এটি ফাকা হয়ে যায়। মে মাসের শেষের দিকে শাকিল এবং কাওসার আলি পরিচয়ের আর একজন লোক চৌধুরীর সাথে দেখা করে ঘর ভাড়া নেয়ার জন্য। শাকিল মার্জিত ছিল, তার দাঁড়ি ছিল এবং স্মার্টলি প্যান্ট ও টি শার্ট পরিহিত ছিল। কাওসারের দাঁড়ি কামানো ছিল এবং হাফ হাতার শার্ট প্যান্ট পরা ছিল। তারা বলেছিল, মুর্শিদাবাদে তারা বোরকা এবং নাইটি উৎপাদন করে। মুর্শিদাবাদ বর্ধমানের ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিনে এবং এখন তারা ব্যবসা বাড়াতে চায়।
প্রতি মাসে ভারতীয় টাকার ৪২০০ টাকায় ভাড়া নির্ধারিত হয়েছিল। “ আমি মাত্র দুটি শর্ত দিয়েছিলাম” চৌধুরী বললেন- তোমাদের পরিবার নিয়ে আস এবং একটি কাগজে স্বাক্ষর কর”। জুনের দুই তারিখ কাওসার তার স্ত্রি এবং শাকিল চলে আসে। চৌধুরী বাইরের গলিতে অযথাই এদের সাথে বকবক করে। দুজনেরি মোটর সাইকেল ছিল এবং প্রতিদিন বাইরে যেত। প্রায় পনের দিন পরে শাকিল চৌধুরীকে বলেছিল “কাওসার এবং তার বউ চলে গিয়েছে” সংক্ষেপে বললে- শাকিল তার বউ এবং তিনটি ছোট বাচ্চা নিয়ে এসেছিল। শাকিলের বউ বোরকা পরত এবং কদাচিৎ বাইরে বের হত। এই এলাকার মুসলিম নারীরা পর্দা করতনা। মাঝে মধ্যে তার বড় সন্তান গলিতে খেলত। যদিও তারা ভেতরে ভেতরে নারকীয় চক্রান্ত গড়ে তুলেছিল। চৌধুরী কখনই তাদের দেখতে যেত না। সে বলল- “আমার না যাওয়াটা খুব একটা ভুল ছিল” ।
আগস্টে প্রতিদিন সকালে চৌধুরী এই বাসা থেকে বের হতে দেখতেন। এ সময়ে লোকটি অর্থাৎ চৌধুরী যাকে আব্দুল হাকিম বলে ধারনা করেন তার সাথে কুশল বিনিময় করত। সাইকেল চালিয়ে চলে যাওয়ার আগে বিস্ফোরণের পরে একমাত্র সেই বেচে ছিল। “সে তরুন ছিল, এবং তার মুখে দাঁড়ি ছিল”। সেপ্টেম্বরের পনের তারিখের দিকে সে একজন বোরকা পরিহিত নারীকে দেখলেন। তিনি সম্ভবত হাকিমের স্ত্রী, তার সাথে বাইকে চড়া অবস্থায় ছিল। “আমি শাকিল কে হাকিম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সে কখনই সঠিক উত্তর দিত না”। বিস্ফোরণের দশ দিন পূর্বে চৌধুরী একটি তরুণকে এই বাসা থেকে প্রতিদিন সকাল সাত টার দিকে বের হতে দেখতেন। উনি এখন ধারনা করেন সে অবশ্যই স্বপন/সুভান/করিম। শাকিলকে ধর্মনিষ্ঠ মুসলমান মনে হত। সব সময় টুপি না পরে থাকাতে একসময় সে চৌধুরীকে তিরস্কার করে। চৌধুরী হজ্ব করেছেন। তাই টার সর্বদা টুপি পরে থাকা উচিৎ। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ চৌধুরী শেষবারের মতন শাকিলের কাছে গিয়েছিলেন। “আমি তাকে বলেছিলান, হয় সে দলিলে স্বাক্ষর করবে অথবা বাসা খালি করবে”- চৌধুরী বললেন। আমি তাকে অক্টোবরের ৬ তারিখের আগে ভাড়া পরিশোধ করতে বললাম।
যখন অক্টোবরের দুই তারিখ বিস্ফোরণ ঘতল্ চৌধুরী গোসলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিকট শব্দ শুনে তিনি দৌরে বেড়িয়ে এলেন। অন্যান্য প্রতিবেশীদের সাথে দালানের সিঁড়ি পর্যন্ত দৌরে গেলেন। স্বল্প সময়ের মধ্যেই পুলিশ অন্যান্য কক্ষে মহিলা দুইজনকে খুজে পেলেন। পরে জানতে পারা যায় তারা শাকিল এবং হাকিমের বউ। তাদের বাইরে নিয়ে আসা হলে এই চার মাসের মধ্যে প্রথম চৌধুরী শাকিলের বউ রাজিয়ার সাথে কথা বলেন। এবং জিজ্ঞেস করলেন- কি হয়েছে?
সে বলল-সে কিছুই জানেনা কারন পুরুষেরা তাদের সবসময় তালাবদ্ধ করে রাখত।
তাকে লাশ দেখানো হয়নি অথবা জিবিত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে না বলে NIA তাকে মহিলা দুজনকে সনাক্ত করতে বলেছিল। চৌধুরী কাওসার আলীর বর্ণনাও দিয়েছিলেন, সে শাকিলের সাথে বাসা ভাড়া করতে এসেছিল। তিনি শাকিলের বর্ণনা দিয়েছিলেন তদন্তকারীদের স্কেচ করার জন্য। সত্যি বলতে এমনকি NIA হাকিমের বাবাকে পর্যন্ত প্রশ্ন করেনি। হাকিমের বাবা টার বাই সাইকেলে চরে কাপর বিক্রি করেন তাদের নিজ গ্রামে। তাদের বাড়ি ১২০ কি মি দক্ষিনে পার্শ্ববর্তী বীরভূম জেলায়।
শাহ জামাল তার বাবা আউট লুককে বলেন, হাকিম তিন বছর আগে বাড়ি ছেরে যায় এবং বর্ধমানে সাইকেল রিক্সার কাজ করতো। হাকিম মার্চ মাসে শেষবারের মত এসেছিল।
তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ সাক্ষ্য দিয়েছেন পারভেজ নামের এক লোক। যে নিজেকে একজন পুলিশের চর হিসেবে দাবি করেন। বিস্ফোরণ স্থল থেকে আধা কিলোমিটার এর ও কম দূরে খাগড়াগড়েই তিনি বসবাস করেন। তিনি দাবি করেন যে স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের সাথে তিনিও সবার আগে ঘটনাস্থলে যান। এবং আহত স্বপন/সুভান/ করিমকে হাসপাতালে নিয়ে যান। খান বললেন- “আমার কাছেই প্রথমবার সে তার নাম “স্বপন মণ্ডল” বলে এবং পরবর্তীতে সুবহান মণ্ডল বলে”। সে তার গ্রামের নাম বলেছিল নাইরোদিগি।
হাসপাতালে একবার খান স্বপন/ সুভান/ করিমের হাত পা বেধেছিল ডাক্তারের নির্দেশে। “তার মুখ রক্তেও ঢাকা ছিল। তার ডান চোখ পুরোপুরি ঝলসে গিয়েছিল। এবং তার বুকে একটি গর্ত তৈরি হয়েছিল” খান বলেন। জামশেদকে দেখানো NIA এর ছবিটি খানকে দেখানো হলে তিনি বলেন, ছবির লাশে আগেকার মত কোন ক্ষত নাই। সাক্ষ্য প্রদানে ইচ্ছুক খান দাবি করেন, পুলিশ তাকে কিঞ্চিৎ মিথ্যা বলতে বলেছে। খান পিড়াপিড়ি করে যে, আহত লোকটির খৎনা করানো ছিল না। কিন্তু করিম শেখের শৈশবেই খৎনা করানো হয়েছিল।
মজার ব্যাপার হল NIA করিমের লাশ সনাক্ত করে ১০ নভেম্বর আমজাদ শেখ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রফতারের পর। আমজাদের ডাক নাম কাজল। NIA বলে কাজলই তার ফুফাতো ভাই হিসেবে করিমের লাশ সনাক্ত করে এবং করিমকে বোম তৈরির ব্যাপারে তার দ্বায় স্বীকার করে। NIA দাবি করে যে, কাজল JMB এর একজন শীর্ষ নেতা। NIA তাকে গ্রেফতারের জন্য ১০ লাখ রুপির পুরস্কার ও ঘোষণা করে।
কিন্তু কাজলের পিতা শুকুর শেখ একজন মুদি ব্যবসায়ী। তার ছেলের ইসলামী জেহাদি হয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। “আমার ছেলে SPIএর একজন কর্মী”- তিনি বলেন।
স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া CPI(M)এর ছাত্র সংগঠন। তার বাবার মতে, SPI করার ফলে তার জিহাদি সংগঠন না করাটাই স্বাভাবিক। “আমার ছেলের সব বন্ধুই হিন্দু, এবং তাদের মধ্যে বেশির ভাগই SFI করে”-কাজলের বাবা বলেন। কাজল বীরভূম এর শম্ভুনাথ কলেজ থেকে বিএ করেছে এবং ২০০৭-০৮ সালে বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ছিল। ২০০৮ সালের একটি নবীন বরনের নিমন্ত্রন পত্রে এই পরিচয়েই তার নামটি ব্যবহৃত হয়।
সরকারী শিক্ষক পদে চাকরির পরিক্ষায় ব্যর্থ হয়ে চার বছর আগে কাজল কলকাতা চলে যায় এবং একটি ঔষধ কোম্পানিতে বোতলে লেভেল লাগানোর চাকরি পায় বললেন শুকুর।
সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনামি NIA উৎস বলেছে, কাজল বোম তৈরির কেমিক্যাল সরবরাহ করতো। দুই বছর আগে কাজল বিয়ে করে। তার স্ত্রী ও কন্যা গ্রামে থাকতো।
বর্ধমানের শুকুর বলেন, ১৪-১৫ অক্টোবরের দিকে NIA কর্মীরা তার দোকান পরিদর্শন করে এবং তার ছেলের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছেলের জন্য ভয় পেয়ে তিনি বলেন, কাজল কাজ ছেরে কলাকাতায় পালিয়ে গেছে। “NIA কর্মীরা বার বার আমাকে বলছিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কাজলকে প্রয়োজন। তারা তাকে গ্রেফতার করবে না”। নভেম্বরের নয় তারিখ রাতে কাজল বাবার সাথে দেখা করতে আসে। পরের সকালে শুকুর তাকে NIA এর কাছে নিয়ে যায়, যারা তাকে ক্ষিপ্রভাবে গ্রেফতার করে।
সিরাজুর রহমান নামের ৬০ বছর বয়সী এক চামরা ব্যবসায়ী, যিনি কিরনাহার এর অধিবাসী, তিনি NIA এর ডাকে ভয় পেয়েছিলেন। তাকে তার বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান এর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। “আমি বলেছি- সে আগস্ট মাসেই স্ত্রী সন্তান নিয়ে চেন্নাই চলে গেছে এবং আজ পর্যন্ত সে যোগাযোগ করেনি” তিনি বলেন। মোস্তাফিজুর এর স্ত্রী ইউসুফ নামের এক ব্যক্তির শালিকা। NIA এর অভিযোগ ইউসুফ তার শিমুলিয়া গ্রামের মাদ্রাসায় মুসলমান মেয়েদের জঙ্গি শিক্ষা দিচ্ছে। শিমুলিয়া বর্ধমানের ৪০ কিলোমিটার ডানে অবস্থিত। শিমুলিয়া গ্রামে পরিদর্শন করে দেখা যায় মাদ্রাসার আয়তন ৫০ ফিট বাই ২০ ফিট। মাটির তৈরি দেয়াল এবং পোড়া মাটির টালি দিয়ে তৈরি ছাঁদ। গ্রামবাসীরা বলেন শুধু মাত্র গ্রামের মেয়েদেরকেই এখানে শিক্ষা দেয়া হয়। বিস্ফোরণের সময় মাদ্রাসা ঈদের ছুটিতে বন্ধ ছিল। ইউসুফের ভাই পার্শ্ববর্তী গ্রামে বসবাস করেন। তিনি বলেন- ইউসুফ ঈদের সময় বাড়ি আসে। কিন্তু সে এখন কোথায় তা সে জানে না।
পুলিশ মাদ্রাসাটিকে দখল করে। ভেতরে অবস্থানরত দুজন পুলিশ এই প্রতিনিধির সাথে কথা বলেনি এমনকি তাকে ভেতরেও ঢুকতে দেয় নি। পুলিশ কর্মকর্তা বা NIA অফিসার যারা বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তের সাথে জড়িত তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তারা কেউ কথা বলে নি।
টুইস্ট-
বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তের ত্রুটিগুলোই NIA এর তদন্তের দিকে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছুঁড়ে দেয়।
করিম শেখ
NIA দাবী করে জামশেদ শেখ, করিম শেখের পিতা। NIA বলে করিম শেখ বিস্ফোরণে মারা যায় এবং জামশেদ শেখ ১২ নভেম্বর তাকে শনাক্ত করে।
ফাঁক-ফোঁকর
জামশেদ লাশ শনাক্তকরণের কথা অস্বীকার করে। এবং তিনি যা বলেন তা হল- NIA সেলফোনে ছেলের ছবি দেখায় এবং জোর করে যে এটি সামনে পরে থাকা লাশের ছবি।
(১) কেন NIA কাগজে ছাপাকৃত লাশের ছবি দেখায় নি?
(২) লিখেছে জামশেদ শেখ লাশ শনাক্ত করেছে।
(৩) কেন ডি এন এ টেস্ট করা নি ?
শাকিল আহমেদ
NIA এর দাবী অপর মৃত ব্যক্তিটি শাকিল আহমেদ। যে বিস্ফোরণ হওয়া বাড়িটিতে প্রবেশ করেছে।
ত্রুটি-
NIA বাড়ির মালিক মোহাম্মাদ হাসান চৌধুরীকে বলেনি লাশ শনাক্ত করতে। চৌধুরী বলেন তিনি সহজেই লাশ শনাক্ত করতে পারতেন। তার কাছে তিনি প্রতিদিন ছুটে যেতেন।
আব্দুল হাকিম
NIA এর দাবী, হাকিম বিস্ফোরণে বেচে যাওয়া সেই কক্ষে অবস্থানকারী তৃতীয় ব্যক্তি এবং বর্তমানে NIA এর জিম্মায় আছে।
ত্রুটি-
NIA বাড়ির মালিক চৌধুরীকে বলেনি হাকিমকে শনাক্ত করতে। যাকে চৌধুরী বিস্ফোরণের আগে প্রায়ই দেখেছে। এমনকি NIA হাকিমের পিতা শাহ জামালকেও শনাক্ত করতে বলেনি।
আমজাদ শেখ (কাজল নামে পরিচিত)
NIA এর অভিযোগ, মিডিয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বেনামি NIA সোর্স বলেছে, কাজল যাকে নভেম্বরের ১০ তারিখ গ্রেফতার করা হয়েছে সে বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে নিযুক্ত একজন সক্রিয় কর্মী এবং বোম তৈরির কেমিক্যাল সরবরাহকারী।
ত্রুটি-
কাজলের পিতা শুকুর শেখ বলেছে, সে জেহাদি হতে পারে না কেননা সে একজন মার্ক্সবাদী এবং কলেজে সে SFI কর্মী ছিল। এছাড়া শুকুর নিজে কাজলকে NIA এর কাছে নিয়ে গেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অস্বিকৃত তথ্য-
পারভেজ খান, যিনি অপরাধের ঘটনাস্থলের খুব কাছে থাকেন, দাবী করেন যে বিস্ফোরণ কক্ষে পুলিশের সাথে সর্বাগ্রে প্রবেশ করেন। তিনি দাবী করেন যে আহত ব্যক্তিকে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান। যাকে পরবর্তীতে NIA করিম শেখ বলে শনাক্ত করে। তিনি আহত ব্যক্তি নিজের নাম স্বপন মণ্ডল অথবা সুভান মণ্ডল বলেছিল। কিন্তু NIA তার সাক্ষ্য গ্রহন করেনি। খান বলেন তিনি পুলিশের জন্য অনেক বিপজ্জনক কাজ করেন এবং তাদের মধ্যে তিনি বেশ পরিচিত।
ছবিতে অমিল
জামশেদ এবং তার ভাতিজা আমিরুল, যে মর্গে তার পাশে ছিল বলে তাদের যে লাশটি হস্ত্যান্তর করা হয়েছিল সেটির বুকে ক্ষত ছিল এবং চেহারা আংশিক ভাবে ঝলসানো ছিল। পুলিশের চর পারভেজ খান বলেন, তিনি স্বপন/সুভান/করিমকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন যার একটি চোখ ঝলসে গিয়েছিল এবং বুকে ক্ষত ছিল। জামশেদকে যে ছবিটি দেখানো হয়েছিল তাতে চোখ এবং বুক অক্ষত ছিল। পোস্টমর্টেমে ক্ষতগুলো উল্লেখ করা হয়।
জেগে উঠা কিছু প্রশ্ন –
মমতার প্রতি প্রশ্ন
ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট মতে (বিজেপি ক্ষমতায় আসার অনেক আগে) মমতার সাথে JMB এর সম্পর্ক রয়েছে এটা জানা সত্বেও কেন মমতা নুরুল হাসান চৌধুরীকে রাজ্যসভার TMC MP হিসেবে নির্বাচিত করল?
NIA এ যাতে বাংলায় ঢুকে ২রা অক্টোবরের বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্ত করতে না পারে এজন্য তিনি জেনারেল সেক্রেটারি মুকুল রায়ের মত MLA,MP দের NIA কে প্রতিরোধ করতে কেন পাঠায়?
বোম খুজে পাওয়ার পরেও তা নষ্ট না করে কেন মমতার পুলিশ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে? (একই সাথে বোমা তৈরিকারীদের স্বাক্ষর নিয়ে)
হাসান চৌধুরী একজন TMC কর্মী, কেন তার বাড়িতে বর্ধমান বিস্ফোরণের আসামীদের ভাড়া দিয়েছিল এমনকি তাদের পরিচয় না জেনেই?
বিস্ফোরণটি TMC অফিসের উপরে একটি ফ্লাটে ঘটে। কর্মীদের কাছে কি এই রহস্যের কোন সূত্র নেই?
বিজেপিকে প্রশ্ন
যখন স্থানীয় পুলিশ প্রথমেই গ্রেফতার শুরু করে এবং সন্ত্রাসীদের কথা বলে তখন দলের সদস্যরা কেন বলেছে যে- বিস্ফোরণের বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য বাংলা চেষ্টা করছে?
NIA নয়, সর্বপ্রথম বাঙালি পুলিশেরাই বর্ধমান বিস্ফোরণের হোতাদের গ্রেফতার করে এটা কি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে না যে বাঙালি পুলিশ কাজ করতে ইচ্ছুক?
যখন প্রাদেশিক কোন কারনে নয় বরং কেন্দ্রের কারনেই জাতীয় নিরাপত্তার ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে তখন বিজেপি কেন মমতাকে লক্ষ্যবস্তু করছে?
মাদ্রাসাভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের হুমকি অনেক আগে ২০০০ সালেই দেখা গিয়েছিল তখন পূর্বতন বাঙালি CM বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য খোলাখুলি ভাবে এ বিষয়ে কথা বলেন। তাহলে বিজেপি কেন এমন ভাব করছে জে মমতার শাসনামলেই মুসলিম জঙ্গিবাদ অঙ্কুরিত হচ্ছে?
NIA বলছে, প্রাদেশিক পুলিশের সাথে তাদের কোন ঝামেলা নেই। তাহলে বিজেপি কেন এর উল্টোটা দাবী করছে?
মূল প্রতিবেদন- By Ajit Sahi in Burdwan and Birbhum
সূত্র - এই লিঙ্কে
http://www.outlookindia.com/article/That-House-In-Burdwan/292735
বিষয়: বিবিধ
২৭২৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভারতের সংসদে প্রধান অঞ্চল গুলি বিজেপির দখলে। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ব্যাতিক্রম যার ৩৫ জন লোকসভা সদস্য আছে যেখানে বিজেপির প্রতিনিধি মাত্র একজন। বিজেপির টার্গেট পশ্চিমবঙ্গে জয়লাভ। সেক্ষেত্রে উত্তর ভারতে বিজেপির কোন সমস্যাই থাকবেনা। পূর্বভারতের ৭টি রাজ্য মিলে লোকসভা সদস্য মাত্র ১৪ জন!
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
ভারত সরকার বলছে সারদা ফান্ডের টাকা বাংলাদেশে যায়নি।
কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতারা জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছে কেন ?
জঙ্গি জুজু নাটক তৈরী করার সকল অপচেষ্টা করছে আওয়ামিলীগ।
প্রমান দেখুন
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই এ ধরনের কোনো লেনদেনের তথ্য নাই।
ভারতীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বুধবার দেশটির আইনসভার নিম্নকক্ষ লোকসভায় বলেছেন, সারদা ফান্ডের টাকা বাংলাদেশে যাওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপিপ্রধান অমিত শাহ সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন যে, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থ জোগানের জন্য কথিত সারদা কেলেংকারির টাকা বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন যে, বর্ধমান বিস্ফোরণের সন্ত্রাসী ঘটনায় সারদা ফান্ডের অর্থ ব্যবহার হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অফিস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বুধবার পার্লামেন্টে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তার ওই বক্তব্য সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিলেন।
জিতেন্দ্র সিং বলেন, এখন পর্যন্ত যে তদন্ত হয়েছে, তাতে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী তৎপরতার অর্থ জোগান দিতে এ ধরনের কোনো লেনদেন হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।
http://www.uttarbangasambad.com/…/uploaded…/2014-12-04_1.pdf
উত্তর ভঙ্গ পত্রিকা
ভারত
০৪ ডিসেম্বর, ২০১৪
মন্তব্য করতে লগইন করুন