প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা হলে হাত পুড়িয়ে দেয়া হবে
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৪:০৯:৫৭ বিকাল
এই কোন ভাষায় কথা বলা হচ্ছে ?
নুরুল ইসলাম নাহিদ বললেন- প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা হলে হাত পুড়িয়ে দেয়া হবে।
http://www.banglamail24.com/news/2014/11/27/id/94839/
এবার কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা করলে তার হাত পুড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এসএসসি ও সমনারে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণাল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কেউ যদি প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা করেন, কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে প্রশ্ন আকারে সাজেশন দেয়া হয়, কিংবা ফেসবুকের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করেন অর্থাৎ এবার যদি কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসের পথে হাঁটেন তাহলে তাদের হাত পুড়িয়ে দেয়া হবে।’
এসএসসি পরীক্ষার সময় ফেসবুক বন্ধ !
http://www.rtnn.net/bangla/newsprint/page/94064
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন - পরীক্ষা চলাকালীন ফেসবুক বন্ধ রাখা যায় কি না, এ বিষয়ে আইনগত দিক খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ কি জানেন না - আজ পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় যারা হাতে নাতে ধরা পরেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতা কর্মী। এমন কি ছাত্রলীগের নেতাদের হল , বাসা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সরঞ্জাম , প্রশ্ন উদ্ধার করা হয়েছিল। এই আওয়ামীলীগের আমলেই বিসি এস থেকে প্রাইমারি পরীক্ষার সব প্রশ্ন বার বার ফাঁস করে ছাত্রলীগের নেতারা।
সংসদে শিক্ষামন্ত্রী
গত পাঁচ বছরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
জুন ২৬, ২০১৪
গত পাঁচ বছরে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন দাবি করেন।
প্রশ্ন ফাঁসের কথা স্বীকার করলেন শিক্ষামন্ত্রী
০২ জুলাই, ২০১৪
চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরেজি ও গণিত দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
http://www.sheershanews.com/2014/07/02/43083/print
আমরা জানি আওয়ামীলীগের সকল অপরাধ হাতে নাতে ধরার পর ও অভ্যাসগত ভাবে সেটা বেমালুম অস্বীকার করেন -- তার পর ও হাজার হাজার প্রমানের মধ্যে অল্প কিছু প্রমান খবরের সূত্র ও ছবি সহ
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩৭ ।
এদের মধ্যে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। তার নাম মোজাম্মেল হক লেলিন।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
http://www.sheershanews.com/2014/09/26/52863#sthash.Kxazc1f0.dpuf
ঢাবিতে জালিয়াতির ঘটনায় আটক ছাত্রলীগ নেতার রুম সিলগালা: আটক ২
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক রুমে ২০-২৫জন থাকলেও ওই নেতা ৩-৪জন বহিরাগত নিয়ে একাই থাকতেন। ছাত্রলীগের ওই নেতা হলে ঢুকলেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করতে থাকে। কখন কি হয়!
এছাড়া লেলিনের এই জালিয়াত চক্রের সাথে তার হলেরই এলাকার আরো কয়েকজন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
http://www.sheershanews.com/2014/09/27/52940#sthash.4H9auzhY.dpuf
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে শুক্রবার দু'দফায় মোট ৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে৷ জালিয়াতির অভিযোগে আটকদের মধ্যে ছাত্রলীগের একজন নেতাও রয়েছেন৷ শিক্ষাবিদরা বলছেন, এতে উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠলো৷
অন্যদিকে ব়্যাব পরীক্ষা হলের বাইরে থেকে আরো ১৯ জনকে আটক করে, যাদের মধ্যে ১২ ভর্তি জালিয়াত চক্রের সদস্য বলে তারা নিশ্চিত হয়েছে৷ এদের মধ্যে আটক মোজাম্মেল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক৷ ব়্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, ‘‘এই চক্রের সদস্যরা মোবাইল ফোনে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করত এবং প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত৷ এই জালিয়াতি করে তারা বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে৷ ওই চক্রের কাছ থেকে আটক সাত পরীক্ষার্থীর সহযোগিতা পাওয়ার কথা ছিল৷''
হাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগ সম্পাদকের কক্ষে তল্লাশি
ছাত্রলীগ নেতা অরুণকান্তি রায়ের কক্ষের জানালার পাশে ৪ নভেম্বর ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় নকল সাপ্লাইয়ে ব্যবহৃত ইলেক্ট্রনিক্স ব্লুটুথ ডিভাইসের কিছু যন্ত্রপাতি পড়ে থাকতে দেখে ছাত্ররা প্রক্টর প্রফেসর ড. এটিএম শফিউল ইসলামকে খবর দেন।
http://shar.es/1XzFsv
এটা যে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে হচ্ছে তা নয়, আরো অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে৷
জেএসসিও জেডিসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে৷প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে৷
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ হাজার প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে৷
তেজগাঁও টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে৷৷
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘এ’ ইউনিটের (কলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে৷
দুই বছরে ১৩ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস
১১ এপ্রিল ২০১৪,
কার্যকর পদক্ষেপ : তদন্ত কমিটি করে দায় সারা
ফয়সাল আকবর: প্রশ্ন ফাঁসই এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গত দুই বছরে এইচএসসি, প্রাথমিক সমাপনী, ব্যাংক ও সরকারি চাকরির অন্তত ১৩টি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। শুধু তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে দায় সেরেছে। ফলে প্রশ্ন ফাঁসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
http://shar.es/1XzBiK
সামান্য তথ্য তুলে ধরলাম -
(১) গত ২৮ মার্চ লালমনিরহাটে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন, গত বছরের নভেম্বরে প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার প্রশ্ন,
(২) একই বছরের ৮ নভেম্বর প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস
(৩) ৩০ মে চট্টগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষার, ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষার বাংলা দ্বিতীয় পত্র, গণিত এবং ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্ন ফাঁস ।
(৪) ৩১ মে অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ।
(৫) ২০১২ সালের ৭ অক্টোবর ৩৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সব প্রশ্ন ফাঁস ।
(৬) ওই বছরের ৩ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ।
(৭) ২১ সেপ্টেম্বর সহকারী শিক্ষা অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ।
(৮) ১০ এপ্রিল ২০১৪ ,ঢাকা বোর্ডের এইচএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়।
(৯) গত ৮ এপ্রিল ঢাকা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসির ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়।
(১০) গত ২৮ মার্চ লালমনিরহাটে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের পরও পরদিন ২৯ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৩ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সর্বোচ্চ হিড়িক দেখা যায়। নভেম্বরে সারা দেশে কোমলমতি শিশুদের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে প্রশ্ন ফাঁস হয়। সারা দেশের জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন। এ অবস্থায় গত বছরের ২৩ নভেম্বর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে অনুষ্ঠিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়েছিল। ৮ নভেম্বর ফাঁস হয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। পরে সংশ্লিষ্ট ১৭ জেলার পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এ ছাড়া ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষার বাংলা দ্বিতীয় পত্র, গণিত এবং ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগের দিনই দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় পাওয়া যায়। এসব প্রশ্ন পরীক্ষার দিন হুবহু মিলে যায়।
২০১২ সালে মূলত সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের চরম হিড়িক দেখা যায়।
ওই বছরের ৬ অক্টোবর ৩৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সব প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)।
৩ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে নিয়োগের বাছাই পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষার হলে দেওয়া প্রশ্ন শতভাগ মিলে গেলেও ওই পরীক্ষা বাতিল বা তদন্ত হয়নি।
২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত শিক্ষা অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। ওই পরীক্ষার আগের রাতে এবং শুক্রবার সকালে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটে।
আরো বহু তথ্য আছে , লিখতে গেলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
১৯৩৮ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এমসি কলেজ এর ছাত্রাবাস পুড়তে দেখে তিনি কেঁদেছেন!!
তাই বোধহয় এখন তার নিজেরই সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিতে ইচ্ছা করে!!!
(জুন ২৬, ২০১৪ ) ।প্রশ্ন ফাঁসের কথা স্বীকার করলেন শিক্ষামন্ত্রী
০২ জুলাই, ২০১৪
চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরেজি ও গণিত দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। জাতির সাথে তামাশার সীমা থাকা উচিত
মন্তব্য করতে লগইন করুন