চুরির দায়ে আগেও জেল খেটেছেন লতিফ সিদ্দিকী , সেই সাথে লায়লা সিদ্দিকী ও এরশাদের কথা

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৬ নভেম্বর, ২০১৪, ০৪:০৬:০৯ বিকাল



সেই লতিফ সিদ্দিকী ও লায়লা সিদ্দিকী।

চুরির দায়ে আগেও জেল খেটেছেন লতিফ সিদ্দিকী।

দেশ স্বাধীনের পর রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইল আর্টিজেনের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লতিফ সিদ্দিকী। ওই সময় বিপুল পরিমাণ সুতা কালোবাজারে বিক্রি করে দেন তিনি। এ ছাড়া সরকারি ত্রাণের মালামালও খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগে মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় সাত বছরের কারাদণ্ড হয় লতিফ সিদ্দিকীর। পরে ১৯৮৬ সালে জেলে যান তিনি।

১৯৮৮ সালের নির্বাচনে তাঁর স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী সংসদ সদস্য হওয়ার পর লায়লা সিদ্দিকীর বিশেষ সম্পর্কের কারণে তখনকার রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের সাধারণ ক্ষমা পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন লতিফ সিদ্দিকী।

জেল খাটা নতুন কিছু নয় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জন্য। সরকারি সুতা কালোবাজারে বিক্রির দায়ে ১৯৮৬ সালে জেলে যান তিনি। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে তাঁর স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী সংসদ সদস্য হওয়ার পর তখনকার রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের সাধারণ ক্ষমা পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন লতিফ সিদ্দিকী।

সরকারী ‘সুতা কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। ১৯৮৬ সালে এ জন্য তাঁকে জেলে যেতে হয়। তবে ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী জয়ী হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পান লতিফ সিদ্দিকী। সব মিলিয়ে তখন তাঁকে দুই বছর জেল খাটতে হয়েছে।’

কালিহাতীতে জন্ম হলেও লতিফ সিদ্দিকীর বাবা আবদুল আলী সিদ্দিকী স্বাধীনতার আগে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় বসবাস শুরু করেন। ওই সময় আবদুল আলী সিদ্দিকী পাট করপোরেশনে চাকরি করতেন। সামান্য বেতনের পয়সায় পরিবারের ভরণ-পোষণসহ ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ মেটানো তাঁর জন্য ছিল কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

পরে ১৯৫৫ সালের দিকে আবদুল আলী সিদ্দিকী মোক্তারি শুরু করেন টাঙ্গাইল আদালতে। এর পর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী চাদাবাজি শুরু করেন। আবদুল আলী সিদ্দিকী দেশ স্বাধীনের পর লতিফ সিদ্দিকী রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর বাড়ি দখল করেছিলেন । স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পরই টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বহু হিন্দুদের বাড়ি , জায়গা দখল করেন আবদুল আলী সিদ্দিকী।

রাষ্ট্রপতি এরশাদের সাধারণ ক্ষমায় জেলমুক্ত হওয়ার পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেও পরাজিত হন লতিফ সিদ্দিকী। তবে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আবার জয়ী হন তিনি। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। তখন থেকেই ভাগ্যের চাকা বদলাতে শুরু করে লতিফ সিদ্দিকীর। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম কমিটির সদস্যও হন তিনি। মন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত অর্থ উপাজনের মতো স্বীকৃত কোনো পেশায় নিযুক্ত ছিলেন না আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। কিন্তু বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর সম্পদের পাহাড় গড়তে থাকেন তিনি। দেশে বিদেশে এখন টাকার পাহাড়।

বিষয়: বিবিধ

১৭১১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

288380
২৬ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:২২
288460
২৬ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৩

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : কিন্তু শেষমেশ কেন যে তিনি আব্দুল্লা পুত্র মোহাম্মদের গোমড় ফাঁস করে দিলেন!!
288585
২৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:২৫
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : Big Grin Big Grin Big Grin Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Rolling on the Floor Rolling on the Floor
288633
২৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৫৭
কর্ণেল কুতাইবা লিখেছেন : পিলাচ
290444
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:০৬
কাঁচের বালি লিখেছেন : নাস্তিকের হিস্ট্রি জানলাম জন্ম কাল থেকেই এরকম মনে হয় তাও আবার আজকে ফাঁস হয়ে গেল !

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File