রাবি শিক্ষক হত্যা ।জঙ্গি নাটক তৈরী করে আসল ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার চেস্টা.
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৮ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:৪৪:৫১ সকাল
বন্ধ করুন নিরীহ জনগনকে গণগ্রেফতার।
হত্যাকান্ডের পিছনে শিক্ষকের অনৈতিক , অসামাজিক কাজ।
মৃত্যুর পূর্বে ছাত্রীর সাথে রাতযাপন করেন ওই শিক্ষক। সকালে সেই ছাত্রীকে একা ঘরে রেখে বাহিরের দিকে তালা মেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। এরপর হত্যাকান্ড ঘটে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বিভাগের এক ছাত্রী প্রফেসর শফিউল ইসলামের সাথে দেখা করতে তার বাসায় যান। এসময় ওই বাসায় শিক্ষক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। এরপর শনিবার সকালে ওই ছাত্রীকে ঘরে রেখেই বাসায় তালা দিয়ে শফিউল ইসলাম বিভাগে যান। বিভাগের প্রয়োজনীয় কাজ শেষে দুপুর আড়াই টার দিকে মোটর সাইকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিহাস এলাকার নিজ বাড়ীর উদ্ধেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। এসময় বাড়ির ১০০ গজ আগে পৌছলে দু’জন অস্ত্রধারী যুবক তার গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত ছাত্রীর গ্রামের প্রতিবেশী, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও পুলিশ জানান, নিহত শফিউল ওই ছাত্রীকে তার নিজ বাসায় তালাবদ্ধ করে রাখার পর ওই ছাত্রী নিজেকে উদ্ধার করার জন্য তার বাড়িতে ফোন করেন। ওই ছাত্রীর মা তার মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য মেয়ের সহপাঠিদের ফোনে অনুরোধ করেন। এসময় অভিযুক্ত ছাত্রীও তার ঘনিষ্টজনদের ফোন করে তাকে আটকে রাখার বিষয়টি জানাতে থাকেন।
এদিকে এ ঘটনার পর মেয়েটির মা, বাবা ও তার মামা তাকে উদ্ধার করার জন্য গোবিন্দগঞ্জ থেকে শনিবার দুপুরের দিকে ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন। পরিবারের সদস্যরা স্যারের বাসা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করার জন্য প্রভাবশালী নেতার দারস্থ হন। এর পর বেলা ৩টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফেরার পথে শফিউল সন্ত্রাসীদের হাতে নিহন হয়।
হত্যাকান্ডের পরপরই ডিবি পুলিশের সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে ফেলে। কিছুক্ষণ পর তারা ওই বাড়িতে তালা ভেঙে তল্লাশি চালায়। এসময় বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ওই ছাত্রীকে আটক করে পুলিশ। তবে তার আটকের ঘটনা গোপন রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যার কু উদ্ধারের চেষ্টা করছে তারা।
http://shar.es/1XfSTC
বাসা থেকে ছাত্রী উদ্ধারে রাবি শিক্ষক হত্যায় নতুন মোড়
একা বাসায় একজন ছাত্রীর সাথে রাত যাপন করেন ওই শিক্ষক।
http://www.rtnn.net/bangla//newsdetail/detail/3/47/93444…
এদিকে শফিউল ইসলাম হত্যায় নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন নিকটস্থ আত্মীয়স্বজন। তালাক দেয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় তাকে বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রামের বাড়িতে জানাজায় অংশ নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে নিহতের আত্মীয়রা এ অভিযোগ করেন। তারা বলেন, গত ঈদুল-আজহার সময় তিনি বাড়িতে এসে বলেছিলেন, ‘আমার জীবন হুমকির মুখে। তালাক দেয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষ থেকে আমাকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। সার্বিক বিষয়ে মতিহার থানার কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর বলেন, ‘ওই ছাত্রীকে আটকের পর গোয়েন্দা দপ্তরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। পরে এ বিষয়টি সাংবাদিকদের জানানো হবে।
একা বাসায় একজন ছাত্রীর সাথে রাত যাপন করেন ওই শিক্ষক।
এরপর শনিবার সকালে ওই ছাত্রীকে ঘরে রেখেই বাসায় তালা দিয়ে শফিউল ইসলাম বিভাগে যান।
http://mzamin.com/details.php?mzamin=NTA3NTc%3D&sMg=%3D
কিছু মিডিয়া শুধু জঙ্গি নাটক তৈরী করে আসল ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার চেস্টা করা হচ্ছে। শিক্ষকের অনৈতিক কাজ ফাস হয়ে গেছে , তাই জঙ্গি কাহিনী প্রচার করে নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এদিকে, এ ঘটনার পর মেয়েটির মা, বাবা ও তার মামা তাকে উদ্ধারের জন্য গোবিন্দগঞ্জ থেকে শনিবার দুপুরের দিকে ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন। পরিবারের সদস্যরা স্যারের বাসা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য প্রভাবশালী নেতার দ্বারস্থ হন। এরপর বেলা তিনটার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফেরার পথে শফিউল সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই ডিবি পুলিশের সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে ফেলে। কিছুক্ষণ পর তারা ওই বাড়িতে তালা ভেঙে তল্লাশি চালায়। এ সময় বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ওই ছাত্রীকে আটক করে পুলিশ। তবে তার আটকের ঘটনা গোপন রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু একটি চক্র জঙ্গি নাটক প্রচার করে আসল অপকর্ম ধামা চাপা দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে গেছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন