ট্রাইবুন্যাল বা সেই আদালতের দৃষ্টিতে জনগণ কারা ?

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৯ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:০৬:৫১ বিকাল



ট্রাইবুন্যাল বলেছে, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ি রায় দেয়া হয়েছে। আওয়ামিলীগ এবং ভারতের মদদ পুষ্ট , টাকায় কেনা মাত্র কয়েকজন বিতর্কিত শাহবাগী কি সারা দেশের জনগণ ?

গণতন্ত্র ও সংবিধানের দোহাই দিয়ে বিনাভোটে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে একটার পর একটা রেশমা নাটক করে যাচ্ছে। ক্ষমতার দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের সমস্ত মানুষকে জিম্মি করেছে আওয়ামী লীগ

আওয়ামিলীগ এবং ভারতের মদদ পুষ্ট , টাকায় কেনা বিতর্কিত শাহবাগী ভারতের পত্রিকার প্রমান



ট্রাইবুন্যাল বলেছে, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ি রায় দেয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল রায় দেবে আইন ও সংবিধান মেনে। এ ধরনের বক্তব্য কেবল রাজনৈতিক নেতারা দিতে পারেন।

প্রশ্ন হচ্ছে এই জনগণ কারা ? তাহলে যারা আদালতের উপর চাপ দিচ্ছে , আদালতের বিচারক নিয়োগ দিয়েছে এরা কি সেই জনগণ ? আওয়ামিলীগ এবং ভারতের মদদ পুষ্ট , টাকায় কিনা মাত্র কয়েকজন বিতর্কিত শাহবাগী কি সারা দেশের জনগণ ?

২৯ অক্টোবর ২০১৪ শাহবাগের চিত্র ( আওয়ামিলীগ এবং বাম সমর্থক অনলাইন পত্রিকার খবর )



সরাসরি শেখ হাসিনার হুকুমে জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য হয় মুক্তিযোদ্ধা নান্নু।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল এর জন্য মিথ্যা সাক্ষ্য নিয়ে আসার অন্যতম নায়ক হচ্ছে লেফট্যানেন্ট জেনারেল ইমরুল কায়েস...তিনি সেনাবাহীনির সেকেন্ড ইন কমান্ড! শেখ হাসিনা তাকে পদোন্নতি দেন! তিনি মুক্তিযোদ্ধা নান্নুকে ক্যন্টনম্যান্ট এ নিয়ে যেয়ে জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে বাধ্য করেন।

সাথে জড়িত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি শামসুল হক টুকু। ইউটুবে এই ভিডিওটি এখনো আছে।

আবারো বলতে হয় --

ট্রাইবুন্যাল বলেছে, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ি রায় দেয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল রায় দেবে আইন ও সংবিধান মেনে। এ ধরনের বক্তব্য কেবল রাজনৈতিক নেতারা দিতে পারেন।

প্রশ্ন হচ্ছে এই জনগণ কারা ? তাহলে যারা আদালতের উপর চাপ দিচ্ছে , আদালতের বিচারক নিয়োগ দিয়েছে এরা কি সেই জনগণ ?

সারা দেশের লাখ লাখ মানুষ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে রাজপথে আছে , তারা কি বাংলাদেশের জনগণ নয় ?

আদালতে বিচার হবে আইন ও সংবিধান মেনে , সঠিক স্বাক্ষীদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তথ্য যাচাই বাছাই করে , যুক্তি তর্ক শুনে আইনের ধারা অনুযায়ী বিচার কার্য করা।

কিন্তু ট্রাইবুন্যাল বলেছে, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ি রায় দেয়া হয়েছে। তাহলে আইন , সংবিধান , সটিক স্বাক্ষীদের কি দরকার।

বিচারপতিরা কথা বলবেন আইনের ভাষায়। তারা রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে পারেন না। মতিউর রহমান নিজামীকে মন্ত্রী বানানো ভুল ছিল এমন মন্তব্য ট্রাইব্যুনাল করতে পারে না। মতিউর রহমান নিজামী ভোটে নির্বাচিত হয়ে এমপি ও পরে মন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ট্রাইবুন্যাল বলেছে, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ি রায় দেয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল রায় দেবে আইন ও সংবিধান মেনে। এ ধরনের বক্তব্য কেবল রাজনৈতিক নেতারা দিতে পারেন।

ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে পারে না: এডভোকেট তাজুল ইসলাম

http://mzamin.com/details.php?mzamin=+NDc4ODc%3D&s=MQ%3D%3D#.VFDJmzA9zZo



অতীতের সেই ভিডিও নিয়ে কিছু কথা


মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে আওয়ামিলীগ পক্ষ যে অভিযোগ উত্থাপন করেছে , তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও কাল্পনিক। যার প্রমাণ তার জন্মস্থান পাবনার একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ তিনজন বিশিষ্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা। তারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ট্রাইব্যুনালে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন সেখানে তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সাথে তার দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও নিজামীকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করায় দেশবাসী বিস্মিত, হতবাক ও গভীরভাবে মর্মাহত। এ রায়ে মাওলানা নিজামী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। দেশবাসী এ রায় প্রত্যাখ্যান করছে।

ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার পর পরই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের সাথে তদানীন্তন আইনমন্ত্রীর বৈঠক, পরবর্তীতে স্কাইপ কেলেঙ্কারি, ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে গুরুত্ব পূর্ণ সাক্ষী অপহরণ, মামলার রায়ের দিন তারিখ ঘোষণা করে আওয়ামিলীগ সরকার ও সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রমে তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

সুরঞ্জিত সেন , তোফায়েল আহমেদ , জিল্লুর রহমান , আব্দুস সামাদ আজাদ এবং মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী। আওয়ামীলীগের সাথে যখন ছিলেন তখন রাজাকার , যুদ্ধ অপরাধী ছিলেন না।

১৯৯৫ সালের ২৭ জুন - শেখ হাসিনা , সাজেদা চৌধুরী , মায়া , মওদুদ আহমেদ এবং মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী

(লিখাটিতে আইনের কোনো ধারা লঙ্গন করা হয়নি)

বিষয়: বিবিধ

২৩৩৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

279363
২৯ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:২১
সালমা লিখেছেন :

এরাই হলো সেই জনগন
২৯ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৭
223117
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : ১৬ কোটি জনগনের মধ্যে মাত্র ১৫/২০ জন আদালতের কাছে জনগণ। বিরিয়ানি চেতনা কথা বলে--- অনেক ধন্যবাদ
279542
৩০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৩৬
কাঁচের বালি লিখেছেন : আসলেই বাংলাদেশে আজকে মানবাধিকার বলে কোন শব্দ খুঁজে পাওয়া যাবে না ।
পোস্ট ভালো লেগেছে , আপনাকে ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File