দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে সনদ নিন , শর্ত একটাই আওয়ামীলীগের কালো কোর্ট থাকতে হবে
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১০ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:৫০:০৯ দুপুর
আওয়ামীলীগের সবাইকে দায় মুক্তি দেয়ার কাজটি দুদক করে যাচ্ছে।
দুর্নীতির অভিযোগ থেকে এবার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হককে দায়মুক্তি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ ছাড়া এর আগে পদ্মা সেতু দুর্নীতির অভিযোগ থেকে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনসহ ১০ জনকে দায়মুক্তি দেয় দুদক।
এমনকি রেলের নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া রেলের পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইউসুফ আলী মৃধাও দুদকের করা পাঁচটি মামলা থেকে অব্যাহতি পান।
হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৯ সালে মন্ত্রী হওয়ার পর পাঁচ বছরে রুহুল হকের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১১০ শতাংশ। আর তাঁর স্ত্রী ইলা হকের সম্পদ বেড়েছে ৭৮২ শতাংশ।
পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারির সাত আসামির পর ঢাকার সাংসদ আসলামুল হককেও দায়মুক্তি দিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রসংক্রান্ত মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, রেলের নিয়োগ-বাণিজ্যে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিসহ অবৈধ সম্পদের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা এইচ বি এম ইকবাল, ২০০১ সালে আদমশুমারি ও গৃহ গণনা প্রকল্পের প্রশ্নপত্র মুদ্রণ অনিয়মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদের সদস্য ও দলীয় নেতা জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, সুভাষ সিংহ সহ আওয়ামীলীগের সকল নেতা , সাইমুম সরোয়ার কমল ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের কেলেঙ্কারিতে আওয়ামীলীগের দুই সাংসদপুত্রের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আলোচনা থাকলেও কোনোটাই প্রমাণ করার ব্যাপারে তেমন আগ্রহ নেই দুদকের।
সাতক্ষীরা-৩ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ রুহুল হকের বিপুল সম্পদের খোঁজ পেয়েছিলেন দুদকের সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা। এর বাইরে পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্ব সাবেক এই মন্ত্রীকে বিপুল সম্পদের মালিক বানিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী ইলা হক ও ছেলে জিয়াউল হকের নামেও বিপুল সম্পদের অস্তিত্ব মিলেছে। দুদকের প্রতিবেদনে বেশ কিছু জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ এবং আরও প্রায় আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।
আওয়ামীলীগের দুই সাংসদ বদি ও মাহবুবুর রহমান এবং সাবেক মন্ত্রী মান্নান খানের বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও তদন্তকাজ শুরুই হয়নি। সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান সহ সবাইকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেয়া হবে যেকোনো দিন।
রাজশাহীর সাংসদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রতিবেদন , হলফনামা ও সম্পদ বিবরণীর মধ্যে বিপুল গড়মিল পাওয়া গেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের অনুসন্ধানে দেখা গেছে দুই বছরে মোট ৩৫ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার তথ্য গোপন করেছেন ।
প্রকাশিত খবরের কাগজের কিছু কার্টিং
১৫-১৬ টাকা টাকার বিদ্যুৎ ১৫০০ (দেড় হাজার) টাকা।
অবাক হবেন না - কুইক রেন্টাল প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ দেড় হাজার টাকা
মালিক হচ্ছেন - জাতীয় পার্টির (জাপা) মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
এত দিন মুক্তিযোদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানিদের পক্ষে সেনা বাহিনীতে চাকুরী করে বাংলাদেশের উপর হামলা কারী যোদ্ধঅপরাধী কর্নেল ফারুক খান ( তার ভাই দেশ স্বাধীনের পর ও বাংলাদেশে আসেন নাই ) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট আওয়ামীলীগের সভাপতি সহ শেখ হাসিনার পরিবার কুইক রেন্টালের নাম প্রতিমাসে শত কোটি টাকার লুটপাট করছে।
সেই সাথে বিনা ভোটের অবৈধ সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) মন্ত্রীরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে।
ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ে ইউনিটপ্রতি সরকারের খরচ হয় গড়ে ১৫-১৬ টাকা। অথচ জাতীয় পার্টির (জাপা) মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের কেন্দ্র থেকে গত অর্থবছর প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনা হয়েছে দেড় হাজার টাকায়। কেন্দ্রটির মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়ানোর পর অস্বাভাবিক মূল্যে এ বিদ্যুৎ কেনে সরকার।
এনার্জিস পাওয়ার করপোরেশনের শিকলবাহা ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উদ্যোক্তা জাতীয় পার্টির নেতা ও পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। গতকাল প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে চেয়ারম্যান হিসেবে তার নাম দেখা যায়।
ফার্নেস অয়েলচালিত কেন্দ্রটি থেকে ইউনিটপ্রতি ১৫ টাকা ৮৩ পয়সায় বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
তিন বছর আট মাসে কমিশন বিলুপ্ত ব্যুরোসহ ৫৩৪৯টি দুর্নীতির অনুসন্ধান নথিভুক্ত করে আসামিদের দায়মুক্তি দিয়েছে। এর মধ্যে শুধু চলতি বছর আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ রাজনীতিক ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এই আট মাসে ৯০৪টি দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে ৮৭০ জনের বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের হয়নি।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হককেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার কথা জানায় দুদক।
এছাড়া, আট মাসে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়াদের মধ্যে আরও রয়েছেন- জাতীয় সংসদের উপনেতা ও সাবেক বনমন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সাবেক এমপি এইচবিএম ইকবাল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মোহাম্মদ নাসিম, ফিলিপাইনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাজেদা রফিকুন নেসা, পেট্রোবাংলার জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) আইয়ুব খান চৌধুরী, সিআইডি’র সাবেক পুলিশ সুপার এম রফিকুল ইসলাম, রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালক এম আবু তাহের, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক কর কমিশনার এমদাদুল হক প্রমুখ।
এমনকি রেলের নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইউসুফ আলী মৃধাও দুদকের করা পাঁচটি মামলা থেকে অব্যাহতি পান।
গত বছর ৩৫০টি অভিযোগ গ্রহণ করে দুদক এবং ১০৫ জনকে সম্পদের হিসাব দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়। ২০১৩ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতা ও দলটির সঙ্গে সংশিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগসমূহ আনা হয়েছিল, সেগুলো খারিজ করে দিয়েছে কমিশন। এর মধ্যে এইচবিএম ইকবাল ছাড়াও আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর দুর্নীতির দুটি অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দেয় কমিশন।
বিষয়: বিবিধ
১৯৩৬ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এতো কষ্ট করে প্রমাণ গুলো খুঁজে আমাদের কে তথ্য দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন