শেখ হাসিনার আর্থিক দুর্নীতি প্রমানের পর ও সব মামলা গায়েব

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:২২:৩৭ সকাল



সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট নির্মানের কাজ দেয়ার



পত্রিকাটির নাম “আমাদের সময়” তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০০৭।



এতে বলা হয়েছে, সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট নির্মানের কাজ দেয়ার বিনিময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ী আজম জে চৌধুরীর কাছে থেকে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা ঘুস নিয়েছিলেন ২০০০ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে ২০০১ সালের ২৩ মার্চ সময়কালে। শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই শেখ সেলিমের বাসায় ওই ঘুসের টাকা ৮টি চেকের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়। যার প্রমানস্বরূপ চেকের কপি ব্যাংক থেকে তুলে কোর্টে দাখিল করা হয়েছে।

ষ্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চেকের কথা

২৪/১০/২০০০ তারিখের ১৮১১৪১৪ নম্বর চেকে ২৫ লাখ টাকা

২৪/১০/২০০০ তারিখের ১৮১১৪১৫ নম্বর চেকে ২৫ লাখ টাকা

২৪/১০/২০০০ তারিখের ১৮১১৪১৭ নম্বর চেকে ২৭ লাখ টাকা,

২৪/১০/২০০০ তারিখের ১৮১১৪১৬ নম্বর চেকে ২৭ লাখ ৭৫০০ টাকা,

সাউথ ইষ্ট ব্যাংকের চেকের কথা

১১/০২/২০০১ তারিখের ২২৮২৬৩২ চেকে ৫০ লাখ টাকা,

১৪/০২/২০০১ তারিখের ২২৮২৬৩৩ চেকে ৫০ লাখ টাকা,

১৪/০২/২০০১ তারিখের ২২৮২৬৩৪ চেকে ৭২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা,

১৩/০৩/২০০১ তারিখের ২২৮৪০৩৪ চেকে ২৫ লাখ টাকা,

২৪/০৩/২০০১ তারিখের ২২৮৪০৩৫ চেকে ২৫ লাখ টাকা,

সর্বমোট ২ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা।

শেখ হাসিনার নির্দেশে এ ঘুসের টাকা হতে ১ কোটি টাকা দেয়া হয় ছোট বোন শেখ রেহানাকে। বাকী টাকা বাংলার বাণীর জন্য খরচ করা হয়। এ বিষয়ে শেখ সেলিম ১৬৪ ধারায় কোর্টে জবানবন্দি দিয়েছেন। শেখ সেলিমের স্বীকৃতির কথাবার্তা ইউটিউবে পাওয়া যায়।

http://www.youtube.com/watch?v=xlbN1b5POww

http://youtu.be/-ds49fJXP60

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল যৌথ বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে শেখ হাসিনার সব গোমর ফাক করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। যৌথ বাহিনীর হেফাজতে থাকা আবদুল জলিল ও মিন্টুর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার, ৩০ এপ্রিল ট্রাম্পকার্ডের কথা

http://youtu.be/50sg6Pytw2M

ওবায়দুল কাদেরের মুখে শুনুন - এরশাদের কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা নিয়ে শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সালে নির্বাচনে

http://youtu.be/6tcB5zJlrjo

বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩৮৪, ৩৮৫ ও ৩৪ ধারায় এ অপরাধের জন্য শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ সাজা হওয়ার কথা- ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড। ২০০৭ সালের ১৩ জুন এ সংক্রান্তে একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের হয় গুলশান থানায়। পরে আদালত শুনানি শেষে চার্জশিট গ্রহণ করে এবং শেখ হাসিনা, শেখ সেলিম ও শেখ রেহানার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। মামলাটির বিচারকার্য চলে বিশেষ জজ আদালতে, সাক্ষ্য গ্রহণ হয় এবং রায় ঘোষনার কাছাকাছি পৌছায়। এর পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আগে জেনারেল মইনের সাথে গোপন সমঝোতার ফলে রহস্যজনক কারনে হঠাৎ মামলাটির বিচার কার্য বন্ধ হয়ে যায়। ২৯ ডিসেম্বর নীল নকশার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত আঁতাতের সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। এক পর্যায়ে বাদী আজম জে চৌধুরীকে চাপ দিয়ে মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়।

কেবল এই একটি মামলা নয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মোট ১৫ টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে পল্টনে লগি-বৈঠা দিয়ে ১২ জন হত্যা করার হুকুমের আসামী হিসাবে ১টি খুনের মামলা এবং ১৪টি দুর্নীতির মামলায় মোট চৌদ্দ হাজার কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছিল। প্রায় ২০ কোটি টাকার ঘুষ গ্রহণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল ব্যবসায়ীদের দায়ের করা কয়েকটি মামলায়। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবার পরে সবগুলি মামলা একে একে সরকার তুলে নেয় বা নিজেদের তৈরী করা কোর্ট দ্বারা বাতিল করানো হয়। এই হলো- শেখ হাসিনার সততা!! সরকারী ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে মামলা তোলা যেতে পারে, কিন্তু জনগনের কাছে ‘ভালো মানুষ’ হয়ে যায় না।

(সংগ্রহিত)

বিষয়: বিবিধ

৩২৭৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

269773
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
271306
০৪ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৫৮
কাঁচের বালি লিখেছেন : হাসু বিবির কুকর্মের প্রমাণ , ধরা খাইলো Time Out

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File