ছাত্রলীগের আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। কিন্তু জঙ্গি প্রশিক্ষণ নয় , রক্ষী বাহিনীর প্রশিক্ষণ ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৪:৪১:৩৭ রাত
ইবিতে অস্ত্র প্রশিক্ষক ছাত্রলীগ নেতা: প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক!
http://www.sheershanews.com/2014/09/07/50578#sthash.8kkoTf6L.dpuf
সেই ছাত্রলীগ নেতার অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
কিছুদিন আগে অস্ত্র হাতে ক্যাম্পাসে দেখা গিয়েছিল তাকে। পুলিশের অস্ত্র কেড়ে প্রতিপক্ষের ওপর গুলি ছুড়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তার পরিচিতি পিস্তল সজীব নামে। তবে সজীব শুধু নিজেই পিস্তল চালান না। তিনি অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষকও!। তার হাতে অস্ত্র চালনার পাঠ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও। আজিজুল হক মামুন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি। বর্তমানে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে যোগ দিয়েছেন সরকারি চাকরিতে।
http://mzamin.com/details.php?mzamin=NDAzNzI%3D&s=Mg%3D%3D#.VAzXHj5Rpo4
আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণের ছবির বিষয়ে জানতে চেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক মতিয়ার রহমানের কাছে ফোন করলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, কিসের ছবি? পরে ছবির বর্ণনা শোনার পর বলেন, সেটি তো খেলনা অস্ত্র। ছোট বাচ্চারা এ ধরনের পিস্তল নিয়ে খেলাধুলা করে। আমিও সজীবের সঙ্গে খেলনা পিস্তল খেলছিলাম। কিন্তু ছবিতে দেখা যাচ্ছে গুলি ফায়ারের পর ধুয়া বের হচ্ছে
ছাত্রলীগ নেতা সজীব ক্যাম্পাসে ‘পিস্তল সজীব’ নামে পরিচিত। কুষ্টিয়া শহরের আদর্শপাড়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের একমাত্র পুত্র তিনি। তার মা মমতাজ বেগম সোনালী ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার কর্মচারী। সজীব ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগে ভর্তি হন। বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আট বছর আগে ওই বিভাগে ভর্তি হলেও সজীব বারবার ফেল করার কারণে এখনও দ্বিতীয় বর্ষের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুকম্পায় এখনও তার ছাত্রত্ব টিকে আছে। ২০১৩ সালের ১৭ই জানুয়ারি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে ছাত্রদল কর্মীদের ওপর গুলি ছুড়ে প্রথমে সংবাদ শিরোনাম হন এই সজীব। এরপর ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীর-তুহিন কমিটি বিলুপ্ত হলে হঠাৎ করেই ক্যাডার থেকে নেতা বনে যান এ নেতা। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ সজীবকে আহ্বায়ক কমিটির ২নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক পদে পুরস্কৃত করেন। পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার পুরস্কার হিসেবেই এ পদ পান বলে ক্যাম্পাসে ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে প্রতিটি সংঘর্ষে নতুন নতুন অস্ত্রের প্রদর্শনী করতে দেখা যায় তাকে।
(সুত্র মানবজমিন , শীর্ষ নিউজ - ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪)
সম্প্রতি তোলা একটি স্টিলচিত্রে দেখা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি নির্জন স্থানে সজিবের কাছে থেকে নাইন এমএম অস্ত্র পরিচালনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ওই বিসিএস ক্যাডার আজিজুল হক মামুন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক মতিয়ার রহমান। তাদের পাশে হাস্যোজ্জ্বল মুখে দাঁড়িয়ে আছেন ছাত্রলীগ নেতা সজিব ও সজিবের সহযোগী অস্ত্রবাহক ইবির আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা সালাহউদ্দিন। বিসিএস ক্যাডার আজিজুল হক মামুন ও শিক্ষক মতিয়ার রহমান উভয়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন।
ইবিতে ছাত্রলীগ নেতার কাছে শিক্ষকের অস্ত্র প্রশিক্ষণ
বাংলামেইল২৪ডটকম ..
http://www.banglamail24.com/news/2014/09/08/id/65023/
সজিবের কাছ থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন শিক্ষক মতিয়ার রহমান
সজিবের কাছ থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন শিক্ষক আজিজুর রহমান মামুন
জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা সজিব ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে টিন দিয়ে ঘেরা নির্মাণাধীন দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের অভ্যন্তরে এবং মেডিকেল সেন্টারের পেছনে লেকের ঝোঁপঝাড়ে প্রায়ই অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। ক্লাস চলাকালে কিংবা বিকেলের নির্জন সময়গুলোকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়টি ক্যাম্পাস ওপেন সিক্রেট বলে জানা গেছে। প্রায়ই এ সব স্থান থেকে গুলির শব্দ কানে ভেসে আসে বলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন।
ছাত্রলীগ নেতার কাছে অস্ত্র চালানো শিখছেন শিক্ষক
যুগান্তরে প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
http://shar.es/11yF5N
গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষের ওপর হামলায় অস্ত্র হাতে সজিব
বেশ কয়েকটি খবরের কাগজের লিংক , সহ দেয়ার পর ও কি বিশ্বাস হবে না ? ডিজিটাল নিয়মে রক্ষীবাহিনী সেই সাথে
রক্ষীবাহিনীর কিছু লোক বিসিএস এর মাধ্যমে সরকারী চাকুরিতে। চেতনার বাস্থবায়ন করতে হবে। এরা জঙ্গি হবে না
বিষয়: বিবিধ
৩৩৮৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই পিস্তলটি লাইসেন্স করা কিনা?
লাইসেন্স করা হলেও তিনি সেটা ব্যবহার করতে পারেন না।
খেলনা পিস্তল ব্যবহার করার জন্য কেন জঙ্গলে গমন তার কোন উত্তর নাই!
খেলনা পিস্তলেই যদি তাঁর আসক্তি হবে তাহলে তিনি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হিসেবেই ভাল করতেন।
আরো কত কি বহু প্রশ্ন থেকে যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন