জিয়ে পাকিস্থান নিয়ে শুধু একে খন্দকার লিখেন নাই , আরো অনেকে লিখেছিলেন
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:২৫:১৪ বিকাল
৭ মার্চ ১৯৭১ - শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণের শেষে
জিয়ে পাকিস্থান , জয় পাকিস্থান বলেছিলেন ।
প্রমান
(১) ১৯৬৮ -৬৯ সালে আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমেনা বেগম
জাতীয় প্রেসক্লাবের এক সভায় বলেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণের শেষে “জয় পাকিস্তান” বলেছিলেন।
সাপ্তাহিক বিচিত্রা ৫/১১/১৯৭৬
(২) সাংবাদিক নির্মল সেন তাঁর বই আমার জীবনে একাত্তর,প্রকাশকঃ বর্তমান সময়, বইয়ের পৃ ১১ লিখেছেন ৭ মার্চ ১৯৭১ ভাষণের শেষে মুজিব “জয় পাকিস্তান” বলেছিলেন।
(৩) সাংবাদিক (আতাউস সামাদ ‘যেভাবে আমরা পেলাম দিনটি’ কলামে (সূত্রঃ যুগান্তর, ০৭/০৩/১১) ‘জিয়ে পাকিস্তান’ বলেছিলেন বলে উল্লেখ করেন।
(৪) অলি আহাদের জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫ থেকে ৭৫ বইয়ের ৩৮৬ পৃষ্ঠা, ৪র্থ সংস্করণ- ফেব্রুয়ারী ২০০৪ তেও ভাষণের শেষে “জয় পাকিস্তান” এর উল্লেখ আছে।
(৫) A sector commanderremembers Bangladesh Liberation War 1971 কর্নেল নূরুজ্জামান লিখেছেন যে মুজিব পাকিস্তান জিন্দাবাদ ( ‘জিয়ে পাকিস্তান’ ) বলেই ভাষণ শেষ করেছিলেন।
(৬) মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন , ছাত্রলীগের সভাপতি , আওয়ামীলীগের প্রথম সরকারী দলের চীপ হুইপ তার আত্মকথা বইয়ে বলেছি বলছি বলবো পৃষ্টা - ৩৭ লিখেছেন - শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণের শেষে জিয়ে পাকিস্থান বলেন ।
(৭) ১৯৯৭ সালের ২ মার্চ " মুক্তি যোদ্ধা চেতনা মঞ্চ " আয়োজনে আলোচনা সভায় জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরেফ আহমেদ বলেছিলেন - ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণের শেষে শেখ মুজিবুর রহমান জিয়ে পাকিস্থান বলেছিলেন। কাজী আরেফের বক্তব্য ১৯৯৭ সালের ৩ মার্চের জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
(৮) সাবেক প্রধান বিচারপতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান (১৯৯৬) হাবিবুর রহমান তাঁর বই বাংলাদেশের তারিখ ৩৮ পৃষ্টায় উল্লেখ আছে - ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণের শেষে
জিয়ে পাকিস্থান বলেছিলেন।
সামসুর রহমানের বইয়ে লিখা আছে - জিয়ে পাকিস্তান
আরো প্রমান জানতে হলে - আবুল মনসুর আহমদ, আহমেদ ছফা সহ তত্কালীন নেতাদের বই আর্টিকেল দেখতে পারেন।
বিষয়: বিবিধ
৩০৯০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১. শেখ মুজিবকে হত্যার পর বাকশাল নেতা মোশতাক রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন। গঠন করেন মন্ত্রীসভা। শেখ মুজিবের মন্ত্রীসভার প্রায় সকলেই মোশতাকের মন্ত্রীসভার সভায় শপথ নেন।
২. মোশতাক সারাদেশে সামরিক আইন জারি করেন। ঐ সময় সেনাপ্রধান ছিলেন শফিউল্লাহ।
৩. শহীদ জিয়া সেই সময় ছিলেন সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ।
৪. শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের পরে মোশতাকের মন্ত্রীসভার শপথ অনুষ্ঠানে যাননি জিয়াউর রহমান। বিজয়ীর বেশে গিয়েছিল তাহের-ইনু বাহিনী এবং তৎকালীন মুজিব বিরোধী নেতারা।
৫. শেখ মুজিব হত্যাকান্ডের পর আরো কমপক্ষে দশ দিন, অর্থাৎ ২৪শে আগস্ট পর্যন্ত জেনারেল শফিউল্লাহ ছিলেন সেনা প্রধান।
৬. রাষ্ট্রদূত হিসাবে সরকারি চাকুরী কনফার্ম করার পর সেনাপ্রধানের পদ ছাড়েন শফিউল্লাহ। এরপর যথা নিয়মে ডেপুটি চীফ অব স্টাফ থেকে প্রমোশন পেয়ে ২৫শে আগস্ট সেনাপ্রধান হন জিয়াউর রহমান।
৭. সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর রক্ষী বাহিনীর প্রভাবমুক্ত একটি শক্তিশালী পেশাদার ও সেনাবাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন শহীদ জিয়া।
৮. জিয়াকে মেনে নিতে পারেননি ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ। তিনি ভেতরে ভেতরে জিয়াউর রহমানকে সরানোর চক্রান্ত শুরু করেন।
৯. চক্রান্তের অংশ হিসেবে খালেদ মোশারফ ১৯৭৫ সালের ২রা নভেম্বর সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করেন।
১০. ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোশতাকের অনুমোদন নিয়ে মেজর জেনারেল হিসেবে নিজেই নিজের প্রমোশন নেন এবং এরপর প্রশাসন চলে খালেদ মোশারফের ইশারায়।
১১. ১৯৭৫ সালের ৫ই নভেম্বর রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোশতাক। তার আগে মোশতাক এবং খালেদ মোশারফ বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব দেন ৬ই নভেম্বর। বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি। শেখ মুজিব পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসেন ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারী। এর দুই দিন পর ১২ই জানুয়ারী সায়েমকে প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়।
১২. ১৫ই আগস্ট থেকে মোশতাক-শফিউল্লাহর জারী করা সামরিক আইন বহাল থাকায় রাষ্ট্রপতি সায়েম একাধারে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের ও দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য, ৭ই নভেম্বর সংঘটিত হয় সিপাহী-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব। শহীদ জিয়াকে বের করে আনা হয় বন্দীদশা থেকে।
১৩. ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর জেলের মধ্যে সংঘটিত হয় ৪ নেতা হত্যাকান্ড। আবার ৬ই নভেম্বর পাল্টা ক্যু'তে নিহত হন খালেদ মোশারফ। ১৯৭৭ সালের ২০শে এপ্রিল পর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি সায়েম।
১৪. এ সময়কালে জিয়া ছিলেন সেনা প্রধান এবং উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক।
১৫. ১৯৭৭ সালের ২০শে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিচারপ্রতি সায়েম। এরপর প্রেসিডেন্ট এবং উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দাযিত্ব নেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
১৬. ১৯৭৮ সালের ৩রা জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবার গৌরব অর্জন করেন প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়া। ঐ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১০ জন।
১৭. ১৯৭৯ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি ২৬০টি এবং আওয়ামীলীগ ৩৯টি আসন লাভ করে। নির্বাচনে মোট ২৯টি দল অংশ নেয়।
১৮. ১৯৭৮ সালের মে মাসে শহীদ জিয়া ১৯ দফা কর্মসূচী ঘোষনা করেন।
১৯. এই কর্মসূচীর উপর জনগনের আস্থা আছে কিনা সেটি যাচাইয়ের জন্য ১৯৭৮ সালের ৩০শে মে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।
২০. জিয়াউর রহমান সামরিক আইন জারি করেননি। ১৫ই আগস্ট সামরিক আইন জারী করেন মোশতাক। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর বরং তিনি সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন।
২১. জিয়াউর রহমান ইনডিমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেননি। ইনডিমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল মোশতাক সরকার ১৯৭৫ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর।
২২. জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করেন নি। ১৯৭৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর দালাল আইন বাতিল করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, যে কিনা বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলো শেখ মুজিব কর্তৃক।
এই শব্দটি তো তাকে পাকিস্তান ভাঙ্গার দায় থেকে মুক্তি দিচ্ছে। আর যদি তিনি শুধু জয়বাংলা বলেন তবে কেবল সেই অভিযোগে ও তৎকালিন পাকিস্তান তাকে গ্রেফতার করা বৈধ। এটা মনে রাখতে হবে ৭০ এর নির্বাচন পাকিস্তান ভাঙ্গার কোন ম্যান্ডেট ছিলনা।
এই ইউ টিউব টি শুনুন। ঐ দিন সন্ধায় রেডিওতে এই একই ভাষন শুনা গিয়ে ছিল।
https://www.youtube.com/watch?v=J9vUulq4tZI
মন্তব্য করতে লগইন করুন