আজ ২ আগষ্ট। মানিকের ধষর্নের সেঞ্চুরীর উৎযাপন পালন
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০২ আগস্ট, ২০১৪, ১১:৫৮:১২ রাত
আজ ২ আগষ্ট। ১৯৯৯ সালে এইদিনে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষক বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মানিক কেক কেটে ধষর্নের সেঞ্চুরীর উৎযাপন উৎসব পালন করে।
১৭ আগস্ট’৯৮, কিছু ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর ছাত্রী ধর্ষনের খবর প্রথম পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ২০ তারিখ থেকে শুরু হয় সংঘবদ্ধ আন্দোলন।
ধর্ষনের বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২৩ আগস্ট ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৎকালীন অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদকে লাঞ্চিত করে।
আন্দোলনের মুখে আওয়ামী শিক্ষক প্রশাসন সত্যতা যাচাই কমিটি গঠন করলেও টালবাহানার আশ্রয়ে তারা ধর্ষকদের পক্ষ অবলম্বন করে। ৩ সেপ্টেম্বর কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত হয়ে প্রথমে ১৩, তারপর ২২ এবং ২৪ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হয় রায় প্রকাশের দিন। অন্য দিকে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই ক্যাম্পাসে অনবরত চলতে থাকে ছাত্রলীগের হুমকি ভয়-ভীতি। ছাত্রসমাজের আন্দোলনকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকে দোষীরা নিজেদের রক্ষার ঢাল বের করে। স্যুটলিস্ট-রেপলিস্ট- হিটলিস্ট বানিয়ে আন্দোলনকে দূর্বল করার চেষ্টা করে মুখোশ পরা সন্ত্রাসীরা। প্রশাসনও দেয় প্রত্যক্ষ্ মদদ ।
২৪ সেপ্টেম্বর’৯৮, সেদিন ছিল দিনব্যাপী সিন্ডিকেট সভা। আন্দোলনরত ছাত্ররা ঘেরাও করে সিন্ডিকেট। অন্যদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে চালাতে থাকে ছাত্রলীগের সশস্ত্র শো-ডাউন।
২৮ তারিখের সিন্ডিকেট পূর্ববর্তী সভার রায় পরিবর্তন করে। ককটেল পার্টি আর মিষ্টি বিতরনের মধ্য দিয়ে ‘ধর্ষণ সেঞ্চুরী’ উদযাপন করা নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র এবং জা’বি শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক যৌন সন্ত্রাসী জসীমউদ্দিন মানিকসহ মাত্র ৫ জনকে শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। বহিষ্কার করা হয় শুধু মানিককে।
২৮ সেপ্টেম্বর’৯৮, সাধারন ছাত্ররা সম্মেলনে রায় প্রত্যাখান করে ‘রেপিস্ট গ্রুপের’ ঐ কুখ্যাত ১৩ জনকেই ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে। ছাত্র সমাজ দুর্বার গতিতে, অসীম সাহসীকতায় ৪০ দিনের অধিক স্থায়ী ছিল প্রথম ধর্ষক প্রতিরোধ আন্দোলন।
বিষয়: বিবিধ
২৪৭৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন