‘প্রশ্ন ফাঁসের হিড়িক’। আওয়ামিলীগ আমলের কাহিনী।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১২ জুলাই, ২০১৪, ০১:৫২:৫৬ দুপুর



ভর্তি পরীক্ষা, নিয়োগ পরীক্ষা, এসএসসি, এইচএসসি, প্রাথমিক সমাপনী, বিসিএস কোনটাই বাদ নেই। উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও আওয়ামিলীগ দলীয় বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না তারা।

দোষীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে

প্রশ্নপত্র ফাঁসের মহোৎসবের মধ্যেও গত ২৬ জুন জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দাবি করেছেন, গত পাঁচ বছরে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

এর মাত্র ৬ দিন পর স্বীকার করেন - প্রশ্নপত্র ফাঁসের মহোৎসবের কথা।

২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিসিএস, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ, অডিট, এনবিআর, এটিইও, মেডিকেল, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা, এসএসসি, এইচএসসি, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ও অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থগিত করা হয় ৩৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা ও অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ১৭ জেলার পরীক্ষা বাতিল করা হয় একই কারণে।

ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বিক্রি এখন সবচেয়ে সহজ ও লাভজনক ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি সিন্ডিকেটের কাছে। এক রাতেই প্রশ্নপত্র বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সংশ্লিষ্টরা।

আওয়ামী লীগের আগের আমলেও প্রশ্ন ফাঁস অতীতের কিছু ঘটনা -

তারিখ ও সংবাদ পত্রের লিংক সহ প্রমান

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আলোচিত এসএসসি পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ও দু’বার ফাঁস হয়েছে।

১৯৯৭ সালে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কারও শাস্তি হয়নি।

১৯৯৯ সালে আবার এসএসসি পরীক্ষার আগে ভোলার একটি কেন্দ্র থেকে ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এ ঘটনায় পরীক্ষা বাতিল করে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। কিন্তু কারও শাস্তি হয়নি। এছাড়া ওই আমলে বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।

২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁস

প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে এই আমলে।

২০০৯ সাল থেকে গতকাল পর্যন্ত বিসিএস, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা, অডিট, এনবিআর, এটিইও, মেডিকেল, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা, এসএসসি, এইচএসসি, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ও অভিযোগ পাওয়া যায়। মন্ত্রণালয় সূত্র, বিশিষ্টজন ও চাকরি প্রার্থীদের মতে, বর্তমান সরকারের সময়ের মতো অতীতে এত বেশি ও গণহারে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি।

২০১৩ সালের ৩১ শে মে ফাঁস হয়ে যায় অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সত্যতা পাওয়ার পর ১২ই জুন ওই পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

২০১০ সালের ৮ই জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা হলেও পরীক্ষা বাতিল হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯১ বছরের ইতিহাসে প্রথম প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে গত ২০১০ সালের ২১শে জানুয়ারি। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার তিনটি সেটের সবটাই ফাঁস হয়। এ ঘটনায় ওই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। প্রশ্ন ফাঁসের সিন্ডিকেটের কয়েক জনকে গ্রেফতার ও তদন্ত কমিটিও করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সিন্ডিকেট চক্রটি আইনের ফাঁকফোকরে পার পেয়ে যায়।

২০১০ সালের ১৬ই জুলাই শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। এতে ওই পরীক্ষা বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।

২০১০ সালের ৮ই জুলাই সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

২০১০ সালের ২৮শে আগস্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়।

২০১০-১১ সালে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।

২০১১ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সিন্ডিকেট চক্রের ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

২০১১ সালে অডিট বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয় ।

২০১২ সালের ২৭শে জানুয়ারি ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই খাদ্য অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ওই পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

২০১২ সালের ২৭শে জুলাই জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষার আগের রাতে পুরান ঢাকার একটি হোটেল থেকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নসহ ১৬ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

২০১২ সালের ৩রা আগস্ট জতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে নিয়োগের বাছাই পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষায় হলের প্রশ্নের শতভাগ মিলে গেলেও ওই পরীক্ষা বাতিল বা তদন্ত হয়নি।

২০১২ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই এটিরও প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। ওই পরীক্ষার আগের রাতে এবং পরীক্ষার দিন সকালে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটে।

২০১২ সালের ৭ই অক্টোবর থেকে ৩৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সব কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়। এ ঘটনায় ৬ই অক্টোবর পিএসসি পরীক্ষা স্থগিত করে।

২০১২ সালের ২১ ও ২২শে নবেম্বর শিশু শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (পিএসসি) গণিত ও বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হওয়ার প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।

২০১৩ সালের ১২ই অক্টোবর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসেরও অভিযোগ ওঠে।

২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর জেএসসি বা সমমান পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও ১৮ দলের ডাকা টানা ৬০ ঘন্টা হরতালে তা পিঁছিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে শুরু হয়। আর এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলে।

http://www.notunkhobor.com/2013/11/07/28461

জেএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস

14-11-2013

http://www.dailyeducation.net/news.php?content_id=1690

গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার দুটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মিললেও ওইসব পরীক্ষা বাতিল হয়নি।

http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDRfMTFfMTRfMV8xXzFfMTIyNTc1

২০১৩ সালের ১২ ও ১৯ শে অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক’ ও ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার হল থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়।

একইভাবে ১২ই অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হল থেকে ফাঁস হয়। সেই প্রশ্নপত্র দিয়ে একটি সিন্ডিকেট তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধদের উত্তর ঘড়ি সদৃশ মোবাইলে পাঠায়। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় ছাত্রলীগ কর্মীসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে ছাত্রলীগ কর্মীদের ছেড়ে দেয়া হয়।

২০১৪ ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে ইংরেজি, বাংলা, গণিতসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়। প্রতিটি পরীক্ষার আগে চারটি করে সেট বের হয়। প্রতিটি সেটের একেকটি অংশ করে চারটি সেটেই শতভাগ কমন পাওয়া যায়। এছাড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৩৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসেরও অভিযোগ রয়েছে।

জাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস‍!

১ মার্চ ২০১৪

http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/271588.হ্ত্ম্ল

লালমনিরহাটে স্বাস্থ্য বিভাগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস

March 28, 2014

http://uttorbangla.com/?p=28575

লালমনিরহাটে স্বাস্থ্য বিভাগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস

২৮ মার্চ ২০১৪

http://janatarnews24.com/details.php?sid=26&id=9693

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস,

এপ্রিল ২, ২০১৪

http://amaderbrahmanbaria.com/bd/2014/04/11073

৩ এপ্রিল, ২০১৪ এইচএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস।

দেশে একযোগে ২০১৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দিন এইচএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস।

১০ এপ্রিল, ২০১৪ এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস।

প্রশ্নপত্র ফাঁস, ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাসহ আটক ২৫

18 April 2014



জামালপুরে এইসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস

মে ৬, ২০১৪

জামালপুরে মঙ্গলবার এইচএসসি পরীক্ষার হিসাব বিজ্ঞান (সৃজনশীল) দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।এব্যপারে জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খান বলেন, হিসাব বিজ্ঞান (সৃজনশীল) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তবে এঘটনাকে তিনি দুঃজনক বলে জানান।

আবারো এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস

26 May 2014 -

গত মাসে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ঢাকা বোর্ডের ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় এখনো তদন্ত চলছে৷ এছাড়াও বোর্ড কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল।

27 May 2014 -এইচএসসি পরীক্ষার গণিত দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুুপুর ১টা পর্যন্ত ওই পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে।

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস

মে ৩০, ২০১৪

http://surmatimes.com/2014/05/30/3940.aspx/

পরীক্ষার হলে হলে উত্তরপত্র দিল ছাত্রলীগ

শিক্ষক নিবন্ধনের প্রশ্নপত্র ফাঁস

May 30, 2014

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টায় মাধ্যমিক শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শুরু হয় পটুয়াখালী কলেজ কেন্দ্রে। কিন্তু সকাল ৬টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল চৌকিদারর নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র তৈরি করে কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। তারা ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র বিক্রি করতে থাকে। একপর্যায়ে পরীক্ষা শুরু হলে পরীক্ষার্থীদের স্বজনদের সঙ্গে চুক্তি করে ওই চক্রটি হলে ঢুকে উত্তরপত্র সরবরাহ করে।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মৌখিকভাবে পুলিশ নিষেধ করলেও তারা প্রশ্ন বাণিজ্য অব্যাহত রাখে। শেষে বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের হল থেকে বের করে দেয়।

http://www.channel7bd.com/education/news-id/470

পরীক্ষার হলে হলে উত্তরপত্র দিল ছাত্রলীগ

http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDE0XzA1XzMwLTk4LTkzNTY5

এবার ফাঁস হলো বাউবি ডিগ্রি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র

July 04, 2014

http://www.notunkhobor.com/2014/07/04/94745

এইচএসসি পরীক্ষার রসায়ন ১ম পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁস !

১৩ মে, ২০১৪

http://www.arthosuchak.com/archives/59678

০৭ জুন ২০১৪, ফের এইচএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস, আটক ২

7 June 2014

এইচএসসি ইংরেজী ২য় পত্রের প্রশ্নপত্র ফের ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDZfMDdfMTRfMF8wXzNfMTM2NDA5

প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি: এইচএসসি’র ইংরেজি ও গণিতের প্রশ্ন হুবহু ফাঁস হয় 2014-06-29

http://www.campusnews24.com/index.php/content/news/10844#sthash.ubQZbOLC.dpuf

সুনামগঞ্জে ডিগ্রি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস:

০৪ জুলাই, ২০১৪

http://www.sheershanews.com/2014/07/04/43365

কমিটির প্রতিবেদন : প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা সত্য

তদন্ত কমিটিও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারেনি .

‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের উৎস উদঘাটন করা যায়নি’

http://mzamin.com/details.php?mzamin=%20MzA1MDA=&s=MQ==

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে উত্তরপত্র বিক্রি করেছে ছাত্রলীগ

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টায় পরীক্ষা শুরুর আগে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের সামনে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের প্রশ্নপত্র বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মৌখিকভাবে পুলিশ নিষেধ করলেও তারা প্রশ্ন বাণিজ্য অব্যাহত রাখে। শেষে বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের হল থেকে বের করে দেয়।

http://www.1newsbd.com/2014/05/30/8065#sthash.Rac3sdQD.dpuf

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডর ২০১৪ সালের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশমালা

শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের লিংক -

http://www.moedu.gov.bd/index.php?option=com_content&task=view&id=842&Itemid=416

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হবার অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে বিসিএসসহ একাধিক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়েছে।

BBChttp://www.bbc.co.uk/bengali/news/2014/05/140530_mb_bd_questions_leak.shtml

বাংলাদেশের পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হলেও ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা যায়নি৷

http://mzamin.com/details.php?mzamin=MzEwMTA=&s=MQ==

ফাঁসের ঘটনায় আওয়ামিলীগ দলীয় লোকদের নাম আসলেও অপরাধীরা বরাবরই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকেছে।

৫৫টি বিষয়ে ১১০টি প্রশ্নপত্র ছাপানো হয় তার মধ্যে কয়েকটি প্রশ্নপত্রের বিষয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে ফেসবুক, বিভিন্ন পত্রিকা ও অন্যান্য উৎস হতে প্রাপ্ত মুদ্রিত বা হাতে লেখা বা সাজেশন আকারে পাওয়া নমুনা, তথ্য, উপাত্ত ইত্যাদি পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি নিশ্চিত হয়েছে যে, ঢাকা বোর্ডের ইংরেজি ২য় পত্র ও গণিত ২য় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।



বোর্ড কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হওয়ায় এ দুটি পরীক্ষার জন্য সম্পূর্ণ নতুন প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে সে প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণ করেছে; ফেসবুক, বিভিন্ন পত্রিকা ও অন্যান্য উৎস হতে প্রাপ্ত মুদ্রিত বা হাতে লেখা বা সাজেশন আকারে পাওয়া রসায়ন ১ম পত্র ও রসায়ন ২য় পত্রের নমুনা প্রশ্ন যাচাই করে মূল প্রশ্নপত্রের সাথে আংশিক মিল পাওয়ায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনপূর্বক নতুন প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে সে প্রশ্নপত্রে এ দুটি পত্রের পরীক্ষা গ্রহণ করে; কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষার কিছু প্রশ্ন ফেসবুকের বিভিন্ন একাউন্টে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়ানো হয়। এ প্রশ্নসমূহ ভিন্ন ভিন্ন একাউন্টে পোস্ট করা হলেও এক একাউন্টের প্রশ্নের সাথে অন্য একাউন্টের প্রশ্নের ভিন্নতা রয়েছে। এ সকল প্রশ্নের সাথে কোন কোন ক্ষেত্রে মূল প্রশ্নপত্রের আংশিক মিল পাওয়া যায়। কখনও কখনও পরীক্ষার দিন বা পরীক্ষা চলাকালীন বা পরীক্ষার পর প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।



ফলে সময়মত প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ না পাওয়ায় এবং এ বিষয়গুলোর প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত না হওয়ায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত প্রশ্নপত্রে এ বিষয়গুলোর পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে।

মিথ্যা বলে ধরা পড়লেই স্বীকার করেন। সংসদে মিথ্যা বলার জন্যে নুরুল ইসলাম নাহিদের বিচার হবে কি ?

[b]সংসদে শিক্ষামন্ত্রী

গত পাঁচ বছরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী


গত পাঁচ বছরে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আজ জুন ২৬, ২০১৪ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন দাবি করেন।



মাত্র ৬ দিন পর নিজের মুখেই প্রশ্ন ফাঁসের কথা স্বীকার করলেন


চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরেজি ও গণিত দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।বুধবার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা স্বীকার করেন।

- See more at: http://www.sheershanews.com/2014/07/02/43083#sthash.vLYxwgJo.dpuf



বিষয়: বিবিধ

৫৬০১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

244085
১২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০২:৩২
হতভাগা লিখেছেন : এতে মেধাবী ছাত্ররাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশী
244118
১২ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:০৫
পুস্পিতা লিখেছেন : আওয়ামী লীগের ইচ্ছা এদেশ হবে ভিনদেশের কোরিডোর, এদেশবাসী হবে কুলি-মজুর বা ট্রাকের হেলপার। তাই এখানে লেখাপড়া বা জ্ঞান অর্জনের কি প্রয়োজন?! তাই তো প্রশ্ন পরীক্ষার কয়েকদিন আগে উত্তর সহ ঘরে পৌঁছিয়ে দেয়া হচ্ছে ডিজিটাল স্টাইলে। এভাবে কয়েকপ্রজন্ম চালিয়ে দিতে পারলে কুলি-মজুরের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তৈরি করার আওয়ামী স্বপ্ন বাস্তবায়িত অটো হয়ে যাবে...

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File