হল-মার্ক কেলেঙ্কারি , দায়মুক্তি -সোনালী হাসের ডিম
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ৩০ মে, ২০১৪, ০১:৪২:৪৮ রাত
জালিয়াতির মাধ্যমে হল-মার্কসহ ছয়টি প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেয় প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে হল-মার্ক একাই আত্মসাৎ করে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বাকি পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো— প্যারাগন নিট কোম্পানি, খানজাহান আলী সোয়েটার্স লিমিটেড, ডি অ্যান্ড স্পোর্টস লিমিটেড, টি অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেড ও নকশী নিট লিমিটেড।
হল-মার্ক কেলেঙ্কারির সময় সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন ১৩ জন। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। সবার আগে পর্ষদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীর নোটিস জারি করে দুদক। পরে আরো নয় সদস্যর বিরুদ্ধেও নোটিস জারি করা হয়। তারা হলেন— সোনালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলাম, পরিচালক সুভাষ সিংহ রায়, অ্যাডভোকেট সত্যেন্দ্র চন্দ্র ভক্ত, এএসএম নাইম, কেএম জামান রোমেল, মো. আনোয়ার শহীদ, মো. শহিদ উল্লাহ মিঞা, কাশেম হুমায়ুন ও সাইমুম সরওয়ার কামাল। এদের মধ্যে এএসএম নায়েম ও সহিদুল্লা মিয়া বর্তমান পরিচালনা পর্ষদেরও সদস্য।
তারা কারা ? এক বার ছবি দেখি .।হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর জড়িত থাকার প্রমাণ , স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা
সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুভাষ সিংহ রায়,।কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়ে গেলেও এখন আবার দেশে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক সাইমুম সরওয়ার কামাল এবং
মহিলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাত আরা হেনরি রয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ধারণা করছে, হলমার্ক গ্রুপের অখ্যাত অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ পাইয়ে দিতে এসব পরিচালক সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়া এমন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে ঋণ পেল এক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের কাহিনি >>>
সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনে সুপারিশএই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছেযাযাদি রিপোর্ট হলমার্কের সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারির কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চিঠিতে ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি তা পুনর্গঠনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
আসুন দুদক কি বলে দেখি >>
লমার্কের ঋণ জালিয়াতির কেলেঙ্কারি থেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের ১০ সদস্যের সবাই। পরিচালকদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত কোনো সম্পদের তথ্য না পাওয়ায় দুদক তাদেরকে দায়মুক্তি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া স্বীকৃত বিলের (ননফান্ডে) ১৭০০ কোটি টাকার অনুসন্ধান নিয়েও দোলাচলে রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।দুদকের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে কোনো অবৈধ সম্পদ পায়নি দুদক। এ কারণে তাদেরকে দায়মুক্তি দেয়া হচ্ছে।’
দুদকের তালিকা থেকে যাদেরকে দায়মুক্তি দেয়া হচ্ছে তারা হলেন- সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলাম, সুভাষ সিংহ রায়, মো. আনোয়ার শহিদ, এএসএম নাইম, কেএম জামান রোমেল, কাশেম হুমায়ন, সদস্য সত্যেন্দ্র চন্দ্র, জান্নাত আরা হেনরি, শহীদ উল্লাহ মিয়া ও সাইমুম সরোয়ার কমল।
জালিয়াতির মাধ্যমে হলমার্কের ছয়টি প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেয় প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে হলমার্ক একাই ২ হাজার ৬০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।
সোনালী ব্যাংকের পরিচালকদের মধ্যে কয়েকজন কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
http://www.jugantor.com/first-page/2013/10/22/36116#sthash.1VqQiMvF.dpuf
শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার অংশ হিসেবে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে পর্ষদের কয়েকজন সদস্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ফলে স্বীকৃতিবিল পরিশোধ নিয়ে অহেতুক কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। এতে একদিকে সরকারি মালিকানাধীন এ ব্যাংকটি ভয়াবহভাবে ইমেজ সংকটে পড়ছে। অন্যদিকে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এক্ষেত্রে সরাসরি ভূমিকা পালন করছে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রনজিৎ কুমার চক্রবর্তী, শেখর দত্ত, এএসএম নাইম ও মোঃ নজিবর রহমান।
http://www.jugantor.com/first-page/2013/10/22/36116#sthash.1VqQiMvF.dpuf
সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ ১১ পরিচালককে দুদকের নোটিশ : সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বৈঠক (বুধবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২, )
http://www.amardeshonline.com/pages/printnews/2012/09/26/165676
জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুভাষ সিংহ রায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক সাইমুম সরওয়ার কামাল এবং মহিলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাত আরা হেনরি রয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ধারণা করছে, হলমার্ক গ্রুপের অখ্যাত অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ পাইয়ে দিতে এসব পরিচালক সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়া এমন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে ঋণ পেল এক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এছাড়া সোনালী ব্যাংকে পরিচালক হিসেবে আছেন মো. শহীদ উল্লাহ মিঞা, মো. আনোয়ার শহীদ, এএসএম নাইম, কেএম জামান রোমেল, সাংবাদিক কাশেম হুমায়ুন ও আওয়ামী লীগ নেতা সত্যেন্দ্র চন্দ্র ভক্ত। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে আছেন কাজী বাহারুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রয়েছেন প্রদীপ কুমার দত্ত।
http://jjdin.com/print_news.php?path=data_files/224&cat_id=3&menu_id=38&news_type_id=1&index=0
দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলাম, পরিচালক মো. শহিদুল্লাহ মিঞা, সুভাষ সিংহ রায়, জান্নাত আরা হেনরী, কাশেম হুমায়ূন, মো. আনওয়ার শহীদ, এএসএম নাঈম, কেএম জামান রোমেল, সাইমুম সরওয়ার কামাল, সত্যেন্দ্র চন্দ্র ভক্ত ও প্রদীপ কুমার দত্তকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ১০ পরিচালকের মধ্যে ৬ জনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এদের মধ্যে পরিচালক শদিউল্লাহ মিয়া ও এএসএম নাইম, চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলাম পদাধিকার বলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত পরিচালনা বোর্ডে রয়েছেন। অন্য ৬ জনের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
হলমার্ক কেলেঙ্কারি দায়মুক্তি , লোটপাটের মহারাজাদের কোন মামলা নাই । ‘তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে কোনো অবৈধ সম্পদ পায়নি দুদক। এ কারণে তাদেরকে দায়মুক্তি দেয়া হচ্ছে।’
গ্রামের স্কুলের শিক্ষিকা সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হয়েই আজ কোটি কোটি টাকার মালিক। আরেক জন টাকা লোট পাট করে স্ত্রী সহ ভারতে পালিয়ে গেল , এর পর বিশেষ সিগনাল পেয়ে আবার দেশে। বাকিদের একই অবস্থা। আহারে সোনালী হাসের ডিম (সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ)
বিষয়: বিবিধ
২৩০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন