একরামুল হক হত্যার ঘটনায় মুখোশ উন্মোচনের পর ও দোষ বিরোধী দলের উপর

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২২ মে, ২০১৪, ০৫:১৭:৪৭ বিকাল



একরাম কিলিং মিশনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ৪ জন!

খুনিরা আওয়ামীলীগের , কিন্তু মামলার আসামী বি এন পির নেতা কর্মী !!

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যার ঘটনায় জড়িত খুনিদের মধ্যে অন্তত চারজন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে পরিচিত মুখ। এই চারজন হলেন- আবিদ, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জিয়াউল হক মিস্টার এবং সোহেল।

বুধবার ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঘটনার বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং ফেনীর আওয়ামী লীগের নেতারা।

একরামুল হককে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনায় তার ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনারের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এরইমধ্যে ২৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

মর্মান্তিক এ ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপিকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলেই নির্মমভাবে খুন হয়েছেন একরামুল।



স্থানীয়রা জানিয়েছেন- হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সম্ভাব্য ওই চারজনের মধ্যে আবিদ হলেন সম্পর্কে ফেনী-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদ্দস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ভাই, জাহিদ হলেন ফুলগাজী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সচিব, জিয়াউল হলেন ফেনী পৌরসভার যুবলীগ নেতা এবং সোহেল হলেন স্থানীয় একজন ক্যাডার।একরামুলের ওপর হামলাকারী ৩০-৩৫ জনের দলটির নেতৃত্ব এই চারজনই দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।



নাম উল্লেখ না করা অজ্ঞাত আরো ৩৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় কী উল্লেখ করা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন নিহত একরামের ভাই জিয়াউল হক সেলিম। তিনি বলেন, “আমার ছোট ভাই মামলাটি দায়ের করেছে। আর শুধু আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্যই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা জানি না মামলায় কাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।”ফেনীর মানুষের মুখে মুখে খলনায়কের নাম। যদিও মামলা হয়েছে বিএনপির এক নেতাসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে। একাধিক সূত্রের দাবি, চাপের মুখে এ মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন নিহতের ভাই রেজাউল হক জসিম। তাকে লোভও দেখানো হয়েছে। একরামের স্ত্রী মামলা দায়ের করতে চাইলেও তার ভাইকে দিয়ে মামলা করানো হয়েছে। মামলায় বিএনপি নেতারা আসামী হলেও ফেনীতে একরামুল হকের কর্মীদের দাবি ভিন্ন। এ নির্মম হত্যার জন্য ফেনী সদর আসনের এমপি নিজাম হাজারীকে দায়ী করেছেন তারা। একরামুল হকের সমর্থকদের শ্লোগান দিতে শোনা গেছে, একরাম ভাই মরল কেন? নিজাম হাজারীর ফাঁসি চাই।

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক একরামের হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত তথ্য পেতে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল হাজারীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

মুখোসের আড়ালে খুনিরা - দোষ দেয় বিরোধীদলের উপর

ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হকের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর জড়িত থাকার আলামত আস্তে আস্তে স্পষ্ট হচ্ছে।

এ ঘটনায় নিজাম হাজারীকে সরাসরি দায়ী করে তার ফাঁসি চেয়ে বিক্ষোভও করেছে স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা। বুধবার একরামুলের দাফন শেষে দুপুরে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ফেনী-ফুলগাজী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

নিজাম হাজারীর সাথে একরামের কিসের দ্বন্দ্ব?

মূলতঃ নিজাম হাজারীর একছত্র অবস্থান এর জন্যে হুমকি হয়ে গিয়েছিলো একরামুল। আর গত কিছু দিন আগে একরামুল ফেনীর পতিত গডফাদার জয়নাল হাজারীকে হেলিকাপ্টার করে ফেনী পাইলট ইস্কুল মাঠে নিয়ে আসে। আর এটাই কাল হয়ে যায় একরামুলের জন্যে। কারন এই জয়নাল হাজারী ফেনী এবং নোয়াখালি থেকে বিতাড়িত করেছিলো বর্তমান আওয়ামী প্রভাবশালী নেতা ওবায়দুল কাদেরকে। দীর্ঘ ৬ বছর ফেনীতে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নাই শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন নাসিমকে। আর এদের মিলিত চেষ্টা থেকেই নিজাম হাজারীকে সামনে রেখে ফেনীর রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা হয় জায়নাল হাজারীকে।

তাছাড়া, বিলোনিয়া বর্ডারের চোরাচালানির হিস্যা, নদী শাসনের বিশাল প্রজেক্ট ও মাদকদ্রব্য ব্যাবসার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে অন্ত:কোন্দল চলছিলো অনেকদিন যাবৎ। কিন্তু শেষ কয়েক দিনের একরামুলের অবস্থান আর পুনরায় জয়নাল হাজারীর ফেনীর রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠায় আঁতে ঘা লাগে ঐ সিন্ডিকেটের।

গত ১০ মে দেশের প্রথম সারির দুই বাংলা দৈনিক প্রথম আলো ও মানবজমিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের আগস্ট মাসে অস্ত্র মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়েছিল। কিন্তু সাজাভোগের পাঁচ বছরও কাটতে না কাটতেই জালিয়াতির মাধ্যমে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে চট্টগ্রামের একটি কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

ফেনীর সদরের কয়েকজন শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতা জানান, এসব তথ্য ফাঁস হওয়ার জন্য একরামকের দোষ দিয়েছিলেন নিজাম হাজারী।

এই সমস্যার সমাধানে আলোচনার জন্য শেখ হাসিনা গত ১৭ মে তাদের গণভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন- এই খবরটিও ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এই দুজনের মধ্যে তিক্ততা মারাত্মক আকার ধারণ করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, প্রধানমন্ত্রী তাদের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দেবার চেষ্টা করলেও এই বিষয়ে কোনো অগ্রগতিই হয়নি। ঐ দিন চূড়ান্ত হয় খুনের বিষয় ?



নিজাম হাজারীকে যে কারণে সন্দেহ:

১। সম্প্রতি গণমাধ্যমে নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে সাজা কম খেটে জালিয়াতি করে জেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার যে সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। এর সঙ্গে একরামের সম্পৃক্ততা রয়েছে সন্দেহ করে একরামুলকে দেখে নিবেন বলে নিজাম হাজারী হুমকি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তার ঘনিষ্ঠদের।

২। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে একরামুল ফেনী-১ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন এবং এ নিয়ে নিজাম হাজারী বিক্ষুব্ধ ছিল।

৩। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনেও একরামুলকে সহযোগিতা করেনি নিজাম হাজারী।একরামুলের নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কয়েকটি মাইক্রোবাস পুড়িয়ে দেয় নিজাম হাজারী। একরামুলের চেয়ারম্যান হওয়া মেনে নেয়নি নিজাম হাজারী।

৩। অনুসন্ধানে জানা গেছে, টেন্ডার বাণিজ্য, ফেনীর ডায়াবেটিক হাসপাতালের আধিপত্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কমিটি ঘোষণা নিয়ে ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম হাজারীর সঙ্গে একরামের চলছিল চরম বিরোধ হয়।

৪। সম্প্রতি তিন দফা নিজাম হাজারীর বাহিনীর সাথে মারামারি হয় একরামের দলবলের।

৫। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজাম হাজারীর কয়েকজন সমর্থককে নমিনেশন দেননি একরামুল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সম্ভাব্য ওই চারজনের মধ্যে আবিদ হলেন সম্পর্কে ফেনী-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদ্দস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ভাই, জাহিদ হলেন ফুলগাজী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সচিব, জিয়াউল হলেন ফেনী পৌরসভার যুবলীগ নেতা এবং সোহেল হলেন স্থানীয় একজন ক্যাডার।একরামুলের ওপর হামলাকারী ৩০-৩৫ জনের দলটির নেতৃত্ব এই চারজনই দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।কমিশনার শিবলু ও নেতৃত্বে কিলিং মিশনে ৩০ কিলার রা পালিয়ে যায় ।

অভিযোগ রয়েছে, কমিশনার শিবলু ও নিজাম হাজারীর ক্যাডাররা একরামুল হত্যাকাণ্ডে অংশ গ্রহন করে। এই ব্যাপারে তারা সপ্তাহ খানেক আগেই পরিকল্পনা সম্পন্ন করে। কিলিং মিশনে মোট অংশ গ্রহন করে ৩০ জন কিলার। আর এদের মধ্যে ১০ জনকে আনা হয় ঢাকা থেকে। তারা হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগে ফেনীতে এসে অবস্থান নিয়ে সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে এলাকায় বারবার রেকি করে।

নিজাম হাজারীকে দায়ী করে খুনের একদিন আগেই খুনের আগাম সংবাদ প্রকাশ!

এদিকে, নিজাম হাজারীকে সরাসরি দায়ী করে খুনের একদিন আগেই ফেনী থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক হাজারিকা প্রতিদিন’ একরামুল হক একরাম খুন বা গুম হতে পারেন বলে আগাম সংবাদ প্রকাশ করেছিল।



গত ১৯ মে সোমবার ফেনী থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক হাজারিকা’ ও ‘সাপ্তাহিক হাজারিকা’ পত্রিকায় একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল “নিজাম (হাজারী) এখন উভয় সংকটে, প্রতিপক্ষকে খুন ও গুমের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’’

ওই প্রতিবেদনে সম্ভাব্য যাদের খুন ও গুম করা হতে পারে তাদের একটি তালিকা দেয়া হয়েছিল। ঐ তালিকার প্রথমেই নাম ছিল ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক একরামের। তালিকায় থাকা বাকি নামগুলো হলো- ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন হাজারী, ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজহারুল হক আরজু, যুবলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলার সাখাওয়াতুল হক সাখাওয়াত ও চট্টগ্রামের একজন বিচারক।

এই বিষয়ে খবরের লিংক -

একরাম কিলিং মিশনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ৪ জন!

জয়নাল হাজারীকে রিমান্ডে নিলেই হত্যারহস্য বের হবে: নিজাম হাজারী -

http://www.newsevent24.com/2014/05/22/out-side-dhaka/132878#sthash.atLltfYJ.dpuf

জয়নাল হাজারী একরামুলের খুনী: নিজাম হাজারী

http://www.sheershanews.com/2014/05/22/37930/



প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা একরামুল হককে হত্যার ঘটনায় স্বদলীয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সন্দেহের তালিকায় প্রথমে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ গোয়েন্দা সূত্রগুলো৷ এ ঘটনার পর স্থানীয় সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর সঙ্গে একরামের দ্বন্দ্বের কথা ফেনীতে ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে৷

যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেশাদার হত্যাকারী ভাড়া করে সুপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য গাড়িতে গানপাউডার ছড়িয়ে আগুন দেয়া হয়। একরাম যাতে গাড়ি থেকে বের হতে না পারেন সে বিষয়টি খুনিরা কাছ থেকে নিশ্চিত করেছে। একরামুলকে সরিয়ে দিতে তার রাজনৈতিক শত্র“রা তিন কোটি টাকায় কিলার ভাড়া করে। কিলিং মিশনে অংশ নেয় ২০ জন। ফেনী ছাড়াও ঢাকা থেকে কিলার আনা হয়। পুলিশ কিলারদের অনেককেই শনাক্ত করেছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাদের গ্রেফতার করছে না ।

‘যে গুলি করেছে তাকে দেখেছি’

নৃশংস এই ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান দেলোয়ার হোসেন।

http://mzamin.com/details.php?mzamin=MjQzNjI=&s=Mg==

তিনি বলেন, বের হয়ে আসার পর আবার আমাকে মেরেছে। আমার মানিব্যাগ রেখেছে, আমি দিয়ে দিয়েছি। আমার মোবাইল চেয়েছে, বলছি মোবাইল আমার গাড়ির ভেতরে রয়ে গেছে। পকেটের টাকা-পয়সা সব নিয়ে গেছে। আমি চিৎকার করছিলাম।

কে এই ফুলগাজীর উপজেলা চেয়ারম্যান

একরামুল হক একরাম ?

একদা দুর্ধর্ষ ক্যাডার থেকে জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধিতে পরিণত হন একরাম।

রাজনীতিতে একরামের উত্থান জয়নাল হাজারীর হাত ধরেই। জয়নাল হাজারীর আধিপত্য খর্ব হওয়ার পর অন্যরা নিজাম হাজারীর অনুসারী হলেও একরাম ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি নিজাম হাজারীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখলেও জয়নাল হাজারীকেই মেনে চলতেন। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে নিজাম ও একরাম একসঙ্গেই চলতেন। কিন্তু নিজাম হাজারী ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ও সদর আসনের এমপি হওয়ার পর প্রভাব নিয়ে দূরত্বের সৃষ্টি হয়।

কিলাররা তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে অংশ নেয়

http://mzamin.com/details.php?mzamin=MjQ1MTM%3D&s=Mg%3D%3D

জয়নাল হাজারী যা বলেন-

এটা বিএনপি করে নাই। হাজারী বলেন, সম্প্রতি ফেনীতে ২০টিরও বেশি হত্যাকা- হলেও কেউ ধরা না পড়ায় খুনীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।প্রথম আলো পত্রিকায় নিজাম হাজারীকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দশ মাস কম সাজা ভোগ করেই নিজাম হাজারী কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। প্রতিবেদনের তথ্য একরামুল হক সরবরাহ করেছেন এমন সন্দেহেই তাকে খুন করা হয়েছে।

http://mzamin.com/details.php?mzamin=MjQ1NDI=&s=MQ==



বিষয়: বিবিধ

৪১০১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

224723
২২ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৮
ভিশু লিখেছেন : খুনি-নির্ভর আওয়ামী লম্পট লীগ আর কি করবে?!
২২ মে ২০১৪ রাত ০৮:০৭
172018
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : প্রকাশ্য দিবালোকে, শ’ শ’ মানুষের চোখের সামনে। তিনটি গ্রুপ ভাগ হয়ে কিলিং মিশন সম্পন্নের পর নির্বিঘ্নে সরে পড়লো সন্ত্রাসীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখেছে ঘটনা। কিছুটা আঁচও করতে পেরেছে কেউ কেউ। কিন্তু সবার মুখে কুলুপ। ভয়ে-আতঙ্কে কুঁকড়ে গেছে ফেনীর মানুষ।
224724
২২ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৮
হারিয়ে যাবো তোমার মাঝে লিখেছেন : এসব পাল্টাপাল্টি অভিযোগের কারণেই তদন্ত আলোর মুখ দেখে না। আর পার পেয়ে যায় আসল খুনী। এসব বন্ধ করতে হবে। না হলে দেশের বারোটা বেজে যাবে।
২২ মে ২০১৪ রাত ০৮:০৭
172019
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : ফেনী আওয়ামী লীগের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হন নিজাম হাজারী ও একরামুল হক। এলাকাবাসী বলেন, এক বনে দুই বাঘ থাকতে পারে না। একবাঘ আরেক বাঘকে খেয়েছে।
http://mzamin.com/details.php?mzamin=MjQ1MTM=&s=Mg==

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File