এই জন সমুদ্র ঘরে বসে থাকবে না।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২২ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:৩৪:০৬ রাত
যারা প্রহসনের রায়ে আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করতে চায় - তাদেরকে অনুমান করতে হবে এই জন সমুদ্র ঘরে বসে থাকবে না।একটি বিশেষ গুষ্টি বাংলাদেশের মধ্যে বিভাজন তৈরী করে সেই ফাকে লুটে নিয়ে যাচ্ছে।
মিছিলের খবর মিডিয়া প্রকাশ করেনি তার কারণ হলো সব কিছু বিশ্বের কাছে লোকিয়ে রাখতে হবে তাই নয় কি ?
মিছিলে শুধু জামাত শিবির নয় , শত শত জনগণ এখন রাজপথের আন্দোলনে
সারা দেশের এই অবস্থা
জাতি এখন অনেক সচেতন
গায়ের জোরে বিচার হয় না , জনতা মানবে না
যদি আশেপাশের দেশগুলোর অভিভাবক ভাবেন তাহলে তারা মুর্খের স্বর্গেই বাস করছেন
বিচারের নামে ট্রাজেডি হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা উচিত
দেশের জনগণ বলতে শুধু মাত্র শাহবাগ নয় ,
এদের মুক্তি শুধুই রাজনীতিক নয় , দেশ প্রেমিক দের রক্ষার আন্দোলন
যে মন্ত্রী এবং যে এমপির বিরোদ্ধে আওয়ামিলিগ কোনো দুর্নীতির প্রমান পায়নি , তাদের হত্যা জাতি মানবে না , বুজতে হবে।
ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং বিশ্ববরেণ্য মুফাস্সিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যার নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু জনগণ সরকারের সে ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না।
সরকারের আরেকজন মন্ত্রী ‘সাঈদীকে এ মাসের মধ্যেই ফাঁসিতে ঝুলানো হবে’ বলে বেফাঁস মন্তব্য করার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে সরকার বিচার প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দিচ্ছে না বরং বিচারকাজে অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে বিচারের মান ও নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিহিংসা পরিহার করে সরকারকে সুস্থধারার রাজনীতি ও আইনের শাসনের দিকে ফিরে আসার আহবান
বিগত ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি যোগ্যতা, দক্ষতা, সততা ও সফলতার সাথে দু’টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। অনেক চেষ্টা করেও তার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তোলা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একজন বিশ্ববরেণ্য মোফাস্সিরে কুরআন। তিনিও পরপর দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
জামায়াতসহ বিরোধী দল ধ্বংসের জন্য কথিত মানবতাবিরোধী বিচারের নামে প্রহসন করে জামায়াতসহ বিরোধী দলের শীর্ষনেতাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করার ষড়যন্ত্র
ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ
সরকার দেশকে মেধা ও নেতৃত্বশূন্য করতেই কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জিগির তুলেছে। সে ধারাবাহিকতায় শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা এখন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে একইভাবে হত্যা করতে চায়।
নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে জুলুম, নির্যাতন চালাচ্ছে।
কথিত মানবতা বিরোধী অপরাধের মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করেছে।
সরকার ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিচারে নামে এই প্রহসন করে নিরপরাধ মানুষকে খুন করার পাঁয়তারা করছে।
আওয়ামী সরকার মিথ্যা কল্পনা-কাহিনী সাজিয়ে বিচারের নামে হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়নের সুগভীর ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু দেশের জনতা সরকারের সকল ষড়যন্ত্র ধুলিসাৎ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে দেলোয়ার শিকদার এবং আব্দুল কাদের মোল্লাকে মিরপুরের বিহারী কসাই কাদের বানানো, বিচারের রায়ের তারিখ ও শাস্তির ঘোষণা সরকারের মন্ত্রীগণ কর্তৃক প্রদানসহ সামগ্রিক কার্যক্রম যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই বহি:প্রকাশ তা দেশ-বিদেশের সকলের নিকট দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হওয়ার পরও সরকার যদি জামায়াত নেতাদের হত্যার মিশন বন্ধ করে অবিলম্বে তাদের মুক্তি না দেয় তাহলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তার সম্পুর্ণ দায় শেখ হাসিনাকে নিতে হবে।
বিনা ভোটে কেউ নির্বাচিত হলে তাকে বলা হয়। অবৈধ সরকার অবৈধ সরকার আজ জাতির জন্য অভিসাপে পরিনত হয়েছে
প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মিছিল, মার্চে উত্তাল হয়ে উঠছে দেশ।
মুখ বন্ধ রেখে যে সমস্যা ধামাচাপা দেয়া যাবে না সেটা এখানে ওখানে প্রতিবাদ ফুঁসে ওঠার মধ্যেই বোঝা যাচ্ছে।
সরকারের ভূমিকার পরিবর্তন না হলে দেশজুড়েই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়বে এতে সন্দেহ নেই।
কথিত মানবতাবিরোধী বিচারের নামে প্রহসন ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ। পত্রপত্রিকায় এ সম্পর্কিত সচিত্র খবর প্রকাশিত হচ্ছে।
যে অপরাধের কাহিনী রচনা করে ফাসি দেয়া হচ্ছে , সেই ইব্রাহিম কুট্টি র স্ত্রী , সুখ রঞ্জন বালিকে আদালতে আনা হয় নাই। ইব্রাহিম কুট্টি র স্ত্রী দায়ের করা মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নাই , তাহলে কি দিয়ে বিচার হলো ?
প্রতিহিংসা পরিহার করে সরকারকে সুস্থধারার রাজনীতি ও আইনের শাসনের দিকে ফিরে আসার আহবান। গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী যখন ২ বার জাতীয় সংসদ সদস্য - তখন শেখ হাসিনা কেন মামলা করেন নাই ? তখন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী , নিজামী , সালাহ উদ্দিন কাদের , এরা রাজাকার ছিলেন না। হটাত করে রাজাকার হলেন কেন ?
আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে মাওলানা নিজামী। ছবি কথা বলে। সুরঞ্জিত সেন , তোফায়েল আহমেদ , প্রয়াত রাষ্ট্র পতি জিল্লুর রহমান , প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক সহ অনেকের সাথে বিগত দিনের রাজনৈতিক বৈঠক। তখন এরা কেউ রাজাকার ছিলেন না !!! এমন শত শত প্রমান আছে।
তাই আজকের আন্দোলনের অবস্থা থেকে বুজতে হবে , দেশের জনগনের দাবি এই সব নেতাদের মুক্তি।
বিষয়: বিবিধ
১৯৬১ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বুঝার বিষয় হল জনগণ কাদের পক্ষে এখন সেটা এই আন্দোলন দেখলে বোঝা যায় । সরকার কি রুখতে পারবে ?
দেলোয়ার সিকদারের দাদা অর্থাৎ রসুল সিকদারের পিতার নাম আঃ ওহাব সিকদার। রসুল সিকদারের স্ত্রীর নাম বড়ু বিবি। ৬ ছেলের পাশাপাশি তার ছিল ৩ জন কন্যা সন্তান। তারা হলেন- ১। রিজিয়া বেগম-স্বামী মখলেস সান্নামত, ২। আনো বেগম-স্বামী মকু মিয়া, গ্রাম-খানা কুনারি, ৩। মন্ড বেগম-আফজাল চৌকিদার।
নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি (বর্তমান জিয়ানগর থানা) এলাকা। পিরোজপুর শত্রচমুক্ত হওয়ার পর পিরোজপুর ও নাজিরপুরের মধ্যবর্তী একটি স্থান থেকে স্থানীয় মানুষ তাকে আটক করে প্রথমে গণধোলাই দেয়। পরে তাকে পিরোজপুর শহরে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হলে মুক্তিকামী মানুষ তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
আল্লাহ যেন সহায় হন...আমীন
অর্ধযুগ আগে শুরু করা বহুমুখী প্রজেক্ট এর আওতায় বাংলাদেশ স্পষ্টতঃই দু'ভাগে বিভক্ত অনেক দিন। একদিকে ফেরাউনী জুলুমবাজ শ্রেনী ও পেশার মানুষ আর অন্যদিকে মুসা আঃ এর দাওয়াতের আলোকে সচেতন কিন্তু ভীত, সন্ত্রস্থ ও দিশেহারা বনী ইসরাইলের ন্যায় গণ মানুষ।
আমরা আমাদের আবেগ ও অনুভূতির কারনে অনেক তত্ত্বকথা অনেক ভাবে প্রকাশ করি কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সংরক্ষনশীল একটা ভূমিকা পালন করি, পরিবার পরিজন সহ জীবন ও জীবিকার মায়ায় আবদ্ধ হয়ে থাকি।
এর মূল কারন সম্ভবতঃ আমরা 'শেষ সময়ের সাইন' সমূহকে ইচ্ছা করে অস্বীকার করি তথা না দেখার নামে এড়িয়ে চলি, কিংবা আমাদের কাছে সেই সাইন সমূহকে মূর্ত করছেন না, ব্যাখ্যা করতে পারছেন না জানাশোনা আলেম রা। ফলশ্রুতিতে ভাবতে চেষ্টা করি 'সময়' বুঝিবা এখনো আরো অনেক আছে। তাই আমরা আন্দোলন সংগ্রামে কৌশলী ভূমিকা নেই এ আশায় যে - অন্যায়কারীর অন্যায়কে গুড়িয়ে দিয়ে আমরা আবার বাংলাদেশ ও পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য করে গড়ে নিব ইত্যাদি।
মূলতঃ 'শেষ সময়ের সাইন' সমূহকে আমলে নিলে (বিশেষ করে ১০ মেজর সাইন এর বর্তমান পর্যায়কে) - আমাদের জন্য অনেক সহজ হয় এ উপসংহার টানতে যেঃ
অন্যায়ের বিরুদ্ধে আল্লাহর দেয়া বিধান মতে সাহাবী রাঃ এর ন্যায় পেরোশাসলী ফাইট করে এসপার ওসপার করা ব্যক্তিগতভাবে ও সামষ্টিকভাবে আমাদের জন্য লাভজনক - কারন মেজর ১০টি সাইনের ব্যাখ্যা ও সমসাময়িক বিশ্ব বিশ্লেষন এটা পরিষ্কার করে যে বাংলাদেশ কিংবা পৃথিবী এখন আর গড়ার সময়ে বা যুগে নেই। বরং বিশ্বাসীদের এখন অন্যায়কে প্রতিরোধের নিমিত্তে ন্যায়ের পথে আল্লাহর অনুগ্রহ নিশ্চিত করার সময় - বিশেষ করে কাদের মোল্লা আমাদের কানের কাছে সে বেল বাজিয়ে চলেছেন।
আমার কাছে অনেক সময়ই মনে হয় লিটারেলী আইয়ামে জাহেলিয়াত এর মূর্ত রূপ বাংলাদেশে - মাওলানা সাঈদী কিংবা মাওলানা নিজামী সাহেবদের মত কেইস গুলো এ দেশের সচেতন মুসলিম দের এক একটি সুযোগ স্বরূপ - যেখানে তারা লিটারেলী আবু জাহেলদের সাথে যুদ্ধের এক একটা স্বাদ ও গন্ধ পেতে পারে।
আল্লাহ ভাল জানেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন