হেরে গেলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ , আবুল মাল মুহিত সহ সকল শিক্ষার্থী
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৭ মার্চ, ২০১৪, ০৮:৪৭:৫৭ সকাল
গত ৩১শে অক্টোবর অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সিআইডি সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (আমলী আদালত ৩)-এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
দেড় বছর তদন্তের পরও অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ ।
ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে সিআইডি যে ১১ জনকে সন্দিগ্ধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এরা হলেন দেবাংশু দাস মিঠু, পংকজ পুরকায়স্থ, আবু সরকার, জাহাঙ্গীর আলম, মৃদুলকান্তি সরকার, কামরুল ইসলাম, এডভোকেট আলমগীর, বাবলা, আতিক, রুবেল জ্যোতির্ময় দাস। প্রতিবেদনে বলা হয়- ‘ভিডিও ফুটেজ হইতে প্রাপ্ত ছবি দেখে যাহাদেরকে আসামি হিসাবে সন্দিগ্ধকরণ হইয়াছে, তাহারা ছাত্রাবাসে আগুন লাগার পর হাতে দা, লাঠিসোটা ও মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিছিল করিয়াছিল। তাছাড়া তাহাদেরকে ঘটনাস্থলের আশেপাশে ঘুরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে।’ এরপরও সন্তুষ্ট হননি তদন্ত কর্মকর্তা। প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী না পাওয়ায় মামলার টুঁটি চেপে ধরেন। অথচ ঘটনার পরদিনই উপাধ্যক্ষ আল হেলাল ভূঁইয়াকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০১২ সালের ২৯শে আগস্ট দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ, দমকল বাহিনীর সদস্য ও ২৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রের সাক্ষের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি কলেজ অধ্যক্ষের কাছে ২০০ পৃষ্ঠার এক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে ছাত্রাবাস পোড়ানোর ঘটনায় বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করে তাদের চিহ্নিতও করা হয়।
http://mzamin.com/details.php?mzamin=MTUzNzU%3D&s=Mg%3D%3D#.UyZUbXoz-cw.facebook
ঘটনার সময়ের ছবি ( বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত ও প্রকাশিত হয় )
এই এম সি বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজে লিখা পড়া করেন - শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ , অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল মুহিত , সাবেক আমলা , সচিব , রাষ্ট্র দূত। যদি সবার নাম লিখতে হয় তাহলে কয়েক হাজার নাম লিখতে হবে।
ঘটনার পর যা হলো -
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে যারাই অগ্নিসংযোগ করুক তাদের রেহাই নেই- অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির নির্দেশে আসামিরা ছাত্রাবাসে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়। এ সময় তাদের সঙ্গে বহিরাগতরাও ছিল। ছাত্রাবাসে আগুন দেয়ার আগে ‘জ্বালো জ্বালো-আগুন জ্বালো ... জয় বাংলা ...’ স্লোগান দেয়া হয়। আগুন দিয়ে ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষে লুটপাট করার বর্ণনাও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে সিআইডি পায় ।
ভস্মস্তূপ দেখে কাঁদলেন শিক্ষামন্ত্রী
এক সঙ্গে দুই মন্ত্রী পরিদর্শন করেন জ্বলে যাওয়া ছাত্রাবাস। কিন্তু ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অর্থমন্ত্রী। প্রথম ভবন দেখে গাড়িতে উঠতে যান।
গাড়ি থেকে নেমেই দেখতে পান ভস্মস্তূপের চিহ্ন। এর পর হেঁটে হেঁটে চলে যান ডান দিকে। সে দিকের প্রথম ভবনের শেষ মাথার একটি কক্ষে ছাত্র জীবন কেটেছে তার। কক্ষের সামনে গিয়েই তিনি অঝোরে কেঁদে ফেলেন। এ সময় তিনি রুমাল দিয়ে বার বার চোখ মুছছিলেন। কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন বার বার। এ সময় তার সঙ্গে কাঁদেন এখানকার পুরাতন অনেক ছাত্র। এ সময় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষামন্ত্রীকে ভেতরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোথায় যাবো? সবই তো শেষ। যাওয়ার মতো জায়গা তো জ্বালিয়ে দেয়া হলো। শিক্ষামন্ত্রী এক এক করে পুড়ে যাওয়া তিনটি ব্লকের সবকটি কক্ষ ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘এমসি কলেজের ওই কক্ষে আমি থাকতাম। এই ক্যাম্পাস অনেক স্মৃতিঘেরা। সুতরাং যারাই এ ছাত্রাবাসে আগুন দিয়েছে তাদের কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।’
http://www.mzamin.com/details.php?nid=MTMyNjc=&ty=MA==&s=MTg=&c=MQ==
http://www.samakal.com.bd/details.php?news=13&action=main&menu_type=&option=single&news_id=276396&pub_no=1111&type=
বিষয়: বিবিধ
২৭৪২ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://news.nationalgeographic.com/news/bigphotos/25120534.html
সাহায্য তখন আসবে যখন আমরা আমাদের সর্বশক্তির কাজে লাগানোর পর ও বাতিলের সাথে ঠিকে আসতে না পারি। এরপর আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করলে অবশ্যই আল্লাহ সাহায্য আসবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন