তথ্য দিয়েই বলছি এরা রাজাকার

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১১ মার্চ, ২০১৪, ১১:০৯:৩৩ সকাল



তথ্য সুত্র এবং বইয়ের নাম দেয়া আছে। যিনি এই বই লিখেছেন তিনি সরা সরি ১৯৭১ সালে মুক্তি যোদ্ধ করেন।

মেজর জেনারেল এম এ মতিন (বীর প্রতীক) , পিএসসি









জাতীয় পার্টির সংসদ হুইপ তাজুল ইসলাম ও রাজাকার।

জাতীয় সংসদে আওয়ামীলীগের উপনেতা সাজেদা চৌধুরী রাজাকার ছিলেন , পাকিস্তানি সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বাংলাদেশ ও বিদেশী সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানের লাহোরে প্রমান পত্র ( ৭ আগস্ট ১৯৭১ )

তৎকালীন আওয়ামী লীগ থেকে আরো যেসব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেন তারা হচ্ছেন

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জনপ্রতিনিধি হয়েও আওয়ামী লীগের পঁচিশ নেতা মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধিতা করে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। তারা কেউ ছিলেন এমএনএ (জাতীয় পরিষদ সদস্য) আবার কেউ ছিলেন এমপিএ (প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য)। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে তারা সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছেন। দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গেও তাদের কয়েকজন যুক্ত ছিলেন । ফলে মাত্র কয়েকজনের বিরদ্ধে সরকারি ও দলীয় সিদ্ধন্তে '৭১ ও '৭২ সালেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এই ২৫ জনের মধ্যে কয়েকজন পরবর্তীকালে আবার বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে যান।

দৈনিক পাকিস্তানও আজাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় এসব নেতার স্বাধীনতাবিরোধী বিবৃতি প্রকাশ হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও দুষ্কৃতকারী বলে বিবৃতি দেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী অনেক পার্লামেন্ট সদস্য।

এই পঁচিশ জনের মধ্যে সাতজন '১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা করে মুক্তি পান এবং পাকবাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন।

তারা হচ্ছেন - একেএম মাহবুবুল ইসলাম (পাবনা), একে ফায়জুল হক (বরিশাল), অধ্যাপক শামসুল হক (চট্টগ্রাম), অংশু প্রু চৌধুরী (পার্বত্য চট্টগ্রাম), ডা. আজাহার উদ্দিন (ভোলা), একেএম মাহবুবুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ) ও আহমদ সাগির হোসেন।

এছাড়া তৎকালীন আওয়ামী লীগ থেকে আরো যেসব নির্বাচিত জন প্রতিনিধি স্বাধীনতার বিরোধিতা করেন তারা হচ্ছেন- নুরুল হক (রংপুর), এনসান আলী মুক্তার (টাঙ্গাইল) একেএম মোশাররফ হোসেন (ময়মনসিংহ), আফজাল হোসেন (নারায়ণগঞ্জ), আবু সোলায়মান মণ্ডল (পীরগঞ্জ, রংপুর), আজিজুর রহমান (গাইবান্ধা), মো. আবদুল গাফফার (সাতক্ষীরা), মো. সাঈদ (খুলনা), মোশাররফ হোসেন শাহজাহান (ভোলা) এবিএম নুরুল ইসলাম (ফরিদপুর), সৈয়দ বদরুজ্জান ওরফে এসবি জামান (ময়মনসিংহ)

ওবায়দুলস্না মজুমদার (নোয়াখালী), সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম), মো. মঈনুদ্দীন মিয়াজী (যশোর), হাবিবুর রহমান খান (খুলনা), মো. হাবিবুর রহমান (বগুড়া), জহির উদ্দিন (মোহাম্মদপুর, ঢাকা), সৈয়দ হোসেইন মনসুর (পাবনা),। তারা তত্কালীন সময়ে পত্রিকায় নিজ নিজ নামে পত্রিকায় বিবৃতি প্রদান করেছিলেন ।





























( অসমাপ্ত )

বিষয়: বিবিধ

৮২৪৮ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

190350
১১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:১৭
বেআক্কেল লিখেছেন : আমনে ভাই বেশী প্যাচাল পাড়েন, হাসমু না কাঁদমু চিন্তা কইরা পাইতেছিনা। গামছা কাদের সিদ্দীকি বইলছেন, ১৪ই ডিসেম্বর যে সকল বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হইছে, যার জন্য জাঁতি শহীদ বুদ্ধিজীবি ডে পালন করে, তারা নাকি আর দুই দিন বেশী বাইছা থাইকলে শালার রাজাকার ধর বইলা রাস্তায় রাস্তায় দৌড়াইত!

আমি বলি হেরা যদি জিন্না থাইকত, তাইলে মুরগী কবির, ন্যাড়া কবির (যার ছবি আমনে উপরে দেছেন), মুতা মামুনের কিছু সহযোগী বন্ধু বান্ধব বাড়ত। তারা মইরা যাইয়া নাকি জাতি অগ্রিম কিছু উপদ্রব মুক্ত পাইয়াছে। এই কতা শুইনা গোস্বায় আমার জিহ্বায় পানি চইলা আইসাছে।
১৩ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৪০
142515
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : মুরগীরা এখন বুদ্ধিজীবি
190365
১১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
সজল আহমেদ লিখেছেন : আহা এর ভিত্রে তো শহীদ জননীকেও দেখতে পাচ্ছি।
১৩ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৪০
142516
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : *-Happy
190367
১১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
হতভাগা লিখেছেন : শামছুর রহমান না '' স্বাধীনতা তুমি '' নামে একটা কালজয়ী কবিতা লিখেছেন ? উনি ..? কেমনে কি ?

উনারা যে পাকিস্তানীদের পক্ষে ছিলেন তা খুব সাধারণ মাথা ওয়ালারাও যদি চিন্তা করে বুঝতে পারবে ।

এসব বুদ্ধিজীবীদের ম্যাক্সিমামই ছিলেন ডাক্তার / সাংবাদিক/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক । ঐ সময়ে উনারা তো চাকরি করতেন । না হলে যুদ্ধের ডামাডোলে , দূর্মুল্যের বাজারে চলা সম্ভবই হত না ।

আর সে সময়ে তো এখনকার মত ভুরি ভুরি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানও ছিল না । তারা করতেন সরকারী চাকরি , মানে পাকিস্তান সরকারের চাকরি ।

বঙ্গবন্ধু কিন্তু ৭ই মার্চ তার ভাষনে যার যা কিছু আছে তাই দিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে বলেছিলেন ।

জিয়া , জলিল , অলি, শওকত , এয়ারভাইস , ওসমানীরা কোর্ট মার্শালে নিশ্চিত ফাঁসীর খড়গ নিয়েও দেশের জন্য এগিয়ে এসেছিল বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ।

কবির চৌধুরী গংরা তখন কি করেছিলেন ?
১৩ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৪১
142517
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : রাজাকার এখন চেতনার সনদ বিক্রি করে।
190412
১১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কবির চেীধুরি সাহেব সম্পর্কে কিছু বলাই বাহুল্য। তার বড়ভাই কর্নেল কাইয়ুম চেীধুরি এখনও পাকিস্তানেই আছেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাএকাডেমির পরিচালক ছিলেন। তার কর্মকান্ডের নিরপেক্ষ বর্ননা তৎকালিন বাংলা একাডেমির প্রকাশনা পরিচালক এবং বাংলাদেশের অন্যতম প্রকাশনা বিশেষজ্ঞ ফজলে রাব্বির "স্মৃতিতে বাংলা একাডেমি" গ্রন্থে আছে। এদের এবং এদের বর্তমান দায়িত্বে নিয়োজিত মুনতাসির মামুন আদালতে স্বিকার করেছেন যে তিনি টেকনিশিয়ান হিেসেবে আইডেনটিটি কার্ড নিয়ে চলাচল করতেন। মুরগী কবির ১৯৭১ সালে কি করতেন তা নিয়ে কিছুই বলেননা। আর মুনতাসির মামুন এর পিতা চট্টগ্রাম পোর্টে যা করতেন তা চট্টগ্রামের প্রবিন মানুষদের জানা।
১৩ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
142518
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : এখন যারা বেশি মুক্তি যোদ্ধার কথা বলে , তাদের কেউ কি আসল মুক্তিযোদ্ধা ? হাজার হাজার আসল সূর্য সন্তান মহান বীর
মুক্তিযোদ্ধা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কিন্তু দালালরা আজ চেতনার কথা বলে।
190469
১১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:৫৫
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
১৩ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
142519
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : ধন্যবাদ
190556
১১ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৫
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : ফেইসবুকে দেয়া যায় কিনা দেখুন। এদের চেহারা প্রকাশ করা বর্তমান সময়ে খুবই প্রয়োজন।
১৩ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
142520
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : জি তাই করা দরকার ।
190958
১২ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৩৪
কাঁচের বালি লিখেছেন : জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো
রাজাকারদের পর্দা খুলো
আপনার পোস্ট খুব সুন্দর হয়েছে এটলিস্ট আমরা সত্যটা জানতে পারলাম । ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৩ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
142521
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : রাজাকারদের পর্দা খুলে , দালালদের বের করা সময়ের দাবি।
192645
১৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
বিন হারুন লিখেছেন : চিনে রাখলাম

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File