৪ দশক পর রাজাকারের সন্ধান গল্প । ইতিহাসের পাতায় আওয়ামিলিগ ও বাম রাজনীতি। ছবি কথা বলে।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:৪২:২৫ রাত





বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসেবে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলনের নানা পর্যায়ে আওয়ামী লীগ জামায়াতের সাথে যোগাযোগ এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিসে এসে জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছে ।

স্বৈরাচার হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ বিরোধী আন্দোলন পরিকল্পনা , এরশাদ বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ও ১৯৯১ সনের পরে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় পার্লামেন্টে বা রাজপথে জামায়াতের সাথে আওয়ামী লীগ ছিল । আওয়ামীলীগ প্রধান শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ যখন জামায়াতের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন, তখন আজকের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের তথাকথিত দাবীদারেরা, বিদেশী মদদ পুষ্ট বামপন্থীরা এমন কি কোনো মিডিয়া কেনো প্রতিবাদ করেননি।

বিভিন্ন কুটনৈতিক মিশনের দাওয়াতে জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাথে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কোলাকোলি , পাশাপাশি বসে একত্রে বহু অনুষ্ঠান করেছেন, তখন কেউ বললেন না যে - জামায়াত নেতৃবৃন্দ রাজাকার !!!!

১৯৯৬ সনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যখন জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম এর কাছে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও দলের এমপিদের সমর্থনের আশায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ দোয়া চাইতে এসেছিলেন, পা ধরে সারাম করেছিলেন তখন বামপন্থী রা তো বেশ খোশ মেজাজেই ছিলেন।

তখন কি তাদের চেতনা চ্যেতে নাই ?



সাম্রাজ্যবাদী ও সম্প্রসারণবাদী পার্শবর্তী দেশের নীল নকশা অনুযায়ী
জাতিকে বিভক্ত করার আত্মঘাতী কাজে এখন ও বাংলাদেশের ভিতরে একটি বিশেষ গুষ্টি রয়েছে ।ক্ষমতার নানা ধরণের প্রলোভন দেখিয়েও যখন জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি পরস্পরকে বিচ্ছিন্ন করা গেলো না এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি পরস্পর জোটবদ্ধভাবে থাকলো ফলে আওয়ামী লীগের পক্ষে রাষ্ট ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব হলো না, প্রকৃত অর্থে তখন থেকেই প্রবল আক্রোশে পার্শবর্তী দেশের এবং আরো বাইরের শক্তির নীল নকশা অনুযায়ী জামায়াত নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে প্রচার করা শুরু হয়েছে। লেন্দুপ দর্জিদের অনুসারীরা বাংলাদেশ কে নিয়ে পরিষ্কার খেলায় মেতেছে।

বাস্তবে পরিষ্কার যে বিএনপি ও জামায়াত নেতৃবৃন্দের অপরাধ শুধুমাত্র আওয়ামী আর ভারতের আগ্রাসনবাদের বিরোধীতা, যুদ্ধাপরাধ নয়। লেন্দুপ দর্জিদের পরামর্শে আজ বাংলাদেশ কে অন্ধকার করে দেয়া হচ্ছে। যে বা যারা আজ বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছেন তাদের উপর চলছে স্টীম রোলারের নির্যাতন। তাই জাগতে হবে , আর নয় চুপ।

ছবি কথা বলে। ইতিহাসের পাতায় আওয়ামিলিগ ও বাম রাজনীতি।

আওয়ামিলিগ নেতা শেখ সেলিম এবং জামায়াতে ইসলামী নেতার মোলাকাত



আওয়ামিলিগ নেতা আব্দুসসামাদ , সুরঞ্জিত সেন , তোফায়েল আহমেদ এবং মও দুদ আহমেদ বৈঠক করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সাথে।

আওয়ামিলিগ নেতা , সাবেক রাষ্ট্র পতি জিল্লুর রহমান , আমু , এবং বি এন পির মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হুসেন দেখা করেন জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সাথে।

জাসদের হাসানুল হক ইনু দেখা করেন জামায়াত নেতার সাথে

ওয়ার্কাস পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন দেখা করেন জামায়াত নেতার সাথে --

বিষয়: বিবিধ

৩৮৭৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

174430
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২১
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আওয়ামীলীগের সঙ্গে থাকলে দেশপ্রেমিক বিপক্ষে গেলে দেশ বিরোধী। আসল দেশ বিরোধী তো তারা যারা স্বাধীনতা বিক্রি করে। যারা ভারতের তাবেদারী করে।
174456
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:১২
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File