আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরোদ্ধে মামলা ও সাক্ষ্যের অসামঞ্জস্যতা এবং সরকারী অনুদান
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:৫৭:১৬ রাত
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল আবেদন শুনানিতে আলোচিত ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন চলছে। ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যার অভিযোগ বিষয়ে মাওলানা সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু আলোচিত ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার পর ইব্রাহীম কুট্টির স্ত্রী ১৯৭২ সালের মামলা যে মামলা করেছিলেন সেই মামলায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নাই।
আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর বিরোদ্ধে ইব্রাহিম কুট্টি হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
ইব্রাহিম কুট্টি হত্যার বিচার চেয়ে ইব্রাহিম কুট্টি স্ত্রী মামলা করেন ১৬ / ০৭ / ১৯৭২ সালে। ওই মামলার আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর নাম ছিল না। এমন কি বাংলাদেশের কোথাও যোদ্ধঅপরাধী অথবা অন্য কোনো মামলা ছিল না।
বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীকে ইসলাম ধর্ম অবমাননা মামলায় গ্রেফতার করে।...
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল আবেদন মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে মঙ্গলবার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। মাওলানা সাঈদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান যুক্তি পেশ শুরু করেছেন। এর আগে এ মামলায় এভিডেন্স (জবানবন্দী, জেরা এবং রায়) পাঠ শেষ হয়।
প্রথম দিন একটি অভিযোগ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্য খণ্ডন করে যুক্তি পেশ করা হয়েছে।
বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার সিনহা বলেন, ইমপ্রব্যাবল (অভাবনীয়)।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান এরপর বলেন, সাক্ষী মাহবুবুল আলমের এসএসসি রেজিস্ট্রেশন ফর্মে জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ২০/৩/১৯৫৯। সে মোতাবেক ১৯৭১ সালের ২০ মার্চ তার বয়স ছিল ১২ বছর। ৭ মে তার বয়স দাঁড়ায় ১২ বছর ২ মাসের মতো। রাষ্ট্রপক্ষের ১৩ নম্বর সাক্ষী বলেছেন মাহবুবুল আলম স্বাধীনতার আগে স্কুল ছাত্র ছিলেন।
এ বয়সের একজন শিশু সাক্ষী বলেছেন, পাকিস্তান আর্মি আসার খবর শুনে তিনি আড়ালে অবস্থান করে পর্যবেক্ষণ করেছেন, রিক্সা এবং সৈন্য সংখ্যা গণনা করেছেন।
এ পর্যায়ে বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার সিনহা বলেন, আনবিলিভ্যাবল ।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল আবেদন শুনানিতে আলোচিত ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন চলছে। ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যার অভিযোগ বিষয়ে মাওলানা সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু আলোচিত ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার পর ইব্রাহীম কুট্টির স্ত্রী ১৯৭২ সালের মামলা যে মামলা করেছিলেন সেই মামলায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নাই।
আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর বিরোদ্ধে ইব্রাহিম কুট্টি হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
ইব্রাহিম কুট্টি হত্যার বিচার চেয়ে ইব্রাহিম কুট্টি স্ত্রী মামলা করেন ১৬ / ০৭ / ১৯৭২ সালে। ওই মামলার আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর নাম ছিল না। এমন কি বাংলাদেশের কোথাও যোদ্ধঅপরাধী অথবা অন্য কোনো মামলা ছিল না।
বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীকে ইসলাম ধর্ম অবমাননা মামলায় গ্রেফতার করে।...
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল আবেদন মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে মঙ্গলবার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। মাওলানা সাঈদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান যুক্তি পেশ শুরু করেছেন। এর আগে এ মামলায় এভিডেন্স (জবানবন্দী, জেরা এবং রায়) পাঠ শেষ হয়।
প্রথম দিন একটি অভিযোগ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্য খণ্ডন করে যুক্তি পেশ করা হয়েছে।
বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার সিনহা বলেন, ইমপ্রব্যাবল (অভাবনীয়)।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান এরপর বলেন, সাক্ষী মাহবুবুল আলমের এসএসসি রেজিস্ট্রেশন ফর্মে জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ২০/৩/১৯৫৯। সে মোতাবেক ১৯৭১ সালের ২০ মার্চ তার বয়স ছিল ১২ বছর। ৭ মে তার বয়স দাঁড়ায় ১২ বছর ২ মাসের মতো। রাষ্ট্রপক্ষের ১৩ নম্বর সাক্ষী বলেছেন মাহবুবুল আলম স্বাধীনতার আগে স্কুল ছাত্র ছিলেন।
এ বয়সের একজন শিশু সাক্ষী বলেছেন, পাকিস্তান আর্মি আসার খবর শুনে তিনি আড়ালে অবস্থান করে পর্যবেক্ষণ করেছেন, রিক্সা এবং সৈন্য সংখ্যা গণনা করেছেন।
এ পর্যায়ে বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার সিনহা বলেন, আনবিলিভ্যাবল
সাঈদীর মামলার সাক্ষীদের মাঝে চেক হস্তান্তর
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে দুটি বই জমা দিয়েছিলেন তার আইনজীবীরা। বই দুটি হলো কবি হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ও বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রণলায় প্রকাশিত স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্র এবং পিরোজপুর জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত পিরোজপুর জেলার ইতিহাস। আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বেঞ্চে মাওলানা সাঈদীর আপিল আবেদন শুনানির সময় এ বই বিষয়ে যুক্তি পেশ করেন অ্যাডভোকেট শাহজাহান।
তিনি বলেন, বই দুটিতে পিরোজপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের বিবরণ রয়েছে এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ের সাথে স্বাধীনতা বিরোধীদের নামও রয়েছে। কিন্তু বই দুটির কোথাও মাওলানা সাঈদীর নাম নেই। মাওলানা সাঈদী যদি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতেন তাহলে এ বই দুটিতে অন্তত কোথাও না কোথাও মাওলানা সাঈদীর নাম থাকত।
তিনি বলেন, পিরোজপুর জেলা পরিষদ প্রকাশিত পিরোজপুর জেলার ইতিহাস নামক বইতে পিরোজপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্ণনার পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার ও শান্তি কমিটির লোকজনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তাতে কোথাও মাওলানা সাঈদীর নাম নেই। এমনকি এ বইয়ে পিরোজপুর জেলার কৃতী সন্তানদের নামের যে তালিকা রয়েছে সেখানে মাওলানা সাঈদীর ছবিসহ তার পরিচিতি রয়েছে যেখানে মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়াউদ্দিনসহ আরো অনেক খ্যাতিমানদের নাম রয়েছে। এ বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০০৭ সালে যখন দেশে কোনো রাজনৈতিক সরকার ছিল না। তাছাড়া বইটি যারা সম্পাদনা করেছেন তাদের মধ্যে পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামালুল হক মনুসহ অনেকে জড়িত ছিলেন। এখানেও সাঈদীর নাম নেই।
এসময় বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেন, মাওলানা সাঈদী যদি ১৯৭১ সালে কিছু করত তাহলে এ দুটি বইয়ে অবশ্যই তার নাম থাকত। এটা খুবই সিগনিফিকেন্স (তাৎপর্যপূর্ণ) একটা বিষয়। এছাড়া পিরোজপুর জেলার ইতিহাস বইয়ে পিরোজপুরের কৃতী সন্তানদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। এটিও খুবই সিগনিফিকেন্স। বইটি সম্পাদনার সাথে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের নাম রয়েছে। তিনি জেলার সব মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। এটাও ইমপরটেন্ট বিষয়।
এসময় অপর বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক বলেন, পিরোজপুর জেলার ইতিহাস বইয়ে জামায়াতের সম্পর্কেও আলোচনা রয়েছে। সেখানেও সাঈদী সাহেবের নাম নেই। অথচ দানেশ মোল্লা সেকেন্দার শিকদার এদের নাম বারবার এসেছে। কিন্তু সাঈদী সাহেবের নাম একবারও আসেনি।
এসময় বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা পিরোজপুর জেলার ইতিহাস বই থেকে কয়েকটি লাইন পড়ে শুনিয়ে বলেন, এখানে জামায়াত নেতা কাউখালির মাওলানা আব্দুর রহিমের নাম রয়েছে। কিন্তু মাওলানা সাঈদীর নাম নেই।
তখন অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্র বইটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি খুবই অথেনটিক একটি বই। মাওলানা সাঈদী সাহেব যদি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী কাজের সাথে জড়িত থাকতেন তাহলে এ বইটি এবং পিরোজপুর জেলার ইতিহাস নামক বইটি যেখানে পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিবরণ রয়েছে এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের নামের তালিকা রয়েছে সেখানে কোথাও না কোথাও তার নাম থাকত।
বিষয়: বিবিধ
২৩৭৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে আমি আশা করবো, বাংলার সর্বস্থরের মুসলিম জনতা তাদের ঈমানী দায়িত্ব পালনের খাতিরে সমস্বরে প্রতিবাদ। জানাবেন। আর না হয় ইসলামের নামে ইসলামের জন্য যত সেবাই করুন না কেন আল্লাহর দারবারে এসবের বিন্দু মাত্র মূল্য থাকতে পারে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন