বাংলাদেশে পাচারের পথে বিরাট অস্ত্রের চালান ভারতে উদ্ধার বিচার হয়নি এখনো। কিন্তু বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সহ ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড। বিশ্লেষণ প্রয়োজন।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ৩১ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:১৪:০৯ রাত



বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে, ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড।অস্ত্র চোরাচালানের এই মামলায় ৫২ জন আসামির মধ্যে বাকি ৩৮ জন খালাস পেয়েছেন।

তত্কালীন সময়ে সরকারের দায়িত্বে থাকা সাবেক সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ডিজিএফআই-এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার, এনএসআই-এর সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে। একই ঘটনায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান গতকাল এ রায় ঘোষণা করেন।

[b]মামলা


মামলা নং ও ধারা : দশ ট্রাক অস্ত্র আটক ও চোরাচালানের অভিযোগে নগরীর কর্ণফুলী থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে একটি হচ্ছে কর্ণফুলী থানার মামলা নং-২(৪)২০০৪। ধারা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা অইনের ২৫ এর বি ও ডি। জিআর নং- ২৪১/২০০৪। স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল মামলা নং- ৩২৪/২০০৪। অপরটি হচ্ছে কর্ণফুলী থানার মামলা নং-১(৪)২০০৪। ধারা ১৯৭৮ সালের বিশেষ ক্ষমতা অইনের ১৯ এর এ ও সি। জিআর নং- ২৪০/২০০৪। স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল মামলা নং- ১৫০/২০০৪।

অস্ত্র আটক মামলায় ৫০ জন আসামী : এরমধ্যে ১১ জন হাজতে, ২৭ জন জামিনে, ১২ জন পলাতক।

আসামীরা হলেন, হাফিজুর রহমান (৪৮), দীন মোহাম্মদ (৪৫), হাজী আব্দুস সোবহান (৬০), আনোয়ার হোসেন চৌধুরী (৫০), দিলদার হোসেন চৌধুরী (৪৭), মরিয়ম বেগম মেম্বার ওরফে বদনী (৪৩), মো.জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম (৩৫), আব্দুল আজিজ (৪৯), মো.আকতার (৪৬), মো.জাঙ্গাগীর (৪৩), নুরুল আবছার ওরফে আবছার মেম্বার (৪৫), আরজু মিয়া প্রকাশ পাগলা (৫৮), মো.এজাহার মিয়া (৫৫), মজিবুর রহমান ভুলু(৫৭), শেখ মোহাম্মদ (৪৭), মো.ফজল আহম চৌধুরী, মো.আকবর আলী (৪৬), বাদশা মিয়া (২৪), ওসমান মিস্ত্রী (৩৪), মো.আব্দুল মান্নান (৩২), মো.কবির আহমদ (৩৪), মো.রফিক (৩০), মনির আহমদ (৩২), আব্দুল মালেক (৩৫), মো.মনজুরুল আলম (২৮), প্রদীপ কুমার দাস প্রকাশ বজ্র গোপাল(৩৮), মো.নুরনবী (৩৪), বাবুল মিয়া (৩৪), মো.সালেহ জহুর প্রকাশ গুরামিয়া (৩০), আব্দুর রহিম মাঝি (৩৫), মো.শাহজাহান (৩৮), আব্দুস সোবহান (৩৩), আব্দুস সবুর (৩২), মো.শাহ আলম (৩৪), মো.সিরাজুল ইসলাম ওরফে ইসলাম (৩৩), মো.হেলাল উদ্দিন (৩০), ফিরোজ আহমদ (৩২), সাইফুদ্দিন (৫০), কামাল মিয়া (৩৮), ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান (৫৭), উইং কমান্ডার (অব) সাহাবুদ্দিন (৫২), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী (৬০), মেজর (অব) এম লিয়াকত হোসেন (৪৫), মহসীন উদ্দিন তালুকদার (৬২), কেএম এনামুল হক (৬১), মো.লুৎফুজ্জামান বাবর (৫৩), পরেশ বড়–য়া (৫৪), মো.নূরুল আমিন (৫৮), মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (৮২)।

হাজতে রয়েছে : ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান (৫৭), উইং কমান্ডার (অব) সাহাবুদ্দিন (৫২), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী (৬০), মেজর (অব) এম লিয়াকত হোসেন (৪৫), মহসীন উদ্দিন তালুকদার (৬২), কেএম এনামুল হক (৬১), মো.লুৎফুজ্জামান বাবর (৫৩), মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (৮২), হাফিজুর রহমান (৪৮), দীন মোহাম্মদ (৪৫), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আব্দুর রহিম (৬১)।

জামিনে ছিলেন: হাজী আব্দুস সোবহান (৬০), আনোয়ার হোসেন চৌধুরী (৫০), দিলদার হোসেন চৌধুরী (৪৭), মরিয়ম বেগম মেম্বার ওরফে বদনী (৪৩), মো.জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম (৩৫), আব্দুল আজিজ (৪৯), মো.আকতার (৪৬), মো.জাঙ্গাগীর (৪৩), নুরুল আবছার ওরফে আবছার মেম্বার (৪৫), আরজু মিয়া প্রকাশ পাগলা (৫৮), মো.এজাহার মিয়া (৫৫), মজিবুর রহমান ভুলু(৫৭), শেখ মোহাম্মদ (৪৭), মো.ফজল আহমদ চৌধুরী (৪৩), মো.আকবর আলী (৪৬), বাদশা মিয়া (২৪), ওসমান মিস্ত্রী (৩৪), মো.আব্দুল মান্নান (৩২), মো.কবির আহমদ (৩৪), মো.রফিক (৩০), মনির আহমদ (৩২), আব্দুল মালেক (৩৫), মো.মনজুরুল আলম (২৮), মো.সালেহ জহুর প্রকাশ গুরামিয়া (৩০), ফিরোজ আহমদ (৩২), সাইফুদ্দিন (৫০) ও কামাল মিয়া (৩৮)।

পলাতক আসামী : উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়া (৫৪) ও সাবেক শিল্প সচিব নুরুল আমিন (৫৮) প্রদীপ কুমার দাস প্রকাশ বজ্র গোপাল (৩৮), মো.নুরনবী (৩৪), বাবুল মিয়া (৩৪), মো.সিরাজুল ইসলাম ওরফে ইসলাম (৩৩), মো.হেলাল উদ্দিন (৩০), আব্দুর রহিম মাঝি (৩৫), মো.শাহজাহান (৩৮), আব্দুস সোবহান (৩৩), আব্দুস সবুর (৩২), মো. শাহ আলম (৩৪)।

আসামীদের মধ্যে যাদের মৃত্যু হয়েছে : এছাড়া ওই মামলায় ৪জন আসামীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে অধিকতর তদন্তে সম্পুরক চার্জশিটে তাদের আসামী হিসেবে উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি। তারা হলেন, মনির আহমদ, ইয়াকুব আলী, হাজী মো.আতাউর রহমান, আবুল কাশেম ।

ঘটনা যেমন ছিল -

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল, মধ্যরাত। কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সিইউএফএলের সংরক্ষিত জেটিঘাটে অতি গোপনে ট্রলার থেকে নামিয়ে ট্রাকে তোলা হচ্ছিল বাক্সভর্তি অস্ত্র।

ঠিক তখন প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নদীর উত্তর পাড়ে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ফোন বেজে ওঠে।

সেই রাতে ঘটনাস্থলে ছিলেন কর্ণফুলী থানার বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির সেসময়ের হাবিলদার গোলাম রসুল, ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট মো. আলাউদ্দিন ও পতেঙ্গা থানার কয়লার ডিপো পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিন।

তিনজনই পরে আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে সেই রাতের ঘটনার বর্ণনা দেন।

২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে হাবিলদার গোলাম রসুল বলেন, রাত আনুমানিক পৌনে ১১টায় ফাঁড়িতে একটি টেলিফোন এলে তিনি নিজের পরিচয় দেন।

“তখন ওই প্রান্ত থেকে বলে- হাবিলদার সাহেব, সিইউএফএল জেটিঘাটে গিয়ে দেখেন ক্রেনের সাহায্যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ট্রাকে লোড করা হচ্ছে। কে কথা বলছে নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে সে কিছু না বলে ফোন রেখে দেয়।”

সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি টেলিফোনে সার্জেন্ট আলাউদ্দিনকে জানান হাবিলদার রসুল। ফাঁড়ি থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হওয়ার পর পথেই সার্জেন্ট আলাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা হয়। এরপর আলাউদ্দিনের মোটর সাইকেলে চড়েই দুজন রওনা হন ঘাটের দিকে।

গোলাম রসুল আদালতে বলেন, জেটিঘাটে পৌঁছে অনেক লোকজন, বাক্স ভর্তি দুটি ট্রলার, সাতটি ট্রাক ও একটি ক্রেন দেখতে পান। ক্রেন দিয়ে ট্রলার থেকে নামিয়ে বাক্সগুলো তোলা হচ্ছিল ট্রাকে।

“শ্রমিকদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলে- এগুলো মেশিনারি পার্টস। মালিক আশেপাশেই আছে।”

কিন্তু রসুল আর আলাউদ্দিন অনেক খুঁজেও জেটিঘাটে মালামালের মালিককে পাননি বলে আদালতকে জানান।

২০১২ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে সার্জেন্ট আলাউদ্দিন বলেন, মালিককে খুঁজে না পেয়ে তিনি ফোন করেন পুলিশের তৎকালীন উপ-কমিশনার (ডিসি, বন্দর) আবদুল্লাহ হেল বাকীকে।

“ডিসি বলেন, কোনো ট্রাক যেন মালামালসহ ঘাট থেকে বের হতে না পারে। কয়লার ডিপো ফাঁড়ির সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিন ও কর্ণফুলী থানার ওসি আহাদুর রহমানকে ঘটনাস্থলে পাঠাচ্ছি।”

রাত ১২টা ১০মিনিটে বেতার যন্ত্রে আবদুল্লাহ হেল বাকীর নির্দেশ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিন, যোগ দেন রসুল আর আলাউদ্দিনের সঙ্গে।

ঘাটের কাছেই এক চায়ের দোকানের সামনে সাত-আট জনের জটলা দেখতে পেয়ে এগিয়ে যান তিন পুলিশ সদস্য। সে সময় ওই জটলার মধ্য থেকে দুই ব্যক্তি এগিয়ে এসে সার্জেন্ট আলাউদ্দিনের সাথে কথা বলেন।

আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে আলাউদ্দিন বলেন, ওই দুইজনের মধ্যে একজন নিজেকে হাফিজুর রহমান ও অন্যজন উলফা নেতা আবুল হোসেন বলে পরিচয় দেয়।

২০০৪ সালের ১লা এপ্রিল গভীর রাতে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড সিইউএফএল জেটিঘাটে ধরা পড়ে ১০ ট্রাক অস্ত্র। এরপর পরের বছর ৬ই জুলাই এই মামলায় বাদী আহাদুর রহমানের সাক্ষ্য দেয়ার মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। ২০০৭ সালের ২০শে নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ মামলার অধিকতর তদন্তের আবেদন করে। ২০০৯ সালের ২৯শে জানুয়ারি এএসপি মনিরুজ্জামান তদন্ত শুরু করেন। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১০ই অক্টোবর অস্ত্র মামলায় মোট ৫৬ জন ও চোরাচালান মামলায় মোট ৫৩ সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। আটক ১০ ট্রাক অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে ছিল উজিগান, টমিগান, এসএমজি, এমএমজিসহ ১৭৯০টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২০টি গুলি, ৬ হাজার ৩৯২টি গুলির ম্যাগাজিন, ২৪ হাজার ৯৯৬টি গ্রেনেড এবং ১৫০টি রকেট লাঞ্চার।





মন্ত্রনালয়ে দায়িত্বে থাকলে যদি ফাসি হয় তাহলে , পিলখানার হত্যার বিচার কি এমন হবে না ?

সেটা ও তো বিশেষ একটি মন্ত্র নালয়ের অধীনে ছিল।


রায়ের পর -



একজন মুক্তিযোদ্ধার ফাসির রায় -

ফাসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এনএসআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান একজন মুক্তিযোদ্ধা ।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এনএসআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খানের স্ত্রী সেলিমা সুলতানা তিনতলার এজলাসকক্ষ থেকে স্বামীর পাশাপাশি হেঁটে হেঁটে নিচে নেমে আসেন। পুলিশ, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ধাক্কাধাক্কির মধ্যেও তিনি স্বামীর পাশাপাশি থাকতে চেয়েছেন সব সময়। চোখ ছলছল করছিল সেলিমার। আকবর হোসেন প্রিজন ভ্যানে উঠে যাওয়ার পর গ্রিলের দিকে এলে সেলিমা আদালত ভবনের ফটকের পাশে একটি উঁচু দেয়ালের ওপর দাঁড়িয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে প্রিজন ভ্যান চালু হলে আকবর হোসেন গ্রিলের ফাঁক দিয়ে হাত বের করে দেন। সেলিমা বাইরে থেকে হাত বাড়িয়ে সেটি ধরেন। এভাবে একসময় চলে যায় প্রিজন ভ্যানটি। স্বামীর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়েছিলেন সেলিমা। তার চোখ দিয়ে টপ টপ পানি ঝরছিল। এরপর এক স্বজনসহ তিনি আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার স্বামী একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমার স্বামী এই ঘটনায় জড়িত নয়। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2014/01/31/234196#.UuvAoLRB7RY

http://www.newagebd.com/detail.php?date=2014-01-31&nid=82190#.UuvBSbRB7RY

http://mzamin.com/details.php?mzamin=OTM2NQ==&s=Mg==

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি দীন মোহাম্মদ অস্ত্র খালাসের জন্য ট্রলার ও শ্রমিক

রায় শোনার পর থেকে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন দীন মোহাম্মদের স্ত্রী মিনু আরা বেগম। কাঁদতে কাঁদতে তিনি স্বামীর পেছন পেছন নিচে নেমে আসেন। তিনি বারবার বলছিলেন, ‘আল্লাহ, এটা কি হলো।’ আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার সময় তাকে সাংবাদিকেরা ঘিরে ধরেন। এ সময় তিনি কঁাঁদছিলেন বলে কোন কথায় বলতে পারছিলেন না। একটু শান্ত হয়ে মিনু আরা বলেন, ‘আমার স্বামী দিনমজুর। তাকে শুধু শুধু এই মামলায় ফাঁসি দেয়া হয়েছে। আমার স্বামী নির্দোষ। আমরা গরিব মানুষ। আমার পরিবারের এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

আরেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুস সোবাহানের বড় ছেলে ওসমানও রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন। রায়ে তিনি হতাশ হয়েছেন। ওসমান প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার বাবা নির্দোষ। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে যাবো।

একইভাবে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফিজুর রহমানের ভাই ওয়াসিউর রহমান ফাঁসির রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উইং কমান্ডার সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী ও মেয়ে। রায় ঘোষণার পর সাহাবকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকেন স্ত্রী-মেয়ে। গণমাধ্যমে তারা কোন মন্তব্য করেননি।

সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমীর মতিউর রহমান নিজামী রায়ের পর বলেন, আমার প্রতিক্রিয়া আমার আইনজীবী দেবেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। যে রায় দেয়া হয়েছে তা অন্যায়ভাবে দেয়া হয়েছে।

সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর রায়ের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হলাম আমি। ন্যায়বিচার পেলাম না। এ রায় আমি মানি না। মামলার অপর আসামি এ কে এম এনামুল হক অজ্ঞান হয়ে পড়েন। অনেকের আত্মীয়স্বজন ও পরিজনরা রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী বলেন, এটি সাজানো রায়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার নেই। তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, আমি তার সদস্য ছিলাম। সাবেক সচিব ওমর ফারুক-ও সদস্য ছিলেন। তাঁকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মিথ্যা কথা বলানো হয়েছে।

http://mzamin.com/details.php?mzamin=OTM2Mw==&s=Mg=

দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে সরকারি সার কারখানা সিইউএফএল’র জেটিঘাট সংলগ্ন একটি অরক্ষিত ঘাট থেকে। তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী এই ঘটনায় জড়িত থাকলে সিইউএফএল’র সংরক্ষিত জেটিঘাট দিয়ে অস্ত্রগুলো খালাস করা হতো।

ভারতে উদ্ধার সেই অস্ত্রের মামলা এবং বাংলাদেশের এই রায় নিয়ে কিছু কথা



বাংলাদেশে পাচারের পথে বিরাট অস্ত্রের চালান উদ্ধার

৯ মার্চ, ২০১৩

http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2013/03/130309_mb_india_arms_recovery.shtml

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বাংলাদেশে পাচার করার জন্য বিদেশ থেকে আনা এক বিরাট অস্ত্রের চালান তারা উদ্ধার করেছে।

মিজোরাম পুলিশের উপপ্রধান জানিয়েছেন অস্ত্র চালানের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে তারা গ্রেপ্তার করেছেন। এরা বার্মার নাগরিক হলেও বর্তমানে ভারতেরই বাসিন্দা।

বিষয়: বিবিধ

২২৫৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

171063
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২২
সিকদারর লিখেছেন : দুঃখজনক। তবে এই দিন দিন নয় আরও দিন আছে .....।
171071
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:০১
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : যারা দেশে প্রেমের কারণে অস্ত্র উদ্ধার করেছে রদের ফাসি দিয়েছে ভারতের দালাল আদালত। বাংলাদেশের মানুষের দেশ প্রেম থাকতে নেই।
171240
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪৪
কাঁচের বালি লিখেছেন : যে চোর ধরে সেই চোর হয় ---
যেই চুরি করে সেই বিচারক হয় ।
এই হল এখনকার নীতি
হাসিনার নীতি ।
171257
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ। ঘটনাটা সিউএফএল জেটিটে নয় বরং সিউএফএল সংলগ্নঘাটে ঘটেছিল। কিন্তু এমডির মৃত্যুদন্ড দেখে মনে হচ্ছে আপনার বাসার পাশে চুরি হলেই আপনাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া যায়।
171294
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন :

ছবিটি ভালভাবে দেখলে বুঝা যায় সিউএফল লেখা জেটিটি হচ্ছে সিউএফএল এর। এটি একটি বিশেষ ধরনের জেটি। অটোমেটেড সিষ্টেম এর মাধ্যমে কনভেয়র বেল্ট এ কারখানা থেকে সরাসরি মালামাল আনানেয়া হয়। এখানে কোন বাল্ক কারগো নামান সম্ভব নয়। তার পাশের জেটিটাতে সম্ভব।অথচ এই অভিযোগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিরও মৃত্যুদন্ড হয়ে গেল।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File