সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর খবর প্রচারিত হচ্ছে না। ভয়াবহ ঘটনা থামছে না ।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৩:৫৪:০৫ রাত



সাতক্ষীরা যেন লাঞ্চিত মানবতা , মধ্য যুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। একটি পত্রিকার আজকের খবর পড়ে মনে হচ্ছে , বাংলাদেশ এখন আর্তনাদের হাহাকার।

একটি পত্রিকার আজকের খবর

সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর ৩ দিনের অভিযানে সাতক্ষীরা বলতে গেলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে, দেখলে মনে হয় কোন ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনপদ। স্বচক্ষে এ দৃশ্য না দেখলে বিশ্বাস হওয়ার নয়। এখানে-ওখানে জ্বলছে আগুন। বাতাসে বইছে কান্নার শব্দ। চারদিকে চিৎকার আর হাহাকার। সহায়-সম্বল হারিয়ে মানুষ পাগলপ্রায়। তাদের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে গোটা জেলার পরিবেশ। আশ্রয় ও গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। যৌথবাহিনীকে দেখলেই মানুষ পালাচ্ছে। রক্ষা পায়নি নারী-শিশু ও বৃদ্ধরাও। রাত শুরু হলেই আতঙ্কে বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে বাড়ির পুরুষ ও যুবক ছেলেরা। প্রতি রাতেই ঘটছে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। জেলার কোথাও না কোথাও ঘটছে ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট। বিপদ আছে আরও।



সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনী ও আওয়ামী কর্মী-সমর্থকদের তাণ্ডবে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে সাতক্ষীরা অঞ্চলের মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। একদিকে নিজেরা থাকছেন পালিয়ে, অন্যদিকে বিন্দু বিন্দু করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে গড়ে তোলা বাড়িঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে প্রচণ্ড শীতে মধ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এদের কোন আত্মীয়স্বজন পর্যন্ত দেখা করতে যেতে পারছে না। দিতে পারছে না খাবারও। স্বজনদের সন্ধান নিতে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রোষানলে পড়তে হয়েছে বহু নারী ও শিশুকে। সবমিলিয়ে দেশের সীমান্তবর্তী এ জেলায় আইনের রক্ষকরাই ভক্ষকের ভূমিকায় ব্যস্ত রয়েছে। দেশের মানবাধিকার কর্মীরাও এ নির্যাতন ও নিপীড়নের চিত্র ধারণ করতে পারছেন না। আর সাংবাদিকরাও জীবনের নিরাপত্তার অভাবে সঠিক তথ্য তুলে ধরছেন না। [img]http://www.bdtomorrow.com

/blog/bloggeruploadedimage/muhon/1387793675.jpg[/img]





উপরের খবর গুলোর সূত্র - এই লিঙ্কে

http://mzamin.com/details.php?mzamin=NDA3Ng%3D%3D&s=Mw%3D%3D#.UrfPqxWQnlE

একটু পিছনে থাকলে মনে হবে , এটা বাংলাদেশ নয়।

যেন এক নারকীয় হায়েনাদের যোদ্ধের বিরান ভূমি -

সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর তাণ্ডব চলছেই : আ.লীগ ক্যাডারদের নিয়ে ৬৫ বাড়ি দোকান তছনছ লুট রেহাই পায়নি হিন্দু ব্যবসায়ীরা

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/12/19/228956#.UrgOBPRDtlN

সাতক্ষীরায় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ৬ জন নিহত,

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/12/18/228811#.UrgOw_RDtlN

অশান্ত সাতক্ষীরায় গুলি, বুলডোজার নিয়ে অভিযান,

http://mzamin.com/details.php?mzamin=MzU1NQ%3D%3D&s=MQ%3D%3D

সাতক্ষীরা জেলায় যৌথবাহিনীর অভিযানের মধ্যে কিভাবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় ও সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ছে, কিভাবে মানুষ খুন হচ্ছে, কিভাবে মানুষের বাড়িঘরে লুটপাট আর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে- এমন সব প্রশ্নের জবাব সাতক্ষীরার এসপি মঞ্জুরুল কবির এড়িয়ে যান।

http://mzamin.com/details.php?mzamin=NDA3Ng%3D%3D&s=Mw%3D%3D#.UrfPqxWQnlE

সাতক্ষীরার বাজারে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলা, লুটপাট

http://mzamin.com/details.php?mzamin=MzcyMw%3D%3D&s=MQ%3D%3D

যৌথবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এলাকার বেশ কিছু নিরীহ লোকের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। একই সঙ্গে যৌথবাহিনীর সদস্যরা এলাকার নিরীহ লোকজনকে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। তাদের লাঠিপেটা থেকে রেহাই পায়নি বাড়ির বউ-ঝিরাও। এরই ধারাবাহিকতায় এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।

http://mzamin.com/details.php?mzamin=NDA3Ng%3D%3D&s=Mw%3D%3D#.UrfPqxWQnlE



সাতক্ষীরায় রাত নামলেই আতঙ্ক


অশান্ত জনপদ সাতক্ষীরা। নির্যাতিত মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ আর উত্তেজনা। বাড়ছে বসতবাড়িহারা মানুষের সংখ্যা। আতঙ্ক তাড়া করে ফিরছে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের। রাতের অন্ধকার নামার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষশূন্য গ্রামগুলোতে অজানা আতঙ্কে বাস করছে নারীরা। সরকারি দলের ক্যাডাররা ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগ চালাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের ঘর-বাড়িতে। বাড়ছে খুনের তালিকা। বাড়ছে হারিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যাও। অজ্ঞাতসারে নিখোঁজ হওয়া এসব মানুষের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কি ঘটবে তা জানে না কেউ। যৌথবাহিনীর অভিযানের মধ্যেও ঘরহারা মানুষ বাড়িঘরে ফিরতে সাহস পাচ্ছেন না।

http://mzamin.com/details.php?mzamin=Mzc2Ng%3D%3D&s=Mw%3D%3D

সাতক্ষীরায় যৌথ অভিযানে যা ঘটছে-

সাতক্ষীরায় ২১৬ মামলায় আসামি ৭৪ হাজার নেতাকর্মী: বর্তমান সরকার আমলে বিভিন্ন সময় জামায়াত-শিবির, বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২১৬টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৪৫০০ নেতাকর্মীকে এজহারভুক্ত এবং ৭৩ হাজার ৯৭৭ জন অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় বিভিন্ন সময় ১৪শ’ ৪৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে ২৮২ জন জেলহাজতে রয়েছে। এতে করে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ মামলা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

লা বাড়ি-ঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে শীতের মধ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদের কোন আত্মীয়স্বজন পর্যন্ত দেখা করতে যেতে পারছে না। দিতে পারছে না খাবার-ও। স্বজনদের সন্ধান নিতে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের রোষানলে পড়তে হয়েছে নারী ও শিশুদের। নিরাশ্রয় এসব পরিবারের নারীরা হারাচ্ছেন সম্ভ্রম।

http://mzamin.com/details.php?mzamin=MzkxNg%3D%3D&s=MTA%3D

সাতক্ষীরায় যৌথ অভিযানে তান্ডবের চিত্র দেখুন -











































































সাতক্ষীরা ,বিধ্বস্ত এক জনপদ

২৩ ডিসেম্বর ২০১৩,

http://mzamin.com/details.php?mzamin=NDA3Ng%3D%3D&s=Mw%3D%3D#.UrfPqxWQnlE

এলাকাবাসীর অভিযোগ, জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা অব্যাহত রেখেছে। অনেক স্থানে জনতার প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তবে তারা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় যৌথভাবে হামলা চালাচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে তারা সহযোগী হয়ে এসব হামলায় যোগ দিচ্ছে। কোন কোন অপারেশনে পুলিশের অস্ত্রও বহন করতে দেখা যাচ্ছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।

বাংলাদেশ কি তাহলে বর্বর যুগে -

এলাকার জনগনের মনের কষ্টের কথা

'''''''''''''''''''''''''''''''''''

যৌথবাহিনী ও আওয়ামী লীগের লোকজন অভিনব কায়দায় ‘নারায়ে তাকবির-আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে লোকালয়ে ঢোকে। তাদের আওয়াজ শুনে মুসল্লিরা বেরিয়ে আসলে তাদের চতুর্দিক থেকে ঘেরাও করে কখনও লাঠিচার্জ আবার কখনও গুলি করে ফেলে রেখে হচ্ছে। কাউকে কাউকে চোখ মুখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জানি না তাদের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কি ঘটে। আবার আহত অনেকে গ্রেপ্তারের ভয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন না। উঠতি বয়সী মেয়েরা নিজেদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে গ্রাম ছেড়ে শহরে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আর যাদের কোন আশ্রয় নেই তারা জীবন বাঁচাতে দেহ বিলিয়ে দিচ্ছে ওইসব নরপশুদের। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, একাত্তরে পাক-হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের কাহিনী শুনেছি। আর এবার দেখছি নিজ দেশের সরকারি বাহিনী আর সরকারি দলের লোকেরা সাধারণ মানুষের উপর কিভাবে পৈশাচিক নির্যাতন চালায়। আমরা আগামী প্রজন্মের কাছে এ নির্যাতনের চিত্র যখন তুলে ধরবো তখন তারাই বলবে, তোমরা বর্বর যুগের বাসিন্দা ছিলে।

বিষয়: বিবিধ

৫১০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File