সত্যে কে বাচতে দিতেই হবে। আর লাশের ভার বহন করতে পারি না।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৬:২০:৪৪ সন্ধ্যা
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে ..।
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পূর্বাবাস এবং
দেশী বিদেশী আইনজীবী ও নিরপেক্ষ বিচারক , রাষ্ট্রবিজ্ঞানী , মানবাধিকার সংস্থা , রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের কথা
নিচের লিঙ্কে দেখুন - (ভিডিও )
http://www.youtube.com/watch?v=wei7VUsLV9Y#t=28
ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা মামলায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ফাসির আদেশ দেয় আদালত - কিন্তু সেই ইব্রাহিম কুট্টির স্ত্রীর মামলায়
সাঈদীর কোনো নাম নাই !!!
১৬/০৭/১৯৭২ সালের মামলার মূল নথি দেখুন -
১৯৭১ সালে এই সাক্ষীর বয়স ছিল প্রায় ৮ বছর। ৩ বোন। তখন ৩ জনই সাক্ষীর ছোট ছিল। তাহলে এরা কি করে ধর্ষিত হয়েছিল ?
১৫ জানুয়ারী ২০১২ তারিখে ১৩ নম্বর সাক্ষী গৌরাঙ্গ সাহার জবানবন্দী দেন আদালতে।
১৩ নম্বর সাক্ষী গৌরাঙ্গ সাহার জবানবন্দী নিম্নরূপ :
গৌরাঙ্গ সাহাকে জেরা করেন এডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও মনজুর আহমেদ আনাসারী। জেরার বিবরণ নিম্নরূপ :
প্রশ্ন- টেংরাখালির মাহবুব আলম হাওলাদারকে আপনি চেনেন?
উত্তর- হ্যাঁ।
প্রশ্ন- উনার সাথে কতদিন পরিচয়?
উত্তর- স্বাধীনতার সময় উনি স্কুলে পড়তেন। অনেক আগে থেকেই পরিচয়। পাকিস্তান আমলেই তিনি স্কুলে পড়তেন। স্বাধীনতার পরে ভালভাবে পরিচয় হয়।
প্রশ্ন- উনি কোন স্কুলে পড়তেন?
উত্তর- পারেরহাট রাজলক্ষ্মী হাই স্কুলে।
প্রশ্ন : টেংরাখালীর মাহতাব উদ্দিন হাওলাদার কি আপনার বোনদের ধর্ষণ ও আপনাদের জোর পূর্বক মুসলমান করার বিষয়টি জানতেন?
উত্তর : ধর্ষণের বিষয় জানে কি না বলতে পারবো না। তাকে চিনতাম। এখনো চিনি।
প্রশ্ন : শহীদ উদ্দিন পসারীর ছেলে মানিক পসারীকে চিনতেন?
উত্তর : চিনি।
প্রশ্ন : পাকিস্তান বাহিনী পারেরহাটে আসার ৩/৪ দিন পরেই আপনার বোনদের ধরে নিয়ে যায়?
উত্তর : না। ১০/১৫ দিন পরে।
প্রশ্ন : আপনার ঐ ৩ বোনের বড়টা ১৯৭১ সালে বিবাহিত ছিল?
উত্তর : ঐ ৩ বোনের কেউই বিবাহিত ছিলো না।
প্রশ্ন : এই ৩ বোনের ভারতে গিয়ে বিয়ে হয়েছে?
উত্তর : এই ৩ বোনসহ মোট ৪ বোন কোথায় কে থাকেন তা বলতে পারবো না, তাদের বিয়ে হয়েছে কি না তাও জানি না।
প্রশ্ন : আপনার বাবা মা কোথায় কি অবস্থায় আছে জানেন?
উত্তর : টেলিগ্রাম পেয়েছিলাম যে মারা গেছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না।
....
উপরের সাক্ষীর দেখলেন তো !! একটা সাজানো কাহিনী , কোনো কিছুর মিল নাই। .....
সরকার পক্ষের সাজানো কথিত প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা আর আসছে না। বিগত ৩ সপ্তাহ ধরে সরকারি প্রশাসন ব্যবহার করে একদিকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন অন্যদিকে সরকারি সুযোগ-সুবিধার লোভ দেখিয়েও আর কাউকে হাজির করা যাচ্ছে না। দুই সপ্তাহ আগে পিরোজপুর থেকে ৩ জন সাক্ষীকে ঢাকায় আনার পর তারা আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে চলে যায়, আর ফেরেনি বলে আদালতে সরকার পক্ষ উল্লেখ করেন। এবার দেখুন এই সব সাক্ষীদের সরকারী সেইফ হুমে রেখে ও সরকারী আইনজীবিদের মিথ্যাচার ধরা পরে। কারণ সরকার পক্ষের সাজানো কথিত প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা আদালতে আসেন নাই। কারণ শিখানো কথা আদালতে ধরা পড়বে -
দেখুন সেইফ হাউসের রেজিষ্টার বই - নাম ঠিকানা সহ
আদালতে ভানুসাহার কথা উল্লেখ করেন সরকার পক্ষ কিন্তু ভানুসাহা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী চিনতেন না। তখন এই নাম শুনেন নাই।
এবং কথা সাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ন আহমেদের পিতা হত্যা কান্ডে সাঈদী কে আসামী করে সরকার পক্ষ। কিন্তু প্রয়াত হুমায়ন আহমেদের ভগ্নী পতি , মায়ের লিখা বইয়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কথা কোথাও উল্লেখ নাই।
এবার বলতে হয় বিদেশী টিভি রিপোর্টের কথা। মামলার সরকারী তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আদালতে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে টিভি ফুটেজ দাখিল করেন। কিন্তু আদালতে ফুটেজ দেখে কোথাও মাওলানা সাঈদীর নাম , ছবি কোনো তথ্য নাই।
সরকার পক্ষের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী সুখ রঞ্জন বালি। কিন্তু বালি নিজেই স্বীকার করেন তিনি মিথ্যা সাক্ষী দেবেন না। তাই আদালত থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
এর পর অনেক কাহিনী ঘটে। অবশেষে খোজ মিলে সুখ রঞ্জন বালি ভারতের কারাগারে। এখানে বলতে হয় , আদালত থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ থাকে আইনজীবীর সামন থেকে জোর করে নিয়ে গেলেও সরকারী উকিল , আদালত সেটা অস্বিকার করেন।
যখন এক এক করে সব ধরা পরে, ঠিক তখন শুরু হয় গোপন সাক্ষী -
১৯৭১-৭২ সালের যে সব পত্রিকা আদালতে জমা দেন সরকারী তদন্ত কর্মকর্তা - সেই কোনো পত্রিকায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নাম নাই
৩১/৩/২০১১ তারিখে তদন্ত কর্মকর্তা দৈনিক আজাদের ১৯৭১-৭২ সালের কয়েকটি সংখ্যাসহ বিভিন্ন পত্রিকার কপি জব্দ করে তা আমার জিম্মায় রেখে আসেন। এই সেই জিম্মানামা। এতে আমার স্বাক্ষর রয়েছে। এতে মোট ১৩টি আইটেম রয়েছে। এসব ডকুমেন্ট বা আলামত আমি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। আদালত নির্দেশ দিলে যে কোনো সময় তা ট্রাইব্যুনালে হাজির করব।
এই জবানবন্দী রেকর্ড হওয়ার পর তাকে জেরা করেন এডভোকেট মনজুর আহমেদ আনসারী। জেরার বিবরণ নিম্নরূপ :
প্রশ্ন : পত্রিকার সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে আপনার কোনো ধারণা নেই?
উত্তর : ব্যক্তিগত নলেজ নেই।
প্রশ্ন : পত্রিকাগুলোর শিরোনাম বা ভিতরে কোথায়ও মাওলানা সাঈদীর নাম নেই?
উত্তর : নেই। আমি অদ্য ট্রাইব্যুনালে যে ৫টি জিম্মানামা সনাক্ত করেছি তাতে বর্ণিত কোনো পত্রিকার শিরোনামেই দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নেই।
প্রশ্ন : কোনো পত্রিকার খবরেই সাঈদী সাহেবের নাম নেই?
উত্তর : এটা দরকার নেই বলে উল্লেখ করেন কোর্ট।
মিথ্যা জায়গা ও ভুয়া নাম -
এবার দেখা যাক মাত্র কয়েকজন বীর মুক্তি যোদ্ধার কথা। উনারা সবাই বললেন সালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাজাকার ছিলেন না।
সাঈদী রাজাকার ছিলেননা - শুনুন বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিমের বক্তব্য এই লিঙ্কে
http://www.youtube.com/watch?v=nge4FLgvCrI&feature=share
আরেক জন বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা --
আরেক জন বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা --
আরেক জন বীরমুক্তিযোদ্ধার কথা --
http://www.youtube.com/watch?v=sGKTV76EE9A
মুক্তি যোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও পিরোজ পুর , সুন্দর বন এরিয়ার সাব সেক্টর কমান্ডার দের কথা - তারা কেউ তখন ১৯৭১ সালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বিরোদ্ধে কোনো অভিযোগ শুনেন নাই।
সরকার পক্ষ দাবী করেন - মামলার সাক্ষীরা ভয়ে এলাকা ছাড়া , আদালতে আসতে পারছেন না , তাই তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া বক্তব্যই সাক্ষী। কিন্তু সরকার পক্ষ সাক্ষী দের কেন আদালতে আনেন নাই অল্প একটা ভিডিও দেখুন -
কেন এত চক্রান্ত সাঈদীর বিরুদ্ধে? আওয়ামী লীগ কেন এত ভয় পায় সাঈদীকে? এখন সরকার পক্ষের বানানো সাক্ষীরাই বললেন আমরা সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে পারবনা l
http://www.youtube.com/watch?v=ZR03B2ZZiNI&feature=share
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্মের পর সকল কাগজ পত্র , সার্টিফিকেট , পাসপোর্ট সব কিছুতে স্পষ্ঠ লিখা আছে
[b]" দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী "
কিন্তু হটাত সরকার পক্ষ সেটাকে সিকদার করে ফেলে।
তার পর ও আসল কাহিনী তো সবার জানা -
কে কি ভাবে মামলা লিখবেন , সাক্ষীকে কি বলতে হবে সব কিছু আদালতের বিচারক আগেই বলে দিচ্ছেন
সেই স্কাইপি সংলাপ - http://www.youtube.com/watch?v=me9sVy9q19g
বক্তব্য গুলো এমন -
কে সেই জিয়া উদ্দিন ? যিনি বিদেশে বসে বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল কে সব কিছু বলে দিচ্ছেন - দেখুন উনার পরিচয়। ভারতের কোন কোন পদে বহাল আছেন।
বিশ্বের কাছে আদালত কোন মানে আছে ?
আপনাদের কাছে আমার নিজের বক্তব্যও কৈফিয়ত -
ব্লগে সব কিছু লিখা যায় না। কারণ সব কিছু লিখতে হলে কয়েক শত পৃষ্টা লেগে যাবে। তাই মূল বিষয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। এত অসত্যের পর কি করে আমরা বলতে পারি বিচারের কথা ? কোনো রায় কি এই ভাবে মেনে নিলে আমাদের বিবেক ক্ষমা করবে। আবেগ দিয়ে নয়। সত্য দিয়েই প্রমান হয় , কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একজন মজলুমের উপর জুলুম করা হচ্ছে।
মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইদীর বিরোদ্ধে মামলা , অভিযোগ , সাক্ষীদের আরো কিছু বিস্তারিত এই লিঙ্কে -
http://www.bdtomorrow.com/blog/blogdetail/detail/2601/muhon/5112#.UrBHFOK6mP8
বিষয়: বিবিধ
৩৫৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন