জানি না তাদের বিচার হবে কি না। তবে তাদের কে ক্ষমা করা যায় না।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:৪৫:৩৫ সকাল
ভদ্র লোকের চেহারায় এই কিসের চাপ ?
কেন এই বয়সে কান্না ?
সততার উপহার ?
আর কত নিচু মনের হবে এই সব ক্ষমতা লিপ্সু , লুটেরা চক্র?
-- এমন অনেক প্রশ্ন আসতে বাধ্য।
ঘটনা আগের কাহিনী-
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক সৈয়দ এমদাদুল বারী অনির্বাচিত একজন। সরকারী দলের করুনায় নির্বাচন ছাড়াই জেলা পরিষদের প্রশাসক।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক সৈয়দ এমদাদুল বারীর ছেলে ঠিকাদারি ব্যবসা করে।বড় ছেলে সৈয়দ এহতেশামুল বারী ওরফে তানজিল।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০ আসনবিশিষ্ট একটি অডিটরিয়াম নির্মাণের জন্য গত ২১শে অক্টোবর দরপত্র আহ্বান করে জেলা পরিষদ। গতকাল ছিল দরপত্র জমাদানের শেষ তারিখ। জেলা পরিষদের ওই সূত্র আরও জানায়, কাজটির জন্য এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রকৌশলী হুমায়ূন কবিরকে বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়। ভদ্র লোক নীতির কাছে অটল ছিলেন। কিন্তু থাকলে কি হবে ?
এর পর যা হলো
৬ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের পঞ্চাশোর্ধ্ব এক প্রকৌশলীকে দুই তরুণী দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। এ অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন ওই প্রকৌশলী। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে দুই যুবককে আটক করেছে। অভিযোগ মিলেছে, জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার ছেলে কাজটি নেয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন। প্রকৌশলীকে অপদস্থ করার নেপথ্য হোতা হিসেবেও শহরে আলোচিত হচ্ছে ওই নন্দনের নাম। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ঘটনার শিকার জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবির জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এশার নামাজ পড়ে তিনি শহরের কাউতলী এলাকায় জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর নিচতলার পলাশ নামক তার থাকার কক্ষে ফিরেন। তখনই দরজা দিয়ে আচমকা ২০-২২ বছর বয়সী দুই তরুণী তার কক্ষে ঢুকে পড়ে। নেকাব পরা দুই তরুণী তাকে বলে, তারা সেলাই মেশিন পাওয়ার আবেদনপত্র নিয়ে এসেছে। তখন তিনি এ আবেদন জেলা পরিষদের প্রশাসকের কাছে দেয়ার কথা বললে পেছন থেকে আরও কয়েকজন যুবক তার কক্ষে ঢোকে। যুবকরা ওই দুই তরুণীদের বলে প্রকৌশলীকে জাপটে ধরতে। এরপর তরুণীরা তাকে জোর করে জাপটে ধরলে যুবকরা ক্যামেরায় তার স্থির ও ভিডিওচিত্র ধারণ করে। আর বলতে থাকে, ‘আগামীকাল সব টের পাই’ বা। পরে তার দু’টি মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে চলে যায় তারা। হুমায়ূন কবির এ ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জেলা পরিষদে সহকর্মীদের কাছে চরিত্রবান ও ধর্মপরায়ণ মানুষ হিসেবে প্রকৌশলীহুমায়ূন কবির পরিচিত। তার সঙ্গে এমন ঘটনা চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে সবার মধ্যে। এটি মীমাংসাযোগ্য কোন অপরাধ নয়।
পরিশেষে কি হবে ?
হা তাই হবে - বিচার হবে না , কারণ আসল অপরাধী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক সৈয়দ এমদাদুল বারীর ছেলে। পিতা পুত্রের অপকর্মের কারণে একজন সম্মানিত চরিত্রবান ও ধর্মপরায়ণ প্রকৌশলীকে বুকে চাপা কষ্ট নিয়েই থাকতে হবে।
মূল খবরের সূত্র - এই লিঙ্কে -
টেন্ডার বাগাতে ‘ব্ল্যাকমেইল’ কৌশল
http://mzamin.com/details.php?mzamin=NjYw&s=Mw==
ঘটনাটি তিনি তাৎক্ষণিক এক নৈশ প্রহরীর মুঠোফোনের মাধ্যমে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি পুলিশ সুপার ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানান। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার আলমগীর মিয়ার শনাক্তকরণ মতে, কাউতলী এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে দিদারুল আলম (২০) ও বাছির মিয়ার ছেলে মোশাররফ হোসেন (২২)-কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ আসার আগেই সটকে পড়ে ওই দুই তরুণী।
কিন্তু
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক সৈয়দ এমদাদুল বারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ছেলে ঠিকাদারি ব্যবসা করে। কিন্তু সে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ঘটনা মীমাংসার জন্য কাউতলীর দু’জন সরদার আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি।’ তবে এ ধরনের ঘটনারও মীমাংসা হয় বলে জানান।
বিষয়: বিবিধ
১৮৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন