হাজারো লেন্দুপ দর্জি সক্রিয় বাংলাদেশে। হায়দ্রাবাদ থেকে সিকিম, এরপর কি আমরা ?

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৪ নভেম্বর, ২০১৩, ০৬:০৫:২১ সন্ধ্যা



ভারতের আগ্রাসন বিরোধী , তথাকতিত চেতনার বিরোদ্ধে যুক্তিযুক্ত বিরোধিতা করলেই ,অনেকে এমন সব মন্তব্য করেন,যেন মনে হয় দেশটা তাদের , তারা যা বলবেন তাই চেতনা। কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধের হাট বাজার।

তবে বলছি - মুক্তিযোদ্ধ বাংলাদেশের আপামর জনতা করেছেন , কোনো একটি বিশেষ দল, গুষ্টি করে নি। গ্রামের কৃষক, দিন মজুর , ছাত্র , সহ সকল পেশার মানুষ সময়ের প্রয়োজনে জাতির অধিকার রক্ষার তাগিদে যোদ্ধ করেছিলেন। হাতেগোনা মাত্র কিছু মানুষ ছাড়া সবাই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার সহযোগী , আস্ত্রয় দাতা। তাদের কথা স্মরণ রাখতেই হবে।

আজ একটি পত্রিকার কলাম দেখে মনে পড়লো সেই ২০০৯ সালের কথা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় অল্প করে মাত্র ২০০ শব্দের একটি কলাম লিখেছিলাম। বিনিময়ে অনেকে ধন্যবাদ দিয়েছেন , আবার অনেকে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।

আজ শ্রদ্ধাভাজন স্টালিন সরকার একই বিষয়ে যুক্তিসম্পন্ন কলাম লিখলেন। অজস্ত্র বিনম্র সম্মান জানাচ্ছি অগ্রজকে।

সেই সাথে স্মৃতির জানালায় উকি দিচ্ছে পার্বত্য অঞ্চলের কথা। আমারা হয়ত হারাতে হবে সেই অঞ্চলকে ও। সে যাক আজকের পত্রিকায় স্টালিন সরকার যা বললেন তা হলো -

এই লিঙ্কে -

http://www.dailyinqilab.com/2013/11/24/145142.php#sthash.JZCtCG4N.Fd5hjrt2.dpuf

সব না লিখে মূল অংশের কথা তুলে আনলাম -

(১)বৃটিশরা আসার পর তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েও নেপালের বিরুদ্ধে ছিল সিকিম। রাজা ছিলেন নামগয়াল। ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের পর ভৌগোলিক কারণে সিকিমের গুরুত্ব বেড়ে যায়। ১৯৭০ সালে ভারতের নীলনকশায় লেন্দুপ দর্জির সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে। রাজপ্রাসাদের সামনে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে ইন্দিরাগান্ধী সরকার রাজার নিরাপত্তায় সৈন্য পাঠায়। রাজা গৃহবন্দী হন। বিএস দাশ নামের একজনকে ভারত সরকার সিকিমের প্রধান প্রশাসক নিয়োগ করে। এই সময় আমেরিকান এক পর্বতারোহী গোপনে সিকিম প্রবেশ করেন এবং দেশটির স্বাধীনতা হরণের খবর বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন। ততক্ষণে সব শেষ। ভারতের তাঁবেদার লেন্দুপ দর্জির নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস (এসএনসি) ১৯৭৪ সালে পাতানো নির্বাচনে সংসদের ৩২ আসনের মধ্যে ৩১টি বিজয়ী হয়। নির্বাচনে জিতে ১৯৭৫ সালের ২৭ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী লেনদুপ দর্জি রাজতন্ত্র বিলোপ করলে ভারতীয় সেনারা সিকিমে ঘাঁটি গেড়ে বসে। অতপর ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোট। বন্দুকের মুখে ভোটারদের ‘হ্যাঁ’ ভোট দিতে বাধ্য হয়। ১৯৭৫ সালের ৬ এপ্রিল ভারতীয় সৈন্যরা রাজাকে বন্দী করে প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা স্বাধীন রাষ্ট্র সিকিমকে গ্রাস করে ভারতের প্রদেশ করেন।

(২)৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযদ্ধে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ লেন্দুপ দর্জিতে ভরে গেছে। শত শত হাজার হাজার লেন্দুপ দর্জির বিচরণ সর্বত্র। টেলিভিশনের টকশো আর পত্রপত্রিকার লেখালেখিতে তারা দিল্লির গীত গাইছেন। ঢাকার স্বার্থের চেয়ে দিল্লির স্বার্থকে বড় করে দেখছেন। তথাকথিত জঙ্গি নামের জুজুর ভয় দেখিয়ে জনগণকে দিল্লির মোসাহেবদের দলকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। বিনিময়ে তারা কি পাচ্ছেন তা তারাই ভালো জানেন। তবে তাদের আচরণে বোঝা যায় কথায় কথায় দিল্লি সফর এবং কলকাতা তাদের যেন মাতৃভূমি করে ফেলেছেন।

(৩) মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করা দেশের নেতানেত্রীরা কি মেরুদ-হীন? বুদ্ধিজীবীরা কি বিবেক বন্ধক রেখেছেন ভারতীয় রুপির কাছে? মিডিয়াগুলো কি দিল্লির কাছে বন্দী? নাকি কিছু মিডিয়া ওদের টাকায় প্রতিষ্ঠার কারণে দেশের চেয়ে তাদের প্রতি দরদ বেশি দেখানো হচ্ছে? অনেক মিডিয়ায় ভারত থেকে কর্মকর্তা শিল্পী আমদানি করা হচ্ছে। এর নেপথ্যে কি দিল্লির দাসত্বের মানসিকতা দায়ী? দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য স্বাধীন বাংলাদশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয় দিল্লিতে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ঢাকা থেকে দিল্লি গিয়ে ‘সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন’ নিশ্চিত করতে দেনদরবার করেন। সার্বভৌম দেশের ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য যেন দিল্লির মর্জির ওপর নির্ভরশীল। দিল্লি প্রকাশ্যে বাংলাদেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ করছে অথচ বুদ্ধিজীবী, বিদ্যাজীবী, সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিকসেবী এবং রাজনীতিকদের বড় একটি অংশ লেন্দুপ দর্জির মতো মিডিয়ায় দিল্লির গুণকীর্তনে সর্বদা ব্যস্ত। শেখ হাসিনা সরকারের ‘দিল্লি তাঁবেদারি’ নীতিতে দারুণ খুশি।

(৪)ভারতের সঙ্গে কি আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক? নাকি তোষামোদের সম্পর্ক? ৪২ বছরে ভারত কি বাংলাদেশের কাছে বন্ধুত্বের কোনো নিদর্শন দেখিয়েছে? মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি কি বাস্তবায়ন হয়েছে? তারপরও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে দিল্লির দাদাগিরিতে এদেশের লেন্দুপ দর্জিদের এত আগ্রহ কেন?

(৫) টেলিভিশনের টকশোগুলোতে আলোচকদের অনেকেই কথায় কথায় পাকিস্তানের আইএসআইকে টেনে এনে বিএনপিসহ ইসলামী ধারার দলগুলোর সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা খোঁজা চেষ্টা করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে ওই মুখচেনা আলোচকরা আবার দিল্লির তোয়াজ করেন। ওইসব ব্যক্তির চোখে নিজ দেশে ‘র’এর অবাধ বিচরণের চিত্র ধরা পড়ে না। ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্য মরিয়া তারা। আসলে বাংলাদেশে সে ধরনের কোনো জঙ্গির প্রতি বিএনপি বা কোনো ইসলামী ধারার দল সমর্থন করে? চ্যানেল আই-এর তৃতীয় মাত্রায় বিজেপির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, হঠাৎ হঠাৎ আনছারুল্লাহ নামের জঙ্গি দল আবিষ্কার করা হয়। হঠাৎ হঠাৎ এভাবে জঙ্গি আবিষ্কারের নেপথ্যে কি? বাংলাদেশের মানুষ কখনো জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় না। অথচ বিশেষ বিশেষ সময় জঙ্গি আবিষ্কার করা হয় এবং দিল্লির তাঁবেদারখ্যাত মিডিয়াগুলো সে খবর ফলাও করে প্রচার করে। মার্কামারা ওই বুদ্ধিজীবী আর সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ভারতে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে বাংলাদেশের সমূহ বিপদ হতে পারে তা নিয়ে শঙ্কা নেই।

(৬) সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে বাংলাদেশি নিহত হলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যখন বলেন, সীমান্তে নিরপরাধ মানুষ মারা পড়েনি। অপরাধীরা মারা গেছে। তখন ওই তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নীরব হয়ে যান। ডা. দীপু মনিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া এবং তার ঘন ঘন বিদেশ সফর নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে একজন কূটনীতিক বলেছিলেন ‘ছাগল দিয়ে হালচাষ’ করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রটোকল ভঙ্গ করে কলকাতা ছুটে গিয়ে দীপু মনি মমতার চেয়ারের পাশে কাচুমাচু হয়ে বসে তোয়াজ করার দৃশ্য মানুষ দেখেছে। সেই মমতা তিস্তা চুক্তি ঠেকিয়ে দিয়েছেন। বুদ্ধিজীবীদের এসব চিত্র চোখে পড়ে না। দিল্লির সাউথ ব্লকে শিব শঙ্কর মেনন বাংলাদেশের রাজনীতির গতি প্রকৃতি চূড়ান্ত করায় ঢাকার লেন্দুপ দর্জি মার্কা বুদ্ধিজীবীরা বাহবা বাহবা দেন।

(৭) মহাজোট সরকারের দিল্লিকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করায় গোটা বিশ্বের সঙ্গে দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। সোজা কথায় বলা যায় বাংলাদেশ এখন কার্যত ‘একঘরে রাষ্ট্র’। দিল্লির আয়নায় বিশ্বকে দেখতে গিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ ভারতের পদতলে ঠেলে দিয়েছে। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা বিশ্ব। ঢাকা নিজ দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলে ভারতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যস্ত হয়েছে। ৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৭ রাজ্যের বিদ্রোহ দমনে (মূলত স্বাধীনতাকামী) সর্বাত্মক সহযোগিতা, ফ্রি ট্রানজিট, বাংলাদেশের জন্য ধ্বংসাত্মক টিপাইমুখ প্রকল্পের অনুমোদন, সুন্দরবনের জন্য সর্বনাশা রামপাল বিদ্যুৎকন্দ্রের উদ্বোধন, বন্দর সুবিধাসহ ভারতের দীর্ঘদিনের দাবিগুলো একে একে পূরণ করেছে। ট্রানজিট সুবিধা নিশ্চিত করতে ফেনী নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণের মতো আত্মঘাতী কাজও করেছে।

(৮)ভারতের পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তি সই এবং সীমান্ত প্রটোকল বাস্তবায়নে বার বার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় ৫০ দফার যৌথ ঘোষণাপত্র সইয়ের মাধ্যমে মূলত বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে কার্যত দিল্লির কাছে বিকিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই ঘোষণাপত্রে ট্রানজিট সুবিধা, বন্দর ব্যবহার, আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে পোর্ট অব কল হিসেবে ঘোষণা দেয়া, সন্ত্রাস দমনে (ভারতের বিদ্রোহ দমন) সহায়তা, টিপাইমুখ প্রকল্পে সম্মতি দেয়াসহ ভারতের দীর্ঘদিনের চাহিদাগুলো পূরণে অঙ্গীকার করা হয়। অন্যদিকে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, তিস্তা চুক্তি সই, সিটমহল বিনিময়, সীমান্ত প্রটোকল বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোর ব্যাপারে কেবল আশ্বাস দেয়া হয় ঘোষণাপত্রে।

(৯) চুক্তি সম্পর্কে তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস বলেছিলেন, এই চুক্তির আওতায় দু’দেশের গোয়েন্দা সদস্যদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। ওই চুক্তির পর ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অবাধে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ পেয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশের গোয়েন্দারা ভারতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে এমন খবর নেই। ভারতের বিদ্রোহ দমনে যুক্ত হওয়ার ফলে বাংলাদেশ বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে। ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকায় কর্মরত ভারতীয় হাইকমিশনার রঞ্জিত মিত্র বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডে ভারত সরকার বাংলাদেশকে ট্রানজিট ফি দিতে রাজি আছে। পরের দিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ঘোষণা দিলেন, ভারতের কাছে ট্রানজিট ফি চাওয়া হবে অসম্মান। প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ঘোষণা দিলেন, ভারতকে ট্রানজিট দিতে কোনো চুক্তি সইয়ের প্রয়োজন নেই। চুক্তি ছাড়াই ভারতকে ট্রানজটি সুবিধা দেয়া হবে। নৌ-প্রটোকলের আওতায় পরীক্ষামূলক ট্রানজিটের নামে স্থায়ী ট্রানজিট দেয়া হয়েছে।

(১০) ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সীমান্তের পরই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সবচেয়ে বিপজ্জনক সীমান্তত্ম হিসেবে বিশ্বে আজ পরিচিত। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়া চীন, পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানের সীমান্ত রয়েছে। তবে একমাত্র বাংলাদেশ সীমান্তেই ভারত নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র, অধিকারসহ বিভিন্ন জাতীয় ও অন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার হিসাব অনুযায়ী গত ৫ বছরে প্রায় ৫০০ নিরীহ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। নির্যাতনের শিকার হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। ভারতীয় বাহিনী গুলি করে বাংলাদেশিদের মারলেও বিজিবির গুলি ছোড়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। সরকারের নতজানু নীতির কারণে বিজিবি কার্যত অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এখন আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় বসানোর মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা। প্রশ্ন হলো এ অবস্থায় দেশপ্রেমী জাতীয়তাবাদী নেতা ও বুদ্ধিজীবীরা নীরব কেন? সামনে অগ্নিপরীক্ষা। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার এই পরীক্ষায় এদেশের লেন্দুপ দর্জিরা কি বিজয়ী হবেন? নাকি দেশপ্রেমীরা বিজয়ী হবেন?

.............................

...........................

স্টালিন সরকারের লিখা থেকে ১০ টি অংশ (পয়েন্ট) উল্লেখ করা হলো। স্টালিন সরকার অথবা এই লিখার কারণে গালি দেবার পূর্বে ইতিহাস জানুন। চেতনার অন্ধকারে থেকে আবেগ নিয়ে কথা বলার পূর্বে নিজকে প্রশ্ন করুন , এই সব সত্য নয় কি ?

সেই সাথে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করতে হয় - হায়দ্রাবাদ এক সময় স্বাধীনদেশ ছিল , কিন্তু সেই দেশকে ও ভারতের অঙ্গরাজ্য করা হয়,থামেনি ভারত, চলছে তাদের আগ্রাসন।

বিষয়: বিবিধ

৩০৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File