মিল্কির পথেই পরিবহন মালিক ও আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুল আলম মোল্লা

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৫ নভেম্বর, ২০১৩, ০৭:২২:৪৫ সন্ধ্যা

আবারও নির্ঘাত খুনের মামলার আসামী থেকে রক্ষা পেল বিরোধী দল।



খায়রুল হত্যার রহস্য অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে টার্মিনালের আধিপত্য বিস্তার এবং চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন।



যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন মহি চলে আসে মতিঝিল সমবায় ব্যাংকে নিজের অফিসে। তৈয়ব আলী, বাবুল ও বাইয়ো কৌশলে আটকে রাখেন খায়রুলকে। আর আগে থেকেই সমবায় অফিসে জড়ো করা হয় বাচ্চু, কিলার জাফর, কিলার সেন্টু, সম্রাট, ও আলমগীরসহ আরো কয়েকজনকে। নিজেদের মধ্যে বিষয়টি দ্রুত মিমাংসার কথা বলে খায়রুলকে ফের সমবায় ব্যাংকে মহির অফিসে নিয়ে যান বাইয়ো, বাবুল ও তৈয়ব আলী।এক পর্যায়ে খায়রুল ওই অফিস থেকে নিচে নামার সময় সিড়িতেই ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় খায়রুলকে।

নিহতের স্ত্রী শেফালী আলম বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ৭ জনকে আসামি করা হয়।

খায়রুল হত্যার রহস্য অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে ---

টার্মিনালের আধিপত্য বিস্তার এবং চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হন এ পরিবহন নেতা। আলোচিত এ খুনের ঘটনায় যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা শ্রমিক লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বেশ কয়েকজন পেশাদার কিলারও রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও খুন-জখম ও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সায়েদাবাদ টার্মিনাল ও নিহত খায়রুলের ঘনিষ্ঠ একাধিক পরিবহন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সায়েদাবাদ টার্মিনালটি সব সময়ই সরকার সমর্থিত স্থানীয় এমপির হয়ে তার আস্থাভাজনরা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এ টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন ৬ হাজার গাড়ী চলাচল করে। যেখান থেকে দৈনিক চাঁদা আদায় হয় অর্ধকোটি টাকার বেশি। যার নিয়ন্ত্রকদের একজন ছিলেন খায়রুল মোল্লা নিজেও। তার মাধ্যমে প্রভাবশালীদের কয়েকজন চাঁদার টাকার ভাগ পেতেন। এ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাদের বিরোধ হয়। নিহত খায়রুল ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার খুবই আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ঠজন। যে কারণে টর্মিনালে অন্যরা একক আধিপত্য বিস্তার করতে না পেরে খায়রুলের বিরাগভাজনে পরিণত হন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পর টার্মিনালের কুমিল্লা রুটের নেতা ছিলেন মহিউদ্দিন মহি। কিন্তু এমপি’র হস্তক্ষেপে মহিকে সরিয়ে সেখানে খায়রুলকে নেতৃত্ব দেয়া হয়। মহি এজন্য প্রতিমাসে এক লাখ টাকা দাবি করলেও ৪০ হাজার টাকায় রফা হয় খায়রুলের সাথে।

নিহতের স্ত্রী শেফালী আলমের তথ্যমতে, খায়রুল প্রতিদিন সন্তানদের সঙ্গে নিজ বাসায় দুপুরের খাবার খেতেন। সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ রুটের নেতৃত্বের বিষয়ে ওই ইউনিয়নের অফিসে বৈঠক হয়। যেখানে নেতৃত্ব যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন মহির আসার কথা বলে খায়রুলের সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। বিকেল সাড়ে ৩টায় মহি ওই অফিসে যায়। কিন্তু খায়রুল তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে দীর্ঘ দিনের বন্ধু মহির সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। পরে মহি চলে আসে মতিঝিল সমবায় ব্যাংকে নিজের অফিসে। তৈয়ব আলী, বাবুল ও বাইয়ো কৌশলে আটকে রাখেন খায়রুলকে। আর আগে থেকেই সমবায় অফিসে জড়ো করা হয় বাচ্চু, কিলার জাফর, কিলার সেন্টু, সম্রাট, ও আলমগীরসহ আরো কয়েকজনকে। নিজেদের মধ্যে বিষয়টি দ্রুত মিমাংসার কথা বলে খায়রুলকে ফের সমবায় ব্যাংকে মহির অফিসে নিয়ে যান বাইয়ো, বাবুল ও তৈয়ব আলী।

লিখা নিয়ে সন্দেহ হলে এই লিঙ্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন

http://www.dailyinqilab.com/details_news.php?id=143725&%20page_id=%205#.UoYcgeITm3J

বিষয়: বিবিধ

১৬৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File