‘স্কাইপি সংলাপ নিয়ে কিছু বলা যাবে না - এই কি স্বাধীন বিচার বিভাগ?

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৩ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:৫৪:৪৮ সকাল

ট্রাইব্যুনাল-১- এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর আদালতে বললেন - ট্রাইব্যুনাল-২- এর একটি আদেশ আছে, যেন ওই স্কাইপ কথোপকথন নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করা না হয়। এখন এখানে যেভাবে বলা হচ্ছে, তাতে ওই আদেশ অকার্যকর হয়ে যায়। তারা রিট্রায়াল চাইতে পারেন। কিন্তু স্কাইপ কথোপকথন নিয়ে কোন কিছু বলা যাবে না।

জবাবে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, সারা দুনিয়ার মানুষ এখন এগুলো দেখতে পারছে।



ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর ২০১২

ট্রাইব্যুনাল-১- এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদেস্যের ট্রাইব্যুনালে অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলা শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে বেলজিয়ামের রাজধানীতে বসে ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন ট্রাইব্যুনালের আদেশ লিখে ই-মেইলে ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আর বিচারপতি হক তা এ ট্রাইব্যুনালে ঘোষণা করেছেন। এ ঘটনায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, সংবিধানের ম্যান্ডেট হচ্ছে বিচারপতিদের অবশ্যই নিরপেক্ষ হতে হবে।

এই কি নিরপেক্ষতার নমুনা?

অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলায় অভিযোগ আমলে নেয়া এবং চার্জ গঠনসহ অন্তত ছয়টি আদেশ ব্রাসেলস থেকে লিখে পাঠানো হয়েছে।

তিনি ট্রাইব্যুনালে এ সংক্রান্ত ই-মেইল উত্থাপন করেন।

বৃটেনের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টের রিপোর্ট উল্লেখ করে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, ৫ ডিসেম্বর ইকোনমিস্ট বিচারপতি নিজামুল হককে ফোন করেছিল। বিচারপতি নিজামুল হক তখন আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সাথে ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোন কথা বলার কথা অস্বীকার করেছিলেন।

তিনি তিন বার উচ্চারণ করেছিলেন, নো, নো, নো।

২৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখের শুনানির শুরুতেই ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, বিচারপতি মো. নিজামুল হক এবং আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপ কথোপকথনের সূত্র উল্লেখ করে এসব আবেদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি এখনো হাইকোর্টের বিচারপতি। উভয়পক্ষের আইনজীবীদের অনুরোধ করব তার প্রতি অবমাননা হয় এমন কোন কথা যেন বলা না হয়।

ব্যারিস্টার রাজ্জাকের বক্তব্যের এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দাঁড়িয়ে ট্রাইব্যুনালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনাল-২- এর একটি আদেশ আছে, যেন ওই স্কাইপ কথোপকথন নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করা না হয়। এখন এখানে যেভাবে বলা হচ্ছে, তাতে ওই আদেশ অকার্যকর হয়ে যায়। তারা রিট্রায়াল চাইতে পারেন। কিন্তু স্কাইপ কথোপকথন নিয়ে কোন কিছু বলা যাবে না।

জবাবে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, সারা দুনিয়ার মানুষ এখন এগুলো দেখতে পারছে।

ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, ইকোনমিস্ট কয়েকটি রিপোর্ট করেছে। ইতিমধ্যে ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা হয়েছে। ইকোনমিস্ট এও বলেছে, জনস্বার্থ এবং মানুষের জীবনের প্রশ্ন জড়িত থাকায় তারা এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঢাকার দৈনিক আমার দেশও ৯ ডিসেম্বর থেকে চার দিন এ ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, দেখা যাচ্ছে গত বছর ১২ ডিসেম্বর ফর্মাল চার্জ গঠনের জন্য আহমেদ জিয়াউদ্দিন বিচারপতি নিজামুল হকের কাছে ডকুমেন্ট পাঠান। সে অনুযায়ী ফর্মাল চার্জ গঠন করা হয়। স্কাইপ কথোপকথনে দেখা যায় কোন সাক্ষী কি বলবেন, কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য ভালো হয়েছে এ নিয়ে বিচারপতি নিজামুল হক, আহমেদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুমের মধ্যে কথা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক ধরনের যোগসাজশ ছিল।

.........................

আমরা জনতার কথা

..........................

জাতি হিসাবে আমাদের জানার আইনত অধিকার রয়েছে। আমরা জানতে চাই -

বিচার বিভাগ তুমি কার ?

আমাদের ?

নাকি বিদেশের কারো সুতায় বাধা ?

আমরাতো স্বাধীন জাতি ,তাহলে কেন বিচার বিভাগ তুমি স্বাধীন হতে পারলে না ?

অজানা অনেক কথার জবাব কি তাহলে অস্পষ্ট রয়ে যাবে ?

সন্দেহ থাকলে নিচের লিঙ্কে খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল >>

http://www.real-timenews.com//newsdetail/detail/1/1/56470#.UoL_gOITm3J

বিষয়: বিবিধ

২২৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File