তথ্য গায়েব করে বিচার চাই না। আইনের পথে আইন কেন চলবে না ?

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ৩১ অক্টোবর, ২০১৩, ০৯:৫৪:৪৬ সকাল



দরকার হলে ১১তম সাক্ষী শামসুল হক নান্নুকে পুনরায় জেরা (রিকল) এবং ইউটিউবে প্রকাশিত ও সংবাদ সম্মেলনে নান্নুর বক্তব্য যাচাইকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ভ্যারিফিকেশন সার্ভিসের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন জন পি স্লেটারকে সাক্ষী হিসেবে সমন জারি করা হোক ।

আদালতে বাদী , বিবাদীর অধিকার সংরক্ষণ করা আইনের কাজ। প্রমান সাপেক্ষে রায় দেয়ায় হলো প্রকৃত আদালতের কাজ।

একটু পিছনে যেতে হয় --

স্কাইপি কেলেঙ্কারির পর আবার ইউটিউবে প্রকাশিত বক্তব্য জাতি দেখলো।

সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী , আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাইদীর মামলা সহ সব মামলার স্কাইপি , ইউটিউবে প্রকাশিত বক্তব্য আদালত কে প্রমান হিসাবে নিতে হবে। সেখানে কোনো ভুল ভ্রান্তি থাকলে সেটার পরিষ্কার রুল দিতে হবে।

ইউটিউবে প্রকাশিত ও সংবাদ সম্মেলনে নান্নুর বক্তব্য যাচাইকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল

ভ্যারিফিকেশন সার্ভিসের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন জন পি স্লেটার জানালেন - ইউটিউবের ব্যক্তি আর সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী একই’।

তাহলে আদালতের বিচরকের উচিত হলো তদন্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন জন পি স্লেটার কে তলব করে এনে তার বক্তব্য নিতে। কিন্তু সেটা করা হবে না কেন ? এত বড় একটা বিষয় কি করে আদালত এড়িয়ে যাবে ?

কি ছিল সেই বিদেশী পত্রিকা দ্যা টেলিগ্রাফ ও ইউটিউবে -

মূল বক্তব্য হচ্ছে-

সাক্ষী শামসুল হক নান্নু জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মামলার ১১ নম্বর সাক্ষী। প্রকাশিত সংবাদে নান্নু বলেছেন, ‘এ মামলার সরকারপক্ষ ৪/৫ জন সাক্ষীর একটা সিন্ডিকেট তৈরি করল। আমি সেই সাক্ষীদের একজন। আমাদের ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হলো। সরকার আমাকে চার পাঁচটা মামলার প্রধান আসামি করে জোর করে সাক্ষ্য নিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষীর দেখা হলে তিনি বলেন-যে আমাকে সাক্ষী দিতে হবে। তুই সাক্ষ্য দিয়ে দে, আমি তোকে মুল্যায়ন করবো।’

এছাড়া যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুটাতে সরাসরি আর্মির সংযুক্ততা আছে। শেখ হাসিনার ডান হাত বলে খ্যাত লে. জে. ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে মিলিটারির একটা ইন্টিলিজেন্স বিভাগ ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করছে। নান্নু বলেন, ‘ইমরুল কায়েসকে পরবর্তী সেনাপ্রধান করা হবে। ছেলেটাই আমাকে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেছে।’

সাক্ষী বলেন, ‘আমার ছেলে বি সি এস –এ এএসপি পদে চাকরি পেয়েছে। কিন্তু তাকে আউট করে দেওয়া হয়েছে।’ তখন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুর সঙ্গে আমার একটা বোঝাপড়া হলো। টুকু বললেন, ‘তুমি মুক্তিযোদ্ধা। নিজামীর বিরুদ্ধে তোমাকে যেভাবে সাক্ষ্য দিতে বলি তুমি ঠিক সেভাবে সাক্ষ্য দিবে।’

‘তাহলে তোমার ছেলের চাকরি বহাল থাকবে। অন্যথায় পুলিশ ইনভেস্টিগশনে তোমার ছেলের নাম বাদ দেওয়া হবে। এছাড়া আমার ছেলের বিরুদ্ধেও মামলাও দেওয়া হয়েছে যাতে কোনোভাবেই চাকরিতে জয়েন করতে না পারে। তখন আমি ছেলের চাকরির জন্য টুকুর কাছে স্যারেন্ডার করলাম।

টুকু বললেন, ‘আমি তোমার ছেলেকে চাকরি দেব কিন্তু তোমাকে নিজামীর মামলার চাক্ষুস সাক্ষী হতে হবে।’ এছাড়া আর্মির ডিজিএফআই প্রধান বললেন, ‘সাক্ষ্য আপনাকে দিতেই হবে, ইচ্ছা হলেও দিতে হবে, অনিচ্ছা হলেও দিতে হবে। কারণ সরকার আপনার উপর depend করছে। আর এভাবেই আমাকে নিজামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হলো।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘ওরা বলল ওরা আমাকে পিকআপ করে নিয়ে যাবে, রিহার্সাল করাবে, যা বলবে তাই সাক্ষ্য দিতে হবে। অন্যথায় RAB আমাকে নিখোঁজ করে ফেলবে।’ এছাড়া বললো, ‘যদি আমি তাদের শেখানোর বাইরে কোনো কথা বলি তারা আমাকে মামলায় জড়াবে এবং গ্রেপ্তার করবে।’

নান্নু বললেন, ‘এদের যা view দেখলাম, হাসিনার সঙ্গে কথা বলে, এরা যেকোনো প্রকারে ক্ষমতায় আসবে আর তাতে যদি বহু লোক মেরে ফেলতে হয়, তাও ফেলবে।’

নান্নুর ভাষ্যমত, হিটলারের পঞ্চম বাহিনীর মত RAB এর মধ্যে টুকুর একটা নিজস্ব বিশেষ বাহিনী আছে। এরাই যখন ইচ্ছা, যাকে ইচ্ছা ধরে নিয়ে যায়।

নান্নু বললেন, ‘এই শয়তানগুলোকে ভয় পাচ্ছি কেন জানেন? এরা মানুষ না। কথা না শুনলে এরা যে কাউকে মেরে ফেলতে পারে।

এই লিংকে -

‘ইউটিউবের ব্যক্তি আর সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী একই’--ক্যাপ্টেন জন পি স্লেটার

http://www.rtnn.net//newsdetail/detail/1/1/72533#.UnHTAqMTmd8

এই লিংকে ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিও পাওয়া যাবে-- http://www.youtube.com/watch?v=sWyUUjTC4UE

এই লিংকে ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিও পাওয়া যাবে--

http://www.youtube.com/watch?v=4qyo4GVEvxs

প্রমান ভুল অথবা মিথ্যা প্রমানের দায় উভয় পক্ষের। তাই আদালত কি সেটা বিবেচনা করবে না ?

বিষয়: বিবিধ

২২৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File