নিজের সন্তান হত্যা করেও তারা আনন্দিত
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৪ অক্টোবর, ২০১৩, ০৪:৫৩:২৭ বিকাল
প্রায়ই খবরের কাগজে আমরা দেখি ডাস্টবিনে নবজাতক ফুটফুটে শিশু । আবার কখনো শুনতে পাই ডাস্টবিনে নবজাতক ফুটফুটে শিশুরা , শিয়াল কুকুরের খাদ্য হয়েছে। ভাগ্যক্রমে অনেক নবজাতক ফুটফুটে শিশু কোনো অজানা পরিবারে লালন পালন করা হয়।
প্রতিদিন নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে ভ্রুণ। নিষ্পাপ ভ্রুণকে হত্যা করে পৃথিবীর আলো দেখতে দেয়া হয়না।
নিষ্পাপ ভ্রুণ গুলো এক একটা মানব সন্তান। অন্যায় , অবিচার , অপকর্ম লোকানোর জন্যে যেন তৃপ্তি সহকারে হত্যার আনন্দ চলছে অবিরাম ।
বিবেকহীনদের অন্যায় কাজের ফসল যদি নবজাতক ফুটফুটে শিশু হত্যা হয় , তাহলে গণহত্যা কাকে বলবো ?
নিজ হাতে নিজের সন্তান হত্যা !!! একটিবার ও কি বুক কাপে না ? বিবেক নাড়া দেয় না ?
সমাজের উচ্ছিষ্ঠ নর্দমার বিবেক নিয়ে নিষ্পাপ ভ্রুণ , নবজাতক ফুটফুটে শিশু হত্যা করেও তারা মুখোশের আড়ালে জাতিকে দিয়ে যাচ্ছে উপদেশ তাই না ? তাদের কাছে যেন নিষ্পাপ ভ্রুণ , নবজাতক হত্যা বিনোদনের অংশ।
উচ্চবিত্ত থেকে বস্তি পর্যন্ত ,প্রতিদিন এত নিষ্পাপ ভ্রুণ , নবজাতক হত্যার হাহাকার হয়ত আমরা শুনতে পাই না , কিন্তু মনের জানালা খুলে নিরবে শুনতে চেষ্টা করুন। শুনতে পাবেন চার দিকে শিশুদের কান্নার শব্দ। ওরা জানতে চাচ্ছে - কি ছিল তাদের অপরাধ ? কেন তাদের পৃথিবীর আলো , বাতাস থেকে বঞ্চিত করা হলো।
অমানবিক কাজের মধ্যে সব চেয়ে নিকৃষ্ট কাজ নিষ্পাপ ভ্রুণ , নবজাতক হত্যা।
বন্ধ হবে কি বিবেক হীন দের অত্যাচার?
বিবেকের আয়নায় দাড়াবার সময় কি হবে না ?
(অক্টোবর ১৪, ২০১৩)
রাজধানীর ডাস্টবিনে ফুটফুটে শিশু । দুই-তিন দিন বয়সী শিশুটির শরীর অস্বাভাবিক ঠান্ডায় কাঁপছে।
একটি ডাস্টবিন। স্থান রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোড। হঠাত্ ভেসে আসছিল কান্নার শব্দ। উত্সুক মানুষজন আবিষ্কার করলেন—ডাস্টবিন থেকেই আসছে ওই কান্নার শব্দ। ময়লা কাঁথায় মোড়ানো দুই-তিন দিন বয়সী একটি ফুটফুটে ছেলেসন্তান। ধারণা করা হচ্ছে রাতে কে বা কারা তাকে ফেলে চলে গেছে।
মানুষ নামের পশুদের অপকর্ম। সৃষ্টি হচ্ছে অপরাধী।
অবশেষে ফুটফুটে নিষ্পাপ শিশুটির স্থান হয় ডাস্টবিনে।
সমাজের মানুষের মুখোশে যারা তারা কি আসলেই মানুষ ?
এরা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট।
কারণ একটা পশু ও তার বাচ্চাকে এভাবে ফেলে দেয় না।
বিষয়: বিবিধ
১১৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন