দায়মুক্তির সার্টিফিকেট দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক !!! সেই সাথে দেশ প্রেমিক সনদ বোনাস

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৩ অক্টোবর, ২০১৩, ০৮:৪৫:৫১ সকাল

দুর্নীতির ঘটনায় প্রভাবশালীদের বাদ দেওয়ায় দুদকের কার্যক্রম নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে হলমার্ক কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, রেলের নিয়োগ বাণিজ্য এবং শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির দুর্নীতিবাজরা পার পেয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকেই দুদক থেকে পাচ্ছে দায়মুক্তির সার্টিফিকেট।



এরমধ্যে হলমার্ক কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, রেলের নিয়োগ বাণিজ্য এবং শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির ঘটনা অনুসন্ধান ও তদন্তে দুদকের আচরণে সাধারণ মানুষ কঠোর সমালোচনা করেছে।

:::: শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি ও অর্থ লোপাট :::

পার পেয়ে গেলেন শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির হোতারা। ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে সংঘটিত শেয়ার কারসাজির হোতাদের ব্যাপারে দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিলেও পরবর্তীতে তা বাতিল করে দেয়। ২০১২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করে দুদক।

::::হলমার্ক কেলেঙ্কারি :::

বহুল আলোচিত হলমার্কের অর্থ লোপাটের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে দায়মুক্তি দিয়েছে দুদক। কমিশন থেকে জানানো হয়, হলমার্ক কেলেঙ্কারির প্রধান হোতা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সম্পর্ক সামাজিক। এখানে কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি। যে কারণে তার নাম মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে আসেনি।

:: পদ্মা সেতু দুর্নীতি :::

১০ মাসের বেশি সময় পার হলেও পদ্মা সেতু দুর্নীতির দায়ে দুদকের দায়ের করা মামলার চার্জশিট দিতে পারছে না কমিশন।

সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানকালে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম উঠে আসে। অনুসন্ধান শেষে গত ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী থানায় (মামলা নম্বর ১৯) দেশি-বিদেশি সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেও সেখানে নাম নেই প্রভাবশালীদের।সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন কে দেশ প্রেমিক সনদ পত্র দেয়া হয়।

এদিকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর কানাডায় মামলার শুনানিকালে রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) প্রসিকিউটর এন্ড্রু ওয়াইজের আবেদন অনুযায়ী লাভালিনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক জুলফিকার আলী ভূঁইয়াকে অভিযুক্ত করা হয়।

::: রেলের নিয়োগ দুর্নীতি :::

রেলের নিয়োগ বাণিজ্যের ঘটনা প্রকাশ পায় ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল। ওই দিন পিলখানার বিজিবি (সাবেক বিডিআর) সদর দফতরে গেটে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় যাওয়ার পথে গাড়িতে তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদার বিপুল পরিমাণ টাকাসহ বিজিবির হাতে আটক হয়। টাকাগুলো রেলের নিয়োগের ঘুষ হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। ওই সময় গাড়িতে ফারুক ছাড়াও রেলওয়ে মহা-ব্যবস্থাপক (পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলী মৃধা ও কমান্ড্যান্ট এনামুল হক ছিলেন। একে একে বেরিয়ে আসে সব ঘুষ হিসেবে নেওয়া কোটি কোটি টাকার খবর।

ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ এপিএস ওমর ফারুকের ড্রাইভার আজম খান প্রায় ছয় মাস আত্মগোপনে থাকার পর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া (গত বছরের ৪ ও ৫ অক্টোবর) দুই পর্বের সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়।

ওই সাক্ষাৎকারে রেলের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা সম্পর্কে আজম বলেন, ‘টাকাতো সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর বাড়িতে যাচ্ছিল। ওদিকে যাওয়ার পথেই আমি ঘটনা ঘটিয়ে ফেলি। এর আগেও কয়েকবার টাকা গেছে। তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে নির্দোষের সার্টিফিকেট দেয় দুদক। কালোকে সাদা করা হয়ে গেল।

বিষয়: বিবিধ

২১৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File