গ্রেনেডের আগুনে সব মালামাল সম্পূর্ণ পুড়লে, তাজা গ্রেনেডের অস্তিত্ব থাকে কি করে ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৮ অক্টোবর, ২০১৩, ০৩:২৯:২৩ দুপুর
গ্রেনেডের খবর প্রচারিত হওয়ার পর এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের আনন্দ উল্লাসই প্রমাণ করে এটি তাদের দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন।
চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদ্রাসায় রহস্যজনক বিস্ফোরণ এবং পরবর্তীতে পুলিশের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল কর্তৃক গ্রেনেড উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিস্ফোরক আইনের মামলায় মুফতি ইজাহার ও তার ছেলে হারুনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ‘আরো বহু’ লোককে আসামি করা হয়েছে।
০৭ অক্টোবর,২০১৩ সকাল ১০টার দিকে মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে আইপিএস বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে কক্ষটিতে থাকা সব মালামাল সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।প্রাথমিকভাবে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ফায়ার ব্রিগেডের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরবর্তীতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশের বিশেষ টিম কক্ষটি অনুসন্ধান চালিয়ে তেমন কিছুই উদঘাটন করতে পারেনি। দুপুর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। তখন পর্যন্ত বোমা বা এ জাতীয় কোনো কিছুর আবিস্কার করতে পারেনি।সেখানে দেশের সকল মিডিয়া প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিল। সাংবাদিকদের চলে যাওয়ার পর বিকেলের দিকে এ জাতীয় নাটক সাজিয়ে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
পরে বিস্ফোরণ স্থল এবং মাদ্রাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে বিস্ফোরক দ্রব্যের আলামত পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন পুলিশ কর্মকার্তারা। মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে তিনটি গ্রেনেড উদ্ধারের দাবি করে তারা।
সোমবার দুপুরে মাদ্রাসার চারতলা ছাত্রবাসের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বিকট শব্দে এ বিস্ফোরণ হয়। আইপিএস বা ইউপিএসের বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা।
তবে বিস্ফোরণের পর লালখান বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মাদ্রাসায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে দাবি করে মিছিল বের করে এবং হেফাজত বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
ঘটনা ঘটেছে মনে করলাম বেলা ১০ টা থেকে এগারটায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাসহ পুলিশ উপস্থিত হলো। পুলিশ বোমা তখন পায় নি।
যেহেতু মাদ্রাসা হেফাজত নেতার, তাই বোমা পাওয়া জরুরি ছিল। জঙ্গি নাটক করা উপরের নির্দেশ !!!
এই কারনে পুলিশ রুমটা তালাবদ্ধ করে রাখে। সন্ধ্যার পর 'তাজা গ্রেনেড' উদ্ধার করে। এধরনের গ্রেনেড বিএনপি অফিস থেকেও উদ্ধার করা হয়েছিল। তাহলে কি একই নাটক নয়কি ?
বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে -
যুবলীগ নেতা মাসুমই গ্রেনেড সরবরাহ করে পুলিশকে দিয়ে মামলা সাজানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। গ্রেনেডের খবর প্রচারিত হওয়ার পর এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের আনন্দ উল্লাসই প্রমাণ করে এটি তাদের দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন।
বিষয়: বিবিধ
২৩৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন